Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- Romans - 068 (Be Obedient to your Authorities)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek? -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish? -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় পার্ট - খোদার ধার্মিকতা মসিহের সাহাবীদের জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে প্রতিভাত হয়েছে৷ (রোমীয় ১২:১ - ১৫:১৩)

৫. তোমরা কর্তৃপক্ষের অধিনস্থ থাকো (রোমীয় ১৩:১-৬)


রোমীয় ১৩:১-৬
১. প্রত্যেকেই দেশের শাসনকর্তাদের মেনে চলুক, কারণ আলস্নাহ যাঁকে শাসনকর্তা করেন তিনি ছাড়া আর কেউই শাসনর্কা হতে পারেন না৷ আলস্নাহ শাসনকর্তাদের নিযুক্ত করেছেন; ২. এজন্য শাসনকর্তার বিরম্নদ্ধে যে দাঁড়ায় সে আলস্নাহর শাসন-ব্যবস্থার বিরম্নদ্ধেই দাঁড়ায়৷ যারা এই রকম করে তারা নিজেদের ওপরে শাসত্মি ডেকে আনে৷ ৩. যারা ভালো কাজ করে শাসনকর্তাদের ভয় করবার কোনো কারণ তাদের থাকে না, কিন্তু যারা অন্যায় করে তারাই ভয় করে৷ শাসনকর্তাকে ভয় না করে কি তোমরা চলতে চাও? তাহলে যা ভালো তা-ই করতে থাক৷ তাতে তোমরা তাঁর কাছ থেকে প্রশংসা পাবে৷ ৪. তোমাদের ভালোর জন্যই তিনি আলস্নাহর সেবাকারী হিসেবে কাজ করেন৷ তোমরা যদি অন্যায় কর তাহলে ভয় কর, কারণ অন্যায়কারীদের শাসত্মি দেবার অধিকার তাঁর আছে৷ তিনি তো আলস্নাহর সেবাকারী; যারা অন্যায় কাজ করে তাদের তিনি আলস্নাহর হয়ে শাসত্মি দেন৷ ৫. এজন্য তোমরা শাসনকর্তাদের অধীনতা স্বীকার করতে বাধ্য৷ আলস্নাহর শাসত্মির ভয়েই যে কেবল তাঁদের অধীনতা স্বীকার করবে তা নয়, তোমাদের বিবেক পরিষ্কার রাখবার জন্যও তা করবে৷ ৬. আর সেজন্যই তো তোমরা খাজনা দিয়ে থাক, কারণ খাজনা-আদায়কারীরা তাঁদের কাজের দ্বারা আলস্নাহর সেবা করছন৷

অনেকেই বিভিন্ন দলের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের কারণে দুর্ভোগ পোহায় প্রচারকদের দ্বারা কৃত প্রতারণা, অবিবেচক সরকার ও যুক্তিহীন বিশৃঙ্খলা এ সকল দুর্ভোগের কারণ৷ খাঁটি ও সর্বাঙ্গীন সুন্দর সরকার বলতে এ বিশ্বে কোনো সরকারের অসত্মিত্ব নেই৷ তাই দেশে যে সরকার আছে আপনারা তা মেনে চলুন যেমন খোদা আপনাকে ও আপনার পরিবার সহ্য করে চলছেন৷

পৌল দেখতে পেয়েছেন খোদার ইচ্ছা শক্তি ব্যতিত কোনো সরকারই তার জনগণের ওপর শাসনকার্য চালাতে পারে না৷ তাই সকল সরকার অননত্ম ক্ষমতাধর বিচারকের কাছে জবাবদিহি৷ দুষ্ট লোকজন সম্ভবত দুষ্ট শাসক পেয়ে থাকে৷

যদি আপনি পৌলের পত্রের গভীরে লক্ষ্য করেন তবে দেখতে পাবেন অনেক আশ্চর্য বিষয় রয়েছে স্বনি্নবেশিত-

ক) সকল শাসক খোদা কর্তৃক হয় নিয়ন্ত্রিত, কেননা তাঁর ইচ্ছার বিরম্নদ্ধে কিছুই ঘটতে পারে না৷
খ) যে কেউ সরকারের অবাধ্য হয় সে খোদারও অবাধ্য৷
গ) যে কেউ সরকারের বিরম্নদ্ধে বিদ্রোহ করে সে অবশ্যই শাসত্মি পেয়ে থাকে৷
ঘ) খোদা মন্ত্রনাদাতা ও প্রেসিডেন্টদের ডাক দেন ও প্রস্তুত করেন দুষ্ট ও দোষিদের কাছে যেন ভয়ের কারণ হতে পারে আর ন্যায্য বিচারের তরবারী প্রজ্ঞা ও নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করতে পারেন৷
ঙ) যারা ভালো কাজ করে তাদের ভয় পাবার কোনো কারণ থাকতে পারে না৷ তাদের চাই নিরপেক্ষ সরকার, যাদের বলা চলে খোদার পক্ষে মন্ত্রনাদাতা, তাদের কাজ হলো ভালো লোকদের উত্‍সাহিত করা যেন তারা দেশে ও সমাজে গঠনমূলক কাজ ও সেবা দান করে চলতে পারে৷

সরকারকে পৌল দুই 'খোদার মন্ত্রণাদাতা' হিসেবে আখ্যায়িত করছেন৷ সুতরাং, যদি তারা ধার্মিকতা ও সত্য প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে কাজ করেন তাহলে খোদা তাদের আশির্বাদ দান করবেন, আর পুরস্কৃত করবেন দেশবাসিসহ তাদেরকেও৷ আর যদি তারা সত্যের অপব্যাখ্যা করে, অথবা ঘুষ খায়, তখন খোদা তাদের শাসত্মি দিবেন৷ সরকারী কর্মচারী যাকে যে কাজে ডাকা হয়েছে, তাহলো খোদার মিনিষ্টার আর তারা অর্জন করবে খোদার সুরক্ষা বা শাসত্মির অভিজ্ঞতা৷

সম্মান ও বাধ্যতার মানুষের বিষয়টি মানুষের করারোপ ও কর্তব্যের প্রতি বাধ্যতার বিষয় অসম্মানে মসিহ একথা বলে নিস্পন্ন করেছেন; 'তবে যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দাও, আর যা আলস্নাহর তা আলস্নাহকে দাও' (মথি ২২:২১)৷ এ বক্তব্যের মাধ্যমে মসিহ সরকারের প্রতি করণীয় কর্তব্য বিশ্বসত্মভাবে পালন করতে লোকদের বাধ্য করেছেন, আর তাতে যে কোনো বিলম্ব না ঘটে; আর একই সংগে তিনি সরকারের প্রাধিকার সীমিত করে দিয়েছেন৷ তাই যদি কোনো সরকার সত্যিকার খোদার অসত্মিত্বের পরিপন্থি চিনত্মা করে ও তার প্রতিষ্ঠিত আজ্ঞা সমূহ অস্বীকার করে অথবা প্রকৃত খোদা ভিন্ন প্রাধিকার আরাধনা করতে বাধ্য করে, তেমন ক্ষেত্রে মানুষের আপত্তি জানানো প্রয়োজন উক্ত বিকারপ্রাপ্ত সরকারের, কেননা, 'মানুষের আজ্ঞার চেয়ে খোদার হুকুম পালন করা আমাদের উচিত' (প্রেরিত ৫:২৯), এমনকি, তেমন আপত্তিসমূহ কাজে, বিশ্বাস রক্ষার জন্য যদি তাকে বিতাড়িত হতে হয়, তাড়না লাঞ্চনা এমনকি মৃতু্যবরণ করতেও হয় তবে তেমন ক্ষেত্রে খোদার পক্ষেই থাকতে হবে৷ ভূমধ্যসাগরের চারপাশের ভূভাগের শহিদদের রক্তে সাগরের জল লাল হয়ে গিয়েছিল, তারা ছিলেন প্রার্থনা যোদ্ধা, দেশের ও সরকারের পক্ষে, তবে তারা সরকারের বিচারের বিরোধিতা করেছিল যা ছিল মসিহের ইচ্ছার বাইরে৷

কিতাবুল মোকাদ্দস আমাদের কাছে প্রকাশ করছে, যুগের শেষে জগতের লোকদের ওপরমসিহের শত্রম্নর আবির্ভাব ঘটবে, তাদের হুকুম দিয়ে প্রকৃত খোদাকে বাদ দিয়ে মসিহের শত্রম্নদের আরাধনা করার জন্য পিতা, পুত্র ও পাকরূহকে বাদ দিয়ে অভিশপ্ত ইবলিসের আরাধনায় ব্যসত্ম করে রাখবে৷ এতে আরও বলা হয়েছে, যে কেউ খোদার আরাধনা করবে তাকেই ধরে নেয়া হবে মসিহের শত্রম্নদের পরিপন্থি ও তার নিয়মাচারের বিরম্নদ্ধকারী, যা খোদা বিরোধি আর যাতনক্লিষ্ট হবে মৃতু্যবরণ করবে৷ তথাপি, মানুষের স্বল্পকালীন কষ্ট ভোগ অননত্মকালের ধ্বংসের চাইতে উত্তম৷

আমাদের রম্নহানি দায়িত্ব রয়েছে সরকার ও সরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশ্বসত্ম খোদার রহমত ও পরিচালনা ব্যতিত কোনো কিছুই যেন না করতে পারে৷

প্রার্থনা: হে প্রভু মসিহ, তুমি মানুষের হুকুম পালন না করে তোমার পিতার আজ্ঞা পালন করেছো, তাই তোমাকে সলিবে হত হতে হয়েছে৷ আমাদের সাহায্য করো, আমরা যেন আমাদের সরকারের কল্যাণের জন্য তোমার কাছে প্রার্থনা করে চলি৷ আর আমাদের সাহস যুগিয়ে দাও যেন অন্যায় কাজের প্রতিবাদ জানাতে পারি, যদি সরকার আমাদের বাধ্য করে অপরাধের পথে চলার জন্য ও তোমাকে অস্বীকার করতে৷

প্রশ্ন:

৮৬. প্রত্যেকটি সরকারের প্রাধিকারের সীমা-পরিসীমা কতটুকু রয়েছে; আমরাই বা কেন মানুষের হুকুমের চেয়ে খোদার হুকুম পালন করব?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 01:51 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)