Waters of Life

Biblical Studies in Multiple Languages

Search in "Bengali":
Home -- Bengali -- Romans - 081 (Greetings from Paul’s fellow Workers)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek? -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish? -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় খন্ডের পারশিষ্ট - রোমের জামাতের নেতাদের প্রতি পৌলের বিশেষ ইচ্ছা৷ (রামীয় ১৫:১৪ - ১৬:২৭)

৭. পৌলের সহকমর্ীদের পক্ষ থেকে অভিবাদন জ্ঞাপন (রোমীয় ১৬:২১-২৪)


রোমীয় ১৬:২১-২৪
২১. আমার সঙ্গে যিনি কাজ করেন সেই তীমথিয় তোমাদের সালাম জানাচ্ছেন; লুকিয়, যাসোন ও সোষিপাত্রও তোমাদের সালাম জানাচ্ছেন৷ তাঁরাও আমার মত ইহুদি জাতির লোক৷ ২২. আমি, তর্তিয়, পৌলের এই চিঠিখানা লিখছি৷ প্রভুর বান্দা হিসেবে আমিও তোমাদের সালাম জানাচ্ছি৷ ২৩-২৪. আমি যাঁর বাড়িতে থাকি এবং জামাতের লোকেরা যাঁর বাড়িতে একসঙ্গে মিলিত হয় সেই গাইয় তোমাদের সালাম জানাচ্ছেন৷ এই শহরের টাকা-পয়সার হিসাব রাখবার ভার যাঁর ওপরে আছে সেই ইরাসত্ম ও আমাদের ভাই কার্ত তোমাদের সালাম জানাচ্ছে৷

কদাচিত পৌলকে একাকি দেখা যায়৷ তিনি সদা-সর্বদা তাঁর সহকমর্ীদের দ্বারা থাকেন পরিবেষ্টিত, আর অভিজ্ঞ সহকমর্ীর দল প্রভুর আজ্ঞা পালন করার কাজে পারদশর্ী৷ যেমন বার্ণবা শীল, তাকে সংশোধন করতেন, পরামর্শ দিতেন এবং অন্যান্য নবীদের দ্বারা তিনি অবলোকিত হতেন৷ কখনো কখনো অন্যান্য বিশ্বাসীগণ অন্যান্য শহরের মসিহিদের বিজয় যাত্রায় অংশ নিতেন, উক্ত অভিযানে পৌল নিজেকে অনুভব করতেন ক্রীতদাস বিজয় যাত্রায় ইচ্ছে পরিচালিত যুদ্ধ রর্থের মহিমার সাথে বাধা অবস্থায়, যেমন মসিহের মহিমার স্বার্থে তিনি ধুপের মতো জ্বলছেন, আর যে কেহ উক্ত ধোয়া নাকে নিচ্ছেন তিনি যেন নাজাত পাচ্ছেন, কিন্তু যে কেউ তা প্রত্যাখ্যান করে যে ধ্বংস হয়ে যাবে (রোমীয় ২:১৪-১৬)৷

পৌল রোমীয়দের কাছে তাঁর পত্র লিখেন ৫৯ খৃষ্ট্রাব্দে, করিন্থ শহরে তাঁর বক্তব্য প্রদানের সময়, যে সময়ে বিশ্বাসী সদস্য তার সাথে যুক্ত ছিলেন, তারা পত্রের শেষে তাদের অভিবাদন প্রেরণ করেন৷ এসকল অভিবাদন প্রমাণ করে পৌল দার্শনিকদের মতো একা পত্রসমূহ লেখেন নাই, কিন্তু একটি দলের মধ্যে ছিলেন, যারা খুটিনাটি সকল খবরা-খবর পরিবেশন করতেন রোমের জামাতের বিষয়ে৷ তার পত্রে তাই সাধুদের সহভাগীতা সঠিকভাবে প্রতীয়মান হয়৷

তীমথি লালিত পালিত হয়েছে ইহুদি বংশদ্ভুত মায়ের হাতে, যিনি নিজেকে মসিহের হাতে সর্মণ করেন৷ তার দাদিও বিশ্বাসি চরিত্রের এবং খোদাই স্বভাবের মহিলা ছিলেন৷ তাঁর পিতা ছিলেন গ্রীক এবং তার বিষয়ে বিষদ বর্ণনা পাওয়া যায় না৷ পৌল উক্ত ভদ্রলোকের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন, তিনি প্রভু মসিহকে মহব্বত করতেন, খোদার আজ্ঞা পালনে প্রয়োজনীয় ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সেমিটিক ও ইহুদি ঐতিহ্য নিজের মধ্যে ধারণ করতেন৷ যাহোক, পৌল তার খতনা করালেন, কেননা তার মাতা ছিলেন একজন ইহুদি, যেন আইনানুগভাবে তাদের সমাজে একজন সদস্য হিসেবে মিলেমিশে চলতে পারেন, আর আইনানুগভাবে গ্রীকদের কাছে গ্রীক হতে পারেন৷ তারা উভয়ে মিলেমিশে সুসম্পর্ক নিয়ে চলতেন, আর তীমথিকে মনে করা হতো পৌলের পুত্রের মতো৷

তীমথি নিজের বিষয় নিয়ে ব্যসত্ম ছিলেন না বরং মসিহের গৌরব প্রকাশের জন্যই তিনি জীবন যাপন করতেন, আর সর্বপ্রথম খোদার রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার জন্য ব্যসত্ম থাকতেন৷ পৌল বহুসময় বহুবার তার প্রচারাভিযানের জন্য বিভিন্ন শহরে অগ্রগামী দল হিসেবে থাকার ও সভা-সমিতির ব্যাপারে আয়োজন করার জন্য পাঠাতেন৷ কখনো কখনো বাধ্য হয়ে পৌল তাকে একা রেখে যেতেন, কেননা তাড়না নির্যাতনের কারণে তাকে বের করে দেয়া হতো৷ নতুন বিশ্বাসীদের শিক্ষা দেবার ক্ষেত্রে তীমথিকে দায়িত্ব দেয়া হতো (প্রেরিত ১৬:১-৩; ১৯:২২; ফিলিপীয় ২:১৯-২২)৷

তীমথির অভিবাদনের পরে পৌলের বংশের তিনজন লোকের নামের উলেস্নখ রয়েছে যারা হলেন তার আত্মীয় লুসিয়াম, জেসন ও সোসিপাতার৷ যেশলিনিকি শহরে অবস্থান কালে জেসন তার থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন৷ তখন ইহুদিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা আন্দোলন চলতে ছিল৷ এ আন্দোলন উঠেছিল পৌল যখন তিনটি বিশ্রামবারে তাদের সাথে যুক্তি দাঁড় করেছিলেন, আর পৌল ও শীলের সাফল্য দেখা গিয়েছিল নতুন বিশ্বাসী ভাইদের জয় করার মাধ্যমে৷ তাদের দ্বারা মসিহের পক্ষে তথায় নতুন জামাত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ দাঙ্গাকারী জনতা জেসনের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে দিল, পৌল ও শীলকে না পেয়ে জেসনকে টেনে হেচড়ে রাজদরবারে হাজির করলো, তাকে নতুন বিশ্বাস ও নতুন পথের অনুসরণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করলো, তারা বুঝতে পারলো নতুন বিশ্বাসীরা মসিহকে রাজাদের রাজা হিসেবে বিবেচনা করে আর সিজারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে আপত্তি জানায়৷ রাজা কিন্তু দাঙ্গাকারী জনতাকে তাড়িয়ে দিলেন এবং জেসনকে জামিনে মুক্তি দিলেন (প্রেরিত ১৭:৬)৷

সসিপেটার নামে একজন বিশ্বাসী ছিলেন বিরিয়া শহরের, তথাকার ইহুদি সমপ্রদায় পৌলের কথা মনোযোগসহ গ্রহণ করলেন, আর নিত্যাদিন নবীদের কিতাব থেকে মিলিয়ে দেখতেন যেখানে সলিবে হত মসিহের পুনরম্নত্থান সত্যিই মসিহ কি না৷ ইহুদিরা বিরয়া শহরে পৌলের ওয়াজ শুনে হৈচৈ কলরব কোলাহল সৃষ্টি করলো, অথচ বিরয়াবাসী যথাযথ সম্মান পূর্বক পৌলের সাথে এথেন্স শহরে পৌছালেন, আর শীল ও তীমথি বিরয়া শহরেই রয়ে গেলেন সেখানকার বিশ্বাসীদের শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে খাঁটি পরিপক্ক বিশ্বাসী হিসেবে প্রকৃত সত্যে গড়ে তোলার জন্য৷ তথায় আমরা দেখতে পাই সসিপেটার নামে এক ব্যক্তিকে পৌলের সহযোগীতা প্রদানে যিনি জেরম্নজালেমে অভাবি লোকদের মধ্যে সাহায্য প্রেরণের জন্য৷

পৌলের তৃতীয় আত্মীয় সম্ভবত ছিলেন সিরেনে লুসিয়াস (প্রেরিত ১৩:১), তিনি এন্টিয়কের জামাতের প্রবীণ নেতা ছিলেন, আর পৌলের প্রার্থনার সহভাগী ছিলেন৷

তার্তিয়াস ছিলেন একজন রোমীয় যিনি গ্রীক ভাষায় বাকপটু ছিলেন, আর তার নামের উলেস্নখ রয়েছে উক্ত পত্রের শেষ প্রানত্মে, যেমন লেখক ও সচিব নিজেদের নাম পত্রের শেষ প্রানত্মে লিপিবদ্ধ করে, পৌল তাকে নির্দেশনা ও শ্রম্নতি লিখনের কাজ করিয়েছেন৷ পৌল শব্দের পর শব্দ অর্থাত্‍ অক্ষরের পর অক্ষর বলেছেন আর তারা তা শুনে লিখেছেন৷ তার হাতে যথেষ্ট সময় ছিল এ গুরম্নত্বপূর্ণ পত্রটি লেখার জন্য৷ শ্রম্নতি লেখক তার বক্তব্য পেপিরাস পত্রে লিখতেন৷ এ কাজটি পূর্ণাঙ্গভাবেই সম্পন্ন করা হতো পারষ্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে৷ পৌলের বক্তব্যের অর্থ বুঝতে হতো তার্তিয়াসকে বিস্বসত্ম ও সঠিকভাবে লেখার জন্য রোমের জামাতের কাছে৷ তার্তিয়াসকে পৌল বাছাইকৃতদের মধ্যে একজন মনে করতেন৷ তিনি প্রভুতে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিলেন, আর তিনি রোমের জামাত প্রস্তুত করার কাজে যুক্ত ছিলেন, তারাও তাকে জানতেন এবং তার ওপর আস্থা রাখতেন৷

গায় থিসলনিকি শহরের একজন বিশ্বাসী ছিলেন, তিনি নিজ গৃহে পৌলকে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাড়নার সময়, আর তার গৃহ জামাতের কাজের জন্য খুলে দিয়েছিলেন৷ যে কেউ সমস্যা নিয়ে আসতেন গায় তাদের সমস্যার সমাধান করে দিতেন, পৌল করিন্থ শহরে যাদের তরিকাবন্দি দিয়েছিলেন গায় তাদের মাধ্যে একজন৷ তাঁর বক্তব্যে এটা প্রমাণ হয় (১করিন্থীয় ১:১৪-১৭)

ইবাস্টাস শহরের ধনাধ্যক্ষ ছিলেন, যিনি তার কাজ বিশ্বসত্মতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে করতেন৷ এতে প্রমান হয়, করিন্থ শহরের জামাত কেবল অশিক্ষিত গরীব সাধারণ লোক দিয়ে গঠিত ছিল না, সেক্ষেত্রে উচ্চ ও সম্বানত্ম লোক ছিলেন যাদের প্রভাব ছিল তদানীনত্মন সমাজে৷ কার্তাস ছিলেন প্রভুতে এক ভাই৷ তিনি গ্রীক ছিলেন না, তিনি রোমীয় জামাতের কাছে ছিলেন সুপরিচিত৷

প্রার্থনা: প্রভু মসিহ, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই, তোমার সেবক রয়েছে যারা নিজেদের মন প্রাণ দিয়ে সমাজের বিভিন্ন সত্মরে সেবা করে চলছেন৷ আমাদের জামাতের প্রবীণদের সাহায্য করো, তারা যেন সর্বক্ষেত্রে বিশ্বসত্ম হয়ে ওঠে এবং তোমার নাম ও মহিমা প্রকাশে আনত্মরিক হন৷

প্রশ্ন:

৯৯. রোমীয় পত্র লেখার সময় কোন ব্যক্তিকে পৌল লেখক হিসেবে ব্যবহার করেছেন?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 02:06 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)