Previous Lesson -- Next Lesson
২. ঈসা মসিহ সম্পর্কে বাপ্তিস্মদাতার আরও বেশি আলোড়িত সাক্ষ্যসমূহ৷ (যোহন ১:২৯-৩৪)
যোহন ১:৩১-৩৪
৩১ 'আমি তাহাকে চিনতাম না, কিন্তু তিনি যেন ইস্রালীয়দের নিকট প্রকাশিত হন, সেইজন্য আমি আসিয়া পানিতে বাপ্তিস্ম দিতেছি'৷ ৩২ তারপর ইয়াহিয়া এই সাক্ষ্য দিলেন, 'আমি পাক-রুহ্কে কবুতরের মতো বেহেস্ত হইতে নামিয়া আসিয়া তাঁহার উপর বসিতে দেখিয়াছি৷ ৩৩ আমি তাঁহাকে চিনিতাম না, কিন্তু যিনি আমাকে পানিতে বাপ্তিস্ম দিতে পাঠাইয়াছেন তিনিই আমাকে বলিয়া দিয়াছেন, 'যাহার উপর পাক-রুহ্কে নামিয়া আসিয়া থাকিতে দেখিবে, তিনিই সেই, যিনি পাক-রুহে বাপ্তিস্ম দিবেন'৷ ৩৪ আমি তাহা দেখিয়াছি আর সাক্ষ্য দিতেছি যে, ইনিই খোদার পুত্র'৷
বাপ্তিস্মদাতার বয়স যখন ত্রিশ তখন খোদা তাকে ঈসা মসিহের পথ প্রস্তুত করবার জন্য ডেকেছিলেন এবং মানুষের কাছে তাকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য বলেছিলেন৷ এটা ঘটেছিল তার বাপ্তিস্ম নেওয়ার সময় যা প্রায়শ্চিত্তকারীদেরকে প্রত্যাশী করে তুলেছিল ঈসা মসিহকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য৷ খোদা বাপ্তিস্মদাতাকে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিলেন সে যা দেখবে তা কেউ কোন দিন আগে দেখেনি তা হলো পাক-রুহের সাক্ষ্য যা ঈসা মসিহের উপর নেমে এসেছিল৷ লক্ষণীয় ছিল পাক-রুহ যিশুর উপর ভর করেছিলেন৷ তৌরাতের নবীরা কিছু সময়ের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিল, কিন্তু ঈসা মসিহ স্থায়ীভাবে রুহে পরিপূর্ণ হয়েছিলেন৷ একটি অবিরাম ঝরনাধারার মতো রুহ বিশ্বাসীদেরকে বেহেস্তি শক্তিতে পূর্ণ করবে৷
জর্দানের কিনারায় দুজন যুব ব্যক্তি পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন, বেহেস্তগুলির দ্বার নীরবে উম্মোচিত হলো, কিন্তু হঠাত্ করে যোহন কবুতরের মতো পাক-রুহকে দেখতে পেলেন, সাদা বিপরীতে নীল আকাশ যা ছিল শান্তি এবং নম্রতার প্রতীক৷
পাকরুহ্ বাপ্তিস্মদাতা অথবা প্রায়শ্চিত্তকারীদের উপরে নামেনি, কিন্তু সরাসরি ঈসা মসিহের উপর ভর করেছিলেন, এটা ছিল বাপ্তিস্মদাতার জন্য নিশ্চিত প্রমাণ যে, নাসারতীয় যুবকটি সমস্ত নবী ও সৃষ্টি থেকে ছিলেন সবচাইতে মহান৷ বাপ্তিস্মদাতা জানতেন যে, খোদা তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তিনিই প্রত্যাশিত চিরন্তন ব্যক্তি৷
নিসন্দেহে বাপ্তিস্মদাতা প্রশংসা ও আনন্দে পরিপূর্ণ হয়েছিলেন যেমন সে তার মায়ের গর্ভে নাচিয়া উঠেছিল সেই সময় যখন মরিয়ম তার বোন এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাত্ করে৷ যে নিজেও আনন্দে এবং প্রশংসায় উল্লসিত হয়েছিল৷ (লুফ ১ : ৩৬-৪৫)
বাপ্তিস্মদাতা ঈসা মসিহকে রূহের দাতা হিসেবে চিনতে পেরেছিলেন, কিন্তু তিনি তার দর্শনকে গোপন করেননি এবং প্রকাশ্যে উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করেন, 'প্রভূ এসেছেন, তিনি উপস্থিত, বিচার করতে নয় কিন্তু ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা দেখাতে৷ তিনি কোনো সাধারণ ব্যক্তি নন, কিন্তু খোদার পুত্র যিনি আত্মায় পরিপূর্ণ৷ যে কেউ দাবি করে ঈসা মসিহ, খোদা হইতে একটি আত্মা, একই সময় স্বীকার করে যে, 'সে খোদার পুত্র'৷ এইভাবে যোহন ঈসা মসিহের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে তুলিয়া মানবরূপে! প্রায়শ্চিত্তকারীকে পাক-রুহের দ্বারা বাপ্তিস্ম দেওয়া, খোদা আত্মা, তাঁর পুত্র হলো খোদার আত্মা যিনি রক্ত মাংসে আবিভর্ূত৷ এটা ছিল তাঁর জন্য অতি আনন্দের বিষয় যে তার সাহাবিদেরকে বেহেস্তি বাস্তবতায় পূর্ণ করতে পারেন : খোদা হলেন প্রেম৷
প্রিয় ভাই, আপনি কি পাক রুহ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছেন? আপনি কি আপনার জীবনে ঈসা মসিহের শক্তির অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন? এই বেহেস্তি গুণ আপনিও পেতে পারেন পাপের ক্ষমার দ্বারা এবং ঈসা মসিহের আত্ম উত্স্বর্গের উপর বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে৷ যে কেউ খোদার মেষশাবকের কাছ থেকে ক্ষমা পেয়েছে এবং তাকে স্বীকার করে, সে পাক রুহে পরিপূর্ণ হয়৷ খোদার পুত্র প্রস্তুত আছেন সমস্ত বিশ্বাসীদেরকে তাঁর আধ্যাত্মিক দান প্রদান করতে৷
প্রার্থনা: ও পবিত্র ইবনল্লাহ আমরা তোমার এবাদত ও প্রশংসা করি৷ আমাদের কারণে তুমি নিজেকে নত করেছ এবং আমাদের পাপসমূহকে তুলে নিয়েছ৷ আমরা তোমাকে আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করার জন্য ধন্যবাদ দিই, যা তুমি তোমার ক্রুশে ঝরা রক্তের মধ্য দিয়ে করেছ৷ তোমাকে আরও ধন্যবাদ দেই এই কারণে যে, আমাদের উপর তুমি তোমার পাক-রুহ্রে শক্তিকে অর্পণ করেছ এবং আর সবাইকেও যারা তোমাকে ভালোবাসে৷ আরো অনেককে তুমি পাপের নিদ্রা থেকে জাগিয়ে তোলো৷ তাদের জীবনকে তোমার অমায়িক সত্য দ্বারা নবজীবন দাও৷
প্রশ্ন: