Previous Lesson -- Next Lesson
ক) কুদরতীভাবে মাছ ধরা (যোহন ২১:১-১৪)
যোহন ২১:৭-৮
ঈসা মসিহ যে সাহাবিকে মহব্বত করতেন সেই সাহাবি পিতরকে বললেন, 'উনি হুজুর৷' সেই সময় শিমোন-পিতরের গায়ে কোন কাপড় ছিল না৷ তাই যখন তিনি শুনলেন, 'উনি হুজুর,' তখন গায়ে কাপড় জড়িয়ে সাগরে ঝাঁপ দিলেন৷ তারা পার থেকে বেশি দূরে ছিলেন না, কমবেশ দু'শো হাত দূরে ছিলেন৷ এজন্য অন্য সাহাবিরা মাছে ভরা জালটা টানতে টানতে নৌকায় করে পারে আসলেন৷
অন্যান্য সাহাবিগণ নৌকায় এসে জ্বাল টেনে তুলতে ব্যসত্ম হলেন, প্রচুর মাছ, যদিও তারা কিনারার কাছে ছিলেন, তবুও অনেক মাছ জালে ধরা পড়লো৷
প্রচারক বুঝতে পেরেছিলেন এ অসাধারণ মাছ জালে ধরা পড়া কোনো সনি্নপাত বা আকষ্মিক ঘটনা নয়৷ তিনি নৌকায় ছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যিনি ডান দিকে জাল ফেলতে বলেছেন তিনি আর কেউ নন, তিনি স্বয়ং মসিহ৷ ইউহোন্না মসিহের নাম উলেস্নখ না করে সম্মান প্রদর্শণ পূর্বক বলেছেন, 'ইনিই প্রভু'৷
পিতর এবার বুঝতে পেরেছেন যে প্রভু মাছ ধরার মাধ্যমে দ্বিতীয়বার অতীব গুরম্নত্বপূর্ণ শিৰা দিলেন৷ তিনি তার পরিধেয় কাপড় পরে নিলেন কেননা প্রভুর সম্মুখে তিনি উলঙ্গ যেতে চাইলেন না৷ তিনি পানির মধ্যে ঝাপ দিলেন, এবং প্রভুর দিকে সাতার কেটে যেতে শুরম্ন করলেন৷ এভাবে তিনি নৌকা ছেড়ে দিলেন৷ তার বন্ধুগণ এবং সদ্য ধরা মাছ নৌকায় রয়ে গেল৷ তিনি সবকিছু ভুলে গেলেন কারণ তাঁর হৃদয়ে কেবল মসিহ ছাড়া আর কিছুই ছিল না৷
ইউহোন্না নৌকাতে থাকলেন, যদিও মসিহের প্রতি তাঁর মহব্বত পিতরের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না৷ উক্ত যুবক সহকর্মীদের নিয়ে কষ্টসাধ্যে নৌকাটি কিনারে টেনে নিয়ে গেলেন, দূরত্ব ছিল একশত মিটারের মতো৷ পরিশেষে তারা দেখতে পেল বিপুল পরিমানের মাছ ধরা পড়েছে৷
যোহন ২১:৯-১১
পারে নেমে এসে তাঁরা কাঠকয়লার আগুন এবং আগুনের উপরে মাছ দেখতে পেলেন; সেখানে রম্নটিও ছিল৷ তখন ঈসা মসিহ তাদের বললেন, 'এখন যে মাছ ধরলে তা থেকে কয়েকটা আন৷' শিমোন-পিতর নৌকায় গিয়ে জালটা পারে টেনে আনলেন৷ একশো তিপ্পান্নটা বড় মাছে জালটা ভরা ছিল৷ যদিও এত মাছ ছিল তবুও জালটা ছিঁড়ল না৷
সাহাবিগণ কিনারে পৌছে কয়লার আগুনে পোড়া বা ভাজা মাছ দেখতে পেলেন, তত্সঙ্গে রম্নটিও ছিল৷ তারা ভাবতে লাগলেন কোথা হতে কয়লার আগুন ও ভাজা মাছ আসতে পারে৷ একশত মিটার দূর থেকে মসিহ তাদের ডাকলেন, কারণ তাদের খাবার বলতে কিছুই ছিল না৷ কাছে এসে দেখলেন ভাজা মাছ এবং তিনি তাদের খেতে বললেন৷ তিনি প্রভু ও অতিথীসেবকও বটে৷ খাবার প্রস্তুতে তিনি দয়াপূর্বক তাদের অংশ দিলেন৷ তিনি তার কাজে আমাদের অংশ দিয়ে থাকেন৷ সাহাবিগণ মসিহের অবাধ্য হয়ে যা কিছু করেছেন তাতে কোনো সুফল ফলে নি৷ কিন্তু এৰেত্রে তিনি তাদের আহ্বান জানালেন খাদ্য গ্রহণ করার জন্য৷ রম্নহানী প্রভুর পার্থিব খাদ্যের কোনো প্রয়োজন নেই, তথাপিও তিনি তাদের সাথে বসে খাদ্য খেলেন যাতে তাদের প্রতি তাঁর প্রেমের গভীরতা বুঝতে পারেন৷
পুরাতন প্রথানুযায়ী ১৫৩ টি মাছ প্রমাণ বহন করে, সর্বজাতীয় মাছের কথা৷ মসিহ তাই বলেছেন, 'কেবল একই প্রকারের মাছ শিকার করো না, অর্থাত্ সর্বজাতি হবে তোমাদের শিকারের ৰেত্র৷ সকলকেই ঐশি জীবনে আহ্বান করা হয়েছে৷ জালের মধ্যে মাছের ভারে জাল যেমন ছিড়ে যায় নি, একইভাবে জামাতে সর্বজাতিয় মানুষের ভীরে জামাত বিশৃঙ্খলা হবে না, যদিওবা জামাতে ২/৪জন স্বার্থপর ও প্রেমহীন সদস্য থাকে৷ সত্যিকারের জামাত হয়ে ওঠে তার নিজস্ব এবং গুরম্নত্ববহ৷
যোহন ২১:১২-১৪
ঈসা তাদের বললেন, 'এস, খাও৷' সাহাবিদের মধ্যে কারও সাহস হল না যে, জিজ্ঞাসা করে, 'আপনি কে?' কারণ তাঁরা জানতেন, তিনি ঈসা মসিহ৷ পরে ঈসা মসিহ এসে রম্নটি নিয়ে তাঁদের দিলেন, আর সেভাবে মাছও দিলেন৷ মৃতু্য থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পর ঈসা মসিহ এই তৃতীয় বার সাহাবিদের দেখা দিলেন৷
মসিহ প্রেমের আগুনের চারদিকে জড়ো করেন৷ সাহস করে কেউই কিছু বলতে পারলেন না, কারণ সকলেই বুঝতে পারলেন এ আগন্তুক হলেন মসিহ নিজেই৷
তাঁর সাথে আলিঙ্গন করার জন্য তারা সকলেই উদগ্রীব ছিলেন৷ কিন্তু সম্মান ও ভক্তিযুক্ত ভয় তাদের বিরত রাখলো৷ মসিহ নিসত্মব্ধতা ভেঙ্গে দিলেন, তাদের আশির্বাদ করলেন, এবং খাদ্য পরিবেশন শুরম্ন করলেন৷ এভাবে তিনি তাদের ৰমা করলেন এবং তাদের পুনগঠন করলেন অর্থাত্ তাদের বিশ্বাস দৃঢ় করে তুললেন৷ সকল সাহাবি নিয়ত প্রভুর ৰমায় বেঁচে থাকে, তার বিশ্বসত্মতা ব্যতিরেকে তারা ধুলিসাত্ হয়ে যেতো৷ তারা ছিল প্রত্যাশা ও বিশ্বাসে বড়ই মন্থর এবং সন্দেহপ্রবন৷ কিন্তু তিনি তাদের ভর্তসনা কটুক্তি করেন নি, পরিবর্তে শক্তি সাহস যুগিয়েছেন, যুগিয়েছেন রম্নহানি পুষ্টি৷ প্রভু আপনাকে খুঁজে ফিরছেন, আপনাকে তার বড়ই প্রয়োজন নাজাতের বারতা জনসমৰে পৌছে দিতে, তাতে আপনার দুর্বলতা বা উত্সাহ যতই দুর্বল থাক না কেন তাতে কিছুই এসে যায় না৷ এ পদ্ধতিতে পুনরম্নত্থানের পরবতর্ী সময়ে কুদরতি কাজ করেছেন মসিহ৷
খ) বিশ্বাসিদের দেখাশুনা করার বিষয়ে পিতর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন (যোহন ২১:১৫-১৯)
যোহন ২১:১৫
তাদের খাওয়া শেষ হলে পর ঈসা শিমোন-পিতরকে বললেন, 'ইউহোন্নার ছেলে শিমোন, ওদের মহব্বতের চেয়ে কি তুমি আমাকে বেশি মহব্বত কর?' শিমোন-পিতর তাঁকে বললেন, 'জ্বী, প্রভু আপনি জানেন আপনি আমার কত প্রিয়'৷ মসিহ তাঁকে বললেন, 'আমার মেষ শাবক-গুলোকে চরাও৷
মসিহের প্রথম দর্শনেই তিনি তার সানত্মনাদায়ী বাক্যের দ্বারা সাহাবিদের পাপ অপরাধ করে ৰমা করে দিলেন এবং বিশেষ করে পিতরের অস্বীকৃতিও ৰমা করে দিলেন৷ তবুও পিতরের অস্বীকৃতির জন্য আলাদা ব্যবস্থার আয়োজন করলেন৷ প্রভুর বাক্যের মাধ্যমে তাঁর দয়া প্রকাশ পেল, প্রভু অনত্মরের খবর রাখেন৷ অস্বীকৃতির বিষয়ে তিনি কিছুই বলেন নি, তবে আত্ম পরিৰার সুযোগ করে দিলেন, সুযোগ দিলেন আত্ম অনুশোচনার৷ তিনি পিতরের পূর্বের নাম ধরে ডাক দিলেন, বললেন, ইউহোন্না পুত্র সায়মন উদ্দেশ্য হলো তাঁর পুরনো দিনে ফিরে যাওয়া৷
এইভাবে মসিহ আপনাদের কাছে একই প্রশ্ন রাখছেন, 'তুমি কি আমাকে মহব্বত করো' তুমি আমার প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস করো আর আমার বাক্যানুযায়ী জীবন যাপন করে থাকো? আমার মৌলসত্ত্বা কি বুঝতে পেরেছো আর আমার নৈকট্যে আসতে পেরেছো? আমার কাজে কি তুমি যোগ দিতে পেরেছো আর সে জন্য নিজের ইচ্ছাকে ইসত্মাফা দিয়েছো? তুমি কি সদাসর্বদা আমাকে নিয়ে চিনত্মা করে থাকো আর তার ফলে আমার মধ্যে একাত্ম হতে পেরেছো? তোমার জীবন দিয়ে কি তুমি আমাকে মহব্বত সম্মান করো? সহায় সম্পদ, জমি-জমা এমনকি পেশাটি পর্যনত্ম দিয়ে? মসিহ পিতরকে প্রশ্ন করেছেন, এদের চেয়েও কি তুমি আমাকে বেশি ভালোবাসো? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিলেন না পিতর৷ না প্রভু আমি এদের চেয়ে উত্তম নই৷ আমি আপনাকে অস্বীকার করেছি৷ পিতর তখনও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, এবং জবাব দিলেন, 'হঁ্যা প্রভু' গ্রীক ভাষায় তার শব্দের সীমাবদ্ধতা তিনি প্রকাশ করলেন স্নেহ, ঐশি মহব্বতের প্রকাশ নয়৷ ঐশি প্রেম পাকরূহের দ্বারা অনুপ্রাণীত হয়ে থাকে, যা ইমানের দৃঢ়তার ওপর নির্ভর করে৷
দুর্বল প্রেমের জন্য পিতরকে ভর্তসনা করা হলো না, তবে তার উপর দায়িত্ব আরোপ করা হলো বিশ্বাসীকুল দেখাশুনা করার জন্য৷ মসিহ তার পতিত বিশ্বাসীদেরকে নতুন করে দায়িত্ব দিলেন নতুন বিশ্বাসীদের পরিচর্যার জন্য৷ ঐশি মেষ নিজের পৰে কাজ করার জন্য আরো অনেক মেষ ক্রয় করে নিলেন৷ আপনি কি প্রস্তুত আছেন এমন সব দল পরিচর্যার করার জন্য৷ ধৈর্য্যসহ ধীরে ধীরে গতিসঞ্চালন করার জন্য? এবং তাদের পরিপক্কতা অবধি ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য? অথবা তাদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত আদায়ের মনোভাব পোষণ করেন অথবা তাদের সহ্য করেন? অথবা তাদের ছেড়ে ভেগে গেছেন এবং ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেছেন? বিশ্বাসে যারা দুর্বল তাদের পরিচালনার ভার তিনি তার ওপর অর্পন করেন৷
যোহন ২১:১৬
মসিহ দ্বিতীয় বার তাঁকে বললেন, 'ইউহোন্নার ছেলে শিমোন, তুমি কি আমাকে মহব্বত কর?' শিমোন-পিতর তাঁকে বললেন, 'জ্বী, প্রভু, আপনি তো জানেন আপনি আমার কত প্রিয়'৷
মসিহ হালকাভাবে পিতরকে ছেড়ে দেন নি, তিনি তাকে বললেন, 'তুমি কি না বুঝেই আমাকে জবাব দাও নি, যখন তুমি বলেছিলে তুমি আমাকে প্রেম করো'? তোমার প্রেম কি মানবীয় প্রেম যা থাকে ব্যর্থতায় ভরা? তোমার প্রেম কি আবেগাপস্নুত সদেচ্ছা মিশ্রিত নয়?
এ বিষয়গুলো পিতরের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল৷ বিনম্রভাবে তিনি জবাবে বললেন, 'প্রভু, আপনি সবকিছুই জানেন৷ আপনি ৰমতার সীমাবদ্ধতা জানেন৷ আপনার কাছ থেকে আমার প্রেম লুকায়িত নয়৷ সত্যিকারভাবে আমি আপনাকে মহব্বত করি এবং সাধ্যমত আমার জীবন আপনার জন্য দিয়ে দিয়েছি৷ আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং আবারও ব্যর্থ হবো৷ কিন্তু আপনার মহব্বত আমার মনে অননত্মকালের জন্য আলো জ্বালিয়ে রাখবে৷
মসিহ পিতরের দাবি অবজ্ঞা করলেন না, তিনি বললেন, যেমন তুমি আমাকে মহব্বত করে থাকো, তেমনই বিশ্বাসী ভাইদের মহব্বত করো৷ পালকাীয় দায়িত্ব সহজ কোনো বিষয় নয়৷ অনেকেই অনমনীয়, পতিত, প্রত্যেকে আপন আপন পথে চলে যাবার প্রবণতায় ভোগে৷ আমার মেষদের পরিচালনা করার আগ্রহ অনেকেরই নেই৷ নিজ কাধে দায়িত্ব নেবার আগ্রহ এবং তত্প্রযুক্ত ক্লানত্ম হবার জন্য রাজী নয়৷ তুমি এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবে৷
যোহন ২১:১৭
পরে তিনি তৃতীয়বার শিমোন-পিতরকে বললেন, 'ইউহোন্নার ছেলে শিমোন, সত্যিই কি আমি তোমার প্রিয়?' পিতর এবার দুঃখিত হলেন, কারণ মসিহ এই তৃতীয় বার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন 'আমি কি সত্যিই তোমার প্রিয়?' এজন্য পিতর মসিহকে বললেন, 'প্রভু, আপনি সব কিছু জানেন; আপনি তো জানেন যে, আপনি আমার খুবই প্রিয়৷' মসিহ তাঁকে বললেন, 'আমার মেষগুলোকে চরাও৷'
যেহেতু পিতর প্রভুকে তিনবার অস্বীকার করেছিলেন তাই তাঁর হৃদয় দুয়ারে তিনবার টোকা দিলেন হৃদয়ে প্রভুর প্রতি প্রকৃত মহব্বত দেখার জন্য৷ তিনি গুরম্নত্বারোপ করলেন পাকরূহের আগমনে ঐশি মহব্বতের প্রকাশ ঘটবে তা পিতরকে আবিষ্কার করতে হবে৷
পঞ্চসত্তমির পূর্ব পর্যনত্ম তিনি পাকরূহকে লাভ করতে পারেন নি৷ তিনি খুঁজে ফিরছিলেন, মানুষের সাথে স্থাপিত সম্পর্কের চেয়ে তুমি অধিক সম্পর্ক যুক্ত, গোটা জগতের নাজাতের জন্য নিজের প্রাণ উত্সর্গ করার জন্য প্রস্তুত৷ তৃতীয় বারে মতো পিতর দুঃখিত ও লজ্জি্বত হয়ে জবাব দিলেন প্রভুর তো জানা রয়েছে তার হৃদয়ের বিষয়৷ পিতর স্বীকার করলেন, প্রভু সার্বিকভাবেই বলেছিলেন যে, সে তাঁকে তিনবার অস্বীকার করবেন কেননা সবকিছুই রয়েছে প্রভুর জ্ঞাত৷ তাই পিতর তাকে প্রকৃত খোদা বলে অভিহিত করলেন, যিনি মানুষের হৃদয়ের গভীরে যা কিছু রয়েছে তার সবকিছু আছে তাঁর জানা৷ ঐশি আহ্বান ও দায়িত্ব পিতরে উপর অর্পন করলেন, আর তা হলো মেষদের দেখাশুনা করা৷
আপনি কি একজন পালক, খোদার মেষদের (বিশ্বাসীদের) দেখাশুনা করে থাকেন? মন্দ আত্মা ও নেকড়েদের আক্রমণাত্মক অবস্থায় দেখতে পান? মনে রাখবেন, আমরা সকলেই গুনাহগার, মসিহের সলিবিয় প্রেম ব্যতিরেকে খোদার লোকদের পরিচালনা করার দায়িত্ব ও সম্মান লাভের যোগ্য আমরা নই৷ নিঃসন্দেহে, নিত্যদিন পালকের ৰমালাভের প্রয়োজন রয়েছে সাধারণ বিশ্বাসীদের চেয়ে অনেক বেশি৷ প্রায়শঃ তারা আপন আপন দায়িত্ব ভুলে যায়৷
প্রার্থনা: প্রভু, তুমি হলে প্রধান পালক৷ তুমি আমাকে পালকীয় কাজে ডাক দিয়েছো যার যোগ্য আমি নই৷ আমি তোমাকে অনুসরণ করি আর পতিত হই৷ তোমার প্রিয় মেষদের আমার হাতে তুলে দিয়েছো দেখভাল করার জন্য৷ আমি তাদের তোমার হাতে সমর্পণ করি এ প্রত্যাশা নিয়ে, তুমিই তাদের লালন পালন করবে, দিবে তাদের অননত্ম জীবন, তোমার নিজের হাতে রাখবে তাদের দায়িত্বভার৷ যার ফলে কেউই পারবে না তাদের ছিনিয়ে নিতে৷ তাদের পবিত্র কর, আমাদের দান করো ধৈর্য্য বিনম্রতা, বিশ্বাস, আস্থা এবং প্রত্যাশা যা নিয়ে তোমার মহব্বত লাভ হয়, পায় ঐশি প্রেমের প্রতিষ্ঠা৷ তুমি আমাকে কখনোই পরিত্যাগ করবে না, বরং চুড়ানত্মভাবে আমাকে ভালোবাসবে৷
প্রশ্ন: