Home -- Bengali -- John - 002 (The word before incarnation)
Previous Lesson -- Next Lesson
১. মানবরূপ ধারণের আগে বাক্যের সারাংশ এবং কার্য (যোহন ১:১-৫)
যোহন ১ : ১
১ প্রথমেই বাক্য ছিলেন, বাক্য খোদার সঙ্গে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই খোদা ছিলেন৷
মানুষ তার চিন্তা ও উদ্দেশ্যগুলোকে বাক্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে৷ তুমি যা তাই তুমি বল৷ বাক্যগুলি তোমার নিজস্ব ব্যক্তিত্বের সারাংশ যা তোমার আত্মার প্রকাশ৷
উচ্চ অর্থে খোদার বাক্য তাঁর নিজের স্বগর্ীয় ব্যক্তিত্বের এবং তাঁর সমস্ত ক্ষমতার ক্রিয়াশক্তিকে অলংকনী বাক্য হিসেবে প্রকাশ করে৷ কারণ প্রথমেই খোদা তার শক্তিশালী বাক্যের মাধ্যমে আসমান জমিন সৃষ্টি করেন এবং যখন তিনি বলেন 'হয়ে যাও' তা হয়ে যায়, আজকের দিন পর্যন্ত খোদার শক্তি তার কথার মধ্যে সক্রিয় রয়েছে৷ তুমি কি এটা অনুধাবন করতে পেরেছ যে, যে সুসমাচারটি তোমার হাতে রয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে খোদার কর্তৃত্বে পূর্ণ৷ এই বইটি সমস্ত উজদান বোমার থেকে শক্তিশালী কারণ এটা তোমার ভিতর থেকে সমস্ত মন্দতাকে নিমর্ূল করে এবং যা ভালো সেইভাবেই তোমাকে তৈরি করে৷
'বাক্যটি যার ভিতরের রহস্য গ্রিক ভাষায় লিখিত যোহনের সুসমাচারে উল্লেখ রয়েছে এবং প্রকাশিত হয়েছে তার দুটি অর্থ আছে, প্রথমটি হলো নিঃশ্বাস যার শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে আসে৷ দ্বিতীয়টি হলো পুরুষোচিত আধ্যাত্মিক ব্যক্তি৷ এ দুটো অর্থ আরবি ভাষায় ক্রিয়ার লিঙ্গ হিসাবে প্রকাশিত হয়, যাহা মহিলা অথবা পুরুষ লিঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷ ইংরেজি ভাষায় এটাকে দুই লিঙ্গে পৃথক করা হয়েছে, একটি ক্লীবলিঙ্গ এবং অপরটি পুরুষলিঙ্গ এবং যা দেখানো হয়েছে শব্দ ব্যবহারের মধ্যে৷ তাই যদি প্রচারক যোহন বলেন 'প্রথমেই বাক্য ছিলেন এবং দ্বিতীয় পদে এইভাবে ব্যাখ্যা করেন, তিনি প্রথম থেকেই ছিলেন' তাহলে এটা আপনাকে ব্যক্তি মসিহের রহস্যের একটি ব্যাপার দেখিয়ে দেবে৷ তিনি পিতার কাছ থেকে এসেছিলেন যেমন একজনের মুখ থেকে তার বাক্য বেরিয়ে আসে৷ তাই ঈসা মসিহ খোদার সামগ্রিক ইচ্ছা ও তাঁর সাদৃশ্য ছিলেন৷ আমরা এই উক্তিগুলো অন্যান্য ধর্মগ্রন্থেও খুঁজে পাই যেমন বলা হয়েছে ঈসা মসিহ খোদার বাক্য ছিলেন এবং তার থেকে বেরিয়ে আসা একটি আত্মা৷ পৃথিবীতে কোন মানুষই এই বেহেশতি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নন, কেবলমাত্র যিনি কুমারী মরিয়মের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন৷
বেথলেহেমে ঈসা মসিহের রক্তমাংসে গঠিত দেহধারণ তাঁর সত্তার আরম্ভ ছিল না, কারণ সমস্ত যুগের পূর্ব তিনি পিতার কাছ থেকে অগ্রসর হয়েছিলেন এবং তার অস্তিত্ব পৃথিবী সৃষ্টির পূর্ব থেকেই ছিল৷ তাই ঈসা মসিহ হলেন চিরন্তন, ঠিক যেমন পিতা চিরন্তন এবং কখনো পরিবর্তিত হন না, যেমন খোদার বাক্যও কোন ভাবে পরিবর্তিত হয় না৷
যোহন আমাদের দেখিয়েছেন, ঈসা মসিহ এবং তাঁর পিতার মধ্যে মূল সম্পর্ক৷ তিনি কখনোই পিতার থেকে বিছিন্ন ছিলেন না যেমন ঠোঁট থেকে উচ্চারিত বাক্য বাতাসে মিলিয়ে যায় কিন্তু ঈসা মসিহ খোদার সাথেই ছিলেন এবং তার মধ্যেই অবস্থান করতেন৷
খোদার সাথে, এই কথাটি গ্রিক ভাষায় বোঝায় যে, বাক্য খোদার দিকেই চালিত হচ্ছিল এবং খোদার মধ্যেই প্রবেশ করছিল, তাই ঈসা মসিহ সবসময়ই খোদার দিকে নির্দেশিত ছিলেন৷ এই নির্দেশনা হলো সবার জন্য মূল বিষয়, যারা পাকরুহ দ্বারা পরিচালিত, কারণ তিনি প্রেমের উত্স৷ এই প্রেম কোনোমতেই স্বাধীনতা চায় না কিন্তু তার উত্সের দিকে পরিচালিত হয় এবং তার মধ্যে প্রবেশ করে৷ অন্যান্য সৃষ্টির মতো খোদা ঈসা মসিহকে তার বাক্য দিয়ে অসার ভাবে সৃষ্টি করেন নাই, কিন্তু তাঁর নিজের ভেতরেই পুত্র নিজেই তার বাক্য তৈরি করেন এবং পিতার কর্তৃত্বকে নিজের মধ্যেই বহন করেন৷ এই পদের শেষে আমরা দেখতে পাই আশ্চর্যজনক চুড়ান্ত উক্তি যে, বাক্য খোদার নিজের ভিতরেই ছিল, এই ভাবে প্রচারক যোহন তার সুসমাচারের প্রথম পদেই বলেছেন যে, ঈসা মসিহই খোদা যিনি খোদা, থেকেই এসেছেন, আলো থেকে আলো, সত্যময় খোদার থেকে সত্যময় খোদা যিনি জন্ম নিয়েছিলেন কিন্তু সৃষ্ট হন নাই, পিতার একই বৈশিষ্ট্যধারী, শ্বাশত, শক্তিশালী, পবিত্র এবং দয়াময়৷ যে ব্যক্তি স্বীকার করে যে, ঈসা মসিহ খোদার বাক্য, সে তাঁর খোদাত্বের ব্যাপারে সম্মত হবে৷
প্রার্থনা : প্রভু ঈসা মসিহ, আমরা তোমার সামনে নতজানু হই, কারণ তুমি সকল যুগের আগে থেকেই পিতার সাথে ছিলে, সব সময়ই তাঁর দিকে নির্দেশিত ছিলে৷ আমাদেরকে সাহায্য কর যেন আমরা তোমার থেকে বিছিন্ন না হই, কিন্তু যেন সব সময় নিজেদেরকে খোদার দিকে পরিচালিত করি এবং তার ভালোবাসার মধ্যে অবস্থান করি৷ আমরা তোমকে ধন্যবাদ দেই প্রভু ঈসা মসিহ, কারণ তুমি আমাদের কাছে এসেছ বোধগম্য সুসমাচার নিয়ে৷ যে সুসমাচার আমাদের কাছে, তোমার বাক্য, এবং বিশ্বাসের দ্বারা আমাদের মাধ্যমে প্রতিভাত হতে পারে৷
প্রশ্ন :