Previous Lesson -- Next Lesson
৭. মসিহের পুনরায় ফিরে আসার বিষয়ক জ্ঞানের বাসত্মবফল (রোমীয় ১৩:১১-১৪)
রোমীয় ১৩:১১-১৩
১১. এতক্ষণ যা বললাম, এখনকার সময় বুঝে সেভাবেই চল৷ ঘুম থেকে জাগবার সময় হয়েছে, কারণ যখন আমরা ঈমান এনেছিলাম তখনকার চেয়ে বরং এখনই নাজাত পাবার সময় কাছে এসে গেছে৷ ১২. রাত প্রায় শেষ, ভোর হয়ে আসছে; এজন্য এস, আমরা অন্ধকারের কাজ ছেড়ে দিয়ে নূরের অস্ত্রশস্ত্র তুলে নিই৷ ১৩. হৈ-হলস্না করে মদ খাওয়া এবং মাতলামিতে নয়, জেনা ও বিশৃঙ্খল জীবনে নয়, ঝগড়াঝাঁটি ও হিংসাতে নয়, কিন্তু যারা দিনের আলোতে চলাফেরা করে, এস, আমরা তাদের মতো উপযুক্ত ভাবে জীবন কাটাই৷
পৌল তার পত্রে উলেস্নখ করেছেন, রোমের জামাত মসিহের দ্রম্নত ফিরে আসার বিষয়ে দিনক্ষণ গুণে গুণে অপেক্ষায় প্রস্তুত হয়ে ছিল৷ শেষ দিনের চিহ্ন তাদের নজরে ধরা পড়েছিল, আর রোম সম্রাটের ক্ষমতার ধরণ লক্ষ্য করছিলেন৷ খোদার পুত্র মসিহের আগমন মহা গৌরবের সাথে হবে এ ছিল তাদের প্রত্যাশা আর বেহেশতি রাজ্যে তাদের প্রত্যাগমন ছিল অবধারিত৷
পৌল মসিহের অনুসারীদের অনুরোধ করেছেন তাদের রম্নহানি বিষয়ে অমনোযোগিতা না করার জন্য, তারা যেন রম্নহানি যুদ্ধের গুরম্নত্ব বুঝতে পারে আর পরিপূর্ণ নাজতের পথে এগিয়ে চলার জন্য আমাদের মধ্যে পাকরূহের বসবাসের মাধ্যসে সে জীবন শুরম্ন হয়, আর পাকরূহের উপস্থিতিতে নাজাতের নিশ্চয়তা উপলব্ধি করা সম্ভব৷ তিনি স্মরণ করাতে চান, মসিহের অচিরে আগমনের বিষয়, তিনি এসে আমাদের শক্তি, গৌরব এবং অনুকম্পার পোশাক পড়াবেন৷ জগতের রাত প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে, প্রত্যশা আমাদের কাছে নতুন দিনের ঘোষণা দিচ্ছে আর উক্ত দিনের আলো অবশ্যই দূ্যতিময় করে তুলবে৷ সর্বোপরি পৌল স্বীকার করেছেন, আমাদের বর্তমানকার জীবন অননত্ম জীবনের প্রস্তুতি পর্ব যা মূর্তমান হয়েছে পিতা, পুত্র এবং পাকরূহের সমন্বয়ে৷
এ জ্ঞানের আলোকে পৌল বলেছেন, 'অন্ধকারের কর্মসকল দূর করে ফেলো, আলোর পোশাক পরিধান করো৷ তোমাদের জীবন থেকে পাপের ক্রিয়া দূর করো, পাকরূহের পরাক্রমে নিজেদের ভূষিত করো মসিহের চরিত্রে'৷ এ পুনর্জাগরণের অর্থ হলো আমাদের জীবনে অন্ধকারের শক্তির প্রতিরোধ সৃষ্টি করা, কখনো কখনো জামাতের মধ্য থেকেও অপশক্তি দূরা করা৷ সুসমাচার এবং পাকরূহের ফল আমাদের জীবনেও দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে অবশ্যই ফলতে হবে৷
পৌল কতিপয় লোকদের জানতেন যারা খোদার পরিচয় পায় নি, আর তারা পশুপালের মতো মাংসিক কামনা-বাসনার বিপছে ছুটতো৷ তারা পানাহার করে মাতাল হতো, জন্ম দিতো, তারা ডুবে থাকতো ঘৃণায়, হিংসায় তথা মন্দ কাজে৷ খোদাকে বাদ দিয়ে যে প্রেম কার্যকর হয় তা হলো মন্দ ও কলুষিত৷ অপবিত্র, আর কঠোর যে ক্ষেত্রে প্রত্যেকে কেবল নিজের জন্য থাকে ব্যসত্ম, আর নির্লজ্জ ভাবে অন্যের দূর্বলতার সুবাদে নিজের সুবিধাটুকু আদায় করে৷
পৌল নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছেন, অন্ধকারের সাথে মানুষ যেভাবে যুক্ত থাকে; একই সময় তিনি মসিহের মধ্যে নতুন জীবনের শক্তি উপলব্ধি করতে পেরেছেন৷ তাই রোমের সকল বিশ্বাসীদের অনুরোধ করেছেন, মসিহের ওপর বিশ্বাস স্থাপনে কেবল সন্তুষ্ট না থেকে, তারা যেন তাকে রম্নহানিভাবে পরিধান করে চলে৷ মসিহকে পরিধান করার তাত্পর্য হলো নিজের জীবন দিয়ে তাঁর চরিত্রের বাসত্মবায়ন করা, তিনি যেভাবে চলতেন সে পথে চলা, তাঁর বাধ্যগত থাকা, আজ্ঞা সমূহ পালন করা, তাঁর পাকরূহকে জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুযোগ দেয়া, নেতৃত্ত্ব ও পরিচালনা তাঁর হাতে তুলে দেয়া যেন পাকরূহের ফল প্রত্যেকের জীবনে ফুটে ওঠে৷
একটা প্রশ্ন করার অনুমতি দিন, প্রিয় ভ্রাতা, আপনি কি মসিহের মধ্যে অবস্থান করেন অথবা অদ্যাবধি স্বার্থপর রয়ে গেছেন? কেবল নিজের জন্যই বেঁচে আছেন? আপনার প্রভুর জন্য নেই কোনো তোয়াক্কা? আপনার ভন্ডামি থেকে মসিহ আপনাকে অবমুক্ত করেছেন, মুক্ত করেছেন আত্মনির্ভরতা থেকে, অর্থের ওপর আপনার আস্থার ওপর থেকে, আর আপনার কামনা-লালসার হাত থেকে৷ পাকরূহ ও আমাদের পাপাচারি দেহ ও নষ্ট চিনত্মার মধ্যে যে নিয়ত সংগ্রাম তা হলো মসিহে আগমনের জন্য প্রস্তুতি মাত্র৷
তাই পৌল মসিহিদের রম্নহানি সাজসরঞ্জাম পরিধান করে প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন, শত্রম্নর সাথে যুদ্ধ নয় বরং মাংসিক কামনা-বাসনার মুলত্পাটন ও বিজয় লাভের জন্য, আর মসিহের প্রেমে ও পবিত্রতায় পরিপূর্ণ হতে আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমরা তোমার মহিমা প্রকাশ করি৷ কারণ তোমার পুত্র আমাদের সামনে ধার্মিক জীবনের প্রদর্শণ করেছেন৷ মসিহকে পরিধান করার জন্য পাকরূহের পরাক্রমে আমাদের সাহায্য করো, আর যেন বিশ্বসত্ম ও বিশ্বাসী হতে পারি সে জন্য৷ সাহায্য করো প্রিয়ভাজন নাজাতদাতাকে বরণ করার জন্য প্রস্তুত করো, যিনি প্রভুদের প্রভু৷
প্রশ্ন: