Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
ক - গোটা বিশ্ব দুষ্টচক্রের প্রভাবে পড়ে আছে, হচ্ছে পরিচালিত, খোদা তাঁর ধার্মিকতার আলোকে তাদের বিচার করবেন (রোমীয় ১:১৮ - ৩:২০)
৩. সকলেই বিনষ্ট এবং দোষী (রোমীয় ৩:৯-২০)রোমীয় ৩:৯-১০ খোদার প্রেমে ইহুদি ও অইহুদি উভয় জাতির পক্ষ থেকে আপত্তিসমূহের জবাবের সংক্ষিপ্ত আপত্তি করেছেন পৌল, প্রমাণ করে দিলেন, কারোরই কোনো বিশেষ অধিকার বা প্রাধিকার নেই অন্যের ওপর৷ সকলেই পাপ করেছে, আর তাদের পাপ হলো স্পষ্ট৷ তারা খোদার সরল পথ ত্যাগ করেছে, ফলে পাপের ক্রীতদাসে হয়েছে পরিণত৷ আত্ম প্রবঞ্চনা ও অভিলাসের হাতে তারা বন্দী৷ পৌল নিজের আপত্তির মধ্যে নিজেকে যুক্ত করেছেন, নিজের পাপ তিনি স্বীকার করে আমাদের মধ্যে সামিল হলেন৷ আপনি কি এমন কোনো কিম্ভুতকিমাকার বিষয় দেখেছেন যার ফলে প্রচন্ড ঘৃণার উদ্রেক হয়? আপনার পাপ হলো তেমন বিতৃষ্ণার কারণ যা দেখে পাকরূহের বমি জাগে৷ পৌলের আপত্তির কারণের সাথে নিজেকে তুলনা করুন, আপনি বুঝতে পারবেন, আপনিই সেই ব্যক্তি যার বিষয়ে পৌলের রয়েছে বড় ধরণের আপত্তি৷ রোমীয় ৩:১১-১২ খোদার উজ্জ্বল পবিত্রতার সম্মুখে আমরা সকলেই নোংরা অপবিত্র হয়ে আছি৷ মসিহ ব্যতীত আর কেউ ধার্মিক নেই৷ আমাদের মন ঘণকুয়াসা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে, খোদাকে দেখার ক্ষমতা বা চোখ আমাদের নই, আমাদের মান তেমন, তিনি যেমন৷ আমরা আমাদের পাপের ভয়াভহতার বিষয়ে কিছুই জানি না৷ মানুষ যদি খোদার গৌরব খুঁজে ফিরত তবে তারা জ্ঞানি হতো! যাহোক, প্রত্যেকে আপন আপন পথ বেছে নিচ্ছে, নিজের সম্মান নিয়ে আকড়ে পড়ে থাকে, আপন কামনা ও অভিলাষে বন্দি, আর এমন অবস্থায় সহজ পথ খুঁজে ফিরছে৷ সকলেই প্রভুর পথ হারিয়ে বসেছে, কেউই সঠিক পথে চলছে না৷ আপনি নিজের আচরণে আদৌ উত্তম নন৷ তারা সকলে ভিন্নপথে সরে গেছে, লাভহীন হয়ে দাড়িয়েছে, আর চলে গেছে ধ্বংসের পথে৷ স্বভাবের দিক দিয়ে আমরা সকলে দুষ্ট৷ আমাদের বিবেক আমাদের আসল পরিচয় জানে৷ রোমীয় ৩:১৩ মানুষের দুনর্ীতি তাদের জিহ্বার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়৷ আমরা সকলে খুনি ও কসাই, কেননা আমরা ধ্বংস রচনা করি, বিনাশ ঘটায় অন্যের সুনাম, সুখ-শান্তি আর তা করি আমাদের শানিত জিহ্বার দ্বারা; মিথ্যা কথার বিষে পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলি৷ অভিযোগ, তাচ্ছিল্যজনক কথা, লজ্জাজনক ঠাট্টা তামাশা দ্বারা মানুষকে করে তুলি লাজরাঙ্গা, অপমানিত আর খোদার নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলতে কার্পণ্য করি না৷ আমাদের বিরুদ্ধবাদীরা আমাদের মুখে তিক্ত খোদার নিন্দার মতো প্রকাশ পায়৷ খোদার নিয়মানুবতর্ীতার বিরুদ্ধে আমরা চলি, আমরা বুঝতে চাই না যে, মারাত্মক আঘাত ও অপরিহার্য বিচার ছাড়া আমাদের অধিক কিছুই পাওয়ার নেই৷ রোমীয় ৩:১৪-১৭ আমাদের ঘৃণা দ্রুত বদলে যায় না৷ কেননা আমরা আমাদের শত্রুদের পছন্দ করি না, কিন্তু আমাদের ইচ্ছা কঠিন স্বভাবের লোকদের সঙ্গ থেকে এড়িয়ে চলা৷ যারা তাদের শত্রুদের ঘৃণা করে তাদের রক্তের গঙ্গা বইয়ে ছাড়ে, কেননা মানুষ ত্রুদ্ধ হয়ে হিংস্র পশুতে রূপ লাভ করে৷ আমাদের মধ্যে কোনো শান্তি বলতে নেই৷ শান্তির পয়গাম আমরা যতই দেই না কেন খুনাখুুনিতে কম করি না৷ সকলেই খুনি, তাদের হৃদয় থাকে ঘৃণায় ভরা, ডুবে থাকে অহংকার ও ঈষায় কেননা তারা জানেই না যে খোদা হলেন মহব্বত, সত্য ও পবিত্র৷ সত্য উপলব্ধি করার সংবেদ তারা হারিয়ে ফেলেছে, তাদের না আছে বিশ্রাম না আছে মন, তরা জটিল পরিস্থিতিতে মান পতনের অতলে নিজেদের ডুবিয়ে রেখেছে৷ রোমীয় ৩:১৮ তারাই বোকা যারা খোদাকে চেনে না৷ আর যারা তাকে ভয় পায় না তারা আসলে জ্ঞান হারা, কেননা খোদা ভয় জ্ঞানের আরম্ভ, আর পবিত্র জনের বিষয়ক জ্ঞান বয়ে আনে প্রকৃত বোধ শক্তি৷ বর্তমানে অবিশ্বাস ক্রমাগত বেড়েই চলছে, আর মানুষের আচরণ দেখে মনে হয় খোদার অস্তিত্ত্ব বলতে কিছু নেই৷ আশ্চর্য হবার কিছুই নেই, পাপ যতোই বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরাধের বিস্তৃতি পথে ঘাটে মারাত্মকভাবে বেড়ে চলছে, দেখা যাবে পত্রপত্রিকায় আর মানুষের হৃদয় মনে ফুটে ওঠে এর বিরূপ প্রুতিক্রিয়া৷ রোমীয় ৩:১৯-২০ নবীদের যুগে ধার্মিক কেবল পাপীই ছিল, কেননা শরীয়ত তাদের কাছে দেয়া হয়েছিল তাদের পাপের বিষয়ে চেতনা দেবার জন্য৷ এটা সত্য যে, শরীয়ত সর্বপ্রকার আশির্বাদের পয়গাম বয়ে এনেছে তাদের জন্য যারা সঠিকভাবে তা পালন করতে পারে৷ কিন্তু কোনো মানুষই তা পুর্ণাঙ্গভাবে পালন করতে পারে না৷ আমরা যখন আমাদের শক্তিতে তা পুণর্গঠন করতে চাই, তখন আমাদের খারাপ দিকগুলো আমাদের রক্তে প্রবাহিত হতে শুরু করে৷ আমরা সকলে খোদার শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ আমাদের সত্ক্রিয়াগুলো আমাদের স্বার্থপরাতার দ্বারা নোংরা হয়ে আছে, আর আমরা খোদার কাছ কোনো অনুগ্রহ পাবার যোগ্যতা আমাদের নেই৷ পৌলের এমন বক্তব্যের সাথে আপনি কি ঐকমত্য পোষণ করেন? আর একবার পড়ুন, যেখানে তিনি লিখেছেন, তোমার উচিত বিজ্ঞ ও ভগ্নান্তকরণের অধিকারী হওয়া৷ প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই এ জন্য মসিহের মাধ্যমে তুমি আমাদের প্রত্যাশায় জাগ্রত করেছো যেন আমরা না হই উচ্ছৃঙ্খল না হই হতাশাবাদী৷ আমরা আমাদের হৃদয়ে নোংরা বিষয় বহন করছি, জিভে, হাতে, পায়ে এবং চোখে সবকিছুই আমাদের কলুষিত৷ আমি কত ভয়ানক নোংরা৷ আমার পাপ ক্ষমা করো, তোমার পবিত্রতা আমার চোখের সামনে তুলে ধরো যার ফলে অহমিকার তলানি পর্যন্ত নিশেষিত হয়ে যায়, যেন কেবল তোমারই সেবা আরাধনা করে চলতে পারি৷ হে প্রভু, আমার পাপের কবল থেকে আমাকে সম্পূর্ণরূপে অবমুক্ত করো৷ প্রশ্ন: ২৬. পৌল কীভাবে আমাদের পাপের ব্যাখ্যা দিলেন আর মানবজাতির পাপের পরিপূর্ণতা বিশ্লেষণ দিলেন?
অভীৰা - ১প্রিয় পাঠক,
যদি আপনি সকল বইয়ের পাঠশেষে প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে থাকেন, আর আমাদের কাছে তা প্রেরণ করেন তবে আমরা আপনাকে একটি প্রশংসা পত্র পাঠিয়ে দেব৷ রোমীয়দের কাছে পৌলের লেখা পত্রের ওপর গবেষণা আপনার ভবিষ্যতের মসিহের সেবা কাজে ব্যবহারের জন্য উত্সাহ ব্যঞ্জক পত্র৷ আমরা অনুরোধ জানাই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আর এ পাঠ অনন্তকালের জন্য আপনার কাছে বড়ই মূল্যবান সম্পদ৷ আমরা আপনার জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম৷ আমাদের ঠিকানা |