Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- Romans - 007 (Paul’s Desire to Visit Rome)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
উদ্বোধন: সম্ভাষণ ও খোদার শুকরীয়া খোদার 'ধার্মিকতার ওপর' গুরুত্বারোপ করাই হলো এই পত্রের প্রধান লক্ষ্যবিন্দু (রোমীয় ১:১-১৭)

খ) হযরত পৌলের রোমে যাবার জন্য দীর্ঘ আকাঙ্খা (রোমীয় ১:৮-১৫)


এ পত্রের মাধ্যমে হযরত পৌল জামাতের সদস্যদের কাছে তাঁর হৃদয়ের আকাঙ্খা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি রোমে যাবার জন্য বহুবার প্রচেষ্ঠা নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন, বুঝতে পেরেছেন তখনও খোদার ইচ্ছা ছিল না তাকে রোম শহরে ব্যবহার করার, বাঁধা এসেছে খোদারই তরফ থেকে৷ প্রসিদ্ধ সাহাবি ও প্রচারককে বুঝতে হয়েছে, যা কিছু ঘটে তা খোদার ইচ্ছাতেই ঘটে থাকে, আর মানুষের পরিকল্পনা আর খোদার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের৷ আর খোদার পরিকল্পনার মানুষের পরিকল্পনার চেয়ে বহুত পার্থক্য যেমন আসমান জমিন পার্থক্য থাকে৷ পাকরূহ অর্থাত্‍ মসিহের রূহ তাকে নিবারিত করেছেন তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নকল্পে৷ যদিও আপাতঃ দৃষ্টিতে তা প্রয়োজনীয় মনে হয়, মনে হতে পারে সুন্দর ও পবিত্র৷ অধিকন্তু ভ্রমণের সুযোগ যখন নাগালের মধ্যে এসে গেল, তখনও খোদা তা বাস্তবায়িত হতে দিলেন না৷

তখন পৌল গোটা বিশ্বে সুসমাচার প্রচারের বাসনা পোষণ করলেন৷ তিনি চাইলেন, তার জীবদ্দশায় খোদার রাজ্য রোমে এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে প্রতিষ্ঠা করবেন৷ তিনি কোনো ব্যক্তিকে মদদপুষ্ট না করে পুরো জাতি জাগ্রত করার দিকে মনোনিবেশ করলেন, কেননা এ ব্যাপারে তিনি মসিহের মাধ্যমে খোদার রহমতের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন, যে ধারণা তার মধ্যে জাগ্রত ছিল৷ তিনি মহিমান্বিত প্রভুর দর্শণ লাভ করেছিলেন, আর সুনিশ্চিত হতে পেরেছিলেন যে গোটা বিশ্ব মসিহ, যিনি রাজাদের রাজা, তার অধিনে রয়েছে নিয়ন্ত্রিত, ফলে তার বিজয় ছিল অবধারিত৷

জাতির প্রচারক নিজেকে চিনতে ও বুঝতে পেরেছিলেন, খোদা তাকে জগতের জন্য যুক্তি বাগিশ বা সুতার্কিক হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন, বিনিময়ে তিনি যে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন তা কিন্তু নয়, কিন্তু খোদা তার ক্ষমতা ও অধিকার তার ওপর অর্পণ করেছেন বলেই তিনি হয়েছেন যুক্তি বাগিশ তিনি বাধ্য হয়েছিলেন উক্ত প্রাধিকার ও ক্ষমতা মসিহে ভক্ত বৃন্দদের ওপর অভিষেক করার জন্য৷ বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে সকলে খোদার আশির্বাদে জীবন-যাপন করছি, যে আশির্বাদ তিনি হযরত পৌলের ওপর বর্ষণ করেছিলেন, ফলে আমরাও সকলে তাঁর শক্তির করতলে শরিক হতে পেরেছি৷ এই একই অর্থে আমরাও আপনাদের কাছে যুক্তি প্রকাশ করার অধিকার পেয়েছি, যে রূহ আমাদের মধ্যে কর্মরত রয়েছে, সে রূহ কেবল আমাদের মধ্যেই বসবাস করে না, বরং বহুজনের মধ্যেই তিনি বসবাস করেন৷

হযরত পৌল শিক্ষিত গ্রীকদের মধ্যে কাজ করেছেন, প্রভু তাঁর দুর্বলতার মধ্য দিয়েই উক্ত সেবা করেছেন প্রতিষ্ঠিত৷ ভূমধ্যসাগরের নিকটবতর্ী এলাকায় তিনি জামাত প্রতিষ্ঠা করেছেন, যারা গ্রীস দ্বীপ সমূহে পৌছে গিয়েছিল৷ এ পত্রটি লেখার সময়কালে তিনি ফ্রান্সের বারবারিযান স্পেন ও জার্মানীতে কাজ করার মনস্থ করেছিলেন৷ প্রত্যেকের কাছে সুসমাচার প্রচারের জন্য তিনি দারুনভাবে আগ্রহী ছিলেন, বিষয়টি হলো খোদার পুত্র সলিবে আত্মকোরবানির মাধ্যমে আমাদের পাপের প্রাশ্চিত্ত শোধ দিয়ে পাপের কবল থেকে মুক্ত করেছেন৷ তাঁর প্রবল ও অতিশয় নিবেদনের কারণে জাতীয় প্রেরিত রকেটের মতো সঠিকভাবে প্রস্তুত হয়েছিলেন যেন যেকোনো মুহুর্তে নিক্ষেপ করা সম্ভব৷ তিনি প্রত্যাদেশ পেয়েছিলেন যেন তিনি যে কোনো স্থানে যেতে পারেন৷ বারবারিয়ান রোমিয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন যেন সবজাতির কাছে প্রচারে তারাও তার সাথে যুক্ত হতে পারে৷ এভাবে রোমে ঈমানদার ভাইদের প্রচার কাজ চালাতে চেয়েছিলেন, ফলে যেন প্রচারক তৈরি হয়৷ নাজাত লাভকারী ব্যক্তিবর্গ অন্যের কাছে নাজাতের বাণী প্রচারের জন্য আন্তরিকভাবে বাধ্য হয়৷ পৌল রোমকে প্রচার কাজের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, রোম থেকে বিশ্বের সর্বত্র প্রচার দল দিকে দিকে প্রেরণের কথা ভাবছিলেন৷

যাহোক, খোদা তাঁর প্রার্থনার জবাব অন্যভাবে দিয়েছিলেন৷ খোদা তাঁর রাজদূতকে সোজাসুজি রোমে পাঠালেন না, বরং প্রথম তাকে জেরুজালেমে ঘুরিয়ে পাঠালেন, যেন সেখানে গিয়ে ধরা পড়েন ও বন্দি অবস্থায় রোমে পৌছেন৷ দীর্ঘ দুঃখের সময় পার হবার পর পৌল রাজধানিতে রাজবন্দিরূপে হাজির হলেন, মসিহের ক্রীতদাস হিসেবে৷ এত অত্যাচার সত্ত্বেও তাঁর মধ্য থেকে খোদার ক্ষমতা নিভে যায় নি৷ বন্দি অবস্থাতেও তিনি গোটা বিশ্বে তার পত্রের মধ্য দিয়ে প্রচার করে চললেন, যে পত্রটি (রোমীয় পত্র) অদ্য পর্যন্ত বিভিন্ন জাতির কাছে প্রচারিত হয়ে চলছে৷

আজকে আমরা সেই বারবারিয়ানদের নাতি-পুতির স্তরে আছি৷ পৌল সেই বারবারিয়ানদের কাছে প্রচার করেছিলেন বিধায় সুসমাচার ছড়িয়ে পড়েছিল, আর তা আমাদের কাছে হয়ে আসছে প্রচারিত, পৌলের ওপর এটা ছিল ঐশি আদেশ, আর তিনি তা পালন করার কারণেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে৷ হয়তো পৌলের চিন্তায় ধরা নাও পড়তে পারে যে গোটা বিশ্বে সকল জাতির কাছে প্রচার কাজ সুসম্পন্ন হবে রোমীয়দের প্রতি লেখা পত্রের মাধ্যমে৷ ইউহোন্না লিখিত সুসমাচার ব্যতিত আর কোনো পত্র গোটা বিশ্বে অত্র পত্রের চেয়ে অধিক আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় নি৷ এ পত্রটি প্রচুর প্রার্থনা ও নিবেদনের মাধ্যমে লেখা হয়েছে যা ছিল পাকরূহের প্রত্যক্ষ পরিচালনা৷

প্রার্থনা: হে প্রভু, তুমিই রাজা, তুমি তোমার দাসদের নিজ ইচ্ছে মতো পরিচালনা করে থাকো৷ আমাদের ক্ষমা করো যদি আমরা ভিন্ন কিছু চিন্তা করে থাকি, যা তোমার চিন্তার পরিপন্থি৷ তোমার পরিচালনার কাছে আমাদের সম্পূর্ণ বশিভূত করো, তোমার প্রেমের পরিকল্পনার বাইরে যেন ছুটে না যাই, বরং তোমার পাকরূহের আজ্ঞা মতো বাধ্য থাকতে ও চলতে পারি৷ আর তোমার ইচ্ছা মাফিক স্বানন্দে চলতে পারি, যদিও আমাদরে চিন্তা-চেতনার ও উপলব্ধির পরিপন্থি হলেও তোমার ইচ্ছা যেন আমাদের জীবনে ফলপ্রসূ হয়৷ হে প্রভু, তোমার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পবিত্র, আমরা তোমার ব্যবস্থায় শতভাগ সমর্পণ করি৷ তোমাকে ধন্যবাদ দেই, কেননা তুমি কখনোই তোমার করুনা থেকে আমাদের পিছলে পড়তে দাও না৷

প্রশ্ন:

১১. কিভাবে কতবার খোদা পৌলকে বাধা দিয়েছিলেন?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 12:20 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)