Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- Romans - 014 (The Righteousness of God)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
ক - গোটা বিশ্ব দুষ্টচক্রের প্রভাবে পড়ে আছে, হচ্ছে পরিচালিত, খোদা তাঁর ধার্মিকতার আলোকে তাদের বিচার করবেন (রোমীয় ১:১৮ - ৩:২০)

১. জাতির বিরুদ্ধে খোদার গজব প্রকাশিত হয়েছে (রোমীয় ১:১৮-২১)


রোমীয় ১:২৯-৩২
২৯ সব রকম অন্যায়, খারাপী, লোভ, নীচতা, হিংসা, খুন, মারামারি, ছলনা ও অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছায় তারা পরিপূর্ণ৷ তারা অন্যের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, ৩০ অন্যের নিন্দা করে এবং আল্লাহকে ঘৃণা করে৷ তারা বদমেজাজী, অহংকারী ও গর্বিত৷ অন্যায় কাজ করবার জন্য তারা নতুন নতুন উপায় বের করে৷ তারা মা-বাবার অবাধ্য৷ ৩১ ভালো-মন্দের জ্ঞান তাদের নেই, আর তারা বেঈমান৷ পরিবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা নেই এবং তাদের দিলে দয়ামায়া নেই৷ ৩২ আল্লাহর এই বিচারের কথা তারা ভালো করে জানে যে, এই রকম কাজ যারা করে তারা মৃতু্যর শাস্তির উপযুক্ত৷ এই কথা জেনেও তারা যে কেবল এই সব কাজ করতে থাকে তা নয়, কিন্তু অন্য যারা তা করে তাদের উত্‍সাহও দেয়৷

আমাদের চোখের সামনে পৌল পাপের একটি তালিকা তুলে ধরেছেন দশ শরীয়তের ব্যাখ্যা হিসেবে৷ আমরা তা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা করব, অথবা দার্শনিক মনোভাব নিয়ে অথবা অন্যকে বিচার করবো তার আলোকে, তা নয়, বরং ভীতসন্ত্রস্থ অবস্থায় আমরা নিজেদের দেখব আর বুঝতে চেষ্টা করবো আমাদের মধ্যে অবস্থিত পাপের পরিমাণ৷ খোদাকে বাদ দিয়ে যে জীবন যাপন করে সে তো অবিচার ও মন্দকাজে থাকে পরিপূর্ণ৷ মন্দআত্মা তার মধ্যে পাপের সর্বপ্রকার ফসল উত্‍পন্ন করতে থাকে যে কিনা পাকরূহ বিবর্জিত জীবন যাপন করে৷ মানুষ, হয় মসিহে জীবন যাপন করবে নতুবা মন্দ আত্মার হাতে থাকবে বন্দী৷ নিরপেক্ষ এলাকা বলতে কিছুই নেই৷

প্রভু ঈসা মসিহ এবং তাঁর সাহাবি হযরত পৌল ব্যভিচারকে প্রথম পাপ বলে চিহ্নিত করেছেন৷ ব্যভিচার খাঁটি প্রেমের বন্ধন গুলিয়ে ছাড়ে, প্রতিপক্ষের বিশ্বস্ততার আস্থা মুছে ফেলে, আর অবিশ্বাস ও নাস্তিকতা প্রবেশের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করে৷ যারা খোদার শক্তিতে পাপশক্তি অস্বীকার করে না তারা সহজেই পাপের হাতে শিকার হয়ে পড়ে; অধিকাংশ লোক চিন্তা চেতনা, বাক্য ও কর্মের ক্ষেত্রে ব্যভিচারি হয়ে আছে৷ তারা অপবিত্র ও দুষ্ট৷ আপনি কি আপনাকে চেনেন? আপনার বিবেক আপনার সাথে পরিষ্কারভাবে কথা বলছে৷ তাই, আপনার অতীত অস্বীকার করবেন না, যা কিছু করেছেন তার জন্য তওবা করুন৷

আপনি কি জানেন, যে ব্যক্তি খোদাকে বাদ দিয়ে চলে সে অধার্মিক ও দুষ্ট? শিক্ষকগণ কেন মানবতা শিক্ষার বিষয়, সামাজিক সেবার বিষয়, এর পক্ষে কথা বলে যখন মানবতা বিনষ্ট ও কলুষিত? আমাদের পুনর্গঠনের ও চর্চার প্রয়োজন নেই, আমাদের চাই নবীন সৃষ্টি হওয়া হৃদয় মনের নতুন হওয়া৷

যে ব্যক্তি খোদাকে জানেনা সে কেবল টাকাই ভালোবাসে এবং মরণশীল প্রভুদের ওপর নিজের জীবন প্রতিষ্ঠা করার তালে থাকে ব্যস্ত৷ টাকার প্রতি তার প্রেম ততটাই বৃদ্ধি পেতে থাকে যতটা তার টাকার স্তুপ বৃদ্ধি পায়৷ টাকার প্রতি প্রেম মসিহি প্রত্যাশা থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দিয়ে অহংকার, জীবনের গর্ব এবং মন্দ ও ঘৃণার বস্তুর দিকে তাড়িয়ে ফেরে৷

নীতিভ্রষ্ট মনের লোকদের ভিতরটা ঘৃণা, হিংসা, ছলচাতুরী, প্রতিহিংসাপরায়ন মনোভাব, শঠতা, মিথ্যাচার ও দুষ্টতায় থাকে ভরা, আর ওগুলোর দ্বারা হয় পরিচালিত৷ দুষ্ট লোক তার প্রতিবেশী ও শত্রুর বিরুদ্ধে দুষ্ট পরিকল্পনা অাঁটতে থাকে৷ সে এমন ভাণ করে, মনে হবে তাদের জন্য তার হৃদয়টা সদা থাকে প্রেমে বিগলিত, আসলে তাঁর হৃদয়টা হলো বিষধর সাপের বাসা৷

সাধারণতঃ বিদ্ধেশপরায়ন ব্যক্তি অন্যের প্রতি জ্বলে পুড়ে মরে৷ অন্যের প্রতি বর্শিত আশির্বাদ দেখে অসহ্য হয়ে ওঠে, কেননা অন্যের চেয়ে সে অধিক পুষ্ট ও উন্নত থাকতে চায়৷ তাছাড়া সে সবচেয়ে বড় ধনি হতে চায়, অধিক সুন্দর, অধিক চটপটে, আর অপরের চেয়ে অধিক সম্মানের ব্যক্তি৷ হিংসা ও ঈর্ষা অধিকাংশ মন্দ কাজের মূল কারণ৷ বিজ্ঞপ্তি সমূহ আবেগ সঞ্চলিত করে ও প্রলুদ্ধ করে নতুন নতুন উত্‍পাদন যে কোনো মূল্যে হোক ক্রয় করার জন্য৷

এ সকল ধ্বংসাত্মক আবেদন ভালো কিছু থেকে কেবল মনের পরিবর্তনই করে না, বরং হত্যা ঘৃণা, নিষ্ঠুরতা, অবজ্ঞার সৃষ্টিকল্পে নতুন দিগন্ত খুলে দেয়৷ মনে রাখবেন, মসিহ শিক্ষা দিয়েছেন, প্রত্যাখ্যান, ঘৃণা করার মনোভাব অথবা অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার চিন্তা ও বাস্তব হত্যার মতো সম পাপ, কেননা আমাদের ইচ্ছাই হলো অন্যকে ধ্বংস করে ফেলা৷ আমরা সকলে খোদার চোখে ঘাতক এবং ঘাতকের পুত্র কন্যা৷

এ ধ্বংসাত্মক আত্মার প্রকাশ দ্রুত ঘটে আমাদের কথায় এবং কাজে যখন আমরা পারিবারিকভাবে অথবা সামাজিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ি, পাকরূহ কানে কানে প্রেরণা যোগায় বিবদমান দলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য, যেন আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী বলে চিহ্নিত হতে পরি৷ অবাধ্য সন্তানদের মধ্যে বিবাদ বিসৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আপনি কি ভূমিকা রেখেছেন? আপনি কি আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছেন? অথবা আপনি মাগফেরাত ও পূণর্মিলনের জন্য তদবির করে চলছেন, আর শত্রুতা নিরসনের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এমনকি তা করতে গিয়ে নিজের ক্ষতিও ডেকে আনতে হলে পিছ পা হচ্ছেন না?

প্রতারণা হলো শয়তানের চরিত্র, যে দোষগুলো প্রভুর মধ্যে আদৌ খুঁজে পাবার নয়৷ যে কেউ কৌশলে তার পরিকল্পনা বাস্তবয়ন করতে চায়, আর সাধারণ লোকদের মিষ্টি কথার দ্বারা ফাঁদে ফেলতে চায় তারা শয়তানে পুত্র কন্যা৷ পাকরূহের ফল হলো, বিশ্বস্ততা, সরলতা এবং স্পষ্টবাদিতা৷ কিন্তু মিথ্যা এবং মিথ্যার শাখা-প্রশাখা বড়ই খারাপ বিষয়৷

দোযখের অন্যান্য ফলের মধ্যে একটি হলো নিজেকে মহিমান্বিত করার জন্য অন্যের বিরুদ্ধে কুত্‍সা রটনা ও দোষারোপ করা৷ আমাদের ঠোট থাকে বিষে ভরা, আর আমাদের পা দ্রুত দৌড়ে চলে অন্যের ক্ষতি করার জন্য৷ আমাদের নিকট আত্মীয়ের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করার জন্য আমরা ব্যস্ত, উদ্দেশ্য হলো নিজেদের প্রসিদ্ধ করে তোলা৷

ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অজান্তে যারাই এ সকল পাপের কাজ করে, আসলে তারা খোদাকে ঘৃণা করে, কেননা যে কেউ প্রভুকে মহব্বত করে সে অবশ্যই মানুষকে মহব্বত করে থাকে৷ কিন্তু আপনি লোকদের সাথে অশোভনীয় আচরণ, ঘৃণা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের সাথে ব্যবহার করেন, আর সেই আত্মা যে আত্মা আপনার মধ্য থেকে অভদ্র আচরণ করে, তা কেবল আপনি নিজেই৷ আপনি যখন কাওকে ঘৃণা করেন, প্রকারান্তরে আপনি খোদাকে ঘৃণা করেন, কেননা খোদা হলেন প্রেম, আর যে কেউ প্রেমে জীবন যাপন করে সে খোদার মধ্যেই জীবন যাপন করে, অন্যকে ক্ষমা করে, আশির্বাদ করে এবং যারা প্রেম পাবার যোগ্য নয়, তাদেরকেও প্রেম করে, আর সকলের সাথে মৈত্রী বজায় রেখে প্রেমের আবেশে জীবন যাপন করে৷

মন্দ আত্মার হৃদয়ের গোপন কক্ষে লুকিয়ে থাকতে গর্ববোধ, যে স্বভাব সকল দুষ্টদের মধ্যে দৃষ্ট হয়৷ তারা জানে তাদের হৃদয়ের মধ্যে লুকানো সকল প্রকার পাপ প্রবণতা, হিংসা, ঘৃণা, দোষত্রুটি, তাদের জ্ঞানের কারণে তারা তাদের চিত্তে দুষ্টতা লুকিয়ে রাখতে চয়৷ তারা হয় একগুয়েমি, উচ্চাঙ্খা সদর্প ও অহমিকায় চলে যেমন ময়ূর নিজেকে বিখ্যাত ভাবে, ফলে তারা আসলে নিজেদের হাসির পাত্রে করে তোলে পরিণত৷ তারা অশিক্ষিত গরীবদের প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে থাকে, আর তাদের করুনার প্রতি অসত্য ভাব পোষণ করে৷ তারা নিজেদের অভিলাষ চরিতার্থ করে, আর সদা পরিপূর্ণ থাকে হিংসা বিদ্বেষে৷ তাদের দেখতে ভালোই মনে হবে, আশির্বাদপুষ্ট ও বড়ই গুরুত্বপূর্ণ, আসলে তারা যখন নির্জনে থাকে তখন তারা শুনতে পায় খোদা তাদের 'অত্যন্ত দুশ্চরিত্র' বলে ধিক্কার দিচ্ছে৷

তাদের অন্যান্য দুষ্টতা প্রকাশ করা হলে দেখা যাবে, আর তাদের দয়া গ্রহণ করা হলে তারা তাদের অপরাধকে উচ্চিকৃত করে তোলে, আর তাদের মন্দ আত্মার কুফল পরিবারে বিকাশ লাভ করে অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে৷ খোদার শরীয়ত অনুযায়ী তারা তাদের পিতা-মাতাকে অভিভাবক রূপে মান্য করে না, বরং রূঢ়ভাবে তাদের কাছে টাকা দাবি করে৷ স্বেচ্ছাচারিতায়, অধিকার আদায় করে কিন্তু বিনিময়ে কোনো সেবার বা প্রেমের ভূমিকা রাখে না৷ এভাবে তাদের প্রতি প্রদর্শিত প্রেম পদতলে দলিত করে তোলে, আর অশিক্ষিত পিতা-মাতার অজ্ঞতাকে পুঁজি করে স্বেচ্ছাচারিতা চালায়৷ তারা জানে না যে পাপ হলো সর্বোচ্চ অপরাধ৷ আর খোদার ভয় হলো সর্বোচ্চ প্রজ্ঞা৷ যারা খোদার আত্মার কাছে নিজেদের সমর্পণ করে না, তারা কোনো কিছুই ভালোভাবে বুঝতে পারে না, সবকিছুই ভুলভাবে দেখে৷ তারা নিজেদের বিষয় তথা সমাজের বিষয় ঐশি প্রদত্ত মান থেকে খসে পড়েছে৷

এ অবস্থাতে তারা নিজেদের প্রতি আস্থাবান হবার যোগ্যতা হারিয়ে বসেছে, ফলে হারিয়ে বসেছে নির্ভরযোগ্যতা৷ যারা খোদার ওপর নিবেদিত নয় তারা মানুষের সাথে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ৷ খোদার বিশ্বস্ততা মানুষকে বিশ্বস্ত হিসেবে গড়ে তোলে, কিন্তু যে ব্যক্তি তার প্রভুকে বাদ দিয়ে চলতে চায় সে তো অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানো হতাশ ও বিনাশ পাওয়া ব্যক্তিমাত্র৷

আমাদের খোদা মহব্বত, দয়া এবং করুনা৷ অভিশাপ তাদের প্রতি যারা সকল সুন্দরের উত্‍স প্রত্যাখান করেছে, তাদের হৃদয় পাথরের মতো কঠিন হয়ে পড়েছে৷ তারা নিজেদের ভালোবাসে আর অন্যকে ঘৃণা করে৷ আপনি নিজের দিকে নজর দিন! আপনি আপনার শত্রুকে কি মহব্বত করেন? গরীবদের প্রতি আপনার হৃদয়ে দয়া জাগে? মসিহ সকল বিশৃঙ্খল লোকদের জন্য কষ্ট অনুভব করেছেন, আর তাদের পাপের জন্য নির্যাতন সহ্য করেছেন৷ আপনি কি আপনার লোকদের গালমন্দ দিয়ে থাকেন না তাদের প্রতি প্রেম প্রকাশ করেন? আপনি একজন দয়া ও করুন বিবর্জিত ব্যক্তি? অথবা খোদার রূহ আপনাকে নতুন করে গড়ে তুলেছে যাতে করে সুপারিশ করার জন্য ইমাম হিসেবে তাঁর সম্মুখে পাপীদের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন৷

সমুদ্র সৈকতের বালুকণার সংখ্যার চেয়ে অধিক পরিমান হলো আমাদের পাপ অপরাধ৷ খোদাকে জানুন, তখন আপনি নিজেকে জানতে পারবেন৷ যে কেউ নিজেকে ঐশি চরিত্রের উত্‍স থেকে আলাদা করে ফেলে, তার জন্য নিন্দা ও মৃতু্য অবধারিত৷ জন্মাবধি সকল মানুষ গুনাহগার৷ অদ্যই আপনার পাপ অপরাধের কাছে মৃতু্য বরণ করতে হবে৷ বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই আপনার৷ মানুষের ন্যায্য আচরণও মিথ্যায় পরিপূর্ণ৷ আমাদের অধিকার হলো পাপের কাছে মৃতু্য বরণ করা৷ আপনি শহরে কোনো লোকের মৃতু্যদণ্ড দেখে আশ্চর্য হচ্ছেন, আসলে মানুষের হাতে নয় খোদা তার মৃতু্যপরোয়ানা জারী করেছে৷ কখন আপনি আপনার মনের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবেন আর সম্পূর্নভাবে আন্তরিকতার সাথে তওবা করবেন?

আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে তওবা না করেন, তখন আপনার পাপ এমন একটা পর্যায়ে পৌছে যাবে যখন অন্যের কৃত পাপ কর্মে আপনিও পাবেন প্রচুর আনন্দ৷ আপনি পাপে আনন্দই পাবেন না বরং যারা পাপ কর্মে রয়েছে লিপ্ত তা দেখেও আপনার হৃদয় হচ্ছে তৃপ্ত৷ তাই স্বাভাবিক কারণে তাদের উত্‍সাহ যুগিয়ে চলছেন অধিক পাপের কাজ ঘটানোর জন্য৷ উত্তেজিত করে চলছেন, প্রলোভন যোগাচ্ছেন, উদ্ভুদ্ধ করে চলছে সরল সহজ বক্তিদের, আর তাদের মধ্যে আপনার নিজের পাপ সংক্রামিত করে চলছেন৷ অপরাধের এই হলো মারাত্মক বিকার ও আক্রমন৷ আপনি নিজে মন্দ এটাই কি যথেষ্ট নয়? আপনার সমাজকে কলুষিত করা কি এতই প্রয়োজন? নিজের দিকে তাকান! আপনি কি আপনার পাপ নিয়ে মহানন্দে আছেন? অন্যের কঠিক হৃদয় দেখে আপনি কি সুখী? আপনার কি অশ্রু ঝরে না সত্যিকারের অনুতাপে, নিজের জন্য ও সমাজের আর দশজন লোকের জন্য? খোদার রূহ সত্যিকারে অনুতাপের স্তরে কি আনে নি অথবা এখন পর্যন্ত আপনি দাম্ভিকই রয়েছে গেছেন?

প্রার্থনা: খোদা আমার প্রতি করুন, করো কেননা আমি একজন গুনাহগার৷ তুমি জানো, আমার প্রত্যেকটি রুক্ত বিন্দু পাপে কলঙ্কিত৷ আমার মাংসপেশির অবস্থা ও তাই, আমি মন্দ চিন্তার উত্‍সে পরিণত হয়েছি৷ তোমার ক্রোধে আমি ধ্বংস হবার যোগ্য, তোমার বিচার ন্যায় ও খাঁটি৷ আমার প্রতি ধৈর্য ধর, আর তোমার ন্যায় বিচারের আলোকে আমাকে ধ্বংস করো না৷ আমার বন্ধু-বান্ধব সহ সকলকে পরিবর্তন করো, আর প্রতিবেশিদের যেন আমরা সকলে মিলে দোযখের আগুনে পতিত না হই৷ আমাকে এবং আমার লোকদের পাপের বিষয় জ্ঞান দান করো আর আমার হৃদয়কে পরিবর্তন করো, যেমন তুমি আমাদের হৃদয়কে নতুন সৃষ্টি হিসেবে গড়ে তুলতে পারো৷ আমার প্রতি করুণা প্রকাশ করো, হে খোদা তোমার দয়া অনুসারে আর তোমার পাকরূহকে আমাদের কাছ থেকে সরে যেতে দিও না৷

প্রশ্ন:

১৮. পাপের তালিকায় কোন পাঁচটি পাপের উল্লেখ রয়েছে, আর কোনটি বর্তমান বিশ্বে সচরাচর দৃষ্ট হয়?

মানুষ আল্লাহর সত্যকে অন্যায় দিয়ে চেপে রাখে,
আর তাই তাঁর প্রতি ভয়ের অভাব ও সমস্ত অন্যায় কাজের জন্য বেহেশত
থেকে মানুষের ওপর আল্লাহর গজব প্রকাশ পেয়ে থাকে৷

(রোমীয় ১:১৮)

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 12:39 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)