Previous Lesson -- Next Lesson
৬. মসিহের মাধ্যেমেই মানুষ অপরাধ, পাপ, মৃতু্যর কবল থেকে পায় মুক্তি (রোমীয় ৮:১-১১)
রোমীয় ৮:২
জীবনদাতা পাকরূহের নিয়মই ঈসা মসিহের মধ্য দিয়ে আমাকে গুনাহ ও মৃতু্যর নিয়ম থেকে মুক্ত করেছে৷
আমাদের বিশ্বাস হলো জীবনভর, কেননা পাকরূহ আমাদের হৃদয়ের মধ্যে দেয়া হয়েছে যেন তারা মসিহের জন্য হৃদয় দূয়ার খুলে দেয়৷ যারা সলিবেহন মসিহের ওপর আস্থাবান, তাদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন জীবনদায়ী জাগ্রতকারী পাকরূহ, যিনি হলেন খোদার শৃজনশীল শক্তি৷
সৃষ্টির শুরুতে ঐশি রূহ অর্থাত্ পাকরূহ আকারহীন বিশ্বের ওপর ঘোরাফেরা করছিলেন? বর্তমানে উক্ত আশির্বাদের রূহ লক্ষকোটি জনতার মধ্যে প্রত্যাশার জীবন সৃষ্টি করে চলছেন৷ বিশ্বাসী হিসেবে আমরা আমাদের ওপর নির্ভর করে চলছি না, কেবল তাঁরই যত্ন, উত্সাহ এবং ধৈর্যের ওপর নির্ভর করে চলছি৷ মসিহের রূহের কাজের জন্য যে কেউ তাঁর প্রতি হৃদয় দূয়ার খুলে দেয়, তিনিই খোদার শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেন৷ আপনি আপনার নিজের ইচ্ছায় চিন্তায় অথবা শক্তিতে নাজাত লাভ ও ধার্মিক বলে গৃহীত হন নি, বরং খোদার পাকরূহের শক্তিতেই হয়েছে তা সম্ভব৷ তিনি আপনার বিশ্বাস সৃষ্টি করেছেন, প্রেমের শ্রষ্টা, আনন্দের উত্স, আর উত্স হলেন আপনার কল্যাণের৷ তিনি নিজেই খোদা যিনি আমাদের হৃদয়ের মধ্যে রয়েছেন কর্মরত, রহমতের কাজের জন্য উত্সাহ দান করেন, বিশ্বস্তভাবে আমাদের মধ্যে অবস্থান করেন এবং মহব্বতের সাথে তা করার জন্য পরিচালনা দান করে চলছেন৷
পাকরূহের দ্বারা পরিচালিত জীবন অপরিবর্তনশীল, যেমন বাতাস স্থান ত্যাগ করে দিক পরিবর্তন করে, প্রতিটি মুহুর্তে, কিন্তু নিয়মিত ও উপযুক্ত, তাই প্রেরিত তাকে বলেছেন, 'জীবনের রুহানি বিধি'৷ অন্যভাবে বলতে গেলে দাঁড়ায়, রুহানি বিধি হলো মসিহের জীবন রয়েছে তাদের মধ্যে যারা তাকে বিশ্বাস করে৷ যারা তার নতুন চুক্তির সাথে যুক্ত পবিত্র সত্ত্বা তাদের সাথে যুক্ত হয়ে গেছেন, আর তাঁর মৃতু্যর মাধ্যমে হয়েছে প্রতিষ্ঠিত, এমন একটি সত্য যুগের শেষ অবস্থায়ও সমভাবে একইভাবে চলতে থাকে, কেননা তাঁর বিশ্বস্ততা অনন্তকালীন৷ যে রূহকে পিতা ও পুত্রের হৃদয় থেকে করা হয়েছে প্রবাহিত, তিনি আপনার প্রার্থনা, রোজা পালন, ধার্মিকতার চর্চার ফলে আপনার কাছে আসেন নাই, বরং মসিহের ধার্মিকতা যা তিনি আপনার জন্য সলিবে করেছেন পরিপূর্ণ, সে জন্যই এসেছে৷ সত্যের ভিত্তিতে খোদা আপনার মধ্যে অনন্ত জীবন করেছেন প্রতিষ্ঠা৷ তাঁর পরাক্রম বিস্ফোরকের মতো প্রবাহিত হয় না, অথবা কৃত্রিমভাবেও নয়, বরং দয়া ও পবিত্রতায় আর শাস্তি শৃঙ্খলার সাথে৷ এটা না চিত্কার করে, না গর্জন করে, বরং প্রেম ও পাপীদে মহব্বত করেন৷ তিনি আপনার মধ্যে ও আপনি তার মধ্যে করেন বসবাস৷ তাই অজানা কোনো রূহ আপনার মধ্যে থাকতে দিবেন না৷
যে রুহানি জীবন আপনার মধ্যে দান করা হয়েছে তা মসিহকে বাদ দিয়ে নয়, যেমন আপনার নিজস্ব সম্পদ৷ বিপরীত ক্ষেত্রে বরং নাজাতদাতার সাথে নিয়ত ও আন্তরিক সংযোগ রক্ষা করে চলার ফলে তা করা হয়েছে অর্পন, আপনি যেন তাঁর রুহানি দেহের সদস্য হতে পারেন৷
মসিহিগণ মন্দ কাজে যুক্ত হয়ে পড়বেন তা মানানসই হতে পারে না৷ এ বক্তব্য মসিহের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রেুাপ প্রকাশমাত্র, আর তাঁর সলিবের নিন্দা৷ আমরা পূর্বের চেয়ে বর্তমানে প্রলোভনের বিরুদ্ধে অধিক আপত্তি করবে, যেমন মসিহ নিজেই অর্জন করেছেন সে অভিজ্ঞতা৷ নানা ধরণের পাপের কাছে আমরা আকর্ষিত হতে পারি, এবং অজ্ঞাতে পাপও করে থাকতে পারি৷ কিন্তু নীতিগতভাবে, মসিহ পাপের ক্ষমতা থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন, ফলে মৃতু্য আমাদের জীবনের বেতন হতে পারে না৷ অধিকন্তু শরীয়ত আমাদের জন্য জ্বালা যান্ত্রণা বা দোযখ নয়, তা আমাদের প্ররোচনা করে না অধিক পাপের রাজ্যে ডুবে যেতে, কিন্তু শরীয়ত আমাদের হৃদয়ের গভীরে বাস করে, আমরা তার দ্বারা আনন্দ লাভ করে থাকি৷ সুতরাং, আমরা পাপের গোলাম নই, আমরা খোদার মহব্বতের সন্তান৷ অন্যান্যদের মতো নিরাশা নিয়ে আমরা মৃতু্যবরণ করি না, রুহানি জীবন নিয়ে চিরদিন বেঁচে থাকি, যেমন মসিহ বেঁচে আছে অনন্তকাল ধরে৷ সাহাবিদের কালামে গভীরভাবে প্রবেশ করুন, ধ্যান করুন, যা অর্থবহ নির্দেষ করে থাকে, যেন আপনি প্রকৃত সত্যে হতে পারেন প্রতিষ্ঠিত৷ পাপের কবল থেকে যেন মুক্ত হতে পারেন, মন্দ শক্তিকে জয় করতে পারেন, খোদার নিয়ম-কানুন ও পরাক্রমে পাকরূহের পরিচালনায় যেন জীবন যাপন করতে পারেন৷
প্রার্থনা: প্রভু মসিহ, তোমাকে ধন্যবাদ, তুমি মৃতু্য থেকে আমাদের জীবনে তুলে এনেছো যেন আমরা পিতার প্রেমের গৌরব সাধন করতে সক্ষম হই৷ আর রুহানিভাবে যেন জীবন যাপন করতে পারি৷ তোমার মধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠা করো, যেন তোমার প্রেম আমাদের মধ্যে মূর্ত হয়ে ওঠে, আর আমরা যেন তোমার গৌরব সাধন করতে পারি৷ আমাদের আচরণের ফলে আমাদের চারপাশের লোকজন মৃতু্যর নয় বরং জীবনের আস্বাদন লাভ করতে পারে৷
প্রশ্ন: