Previous Lesson -- Next Lesson
৩. সকলেই বিনষ্ট এবং দোষী (রোমীয় ৩:৯-২০)
রোমীয় ৩:৯-১০
৯ এখন আমরা কি বলব? ইহুদি হিসাবে আমাদের অবস্থা কি অ-ইহুদিদের চেয়ে ভালো? মোটেই না৷ আমরা তো আগেই বলেছি, ইহুদি-অ-ইহুদি সবাই গুনাহের অধীনে৷ ১০ পাক-কিতাবে লেখা আছে 'ধার্মিক কেউ নেই, একজনও নেই৷'
খোদার প্রেমে ইহুদি ও অইহুদি উভয় জাতির পক্ষ থেকে আপত্তিসমূহের জবাবের সংক্ষিপ্ত আপত্তি করেছেন পৌল, প্রমাণ করে দিলেন, কারোরই কোনো বিশেষ অধিকার বা প্রাধিকার নেই অন্যের ওপর৷ সকলেই পাপ করেছে, আর তাদের পাপ হলো স্পষ্ট৷ তারা খোদার সরল পথ ত্যাগ করেছে, ফলে পাপের ক্রীতদাসে হয়েছে পরিণত৷ আত্ম প্রবঞ্চনা ও অভিলাসের হাতে তারা বন্দী৷ পৌল নিজের আপত্তির মধ্যে নিজেকে যুক্ত করেছেন, নিজের পাপ তিনি স্বীকার করে আমাদের মধ্যে সামিল হলেন৷
আপনি কি এমন কোনো কিম্ভুতকিমাকার বিষয় দেখেছেন যার ফলে প্রচন্ড ঘৃণার উদ্রেক হয়? আপনার পাপ হলো তেমন বিতৃষ্ণার কারণ যা দেখে পাকরূহের বমি জাগে৷ পৌলের আপত্তির কারণের সাথে নিজেকে তুলনা করুন, আপনি বুঝতে পারবেন, আপনিই সেই ব্যক্তি যার বিষয়ে পৌলের রয়েছে বড় ধরণের আপত্তি৷
রোমীয় ৩:১১-১২
১১ কেউ সত্যিকারের জ্ঞান নিয়ে চলে না, কেউ আল্লাহর ইচ্ছামত কাজ করে না৷ ১২ সবাই ঠিক পথ থেকে সরে গেছে৷
খোদার উজ্জ্বল পবিত্রতার সম্মুখে আমরা সকলেই নোংরা অপবিত্র হয়ে আছি৷ মসিহ ব্যতীত আর কেউ ধার্মিক নেই৷ আমাদের মন ঘণকুয়াসা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে থাকে, খোদাকে দেখার ক্ষমতা বা চোখ আমাদের নই, আমাদের মান তেমন, তিনি যেমন৷ আমরা আমাদের পাপের ভয়াভহতার বিষয়ে কিছুই জানি না৷ মানুষ যদি খোদার গৌরব খুঁজে ফিরত তবে তারা জ্ঞানি হতো! যাহোক, প্রত্যেকে আপন আপন পথ বেছে নিচ্ছে, নিজের সম্মান নিয়ে আকড়ে পড়ে থাকে, আপন কামনা ও অভিলাষে বন্দি, আর এমন অবস্থায় সহজ পথ খুঁজে ফিরছে৷ সকলেই প্রভুর পথ হারিয়ে বসেছে, কেউই সঠিক পথে চলছে না৷ আপনি নিজের আচরণে আদৌ উত্তম নন৷ তারা সকলে ভিন্নপথে সরে গেছে, লাভহীন হয়ে দাড়িয়েছে, আর চলে গেছে ধ্বংসের পথে৷ স্বভাবের দিক দিয়ে আমরা সকলে দুষ্ট৷ আমাদের বিবেক আমাদের আসল পরিচয় জানে৷
রোমীয় ৩:১৩
তাদের মুখ যেন খোলা করব, জিভ দিয়ে তারা খোশামোদের কথা বলে৷ তাদের ঠোঁটের নীচে যেন সাপের বিষ আছে৷
মানুষের দুনর্ীতি তাদের জিহ্বার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়৷ আমরা সকলে খুনি ও কসাই, কেননা আমরা ধ্বংস রচনা করি, বিনাশ ঘটায় অন্যের সুনাম, সুখ-শান্তি আর তা করি আমাদের শানিত জিহ্বার দ্বারা; মিথ্যা কথার বিষে পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলি৷ অভিযোগ, তাচ্ছিল্যজনক কথা, লজ্জাজনক ঠাট্টা তামাশা দ্বারা মানুষকে করে তুলি লাজরাঙ্গা, অপমানিত আর খোদার নির্দেশনার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলতে কার্পণ্য করি না৷ আমাদের বিরুদ্ধবাদীরা আমাদের মুখে তিক্ত খোদার নিন্দার মতো প্রকাশ পায়৷ খোদার নিয়মানুবতর্ীতার বিরুদ্ধে আমরা চলি, আমরা বুঝতে চাই না যে, মারাত্মক আঘাত ও অপরিহার্য বিচার ছাড়া আমাদের অধিক কিছুই পাওয়ার নেই৷
রোমীয় ৩:১৪-১৭
১৪ তাদের মুক বদদোয়া ও তেতো কথায় ভরা৷ ১৫ খুন করবার জন্য তাদের পা তাড়াতাড়ি দৌড়ে, ১৬ তাদের পথে ধ্বঃস ও সর্বনাশ থাকে৷ ১৭ শান্তির পথ তারা জানে না৷
আমাদের ঘৃণা দ্রুত বদলে যায় না৷ কেননা আমরা আমাদের শত্রুদের পছন্দ করি না, কিন্তু আমাদের ইচ্ছা কঠিন স্বভাবের লোকদের সঙ্গ থেকে এড়িয়ে চলা৷ যারা তাদের শত্রুদের ঘৃণা করে তাদের রক্তের গঙ্গা বইয়ে ছাড়ে, কেননা মানুষ ত্রুদ্ধ হয়ে হিংস্র পশুতে রূপ লাভ করে৷ আমাদের মধ্যে কোনো শান্তি বলতে নেই৷ শান্তির পয়গাম আমরা যতই দেই না কেন খুনাখুুনিতে কম করি না৷ সকলেই খুনি, তাদের হৃদয় থাকে ঘৃণায় ভরা, ডুবে থাকে অহংকার ও ঈষায় কেননা তারা জানেই না যে খোদা হলেন মহব্বত, সত্য ও পবিত্র৷ সত্য উপলব্ধি করার সংবেদ তারা হারিয়ে ফেলেছে, তাদের না আছে বিশ্রাম না আছে মন, তরা জটিল পরিস্থিতিতে মান পতনের অতলে নিজেদের ডুবিয়ে রেখেছে৷
রোমীয় ৩:১৮
১৮ তারা আল্লাহকে ভয়ও করে না৷
তারাই বোকা যারা খোদাকে চেনে না৷ আর যারা তাকে ভয় পায় না তারা আসলে জ্ঞান হারা, কেননা খোদা ভয় জ্ঞানের আরম্ভ, আর পবিত্র জনের বিষয়ক জ্ঞান বয়ে আনে প্রকৃত বোধ শক্তি৷ বর্তমানে অবিশ্বাস ক্রমাগত বেড়েই চলছে, আর মানুষের আচরণ দেখে মনে হয় খোদার অস্তিত্ত্ব বলতে কিছু নেই৷ আশ্চর্য হবার কিছুই নেই, পাপ যতোই বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরাধের বিস্তৃতি পথে ঘাটে মারাত্মকভাবে বেড়ে চলছে, দেখা যাবে পত্রপত্রিকায় আর মানুষের হৃদয় মনে ফুটে ওঠে এর বিরূপ প্রুতিক্রিয়া৷
রোমীয় ৩:১৯-২০
১৯ আমরা জানি মূসার শরীয়ত তাদেরই জন্য দত্ত যারা সেই শরীয়তের অধীন৷ ফলে ইহুদি কি অ-ইহুদী কারও কিছু বলবার নেই, সব মানুষই আল্লাহর কাছে দোষী হয়ে আছে৷ ২০ শরীয়ত পালন করলেই যে আল্লাহ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করবেন তা নয়, কিন্তু শরীয়তের মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের গুনাহের বিষয়ে চেতনা লাভ করে৷
নবীদের যুগে ধার্মিক কেবল পাপীই ছিল, কেননা শরীয়ত তাদের কাছে দেয়া হয়েছিল তাদের পাপের বিষয়ে চেতনা দেবার জন্য৷ এটা সত্য যে, শরীয়ত সর্বপ্রকার আশির্বাদের পয়গাম বয়ে এনেছে তাদের জন্য যারা সঠিকভাবে তা পালন করতে পারে৷ কিন্তু কোনো মানুষই তা পুর্ণাঙ্গভাবে পালন করতে পারে না৷ আমরা যখন আমাদের শক্তিতে তা পুণর্গঠন করতে চাই, তখন আমাদের খারাপ দিকগুলো আমাদের রক্তে প্রবাহিত হতে শুরু করে৷ আমরা সকলে খোদার শাস্তি পাওয়ার যোগ্য৷ আমাদের সত্ক্রিয়াগুলো আমাদের স্বার্থপরাতার দ্বারা নোংরা হয়ে আছে, আর আমরা খোদার কাছ কোনো অনুগ্রহ পাবার যোগ্যতা আমাদের নেই৷ পৌলের এমন বক্তব্যের সাথে আপনি কি ঐকমত্য পোষণ করেন? আর একবার পড়ুন, যেখানে তিনি লিখেছেন, তোমার উচিত বিজ্ঞ ও ভগ্নান্তকরণের অধিকারী হওয়া৷
প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই এ জন্য মসিহের মাধ্যমে তুমি আমাদের প্রত্যাশায় জাগ্রত করেছো যেন আমরা না হই উচ্ছৃঙ্খল না হই হতাশাবাদী৷ আমরা আমাদের হৃদয়ে নোংরা বিষয় বহন করছি, জিভে, হাতে, পায়ে এবং চোখে সবকিছুই আমাদের কলুষিত৷ আমি কত ভয়ানক নোংরা৷ আমার পাপ ক্ষমা করো, তোমার পবিত্রতা আমার চোখের সামনে তুলে ধরো যার ফলে অহমিকার তলানি পর্যন্ত নিশেষিত হয়ে যায়, যেন কেবল তোমারই সেবা আরাধনা করে চলতে পারি৷ হে প্রভু, আমার পাপের কবল থেকে আমাকে সম্পূর্ণরূপে অবমুক্ত করো৷
প্রশ্ন:
অভীৰা - ১
প্রিয় পাঠক,
পৌলের লেখা রোমীয় জামাতের কাছে পত্রের বিশ্লেষণ আপনার পাঠের মাধ্যমে আপনি এখন সক্ষম হয়েছেন নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য৷ নিম্নের বণর্ীত প্রশ্নগুলোর ৯০% ভাগও যদি সঠিক হয় তবে আমরা অত্র পুস্তকের দ্বিতীয় ভাগ আপনাকে পাঠিয়ে দেব৷ আপনার জবাবপত্রে আপনার পুরো নাম ঠিকানা লিখতে ভুলবেন না৷
- ১. রোমীয়দের কাছে পত্র লেখার কারণ এবং উক্ত পত্রের শেষে কি আছে?২. রোমে কে জামাত প্রতিষ্ঠা করেছে?৩. কে এই পত্রটি লিখেছেন? কোথায় এবং কখন?৪. কোন পদ্ধতিতে এ পত্রটি লেখা হয়েছে?৫. এ পত্রের খসড়া চিত্র কি?৬. পৌল নিজের জন্য কোন উপাধি গ্রহণ করেছেন পত্রের প্রথম বাক্যাংশে?৭. মসিহের 'খোদারপুত্র' এ উপাধিতে কী বুঝানো হয়েছে?৮. রহমত বলতে কী বুঝা যায়, আর এ প্রসঙ্গে মানুষের দিক থেকে কী জবাব রয়েছে?৯. আশির্বাদ সূচক কোন বর্ণনাটি আপনার কাছে গ্রহণ যোগ্য মনে হয়েছে এবং সবচেয়ে অধিকগুরুত্বপূর্ণ ও আপনার জীবনের সাথে সম্পৃক্ত মনে হচ্ছে?১০. সর্ব সময়ে পৌল কেন খোদাকে ধন্যবাদ জানাতেন?১১. কখন এবং কখন কখন খোদা পৌলের পরিকল্পনা কার্যকর করতে বাধা দিতেন?১২. আয়াত নং ১৬তে কোন বক্তব্যটি আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? এবং কেন?১৩. খোদার ধার্মিকতা কীভাবে আমাদের বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত?১৪. খোদার গজব প্রকাশের কারণ কি?১৫. যে ব্যক্তি খোদাকে মানে না সে কেন নিজের জন্য পার্থিব দেবতা খুঁজে নেয়?১৬. অনুপযুক্তভাবে খোদার আরাধনার প্রতিফল কী দাড়ায়?১৭. খোদার গজবের বর্ণনা দিতে গিয়ে পৌল কীভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন?১৮. পাপের তালিকায় ৫টি পাপ, ওগুলো কি কি? এদের মধ্যে কোনটি বর্তমান বিশ্বে সর্বত্র দেখা যায়?১৯. মানুষ অন্যকে বিচার করতে গিয়ে কীভাবে নিজেকে দোষী সাব্যস্থ করে?২০. খোদার বিচারের বিষয়ে কোন গোপন রহস্যটি পৌল আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন?২১. শেষ বিচারের দিনে ঐশি নীতি কি হবে?২২. শেষ বিচারের দিনে খোদা ইহুদিদের সাথে বিচার নিস্পন্ন করবেন৷২৩. শরীয়তের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি যা ইহুদিদের জন্য রয়েছে প্রযোজ্য?২৪. শরীয়ত ও রহমতের যুগে ত্বকছেদের অর্থ কী?২৫. মুল বিপরীতধমর্ী প্রশ্ন এ পত্রে কি রয়েছে, আর ওগুলোর জবাব কী হবে?২৬. পৌল কীভাবে আমাদের পাপের বিশ্লেষণ করেছেন আর মানুষই হলো সর্বতোভাবে দোষী তা কিভাবে প্রকাশ করেছেন?
যদি আপনি সকল বইয়ের পাঠশেষে প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে থাকেন, আর আমাদের কাছে তা প্রেরণ করেন তবে আমরা আপনাকে একটি প্রশংসা পত্র পাঠিয়ে দেব৷
রোমীয়দের কাছে পৌলের লেখা পত্রের ওপর গবেষণা
ধমর্ী অধ্যায়নের উচ্চতর প্রশিক্ষনের প্রশংসাপত্র
আপনার ভবিষ্যতের মসিহের সেবা কাজে ব্যবহারের জন্য উত্সাহ ব্যঞ্জক পত্র৷
আমরা অনুরোধ জানাই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আর এ পাঠ অনন্তকালের জন্য আপনার কাছে বড়ই মূল্যবান সম্পদ৷ আমরা আপনার জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম৷
আমাদের ঠিকানা
ওয়াটার অব লাইফ
পোষ্ট অফিস বক্স নং ৬০০৫১৩
৭০৩০২ স্টুর্টগাট
জার্মানী