Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- The Ten Commandments -- 13 Conclusion: The Law and the Gospel
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian -- Azeri -- Baoule? -- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- Farsi? -- Finnish? -- French -- German -- Gujarati -- Hebrew -- Hindi -- Hungarian? -- Indonesian -- Kiswahili -- Malayalam? -- Norwegian -- Polish -- Russian -- Serbian -- Spanish -- Tamil -- Turkish -- Twi -- Ukrainian? -- Urdu? -- Uzbek -- Yiddish -- Yoruba?
ব্যাখ্যা ৬: দশ আজ্ঞা - মানুষকে অপরাধের কবল থেকে রক্ষা করার প্রতিরক্ষা কবজ সম দেয়াল৷ প্রথম খন্ড
সুসমাচারের আলোকে হিজরত পুস্তকের ২০ অধ্যায়ে বর্ণীত দশ শরীয়তের ব্যাখ্যা

১৩ - উপসংহার: সুসমাচারের তরিকা



কোনো এক ধমর্ীয় শিক্ষক মসিহকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'শরীয়তে সবচেয়ে বড় আইন (হুকুম) কোনটি? মসিহ কিতাবুল মোকাদ্দসের দ্বিতীয় বিবরণ নামক পুস্তকের ৬:৫ এবং লেবিয় পুস্তকের ১৯ ঃ ১৮ আয়াতের বরাত দিয়ে জবাব দিয়েছিলেন, 'প্রভু যিনি তোমার খোদা তাকে সর্বান্তকরণে মহব্বত করবে, অর্থাত্‍ তোমার সমস্ত মন, সমস্ত আত্মা ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে ভালোবাসবে আর তোমার প্রতিবেশিকে নিজের মতো প্রেম করবে৷'

এ বাক্যের মধ্য দিয়ে মসিহ দশ আজ্ঞাকে সংক্ষেপ করেছেন৷ দশ আজ্ঞার প্রথম অংশ প্রকাশ করছে খোদার সাথে আমাদের সম্পর্ক, তাছাড়া তিনি আমাদের নির্মাতা, নাজাতদাতা, ও স্বান্ত্বনাদানকারী তা প্রকাশ করেছে, আর দ্বিতীয় অংশে প্রকাশ করেছে আমাদের সহমানবের সাথে সম্পর্ক যা পরিষ্কারভাবে বর্ণনা দিয়েছেন আমাদরে দায়িত্ব ও কর্তব্য তাদের প্রতি৷

মসিহ হতবিহ্বল করার জন্য কোনো নেতিবাচক জবাব দেন নি উক্ত ধার্মিক ব্যক্তিটিকে৷ তিনি এমন কথা বলেন নি যে আমাদের ঐ সকল কাজ না করা বা এড়িয়ে চলা উচিত বরং আনন্দ ও উত্‍সাহের সাথে তিনি শরীয়তের পূর্ণতার পক্ষে প্রেরণা যুগিয়েছেন৷ তিনি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যা কিছু আমাদের করণীয় সেদিকে যেন এগিয়ে চলি৷ উভয় আজ্ঞার সারমর্ম হলো একটি লক্ষ্যে এগিয়ে চলা৷ খোদা ও সহমানব আন্তরিক মহব্বতে আবদ্ধ রাখা৷ আসুন, আমরা নিজেদের পরিক্ষা করে দেখি, কতোটা সত্য ও আন্তরিকতার সাথে আমরা খোদা ও মানুষকে মহব্বত করে চলছি, এমন কি আমাদের শত্রুদের পর্যন্ত কতোটা ভালোবাসতে পেরেছি৷ এ প্রসংগে আমাদের কাছে দশ আজ্ঞা বাস্তবায়নের বিষয়টি পরিষ্কার হতে বাধ্য৷


১৩.১ - আসলে কি আমরা খোদাকে মহব্বত করি?

খোদার প্রতি মহব্বত হলো সবচেয়ে ব্যাপক ও জরুরী ও অত্যাবশ্যক আজ্ঞা যা পালন করতে গিয়ে আমাদের নিজস্ব অর্থ, সময়, পরিকল্পনা নিজস্ব বলতে কিছুই থাকতে পারে না যদি সত্যিকারার্থে আমরা খোদাভক্ত হয়ে থাকি৷ আমরা আত্মা পেয়েছি, পেয়েছি দেহ ও রূহ কেবল তাঁরই কাছ থেকে; আমাদের কামনা, ইচ্ছা ও প্রত্যাশা গঠন ও পরিপূর্ণতা লাভ করে কেবল তাঁরই প্রেমের ফলে৷ আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত পূতপবিত্র খোদা যিনি আমাদের নির্মাতা এবং পাপের কবল থেকে যিনি আমাদের উদ্ধার করেছেন সেই নাজাতদাতা৷ তাঁকে বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলতে এমন কিছুই নেই৷ আমাদের খোদা নিজ গৌরব রক্ষণে উদযোগী, তিনি পরিপূর্ণ প্রেম ও অখন্ড আনুগত্য আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন৷ আমাদের আনুগত্য ভাগ করে অন্য কাওকে দেব তা তিনি সহ্য করতে পারেন না৷ সুতরাং আমাদের এ প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হবে; খোদা যেমন আমাদের ভালোবেসেছেন এবং অদ্যাবধি ভালোবেসে চলছেন, আমরা কি তেমন পরিমাণ ও মাপের প্রেম করি তাকে? আসলে কতোটা প্রেম রয়েছে আমাদের হৃদয়ে তাঁর প্রতি? ভাবাবেগে আপ্লুত হয়েই কি আমরা তাকে প্রেম করি, অথবা চিন্তার রাজ্যেই রয়েছে তাঁর প্রতি আমাদের প্রেম, আমরা তাঁর কালাম নিয়ে কি নিত্যদিন ধ্যান গবেষণা করে থাকি যার ফলে আমরা তাকে আরও গভীরভাবে জানতে পারি, জানতে পারি তার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা আর আমরাও তার সাহায্যে আজ্ঞানুযায়ী তাঁর পথে তাঁর গৌরভে চলতে পারি? আসুন আমরা আমাদের গোটা সত্ত্বা দিয়ে তাঁর গৌরব প্রশংসা করি, কেননা কেবল তাঁর প্রদত্ত রহমত আমাদের নতুন জীবন ও নতুন পথে চলার তৌফিক দান করেছে৷ আমরা যা কিছুই করি না কেন, তার দ্বারা আমরা তাকে সম্মান দান করি, আর যে সকল কাজ থেকে আমরা বিরত থাকি তাও তাঁরই সম্মানার্থে করে থাকি, পরিপূর্ণ মাগফেরাতের জন্য আমরা তাকে দেই ধন্যবাদ, তিনি আমাদের কৃত নানাবিধ পাপ অপরাদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন, পাপের মাশুল শোধ করেছেন, যা কিছু করেছেন বিনামুল্যে কেবল ঈসা মসিহের জানের মুল্যে৷ আমরা তাঁর প্রশংসা করি, কেননা আনন্দ, শান্তি ও অনন্ত স্বান্ত্বনাদানকারী পাকরূহকে আমাদের হৃদয়ে সর্বদা বাস করার জন্য তিনি প্রেরণ করেছেন৷ আমাদের প্রেম যথেষ্ট নয়৷ আমরা সদাসর্বদা খোদাকে মহব্বত করি না এবং হৃদয়-মন দিয়েও তা করি না৷ তাই অবশ্যই তাঁর সাহায্য চাওয়া আবশ্যক তাকে মহব্বত করার জন্য যতটুকু মহব্বত তাকে আমাদের করা উচিত৷ হযরত পৌল প্রকাশ করেছেন, কীভাবে খোদা আমাদরে প্রার্থনার জবাব দিয়ে থাকেন, 'কারণ আল্লাহ তাঁর দেওয়া পাক-রূহের দ্বারা আমাদের দিল তাঁরই মহব্বত দিয়ে পূর্ণ করেছেন (রোমীয় ৫:৫খ)৷ আমাদের বেহেশতি পিতা তাঁরই নিজস্ব মহব্বত তিনি আমাদরে হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন যেন তাকেও একইভাবে মহব্বত করতে পারি৷ যখন পাকরূহ আমাদের হৃদয়ে বাস করেনি তখনই তার প্রেমে আমাদের হৃদয় ভরে ওঠে৷


১৩.২ - আমরা নিজেরা নিজেদের যতোটা ভালোবাসি ততটা পরিমান আমাদের ভাইদের কি ভালোবাসি?

মহব্বতের রূহ আমাদের যোগ্যতা ও আন্তরিকতা দান করেন যার ফলে খোদার নজর দিয়ে আমরা আমাদের চারপাশের মানুষগুলোকে দেখতে পাই৷ আসুন, মসিহের দয়া তাদের কাছে প্রকাশ করি, গুনাহগারদের নাজাত করার জন্য ও তাঁর প্রেমের বিষয় তাদের কাছে বিশ্লেষণ করি৷ আমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করবো, তাদের সেবা করবো, যদি সত্যিকারার্থে আমরা তাদের প্রেম করে থাকি যেমন আমরা নিজেদের যতোটা প্রেম করে থাকি৷ আমাদের ক্ষুধার সময় খাদ্য পাবার জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা করে থাকি৷ আমরা ভয়ের স্থান থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাই৷ আমাদের ক্লান্তির সময় আমরা ঘুমিয়ে পড়ি৷ একইভাবে, মসিহের মহব্বত আমাদের নিয়ে চলে ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করার জন্য, হতাশাগ্রস্থদের সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য এবং ক্লান্ত অবসন্নদের স্বান্তনা দেবার জন্য৷ মসিহ সকলকে এতোটাই মহব্বত করেছেন যে তিনি নিজেকে আমাদের মত আমাদের স্তরে নামিয়ে এনেছেন৷ আমাদের মতোই তিনি হয়েছেন৷ তিনি পূর্ব থেকে আমাদের কাছে তাঁর পরিচয় তুলে ধরেছেন, তিনি রাজাদের রাজা, কোনো একদিন তাঁর অনুসারীদের বিচারের বিষয়ে প্রশ্ন করবেন, 'কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একেবারেই কসম খেয়ো না৷ বেহেশতের নামে খেয়ো না, কারণ তা আলস্নাহর সিংহাসন৷ দুনিয়ার নামে খেয়ো না, কারণ তা তাঁর পা রাখবার জায়গা৷ জেরম্নজালেমের নামে খেয়ো না, কারণ তা মহান বাদশাহর শহর৷ তোমার মাথার নামে খেয়ো না, কারণ তার একটা চুল সাদা কি কলো করবার ৰমতা তোমার নেই৷ তোমাদের কথার 'হ্যা' যেন 'হ্যা' আর 'না' যেন 'না' হয়; এর বেশি যা, তা ইবলিসের কাছ থেকে আসে৷ তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছে, 'চোখের বদলে চোখ এবং দাঁতের বদলে দাঁত৷' কিন্তু আমি তোামাদের বলছি, তোমাদের সঙ্গে যে কেউ খারাপ ব্যবহার করে তার বিরম্নদ্ধে কিছুই কোরো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে তাকে অন্য গালেও চড় মারতে দিয়ো৷ যে কেউ তোমার কোর্তা নেবার জন্য মামলা করতে চায় তাকে তোমার চাদরও নিতে দিয়ো' (মথি ৫:৩৪-৪০) এর পর... আমারই জন্য তা করেছিলে৷

খোদার প্রেম ও মানবের প্রেমের সম্মিলন ঘটিয়েছেন মসিহ তাঁর নিজের ব্যক্তিত্বের মধ্যে৷ আমরা যদি মসিহকে প্রশ্ন করি, তবে তিনি তাঁর মহব্বতের মাধ্যমে আমাদের পুষ্ট করবেন যাতে আমরা ও খোদা ও অভাবি মানুষগুলোকে প্রকৃত সেবা দান করে যেতে পারি৷ নাজাত লাভের জন্য তাঁর সেবা আমরা করি না বরং আমরা যে ইতোমধ্যে তাঁর রহমতে নাজাত পেয়ে গেছি সে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে স্বেচ্ছায় আমরা খোদা ও মানুষের সেবা করে চলছি৷ আমাদের প্রেমের ভিত্তি স্বধার্মিকতা যা ভালো কাজের দরুণ হয়েছে সাধিত, যেমনটা মুসলমি সমাজ মনে করেন, কিন্তু নাজাত সকলের জন্যই হয়েছে অর্জিত খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের জানের কোরবানির মূল্যে৷


১৩.৩ - আরো গভীর অর্থ

মসিহের দ্বারা অর্জিত নাজাতের সুসমাচার আমাদের চালনা করে মুসা নবীর শরীয়তের অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজে বের করার জন্য৷ অন্য কথায় বলতে গেলে, দশ আজ্ঞা নিজেদের ধ্বংস করার হাত থেকে রক্ষা করে এবং কেবল নিজেদের সুখ শান্তিতে ব্যস্ত থাকতেও বারণ করে৷ ধনি ব্যক্তিটিকে মসিহ বলেছেন, 'শরীয়ত পালন করুন, তবেই না আপনি অনন্ত জীবনের অধিকারী হবেন৷' নিঃসন্দেহে বলা চলে৷

আমরা যদি শরীয়ত নিয়ে ধ্যন-মনন করি তবে তেমন গবেষণার ফল দাঁড়াবে আমাদের সার্বিক অহংকার ধুলিষ্যাত হয়ে যাওয়া আর আমাদের খোদাভক্তি ও ধর্মানুরাগ কেবল প্রশ্ন বিদ্ধই হয়ে পড়বে৷ শরীয়ত যে কেবল জীবন বিধান তাই নয়, নিয়ত প্রেরণা ও তাগিদ যোগাচ্ছে খোদার হাতে সম্পূর্ণ সমার্পিত হতে এবং পাপের সংস্রব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে৷ প্রভু প্রায়শঃ বলেন, 'পবিত্র হও, কেননা আমি পবিত্র' 'আমি পবিত্র বলে তোমরাও পবিত্র হও' খোদা আমাদের ধার্মিকতার ভান দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেন না৷ তিনি কেবল ধার্মিকতা, যা অন্যান্য ধর্মের লোকদের জীবনে দেখা যায়, দেখেও তৃপ্ত হতে পারেন না৷ পরিবর্তে তিনি আমাদের জীবনের পরিবর্তন আননয়ন করতে চান, এবং আমাদের বিদ্রোহী মনোভাবের পরিবর্তন কামনা করেন, যাতে তার সুরত আমাদের মধ্য দিয়ে প্রতিভাত হয়ে উঠে৷ আর তা হতে হবে কথা ও কাজে৷ মসিহ আমাদের আজ্ঞা্ করেছেন, 'তোমাদের বেহেশতি পিতা যেমন খাঁটি তোমরাও তেমনই খাঁটি হও৷' আসলে, বিশেষভাবে আমাদের নজর কাড়তে চেয়েছেন, আমরা যেন আমাদের শত্রুদের প্রেম করি আর দুর্দশাগ্রস্থদের প্রতি করুণা প্রকাশ করি, যথা আমাদরে বেহেশতি পিতা আমাদের সাথে যেমন আচরণ করে চলছেন৷


১৩.৪ - শরীয়ত কি আমাদের অবক্ষয়ের কারণ?

কেউ যদি আমাদের কাছে খোদার যা কিছু চাহিদা রয়েছে তা যদি বুঝতে পারে, সে হয়ত ভয়ে কাপবে এবং নিজে নিজে বলবে, 'এমন কোনো মানুষ আছে কি যে কি না খোদাকে প্রেম করতে পারে যেমন করে তিনি আমাদের প্রেম করে চলছেন?' আর কেইবা আছে পূত পবিত্র যেমন আল্লাহপাক নিজে পূত পবিত্র? শরীয়ত আমাদের গোপন রহস্য প্রকাশ করে মাত্র৷ পবিত্রতার আয়না আমাদের সামনে তুলে ধরে যাতে আমরা আমাদের পাপ কালিমা পরিষ্কার দেখতে পাই৷ আত্মতৃপ্ত পাপীদের সচেতন করে তোলে খোদার বিচারে প্রত্যেকের জন্য ধার্য করা আছে পাপের শাস্তি৷ কেউ যদি শরীয়তের সব নিয়ম কানুনগুলো পালন করা সত্ত্বেও একটাতে ভুল করে তবে গোটা শরীয়ত ভঙ্গের দায়ে তাকে দোষী করা হবে৷

কেউ যদি দশ আজ্ঞার আলোকে নিজের জীবন পর্যালোচনা করে, ক্ষুদ্র থেকে বড় প্রতিমা যা কিছু তার দৈনন্দিন জীবনে স্থান করে আছে, সেগুলো হিসেব কষে দেখে, চিন্তা করে যদি দেখে যে সে কতোবার বিনা প্রয়োজনে খোদার নাম ব্যবহার করেছে, করেছে খোদার নাম কলঙ্কিত, তবে সে সাথে সাথে বুঝতে পারবে, ইত্যেমধ্যে বহুপূর্বেই পাপের শাস্তি মৃতু্যদন্ড ধার্য করা হয়েছে৷ কেউ যদি খোদার পবিত্রতার সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারে তবে সে হবে সম্পূর্ণ হতাশ, মন্তব্য করবে, শরীয়ত দেয়া হয়েছে প্রত্যেকটি ব্যক্তির ধ্বংসের কারণে৷

শরীয়ত আমাদের পাপ পঙ্ক প্রকাশ করে যেন আমরা অনবরত তওবা করে জীবন-যাপন করে চলি৷ শরীয়ত আমাদের স্বোপর্জিত ধার্মিকতার অহংকার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেব৷ আমরা পূতপবিত্র খোদার দরবারে ভিত সন্ত্রস্থ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকি, আর বুঝতে পারি আমাদের স্বধার্মিকতার উপর ভিত্তি করে আমাদের বিচার করা হচ্ছে না, কিন্তু তার মহান অনুকম্পার ওপর নির্ভর করে আমাদের ধার্মিক বলে বিবেচনা করেন৷ আমাদের মৌলিক বিষয় বুঝতে হবে, মসিহি হিসেবে আমরা আর শরিয়তের ওপর নির্ভর করে ন্যায়বান বলে গৃহীত হতে পারি না, বরং মসিহের মাধ্যমে খোদার সীমাহীন প্রেমের কারণে বিশ্বাসহেতু আমরা সকলেই হতে পেরেছি ধার্মিক৷

তরিকা প্রদানকারী ইয়াহিরার কাছে মসিহ নিজে এসেছিলেন আর যারা তওবা করে ইয়াহিয়ার কাছে জর্দান নদীতে অবগাহন নিয়েছিলেন তাদের তিনি নিজের জন্য সাহাবি হিসেবে নিয়োগ দিলেন৷ যারা নিজের ধার্মিক বলে ঘোষণা দেয় তথা শরীয়ত পালনে পারদশর্ী তাদের মধ্য থেকে কাওকে তিনি তাঁর সাহাবি হিসেবে মনোনয়ন দেন নি৷ তিনি বাছাই করেছেন তাদের যারা পাপ স্বীকার করতে এবং পাপের পথ ত্যাগ করে খোদার ভয়াবহ বিচারের হাত থেকে বাঁচতে আগ্রহী এবং যারা তাদের পুরাতন স্বভাবও ঐ সকল পুরাতন মন্দতা তরিকাবন্দি নেবার জলে ডুবিয়ে দিয়েছে৷ রুহানিভাবে তাদের পুনগঠনের ক্ষমতা মসিহের রয়েছে, রয়েছে পাপের গজব থেকে রক্ষা করার এবং শরীয়তের কবল থেকে মুক্ত করার ইচ্ছা ও পরাক্রম৷ যারা সত্যিকারার্থে অনুতপ্ত ও তরিকাবন্দি নিয়েছেন তাদেরকেই মসিহ পর্বতের শৃঙ্গ পর্যন্ত উঠিয়েছিলেন, এবং নিজের একানত্ম সহভাগিতায় যুক্ত করেছিলেন৷ শরীয়ত তার কার্য পূর্ণ করেছে৷ তাই শরীয়ত প্রণেতা নিজেই নেমে আসলেন এবং নিজেই সাহাবীদের পক্ষ হয়ে পাপের শাস্তি নিজস্কন্ধে বহন করলেন৷ মসিহ শরীয়তের দাবি-দাওয়ার নিজেই পরিপূর্ণতা দিলেন৷ আর এ কাফফারা পরিশোধ দেয়ার ফলে তারা সকলে মসিহের প্রশংসা গানে থাকে মুখরিত৷ খোদা আমাদের সাথে অবস্থান করেন৷ যিনি সার্বিকদিক দিয়ে খাঁটি তিনিই আমাদের মতো কলুষিতদের কাছে নেমে এসেছেন৷ বিচারক নিজেই নাজাতদাতার ভুমিকায় নিচু হয়ে গুনাহগারদের কাছে নেমে এসেছেন রক্ষা করার জন্য৷


১৩.৫ - মসিহের দ্বারাই হলো শরীয়তের পূর্ণতা

মুসার শরীয়তের প্রশ্নে মসিহ কী করেছেন? তিনি শতভাগ পরিপূর্ণ করেছেন যা আর কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না শতভাগ পালন করা৷ তিনি বিনম্র ও পরিতৃপ্ত থাকতেন৷ পার্থিব সম্পদ অর্থাত্‍ অর্থকড়ি তাকে কখনোই নিয়ন্ত্রন করতে পারে নি৷ সদাসর্বদা তিনি তাঁর বেহেশতি পিতার গৌরব প্রশংসা করতেন৷ ঈসা মসিহ পিতার শ্রেষ্ঠ নামগুলো ১৬৮ বার বলেছেন৷ সুসমাচারে দেখা যায় পিতাই হলেন মসিহের জীবনে একমাত্র লক্ষ্যবিন্দু৷ পিতার মহব্বত ও পুত্রের মহব্বত ঐকে মিলে পেয়েছে প্রতিষ্ঠা, যেমন মসিহ বলেছেন, 'আমি আর পিতা এক' পিতা আমার মধ্যে আছেন আর আমি পিতার মধ্যে আছি' পিতার প্রেম এবং পবিত্রতা দেহে রূপ নিয়েছে ঈসা মসিহের মাধ্যমে, তাই মসিহ বলেছেন, 'যে কেহ আমাকে দেখে সে পিতাকেও দেখে৷'

মসিহ তাঁর মাকেও ভালোবেসেছেন এবং সবসময় তার বাধ্য ছিলেন তিনি তার সাথে থাকতেন, যেমন কোরান বর্ণনা দেয় (সুরাহ মরিয়মের মধ্যে ১৯:৩২)

মসিহ তাঁর শত্রুদেরও মহব্বত করতেন, তিনি কখনোই তাদের নিয়ে কঠোর সমালোচনা করতেন না বরং প্রকৃত সত্য তাদের কাছে প্রকাশ করতেন৷ দাউদের ও মুহাম্মদের মতো তিনি বিবাহ করেন নি৷ খাজনা আদায়কারী ও পাপীদের সাথে ওঠা বসা ও খাওয়া দাওয়া করতেন এবং তাদের অনুতাপের জন্য চেতনা দিতেন৷ তার নিজস্ব কোনো ঘোড়া ছিল না, তিনি তার বন্ধুদের বলেছিলেন একটা গাধা চেয়ে আনতে যেন তাতে চড়ে তিনি জেরুযালেমে প্রবেশ করতে পারেন৷ কথায় কাজে তিনি বেগুনাহ পূতপবিত্র জীবন যাপন করেছেন৷ কোনো মিথ্যাচার, মন্দ অভিলাষ, বা লুকানো অশুভ পরিকল্পনা কখনোই তার পবিত্রতা ও খাঁটি স্বভাবকে কলুষিত করতে পারে নি৷ তিনি প্রেম করেছেন, প্রেম করেছেন সকলকে আর এভাবেই সকলকে এক নজরে দেখেছেন, ফলে তিনিও সকলের কাছে এক হতে পেরেছেন৷ তিনি জানতেন, বিশ্বের পাপের প্রায়শ্চিত্ত পরিশোধকল্পে তিনি নিজের পূতপবিত্র জীবন কোরবানি দিতে চলেছেন, নাজাতদানকল্পে বিশ্বের তাবত্‍ গুনাহগারদের জন্য তার জীবনদান অর্থাত্‍ তাঁর মৃতু্য প্রমাণ করে শরীয়তের সকল দাবি-দাওয়ার ঘটলো পরিসমাপ্তি৷ 'কেউ যদি তার বন্ধুদের জন্য নিজের প্রাণ দেয় তবে তার চেয়ে বেশী মহব্বত আর কারো নেই (ইউহোন্না ১৫:১৩)

খোদার পাকরূহের দ্বারা মসিহের জন্ম হয়েছে, উদ্দেশ্য হলো মানুষের পক্ষে শরীয়তের দাবি-দাওয়ার পরিপূর্ণতা দান করা৷ তিনিই স্বেচ্ছায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন, বেগুনাহ খোদার ঐশি মেষ হিসেবে মানুষের পাপের বোঝা বয়ে নিয়ে কোরবানি হতে৷ তিনি সকল পাপ সম্পূর্ণভাবে নিজের ওপর তুলে নিলেন, তা্ মসিহ হলেন শরীয়তের পরিপূর্ণতা অর্থাত্‍ তাঁর মধ্য দিয়ে শরীয়ত পেল পরিপূর্ণতা৷ হযরত পৌল তাই লিখেছেন, 'মসিহই শরীয়ত পূর্ণ করে তার শক্তি বাতিল করেছেন, যেন তাঁর ওপর যারা ঈমান আনে তারা আল্লাপাকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় (রোমীয় ১০:৪)৷ মসিহের প্রতিনিধিত্ব মূলক মৃতু্যতে যারা বিশ্বাস করে, শরীয়ত তাদের আর দোষী করতে পারে না, কেননা শরীয়তের বাধ্যবধকতা থেকে এখন তারা মুক্ত৷ মসিহের সাথে তারাও শরীয়তের কাছে মৃত৷ এখন পুত্র যদি কাওকে মুক্ত করে বা নাজাত দান করে তবেই সে সত্যিকারার্থে মুক্ত, ফলে খোদার গজব আর তার ওপর পতিত হবার নয়৷ মসিহের অনুসারিগণ ইতোমধ্যে ন্যায়বান বলে ঘোষিত হয়ে গেছেন, কেয়ামতের বিচার দিনে তারা সম্পূর্ণ বেগুনাহ বলে বিবেচিত ও অতিক্রান্ত হবে৷ মসিহ একবারই স্বীয় জানের কোরবানি দিয়ে তাঁর অনুসারীদের চিরতরে মুক্ত করেছেন৷ যারা মসিহকে প্রত্যাখ্যান করে. সেই ভয়াভহ শেষ বিচারের দিনে, তারা মসিহের সামনে দাঁড়াবে আর বড় বড় পাহাড়কে বলবে আমাদের ঢেকে দাও, 'তারা পাহাড় ও পাথরগুলোকে বলল, আমাদের ওপরে পড় এবং যিনি সেই সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর মুখের সামনে থেকে এবং বেড়ার বাচ্চার গজব থেকে আমাদের লুকিয়ে রাখ, কারণ তাঁদের গজব নাজেলের সেই মহান দিন এসে পড়েছে, আর কে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে?;'(প্রকাশিত কালাম ৬:১৬; লুক ২৩:৩০)৷ খোদার বেগুনাহ মেষের দ্বারা যারা মুক্ত হতে চায় না তারা স্বাভাবিক কারণে খোদার গজব ও শরীয়তের দায়ে হচ্ছে পিষ্ট এবং কেয়ামতের ভয়াভহতা করছে তাদের জন্য অপেক্ষা৷

এমনকি মুহাম্মদ নিজেও বেহেশতে প্রবেশের নিশ্চয়তা দিতে পারে নি নিজের জন্য ও তার অনুসারীদের জন্য৷ তিনি নিজেকে হতভাগ্য বলে মনে করেছেন কেয়ামতের বিচারের সম্মুখে, আর বলেছেন প্রত্যেক মুসলমান দোযখে প্রবেশ করতে বাধ্য, আর তথাকার শরীর ঝলসে বা পুড়ে দেয়া আগুনের জ্বালা সইতে হবে৷ তার ভালো কাজের জন্য (সুরাহ মরিয়ম ১৯:৭১)৷ কোনো মুসলমানের জন্য নাজাতের কোনো আশা নেই, কেননা তাদের আশা ভরসা হলো শরীয়ত পালনের মাধ্যমে অর্জিত, আর কেউই গোটা শরীয়ত পূর্ণাঙ্গ ও নিখুঁতভাবে গোটা জীবন ধরে কেউই পারে নি পালন করতে৷ মসিহ ঘোষণা দিচ্ছেন, 'যে কেউ পুত্রের ওপর ঈমান আনে সে তখনই আখেরী জীবন পায়, কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও পাবে না, বরং আলস্নাহর গজব তার ওপরে থাকবে' (ইউহোন্না ৩:৩৬)৷

মসিহিদের অবস্থা তাহলে কী হবে? তারা কি মুসলমানদের চেয়ে এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বি যারা পাপের কবলে কবলিত, তাদের চাইতে উত্তম? মসিহিগণ তাদের সকল পাপের কথা স্বীকার করেছে এবং নিজেদের ক্রীতকর্মের জন্য বড়ই অনুতপ্ত৷ রুহানিভাবে তারা সম্পূর্ণ আশাহত, ভেঙ্গে পড়া, আর কখনোই তারা ভুলতে পারে না আসলে তারা কারা এবং অতীতে তাদের অবস্থান কোথা ছিল৷ তাদের অহমিকা খোদার পুত্র মসিহের সলিব থেকে ক্ষরিত রক্তের বন্যায় ভেসে গেছে৷ তাই মসিহের কাছ থেকে তারা অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা পেয়ে গেছে৷


১৩.৬ - মসিহের শরীয়ত আমাদের হৃদয়ে

প্রভুর প্রশংসা হোক! মসিহ, যিনি শরীয়তের পূর্ণতা দানকারী, তাঁর শিষ্যদের প্রতি অনুকম্পা প্রকাশ করলেন, এবং ঐশি শরীয়ত তাদের মনে লিখে দিলেন আর হৃদয় ভরে দিলেন পাকরূহে৷ তারা ধার্মিক বলে গণ্য হওয়ার ফলে তারা শরীয়ত বাদ দিয়ে মুহুর্তের জন্যও চলে না অথবা শরীয়তের ক্রীতদাসেও পুনরায় বন্দি হিসেবে চলে না৷ মসিহই নিজে তাদের হৃদয় জীবন ব্যবস্থা লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তাদের জীবন গুছিয়ে দিয়ে চলছেন, 'তোমাদের একটি নতুন আজ্ঞা দিচ্ছি, আর তা হলো পরষ্পর মহব্বত করবে, যেমন আমি তোমাদের মহব্বত করি তেমনি তোমরাও প্রত্যেকে একে অন্যকে প্রেম করবে৷ পারষ্পরিক প্রেমের মধ্য দিয়ে সকলে বুঝতে পারবে যে তোমরা আমার সাহাবি, যদি সত্যিকার প্রেমে তোমরা আবদ্ধ থাকো৷' এ আজ্ঞার মাধ্যমে মসিহ দশ আজ্ঞাকে সারসংক্ষেপ করেছেন এবং সহজবোধ্য করেছেন৷ রোমীয় পত্রে ১৩:১০ আয়াতে হযরত পৌল লিখেছেন, ' মহব্বত করলে কেউ কারো ক্ষতি করে না৷ তাহলে দেখা যায়, মহব্বতের মধ্য দিয়ে সমস্ত শরীয়ত পালন করা হয়৷'

মসিহের অতুলনীয় আজ্ঞা সাহাবিদের কাছে ভীতির কোনো কারণ ছিল না, কেননা মসিহ তাদের রুহানি শক্তি প্রদান করেছিলেন উক্ত আজ্ঞা পালন ও পূর্ণতা দানের জন্য৷ হযরত পৌল যিনি তৌরাতের একজন বড়মাপের পণ্ডিত ছিলেন, এ সত্যটি প্রকাশ করেছেন, 'জীবনদাতা পাক-রূহের নিয়মই ঈসা মসিহের মধ্য দিয়ে আমাকে গুনাহ ও মৃতু্যর নিয়ম থেকে মুক্ত করেছেন (রোমীয় ৮:২)৷ খোদার রূহ মসিহের অনুসারীদের জীবনে রুহানি ফল উত্‍পাদন করে মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুন, দয়ার স্বভাব, ভাল স্বভাব, বিশ্বস্ততা, নম্রতা ও নিজেকে দমন৷ আলোর সন্তানদের জীবনে মসিহের ক্ষমতা সহজেই প্রতিভাত হয়ে থাকে প্রত্যেকটি ভালো কাজ, ধার্মিকতা এবং সত্যের মাধ্যমে (গালাতীয় ৫:২২, ইফিষীয় ৫:৯)৷ পূরে পূর্ণ লোকের যেভাবে চলা উচিত তোমরা সেইভাবে চল, কারণ যা ভাল, ধার্মিক ও সত্য তা-ই হলো নূরের ফল'৷ মসিহিগণ আর শরীয়তের অধিনস্ত ক্রীতদাস নয়৷ তারা অবশ্য কানুন বিবর্জিত লোকও নয়, কেননা মসিহের কানুন তাদের মধ্যে রয়েছে বিরাজমান এবং একই সময় তিনি তাদের রুহানি ক্ষমতা যোগান দিয়ে চলছেন তা পরিপূর্ণ করার জন্য৷


১৩.৭ - মসিহকে প্রচার করার ওপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন৷

যারা রহমতে নাজাতপ্রাপ্ত তাদের মসিহিপ্রেম নিয়ত পরিচালনা করে চলছে৷ তারা যেন আর নিজেদের জন্য জীবন-যাপন না করে, বরং মসিহের ধার্মিকতা সকল মানুষের কাছে প্রচার করে ও তুলে ধরে৷ আমাদের মধ্যে মসিহের প্রেম যখন পুষ্ট হয় তখন প্রশংসা ও প্রার্থনার সাথে মসিহের বিষয় সকলের কাছে প্রকাশ করা জীবনের অপরিহার্য কর্মে রূপ লাভ করে৷ তাঁর সাহাবিগণ গোটা বিশ্বে সুসমাচার ও তার শরীয়ত প্রচার করণার্থে ছড়িয়ে পড়েছেন৷ শরীয়ত প্রমাণ করে মানুষের পাপাচার ও হীনমন্যতার বিষয়ে ও তার জন্য প্রাপ্য শাস্তি ও ঘোষণা করে, আর সুসমাচার ঘোষণা দেয় মসিহের কথা আমাদের অন্তদৃষ্টির কাছে৷ সুসমাচার দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা দিচ্ছে, মসিহের করুণায় আমরা বিচার ও দোষের কবল থেকে হয়েছি মুক্ত৷ মসিহ নিজেই আমাদের হয়ে শরীয়তের দাবি-দাওয়া পূর্ণ করেছেন, আর আমাদের জীবনে যোগান দিয়েছেন তাঁর অসীম অনুকম্পার পারাবার থেকে নিজস্ব ধার্মিকতা৷ তাই আমরা বিনষ্ট ও পতিত লোকদের কাছে কৃতজ্ঞতাভরে ছুটে যাই অনন্তজীবনের প্রত্যাশা নিয়ে৷ আমরা মুসলমান এবং ইহুদিদের কাছে পয়গাম রাখি এবং তাদের উত্‍সাহ দেই, '... আপনারা দুঃখ করবেন না, কারণ মাবুদের দেওয়া আনন্দই হলো আপনাদের শক্তি' (নাহমিয়া ৮:১০)৷ অনুধাবন করুন, বুঝতে চেষ্টা করুন, আপনার নাজাত ইতোমধ্যে প্রস্তুতকৃত অবস্থায় অপেক্ষামান! বিশ্বাসে কেবল বরণ করুন৷ আপনার আর হতাশায় জীবন যাপন করতে হবে না, যেমন বহুজন শরীয়তের চাপে পিষ্ট হয়ে ধুকে ধুকে জীবন পথে চলছে, আর যারা মসিহের দ্বারা গৃহীত বেগুনাহ জীবন যাপন করে চলছে, দোযখের কোনো সাধ্য নেই তাদেরকে স্পর্শ করে৷ মসিহ তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ও আজাব নিজের স্বন্ধে তুলে নিয়েছেন আর খোদার গজব সলিব বহন করেছেন৷ 'প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা' (ইয়ারমিয়া ২৩:৬)৷ তাঁর কাছে ছুটে আসুন৷ তাঁির ওপর বিশ্বাস করুন! তাঁর সাথে যুক্ত হোন! তিনি হলেন মূর্তমান শরীয়ত৷ তাঁর পূতপবিত্র রক্ত আমাদের সর্বপ্রকার পাপ কলঙ্ক মুছে ফেলে৷ তিনি তাঁর পুনরুত্থিত প্রেম আমাদের দান করেছেন এবং তার শক্তিও প্রদান করেছেন যেন বিশ্বস্তভাবে খোদা ও সকল মানুষ ভালোবাসতে পারি৷ 'মহব্বতের মধ্য দিয়েই সমস্ত শরীয়ত পালন করা হয়' (রোমীয় ১৩:১০)


১৩.৮ - প্রশ্ন

প্রিয় পাঠক:
মনোযোগ দিয়ে আপনি যদি এ পুস্তিকাটি পড়ে থাকেন, তবে সহজেই নিন্মের প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব দিতে পারবেন৷ আপনার অধ্যাবসায় ও শ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ আমরা উপহার হিসেবে আর একখানা পুস্তিকা আপনাকে পাঠিয়ে দেব৷ আপনার সঠিক নাম ঠিকানা সহ প্রশ্নের উত্তরপত্র আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন৷

০১৷ কিতাবুল মোকাদ্দসের উল্লেখসহ দশ আজ্ঞা লিখুন৷
০২৷ মসিহিগণ কেন দশ শরীয়ত সম্মান ও পালন করে?
০৩৷ খোদা শব্দের গভীর অর্থ কি যেমন তিনি শুরু থেকে ঘোষণা দিয়ে আসছেন 'আমি প্রভু'?
০৪৷ আল্লাহ ও এলোহিমের মধ্যে অর্থের কি কি পার্থক্য রয়েছে?
০৫৷ ইসরায়েল জাতির দাসগৃহ থেকে মুক্তিলাভের মধ্যে রুহানি তাত্‍পর্য কী রয়েছে৷
০৬৷ যারা রহমতে নাজাত লাভ করেছে তাদের কাছে দশ শরীয়ত সজোরে ভেঙ্গে ফেলা একটি বাধা মাত্র৷ ব্যাখ্যা করুন৷
০৭৷ আপনার সমাজে প্রচলিত কতিপয় আধুনিক প্রতিমার নাম উল্লেখ করুন৷
০৮৷ নবীদের গ্রন্থে ত্রিত্ত্বপাকের মধ্যে ঐক্যের বিষয়ে কী লেখা আছে?
০৯৷ কোরানে উল্লেখিত মসিহের ঐশিসত্তার বিষয়ে বর্ণনা দিন৷
১০৷ মসিহের অনুসারিদের মধ্য থেকে কী ভাবে তাঁর সুরত দৃষ্ট হবে?
১১৷ বিনা প্রয়োজনে মানুষ কিভাবে খোদার নাম অপপ্রয়োগ করে তার দৃষ্টান্ত দিন৷
১২৷ কোন ধরণের প্রার্থনা অনিশ্চিত?
১৩৷ ইসরায়েল জাতির প্রান্তরে বসবাসকালীন অবস্থায় পিতা মাতাকে অভিশাপ দিলে তার কোন ধরণের শাস্তি পেতে হতো?
১৪৷ প্রভুর দিন পালনের মাধ্যমে কি কি আশির্বাদ আমরা পেয়ে থাকি?
১৫৷ প্রভুর দিন পালনের সঠিক ব্যবস্থা কি?
১৬৷ মসিহিগন সপ্তাহের প্রথম দিনের পরিবর্তে সপ্তাহের শেষ দিনটিকে প্রার্থনার দিন হিসেবে ধার্য করলেন? এ পরিবর্তন কেন আইনানুগ হবে?
১৭৷ কি কি আশির্বাদ পাওয়া যাবে পিতা মাতাকে সম্মান করা হলে?
১৮৷ মসিহের সুসমাচারের বিরোধিতা যদি আপনার পিতা মাতা করে বসে তেমন ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?
১৯৷ বিশ্বের ঘটে যাওয়া প্রথম অপরাধটি কি? এর প্রতিফলই বা কি?
২০৷ ষষ্ঠ আজ্ঞার আওতায় সৈনিকদের ভূমিকা কি ছিল?
২১৷ ব্যবিচারের পাপ থেকে কেউ কোন উপায়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারে?
২২৷ ইঞ্জিল শরীফের আলোকে বৈবাহিক জীবনে কি কি সুযোগ রয়েছে?
২৩৷ দাউদ নবী কেন প্রার্থনা করেছিলেন, 'আমার মধ্যে নতুন হৃদয় সৃষ্টি কর হে খোদা'?
২৪৷ চুরি করার অত্যাধুনিক কৌশলের তালিকা দিন৷
২৫৷ প্রথম যুগের মসিহিগণ তাদের টাকা পয়সা দিয়ে কি করতেন? তাদের স্বান্ত্বনা দানের জন্য হযরত পৌল কি করেছিলেন?
২৬৷ চুরি করার প্রবণতা বন্ধ করার জন্য হজরত পৌল কি ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন?
২৭৷ ইয়াকুব গঠনমূলক তিনটি ব্যবস্থা বলেছিলেন যা আমাদের অনুতাপের জন্য চেতনা দেয়৷ তার বর্ণনা দিন৷
২৮৷ কামনার পাপ থেকে বাঁচার ওপায় কি?
২৯৷ কি করে নতুন হৃদয় এবং নতুন রূহ আমরা পেতে পারি?
৩০৷ দশ শরীয়তের সারমর্ম কী?
৩১৷ কি করে আপনি সর্বান্তকরণে খোদাকে মহব্বত করতে পারেন এবং নিজের মতো করে অন্যকে তা করা সম্ভব?
৩২৷ আমরা কেন শরীয়তের অধিনে নেই বরং মসিহের অনুগ্রহে কি করে বেঁচে আছি?

Waters of life
P.O. Box 600 513
70305 Strttgart,
Germany

MJWT
G.P.O Box No. 3507
Dhaka-1000
BANGLADESH

Internet: www.waters-of-life.net
Internet: www.waters-of-life.org
e-mail: info@waters-of-life.net

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on September 25, 2013, at 08:36 AM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)