Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- Romans - 013 (The Righteousness of God)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
ক - গোটা বিশ্ব দুষ্টচক্রের প্রভাবে পড়ে আছে, হচ্ছে পরিচালিত, খোদা তাঁর ধার্মিকতার আলোকে তাদের বিচার করবেন (রোমীয় ১:১৮ - ৩:২০)

১. জাতির বিরুদ্ধে খোদার গজব প্রকাশিত হয়েছে (রোমীয় ১:১৮-২১)


রোমীয় ১:২৬-২৮
২৬ মানুষ এই সব করেছে বলে আল্লাহ লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন৷ স্ত্রীলোকেরা পর্যন্ত পুরুষদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক ব্যবহারের বদলে অন্য স্ত্রীলোকদের সঙ্গে অস্বাভাবিক ভাবে খারাপ কাজ করেছে৷ ২৭ পুরুষেরাও ঠিক তেমনি করে স্ত্রীলোকদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক ব্যবহার চেড়ে দিয়ে পুরুষদের সঙ্গে কামনায় জ্বলে উঠেছে৷ পুরুষ পুরুষের সঙ্গে লজ্জাপূর্ণ খারাপ কাজ করেছে৷ ফলে তারা প্রত্যেকেই তার অন্যায় কাজের পাওনা শান্তি নিজের মধ্যেই পেয়েছে৷ ২৮ এভাবে মানুষ আল্লাহকে মানতে চায় নি বলে আল্লাহ গুনাহপূর্ণ মনের হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছেন, আর সেজন্যই মানুষ অনুচিত কাজ করতে থাকে৷

প্রথম অধ্যায় তিনবার গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুচ্ছ লিখেছেন পৌল তার পত্রে তা হলো 'খোদা তা দিয়েছেন'৷ এ শব্দগুচ্ছ প্রমাণ করে, ক্রোধ ও দোষারোপের অবশান ঘটেছে৷ হতভাগ্য তারা যাদের খোদা ছেড়ে দিয়েছেন মন্দশক্তির হাতে, কেননা তারা সর্বশক্তিমানের ছায়াতল ও প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা থেকে পিছলে পড়েছে৷

এ বিচ্ছিন্নতা ঘটেছে তাদের উগ্র অভিলাষের তীব্রতা ও অবিশ্বাসী চিন্তা-চেতনার ফলে৷ হৃদয়ে পশুর মতো ছোটাছুটি করতে থাকে, কেবলই মাংসিক কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্যই তারা থাকে সদা ব্যস্ত৷ যে ব্যক্তির হৃদয়ে পাকরূহের বাস নেই, আর যার বিবেক দেহ-মন-আত্মা পাকরূহের দ্বারা হচ্ছে না নিয়ন্ত্রিত, সে তো পরিণত হয়ে পড়ে ব্যাভিচারিতে, যতোই তার বাহ্যিক ভদ্রতাবোধ ও বিনম্রতা দৃষ্ট হোক না কেন৷

বিশেষ করে বর্তমানে নারী-পুরুষের সম অধিকারের যুগে কতিপয় নারী পুরুষদের বাদ দিয়ে, নিজেদের চাহিদা মেটাতে চায়৷ অধিকন্তু, কতিপয় সংগঠন অধিক সন্তানের জন্মের ভয় থেকে রক্ষা পাবার জন্য সহকামিতার সমর্থন দিয়ে ফিরছে৷ যাহোক, পৌল তাদের আত্মপ্রবঞ্চনা ও খোদার গজবের অধিন বলে চিহ্নিত করেছেন, যারাই নিয়ম বহির্ভূত পথে আপন আপন কামনা অভিলাষ চরিতার্থ করে থাকে৷

তাদের প্রত্যেকের মধ্যে বড়মাপের ক্ষত ও ক্ষতি রয়েছে, আর রয়েছে মনের ভ্রান্ত ও জটিল অবস্থা৷ তারা আর স্বাভাবিক লোক নয়, তারা যা কিছু করতে না চায় তাই স্বপ্ন দেখে ও বাস্তবায়ন করে চলে; কেননা যে কেউ পাপ করে সে তো পরিষ্কার পাপের গোলাম৷ তাছাড়া পাপের আরো কঠিন আকর্ষণ ও বাধন রয়েছে, যেগুলো জড়িয়ে রাখে ব্যস্ত ও আবন্দ করে রাখে, যা তাদের পরিণত করে ক্রীতদাসে, যারা খোদার পথে আর চলে না৷

সভ্যতার ভরাডুবির অনেক গভীর কারণ আছে৷ মন্দ কাজের উত্‍স কেবল যৌনাচার জনিত স্খলনই নয়, কিন্তু কলুষিত ব্যক্তি তাদের হৃদয়ে মনে খোদার স্থান দিতে নারাজ৷ কেননা তারা খোদার চেয়ে নিজেদের অধিক ভালোবাসে ও জগতকে ভালোবাসে তারা অপবিত্রতা থেকে শুরু করে যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে৷ মসিহের রহমতে যাদের জীবনের পরিবর্তন ও নাজাত লাভ হয়েছে, তাদের আত্ম স্বাক্ষী শুনলে বুঝা যাবে, এককালে তারা অর্থাত্‍ নাজাত লাভের পূর্বে তারা খোদাদ্রোহী নষ্ট বিবেক, খোদা থেকে দুরে অবস্থান করতো৷ তাদের অবিশ্বাসের ফলে ঐ লোকেরা সর্বপ্রকার যৌনাচারে ছিল লিপ্ত ও আসক্ত, ছিল কর্দমাক্ত৷ মসিহ যখন তাদের খুঁজে পেলেন, তিনি তাদের মাগফেরাত দান করলেন, পবিত্র করলেন, পরিবর্তন করলেন, স্বান্তনা দিলেন, শক্তিধর করলেন, প্রত্যাশার সঞ্চার ঘটালেন এবং দিলেন পরিচালনা৷

তথাপি কেউ যদি স্বেচ্ছায় খোদার নৈকট্য থেকে দূরে দূরে সরে থাকে, বিরোধিতা করে চলে পাকরূহের নিয়ত আকর্ষণ, অনুতাপ করতে অস্বীকার করে করে নাজাতেরকরে বিরোধিতা তখন তার নীচু মন ও স্বভাব ছাড়া আর কিছুই হবার নয়৷ মানুষের বিরুদ্ধে খোদার তরফ থেকে অধিক অপমানকর রায় আর কি আছে 'নীচু মন' ছাড়া৷ এমন অবস্থায় সে আর খোদার কাছে ফিরে আসার সম্ভবনা দেখতে পায় না, কেননা তেমন পরিবর্তন ও ফিরে আসার জন্য চাই পরিবর্তন৷ আক্ষরিক অর্থে অনুতাপের গ্রীক শব্দার্থ হলো মনের পরিবর্তন৷ খোদা চাচ্ছেন ব্যক্তির হৃদয়ের মৌলিক ও আমুল পরিবর্তন সাধন, আর এমন পরিবর্তনের ফলে পূর্বের সকল চিন্তাচেতনা ও আচরণের পরিবর্তন আনয়ন, বাস্তব স্বভাবের পরিবর্তন এর সাথে থাকে সম্পৃক্ত, ফলে সবকিছু তার কাছে সম্পূর্ণ নতুন হয়ে দেখা দেয়৷

বর্তমানে আপনার হৃদয়ের অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে? পাকরূহের প্রতি তা কি উম্মুক্ত আছে, তাঁর তরফ থেকে পবিত্রতা ও নাজাত লাভ করার জন্য? আপনি যদি অদ্যাবধি উদাসীন থাকেন, খোদার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকেন তবে এই মুহুর্তে দিবালোকে, যাকে বলা চলে 'অদ্যই' তাঁর কাছে ফিরে আসুন৷ প্রভুকে অনুরোধ জানান আপনার অন্তরাত্মা পূতপবিত্র করে দেবার জন্য, আপনার হৃদয়টাকে সম্পূর্ণ বদলে দেবর জন্য৷ আপনার অতীত পতিত অবস্থা আপনার মধ্যে যেন আর না থাকে৷ আপনার প্রভুই হলেন আপনার জন্য আরোগ্যদাতা৷ তিনি একাই যথেষ্ঠ আপনার সর্বপ্রকার সমস্যাপীড়িত অবস্থা থেকে মুক্ত করতে, যদি আপনি চান, তিনি হৃদয়ের সমস্ত লোভ অভিলাষ থেকে মুক্ত করেন৷ আপনি নিজে নিজেকে কখনোই উদ্ধার করতে পারবেন না৷ যা কিছু আপনার পক্ষে করা সম্ভব তা হলো আপনার আগ্রহ বা ইচ্ছাশক্তি, সিদ্ধান্ত নিন, তাকে বলুন এবং প্রভুর কাছ থেকে নাজাত গ্রহণ করুন, কেননা তিনি আপনাকে উদ্ধার করতে সদাপ্রস্তুত৷

প্রার্থনা: হে পূতপবিত্র পিতা, তুমি আমাকে ভালোভাবেই জানো, আর আমার হৃদয়ের চিন্তা চেতনা তোমার কাছে আছে অবারিত৷ তুমি আমার অতীতের বিষয় সুপরিজ্ঞাত, যাদের বিরুদ্ধে পাপ করেছি তাদেরকেও তুমি জানো৷ আমার অভিলাষ ক্ষমা করো, আমার বিবেক পরিষ্কার করো৷ তোমার কালামের কাছে নিয়ে আস, যেন তোমাকে মহব্বত করতে পারি৷ আর পাপে জীবন কাটাতে চাই না৷ আমার মধ্যে মজবুত ইচ্ছাশক্তি সৃষ্টি করো যেন তোমার হাত থেকে আমার স্বাধীনতা বরণ করতে পারি৷ আমার নীচু ও কলুষিত দেহ থেকে রক্ষা করো৷ তুমিই আমার চিকিত্‍সক ও নাজাতদাতা৷ তোমার মধ্যেই আমার আস্থা৷

প্রশ্ন:

১৭. খোদার গজবের বর্ণনা পৌলকে কিভাবে প্রকাশ করেছেন?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 12:34 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)