Previous Lesson -- Next Lesson
৪. ঈসা মসিহ মানুষদেরকে তাদের পছন্দের ব্যাপারে পেশ করলেন, 'গ্রহণ করো অথবা প্রত্যাখান কাের!' (যোহন ৬:২২-৫৯)
যোহন ৬:২২-২৫
২২. সাগরের অন্য পারে যে লোকেরা দাঁড়াইয়াছিল, পরের দিন তাহারা বুঝিতে পারিল যে, আগের দিন সেখানে একটি নৌকা ছাড়া আর অন্য কোনো নৌকা ছিল না৷ তাহারা আরও বুঝিতে পারিল যে, ঈসা মসিহ তাহার সাহাবিদের সংগে সেই নৌকায় উঠেন নাই বরং সাহাবিরা একাই চলিয়া গিয়াছিলেন৷ ২৩. তবে যেখানে প্রভু খোদাকে শোকরিয়া জানাইবার পর লোকেরা রুটি খাইয়া ছিল, সেই জায়গার নিকট তখন তিবিরিয়া শহর হইতে কয়েকটি নৌকা আসিল৷ ২৪. এইজন্য, লোকেরা যখন দেখিল যে, ঈসা মসিহ বা তাঁহার সাহাবিরা কেহই সেখানে নাই, তখন তাহারা সেই নৌকাগুলোতে উঠিয়া ঈসা মসিহকে খুঁজবার জন্য কফরনাহূমে গেল৷ ২৫. তারপর সাগরের অন্য পারে ঈসা মসিহকে খুঁজিয়া পাইয়া বলিল,'হুজুর, আপনি কখন এখানে আসিয়াছেন?'
যখন লোকেরা বুঝলো যে ঈসা মসিহ নৌকায় করে যাত্রা শুরু করেননি, তারা আশ্চর্য এটা দেখে যে তিনি তাদেরকে কৌশলে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ তিনি রাতে গোপনে নৌকায় করে রওয়ানা হয়েছিলেন৷
হাজার হাজার লোক কফরনাহূমে ফিরে গিয়েছিল এবং বিনামূল্যে রুটি দানের খবর প্রচার করছিল৷ লোকেরা বিস্মিত এবং ঈর্ষান্বিত হয়েছিল এবং তাদের ইচ্ছা ছিল ওই দানে অংশ নেবার৷ লোকজন ঈসা মসিহকে খুঁজতে তার সাহাবিদের ঘরে ঘরে গিয়েছিল, যতক্ষণ পর্যন্তনা তাদের মধ্যে তাকে খুঁজে পেয়েছিল৷ তারা একটি খ্রিষ্টীয় নীতির সত্যকে দেখতে শুরু করেছিল, 'যেখানে দুই অথাব তিনজন আমার নামে একত্রিত হয়, আমি তাদের মধ্যে থাকি'৷
যারা মোজেজার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিল তারা নুতন একটি বিস্ময়কর ঘটনার জন্য সচেতন ছিল৷ তারা প্রশ্ন করলো, 'কীভাবে এবং কখন আপনি এখানে উপস্থিত হলেন'? ঈসা মসিহ এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি৷ তার পরিবর্তে তিনি আধ্যাত্মিকভাবে বিশ্বাসের অর্থকে পরিষ্কার ভাবে বুঝাচ্ছিলেন এবং কৌতূহলীদের মধ্যে যারা আন্তরিক ছিল তাদেরকে তিনি তার ভালোবাসার দিকে টানছিলেন এবং প্রবঞ্চনা ও শত্রুদের অস্বীকৃতিকে স্পষ্ট করে দেখাচ্ছিলেন৷ ঈসা মসিহ ঐকান্তিকতাহীন অবস্থাকে অপছন্দ করতেন এবং তিনি বিশ্বাসীদের দলকে ভাসাভাসা ধার্মিক লোকদের থেকে আলাদা করেছিলেন৷
যোহন ৬:২৬-২৭
২৬. ঈসা মসিহ উত্তর দিলেন, 'আমি আপনাদের সত্যই বলিতেছি, আপনারা আশ্চর্য কাজ দেখিয়াছেন বলিয়াই যে আমার খোঁজ করিতেছেন তাহা নয়, বরং পেট ভরিয়া রুটি খাইতে পাইয়াছেন বলিয়াই খোঁজ করিতেছেন৷ ২৭. কিন্তু যে খাবার নষ্ট হইয়া যায় সেই খাবারের জন্য ব্যস্ত হইয়া লাভ কী? যে খাবার নষ্ট হয় না বরং অনন্ত জীবন দান করে, তাহারই জন্য ব্যস্ত হন৷ সেই খাবারই মনুষ্যপুত্র আপনাদের দিবেন, কারণ তাঁহাকেই পিতা-খোদা এই কাজের উপযুক্ত বলিয়া দেখাইয়ছেন৷'
ঈসা মসিহ স্পষ্ট করেই মানুষদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন: তোমরা ভালোবাসা অথবা আমাকে খোঁজ না অথবা খোদার জন্য সঠিক চিন্তাও করনা; কিন্তু তোমরা তোমাদের পেট এবং রুটির কথা ভাব৷ তোমরা নিদর্শনকে বুঝতে পার না আমার উদ্দেশ্য কেবল তোমাদেরকে রুটি দিয়ে ুধাকে নিবৃত্ত করা নয়, বরং তোমাদেরকে আমার শক্তি সম্পর্কে জানানো৷ তোমরা দানের খোঁজ কর কিন্তু দাতাকে তুচ্ছ করে দেখ৷ তোমরা পার্থিব বিষয় নিয়ে আলোচনা কর, কিন্তু আমার রুহানিসত্ত্বার ওপর বিশ্বাস কর না৷
শুধুমাত্র খাদ্য ও পানিয়ের জন্য সারাদিন পরিশ্রম করোনা, কিন্তু খোদার ক্ষমতার বিষয়ে চিন্তা কর৷ পশুদের মতো হইওনা যারা কেবল খাবার জন্য বাঁচে, কিন্তু খোদার নিকটে আস যিনি রুহ যিনি তোমাদেরকে তার অনন্ত জীবনের অংশীদারী করতে প্রস্তুত৷
ঈসা মসিহ আরও ব্যাখ্যা করলেন : আমি পৃথিবীতে এসেছি খোদার মহত্ দানকে প্রদান করতে৷ আমি কেবল একজন রক্ত-মাংসের নই৷ কিন্তু তোমাদের আশীর্বাদের জন্য আমি খোদার দানকে নিজের মধ্যে বহন করি৷ খোদা আমাকে তার পাক-রুহ দিয়ে সীলমোহরে আবদ্ধ করেছেন আধ্যাত্মিক জীবন প্রদান করতে এবং বেহেশতি ক্ষমতায় তোমাদের পুনরুজ্জীবিত করতে৷
এই বক্তব্যের সাথে ঈসা মসিহ বিশাল রহস্যের ব্যাপারে ঘোষণা দিলেন, সেটা হলো, খোদা সবার যত্ন নেন, মানুষদেরকে লালন পালন করেন এবং তাদের ভালোবাসেন৷ তিনি কোনো রাগান্বিত খোদা নন যিনি আশীর্বাদের জন্য আইন-কানুন পালন করতে জিদ ধরে থাকেন৷ তিনি ন্যায়পরায়ণ ও দুষ্টদেরকেও আশীর্বাদ করেন এবং কোনো প্রভেদ ব্যতীত সকলকেই তার সূর্যের কিরণ দান করেন, এমনকি নাস্তিও ঈশ্বর নিন্দুকদেরও৷ খোদা হলেন প্রেম এবং ঈসা মসিহ মানুষদেরকে তাদের বস্তুগত চিন্তা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন এবং তাদেরকে পিতা-খোদার ওপর বিশ্বাস আনতে ফিরাতে চেয়েছিলেন৷ সুতরাং তিনি সত্যার্পণ করেছিলেন যে তার রাজ্য পার্থিব নয়, যার ভিত্তি হলো খাদ্য, সম্পদ এবং প্রভুত্বের ওপর নয়, কিন্তু একটি আধ্যাত্মিক রাজ্য যা বেহেশতি জীবনের সমৃদ্ধ, যেটা মসিহের মধ্য দিয়ে তাদের কাছে আসে যিনি তাদেরকে রুহ দান করেন যারা তা চায়৷
যোহন ৬:২৮-২৯
২৮. ইহাতে লোকেরা ঈসা মসিহকে জিজ্ঞাসা করিল, 'তাহা হইলে খোদার কাজ করিবার জন্য আমাদের কি করিতে হইবে?' ২৯. ঈসা মসিহ তাহাদের বলিলেন, 'খোদা যাঁহাকে পাঠাইয়াছেন, তাহার ওপর ঈমান আনাই খোদার কাজ'৷
লোকেরা ঈসা মসিহের শিক্ষাকে স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলো, কিন্তু অনুভব করলো যে, তিনি তাদেরকে খোদার একটি বিশাল দান দিতে চাচ্ছেন এবং সবাই এই অনন্ত জীবন পেতে ইচ্ছুক ছিল৷ এই দান পেতে তারা কিছু করতে প্রস্তুত ছিল৷ তারা আইন কানুন পালন, পশু উত্সর্গ, উপবাস, প্রার্থনা এবং তীর্থ যাত্রায় যেতে আগ্রহী ছিল; কাজের মধ্য দিয়ে খোদার দান অর্জন করার মানসে৷ এখানে আমরা তাদের অন্ধত্বকে দেখতে পাই৷ তারা সবাই আইনের প্রতি অনুরাগী, তারা তাদের নিজেদের চেষ্টায় মুক্তি পেতে উদ্বিগ্ন ছিল৷ তারা এটা অনুভব করেনি যে এটি অসম্ভব কারণ তারা দোষী এবং ভ্রষ্ট৷ তারা গর্বের সাথে চিন্তা করতো যে তারা খোদার কাজ করছে এটা মনে করে যে এ কাজ করতে তাদের মধ্যে পবিত্রতা ও ক্ষমতোা আছে৷ মানুষ এতেঠটা অন্ধ যে তার নিজের হৃদয়ের আসল অবস্থা দেখতে পায় না, কিন্তু নিজেকে ক্ষুদ্র খোদা মনে করে এবং আশা করে যে খোদা তার ওপর সন্তুষ্ট৷
ঈসা মসিহ তাদেরকে দেখালেন যেন কোন কর্তব্য বা কাজ করতে তাদের কাছে কোনো প্রয়োজন নাই, তাদেরকে বিশ্বাসে ফিরতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ডেকেছিলেন৷ খোদা কোনো চেষ্টা বা কর্মচাঞ্চল্যতা চান না কিন্তু তিনি ইচ্ছাপোষণ করেন যে আমরা ঈসা মসিহকে স্বীকার করি এবং তার ওপর বিশ্বাস রাখি৷ এই কথাগুলো লোকদের কাছে প্রতিবন্ধকের মতো ছিল; এইভাবে ঈসা মসিহ এবং লোকদের মধ্যে বিভক্তি শুরু হয়৷ তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, খোদার কাজ ছিল যে, তারা তার ওপর ঈমান আনে৷ 'যদি তুমি তোমার আত্মাকে পাক-রুহের কাছে উম্মোচিত করো, তবে তুমি আমার কতর্ৃত্ব, উদ্দেশ্য এবং ভালোবাসাকে জানতে পারবে৷ তখন তুমি উপলব্ধি করবে যে, আমি কেবল একজন নবী নই, কিন্তু শ্রষ্টা এবং তোমাদের কাছে পিতা দ্বারা প্রেরিত পুত্র৷ তুমি তোমার জাগতিক বিষয়গুলি থেকে বদলে যাবে এবং খোদার সন্তান হবে'৷
ঈসা মসিহকে বিশ্বাস করা মানে তাঁকে ধরে রাখা এবং তোমার জীবনে তাকে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া, তার নেতৃত্বকে স্বীকার করা এবং তার শক্তির মধ্য দিয়ে অনন্ত জীবন লাভ করা৷ বিশ্বাস হলো, ঈসা মসিহের সাথে দাসত্ব বন্ধনে অনন্তকালের জন্য আবদ্ধ হওয়া৷ এটাই খোদার কাজ, যিনি বিশ্বাসীদেরকে তার পুত্রের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ করেন, যাতে করে পাপ তাদের জীবন থেকে অন্তর্হিত হয়ে যায় এবং তারা চিরকালের জন্য তার সঙ্গী হতে পারে৷
যোহন ৬:৩০-৩৩
৩০. তখন তাহারা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তাহা হইলে কি এমন আশ্চর্য কাজ আপনি করিবেন, যাহা দেখিয়া আমরা আপনার ওপর ঈমান আনিতে পারি? ৩১. আপনি কী কাজ করিবেন? আমাদের পূর্বপুরুষেরা তো মরু এলাকায় মান্না খাইয়াছিলেন৷ পাক-কিতাবে লেখা আছে 'খোদা বেহেশতহইতে তাহাদের রুটি খাইতে দিলেন৷' ৩২. ঈসা মসিহ তাহাদের বলিলেন, 'আমি আপনাদের সত্যই বলিতেছি, বেহেশত হইতে যে রুটি আপনারা পাইয়াছিলেন তাহা মুসা আপনাদের দেন নাই, কিন্তু আমার পিতাই সত্যিকারের রুটি বেহেশত হইতে আপনাদের দিতেছেন৷ ৩৩. বেহেশত হইতে নামিয়া আসিয়া যিনি মানুষকে জীবন দেন, তিনিই খোদার দেওয়া রুটি৷'
ঈসা মসিহ সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের দাবি লোকদের পক্ষে একটি কঠিন আঘাতের মতো এসেছিল৷ তারা অনুভব করেছিল তাদের ওপর ঈসা মসিহের দাবি এমন কিছু যা একমাত্র খোদাকে দেওয়া যায়, তাই তারা তার দাবির সমর্থনে কিতাবুল মোকাদ্দাস থেকে উদ্বৃত কিছু অংশ দেখতে চেয়েছিল৷ যেমন তারা বলছিল, 'আমাদের কাছে আপনার রুহানী সত্ত্বার প্রমান দিন, মুসা মরু প্রান্তরে লোকদেরকে প্রতিদিন রুটি (মান্না) দিয়েছিলেন৷ কিন্তু আপনি আমাদেরকে মাত্র একবার রুটি দিয়েছেন৷ মুসা লক্ষ মানুষকে রুটি দিয়েছিলেন, আপনি কেবল পাঁচ হাজার লোককে তা দিয়েছেন৷ আপনি আমাদেরকে আরও মোজেজা দেখান এবং তখন আমরা বিশ্বাস আনবো'৷ এটা একটি মানবিক পীড়ন৷ মানুষ ঈসা মসিহের ভালোবাসাকে বিনা শর্তে মেনে নিতে অস্বীকার করে, কিন্তু প্রথমেই প্রমাণের জন্য জিদ ধরে৷ কিন্তু ঈসা মসিহ বলেন, 'যারা আমাকে না দেখিয়া বিশ্বাস করে, তারা ধন্য এবং তারাও ধন্য যারা আমাকে তাদের বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে সম্মান করে৷'
ঈসা মসিহ হলেন সর্বোত্কৃষ্ট পথনির্দেশক, যিনি তার শ্রোতাদেরকে আইন-কানুনের চিন্তা থেকে তার উপরে সম্পূর্ণ বিশ্বাস আনতে ধাপে ধাপে চালনা করেন৷ তিনি মানুষদেরকে খাদ্যের জন্য ব্যাকুলতা থেকে মুক্ত করেছেন এবং তাদেরকে আলোকিত করেছেন; তিনি নিজেই খোদার বৃহত্ দান৷
এই ক্রমান্বয়িক ব্যাখ্যার অংশ হিসেবে ঈসা মসিহ তাদেরকে পাক-কিতাবের মিথ্যা খেয়ালি অভিব্যক্তি থেকে মুক্ত করেছিলেন, যেমন তারা ভেবেছিল মুসা তাদেরকে মান্না দিয়েছিলেন৷ এটা বাস্তবিকভাবে খোদাই দিয়ে ছিলেন যিনি এটা করেছিলেন এবং যিনি সকল দানের দাতা৷ তিনি তাদেরকে নিশ্চলতার মধ্যে ফেলেছিলেন এটা উপলব্ধি করাতে যে, খোদা তাদেরকে উত্তম রুটি দেন যা বেহেশতি খাদ্য এবং যা কখনো শেষ হয় না৷ একথা মনোযোগ দিয়ে কোনোার পর তারা অনুধাবন করলো যে ঈসা মসিহ নিজেকে খোদার পুত্র হিসেবে প্রকাশ্যে ঘোষণা করছেন, কারণ তিনি খোদাকে পিতা হিসেবে সম্মোধন করেছেন৷ যাইহোক, লোকেরা বস্তুগত খাদ্যের কথা চিন্তা করতে লাগলো, যা বেহেশতথেকে মুসার হাতের মধ্য দিয়ে নেমে আসতো৷
ঈসা মসিহ তাদের উপলব্ধিকে তুলে ধরলেন এটা বোঝাবার জন্য যে খোদার রুটি পেটের ভিতর গিলে ফেলার জন্য নয় কিন্তু ব্যক্তি ঈসা মসিহ সত্য ও প্রাচুর্যপূর্ণ জীবনের জন্য মানুষের ুধাকে নিবৃত্ত করেন, যিনি বেহেশত থেকে খোদার আশীর্বাদ এবং অনেক ক্ষমতায় পরিপূর্ণ হয়ে নেমে এসেছেন৷ খোদর রুটি বস্তুগত কিছু নয় এবং বিনষ্ট হবার নয়, কিন্তু তা আধ্যাত্মিক এবং স্থায়ী৷ এটা মান্নার মতো নিচে থেকে উঠে আসেনি, কিন্তু খোদা থেকে এসেছে যা সর্বযুগে সকল মানুষের জন্য যথেষ্ট৷ এটা ইব্রাহীমের বংশধরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়৷ পিতা-খোদা সমস্ত দুনিয়ার জন্যই যত্নবান৷
প্রার্থনা: প্রভু ঈসা মসিহ, স্বার্থপর কর্ম থেকে আমাদেরকে দূরে রাখ৷ আমাদের মধ্যে নম্র বা বিনীত বিশ্বাস সৃষ্টি করো, এবং আমাদেরকে কী করতে হবে তা আমাদেরকে বল এবং তোমার শক্তিতে আমাদের মধ্যে কাজ করো৷ তোমার সাথে সম্পূর্ণ একাত্ব হতে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত কর৷ আমাদেরকে অনন্ত জীবনের মধ্যে অক্ষুণ্ন রাখ৷ আমাদের কাছে আসার জন্য, পিতা, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই, এবং ধন্যবাদ দেই আমাদেরকে ক্ষমতা ও আশীর্বাদ প্রদানের জন্যেও৷
প্রশ্ন: