Previous Lesson -- Next Lesson
খ) খোদার আশির্বাদ অন্যান্য জাতির চেয়ে ইস্রায়েল জাতির ওপর অধিক থাকার কারণেই ইস্রায়েল জাতির পাপাচারের মাত্রা মারাত্মক হয়েছিল (রোমীয় ১০:৪-৮)
রোমীয় ১০:৪-৮
৪. মসিহই শরীয়ত পূর্ণ করে তার শক্তি বাতিল করেছেন, যেন তাঁর ওপর যারা ঈমান আনে তারা আল্লাহর গ্রহণযোগ্য হয়৷ ৫. শরীয়ত পালন করে আল্লাহর গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্বন্ধে মূসা নবী লিখেছেন, যে লোক শরীয়ত মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে৷ ৬. কিন্তু ঈমানের দ্বারা কিভাবে মানুষ আল্লাহর গ্রহণযোগ্য হয় সেই বিষয়ে পাককিতাবে বলা হয়েছে, মনে মনে এই কথা বোলো না, কে বেহেশতে যাবে? এর অর্থ হলো, বেহেশত থেকে মসিহকে নামিয়ে আনবার জন্য কে বেহেশতে যাবে? ৭. কিংবা বোলো না, কে নীচে মৃতদের জায়গায় যাবে? অর্থাত্ মৃতু্য থেকে মসিহকে উঠিয়ে আনবার জন্য কে মৃতদের জায়গায় যাবে? ৮. আল্লাহর গ্রহণযোগ্য হবার বিষয়ে কিতাব আরও বলে, আল্লাহ যা বলেছেন তা তোমার সঙ্গেই রয়েছে, অর্থাত্ তোমার মুকে ও তোমার দিলে রয়েছে৷ যে ঈমানের কথা আমরা তাবলিগ করছি তা হল আল্লাহর সেই কথা৷
পৌল সাক্ষ্য দিয়েছেন এ বলে, শরীয়তের চূড়ান্ত লক্ষ্যবিন্দু হলো ঈসা মসিহ৷ কেননা তিনিই হলেন একমাত্র পথ, সত্য এবং জীবন৷ তাঁকে ব্যতিত কেউই পিতার কাছে আসতে পারে না (ইউহোন্না ১৪:৬)৷
মসিহ শরীয়তের খুটিনাটি সবকটা পূর্ণাঙ্গরূপে পালন করে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমাণ করেছেন৷ তাই আমরা যখন তাঁর সাথে তুলনা করি, আমরা নিজেদের ভয়াভহ দুষ্টতা দেখতে পাই৷ ইহুদি ও মসিহিদের উভয় দলকে এ দর্শনে অভিযুক্ত করে, কেননা সকলে পাপ করেছে এবং খোদার গৌরব হারিয়ে বসেছে৷ তাই সকলে প্রেম ও সত্য থেকে রয়েছে দূরিকৃত (লেবীয় ১৮:৫, রোমীয় ৩:২৩)
গোটা বিশ্ব পবিত্র আত্মার সাথে যুক্ত করেছেন মসিহ তাঁর জানের কাফফারা-সাধনকারী মৃতু্যর মাধ্যমে (২করিন্থীয় ৫:১৮-২১)৷ শরীয়তের পরিপূর্ণতা দিয়েছেন মসিহ, তাই তিনিই হলেন আমাদের নতুন শরীয়ত, যার মধ্যে খোদার রহমতের নিয়ম দেখতে পাই৷ তার অভিশিক্ত মৃতু্যর মাধ্যমে আমাদের অধিকার হয়েছে প্রতিষ্ঠিত, পেয়েছে পরিপূর্ণতা, তাই খোদার রহমতে অনন্ত জীবন আমরা ন্যায়বান বলে হয়েছি প্রতিপন্ন৷ তাই মসিহ হলেন আমাদের ধার্মিকতা (ইশাইয়া ৪৫:২৪, যেরেমিয়া ২৩:৬, ৩৩:১৬), আর যে কেউ তার দিকে ফিরে সে দোষী বলে আর বিবেচিত হবে না৷
মুসা নবীর কাছে প্রদত্ত শরীয়তে মাবুদ বলেছেন, যে কেউ আমার শরীয়ত পালন করে সে-ই রক্ষা পাবে৷ কিন্তু মসিহ ব্যতীত আর কেউই পূর্ণাঙ্গভাবে শরীয়ত পালন করতে পারে নি৷ তাই নিজের প্রচেষ্টায় কেউই অনন্ত জীবন বেঁচে থাকতে পারে না৷ এ কারণে ইহুদিগণ তাদের প্রার্থনা, সেবাধর্মি কাজ, উপবাস, প্রত্যাশা ও অপেক্ষার মধ্য দিয়ে প্রতিজ্ঞাত মসিহের অপেক্ষায় রয়েছে তাদের ওপর পতিত খোদার গজবের হাত থেকে যেন তিনি এসে তাদের রক্ষা করেন৷ অন্য দিকে তারা এ বিষয়ে শ্রবনে অনিহা প্রকাশ করতো, অথবা তাঁর কাছে আসতে আগ্রহী ছিল না যিনি স্বেচ্ছায় ইতোপূর্বে তাদের মধ্যে এসে গেছেন৷ বিশ্বাসের ধার্মিকতার জন্য বেহেশত থেকে নতুন মসিহের আগমনের কোনো প্রয়োজন নেই, দরকার নেই নতুন কোনো মসিহের মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হবার, কেননা মসিহ আমাদের মধ্যে ইতোপূর্বে এসে পড়েছেন (লুক ২:১১), তিনি মৃতদের মধ্যে থেকে জেগে উঠেছেন (মথি ২৮:৫,৬) এবং জীবনদায়ী কালাম লক্ষকোটি লোকের কাছে ঘোষিত হয়েছে৷ যে সুসমাচার প্রচারিত হয়েছে তা মসিহের পূর্ণ প্রাধিকারের দ্বারাই হয়েছে ঘোষিত৷ যে কেউ তা শ্রবন করেন, বিশ্বাস করে, সে সুসমাচারের আশির্বাদ লাভ করে তার হৃদয়ে আর যে কেউ তা উচ্চারণ করে সে নিজ মুখে তা পেয়ে যায়৷ আমরা ধনি, অনেক বড় ধনি যা আমরা কল্পনা করতে পারি না, তাই এ রুহানি খাদ্য অন্যের কাছে বিতরণ করা আমাদের দায়িত্ব, কেননা অপরাধ ও পাপে মৃত হওয়া সত্ত্বেও তারা নিজেদের মহান ও শক্তিধর মনে করে৷
প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমরা তোমার আরাধনা করি, কেননা তোমার একমাত্র পুত্র আমাদের পক্ষে শরীয়তের দাবি-দাওয়া পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করার জন্য, জগতের পাপভার নিজ স্কন্ধে তুলে নেবার জন্য আর আমাদের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত্ব শোধ দেবার জন্য আমাদের কাছে প্রেরণ করেছো৷ যেহেতু তিনি বিশ্বজনিন পাপের প্রায়শ্চিত্ত্ব শোধ দিয়েছেন তাই শরীয়তের কোনো অধিকার নেই আমাদের অভিযুক্ত করে৷ শরীয়তের যুগের সমাপ্তি মসিহ ঘটিয়েছেন, আর আমাদের টেনে এনেছেন রহমতের যুগে৷ আমিন৷
প্রশ্ন:
- ৬৫. মসিহ হলেন শরীয়তের সমাপ্তি; পৌলের সূত্রের অর্থ কি?৬৬. ইহুদিরা কেন অপেক্ষায় আছে তাদের কাছে মসিহের আগমনের জন্য?