Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- The Ten Commandments -- 09 Seventh Commandment: Do Not Commit Adultery
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian -- Azeri -- Baoule? -- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- Farsi? -- Finnish? -- French -- German -- Gujarati -- Hebrew -- Hindi -- Hungarian? -- Indonesian -- Kiswahili -- Malayalam? -- Norwegian -- Polish -- Russian -- Serbian -- Spanish -- Tamil -- Turkish -- Twi -- Ukrainian? -- Urdu? -- Uzbek -- Yiddish -- Yoruba?
ব্যাখ্যা ৬: দশ আজ্ঞা - মানুষকে অপরাধের কবল থেকে রক্ষা করার প্রতিরক্ষা কবজ সম দেয়াল৷ প্রথম খন্ড
সুসমাচারের আলোকে হিজরত পুস্তকের ২০ অধ্যায়ে বর্ণীত দশ শরীয়তের ব্যাখ্যা

০৯ - ৭ম আজ্ঞা জেনা করো না



হিজরত ২০:১৪
'জেনা কোরো না'


০৯.১ - বিবাহের উদ্দেশ্য ও আইনানুগ ও সামাজিক ব্যবস্থা

খোদা নিজ সুরতে মানুষ সৃষ্টি করেন; তিনি তাঁর সুরতে তাকে সৃষ্টি করেছেন৷ তিনি তাদের নারী ও পুরুষ করে সৃষ্টি করেছেন৷ তিনি উভয়কে বাছাই করেছেন তাঁর সুরত প্রতিফলিত করার জন্য৷ উভয়ই একই রুহানি প্রাধিকারের অধিকারি ছিলেন অর্থাত্‍ রুহানি দিক দিয়ে একই পর্যায়ে ছিলেন৷ নর নারীর সম্মান ও মর্যাদা লাভের রহস্য ছিল খোদার সাথে সুসম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে৷

খোদা একজন নারী সৃষ্টি করেছেন একজন নরের জন্য৷ লক্ষ্য করুন, তিনি দুই, তিন অথবা চারজন স্ত্রী তৈরি করেন নি আদমের জন্য৷ তাদের বিবাহের বিষয়ে খোদা তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে অর্থাত্‍ ঘটকের ভূমিকা পালন করেছেন তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য৷ তিনি উভয়কে একই মনোভাব সৃষ্টি করে দিয়েছেন, একই লক্ষ্য, সুশিক্ষা দিয়েছেন এবং রুহানি জ্ঞান সৃষ্টি করে দিয়েছেন সমভাবে৷ তাদের ত্যাগি মনোভাব সৃষ্টি করে দিয়েছেন, আর সেক্ষেত্রে তার মহব্বতের বাধনে তাদের বেধে দিয়েছেন৷ যিনি খোদাকে মহব্বত করেন সে তার সংগীকেও মহব্বত করেন৷ প্রভু তাঁর করুনায় দুইজন স্বার্থপর লোককে একত্রে বেধে দিয়েছেন, উদ্দেশ্য হলো উভয়েই খোদার মহত্ত্ব দেখে নিজেদের স্বার্থপরতা দূর করতে পারে৷

খোদার নারী সৃষ্টি করেছেন নরের মধ্য দিয়ে৷ নারীর মধ্য দিয়ে নরের সৃষ্টি নয়৷ একজন ইহুদি ধর্মপ্রচারক বলেছেন, খোদা পুরুষের মাথার হাড় নিয়ে নারী সৃষ্টি করেন নাই যাতে নারী নরের মাথায় চড়ে না বসে৷ খোদা পায়ের হাড় দিয়েও তাকে সৃষ্টি করেন নি যাতে তাকে পদতলে দলিত করা হয়৷ তাকে পাজরের হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে যেন সে পুরুষের পাশে দাড়ায়, তাকে সাহায্য করে, সঠিক পথ পেতে প্রেরণা যোগায় এবং তার বোঝা বহন করে, হালকা করে৷

মানুষের পাপে পতনের পূর্বে নারীর নাম ছিল ইশা হিব্রু ভাষার ইশা শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ৷ যেক্ষেত্রে আ দিয়ে স্ত্রীলিংগ বানানো হয়, সেমেটিক এবং আরবি ও হিব্রু ভাষায় দেখা যায় (যেমন হাবিব ও হাবিবা)৷ পুরুষের সাথে প্রত্যেকটি বিষয়ে তাঁর সম অধিকার ছিল সমদায়িত্ব ও কর্তব্যও ছিল৷ আশ্চর্যের কোনো কারণ থাকতে পারে না যে, মানুষ পিতা মাতা ছেড়ে স্ত্রীতে আশক্ত হয়ে ওঠে৷ খোদা বলেছেন সে কথা, তবে বিপরীত কিছু নয়৷ অনেকের অনুতপ্ত হওয়া প্রয়োজন, যুবক স্বামী পিতা মাতা ছেড়ে শান্তিতে বসবাসের জন্য আপন স্ত্রীতে একত্র হতে সুযোগ দেয়া প্রয়োজন৷ উভয়ই মিলে একটি আলাদা স্বাধীন পরিবার গড়ে তুলবে, মিলেমিশে খোদার স্বান্বিদ্ধে জীবন যাপন করবে; ফলে দৃঢ় ঐক্যে প্রেমে আত্মায় ও দেহে একটি শান্তিপূর্ন পরিবার গড়ে তুলবে৷ যৌণপ্রেম ও আকাঙ্খা খোদার তরফ থেকে সৃষ্ট উত্তম দান, যাতে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় এবং খোদার রহমতে সন্তান সন্তুতি জন্মলাভ করে৷ দাম্পত্য জীবনে যৌন আবেদন কখনোই অপবিত্র বা অপরাধের কাজ বলে খোদা মনে করেন না, বরং পবিত্র ও আশির্বাদের কারণ, যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যক্তি খোদার কাছে বিস্বস্ত থাকে এবং মাত্র একজন স্ত্রী নিয়ে জীবন কাটায়৷


০৯.২ - বৈবাহিক জীবনে স্থায়িত্বতা

খোদার সহভাগিতা থেকে বিচ্ছিন্নতার সাথে সাথে তাদের বৈবাহিক জীবনে ধ্বংস নেমেছিল৷ পাপের পাতনের ফল মানুষের আত্মা ও রূহের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলে, দেহের ওপর নয়৷ অহংকারি শয়তানের প্রভাবে সে বন্দি হয়ে পড়লো, হলো ক্ষতিগ্রস্থ৷ নর এবং নারী খোদার সমান হতে চাইল৷ এ প্রলোভন মানুষের হৃদয়-মনে বাসা বাধলো, যার কুফল মারাত্মকভাবে তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বইতে শুরু করলো৷ নারী নরের অধিনস্থ বিধায় এ বিশ্বে যে কী করে, একাকীত্ব জীবন যাপন করবে তা ভেবে পাচ্ছিল না৷ অনেক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে নারীকে সন্তান প্রসব করতে হলো, আর পুরুষটিক কঠোর শ্রম সাধানার ফলে কাঁটা ঝোপের মধ্যে কঠিন অবস্থায় মাঠে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো৷ পাপের বেতন হলো মৃতু্য৷

পাপে পতনের প্রভাব আমূল পরিবর্তন আনলো মানুষের বৈবাহিক জীবনে, কিন্তু মানুষের ভ্রষ্টতা ও খোদাদ্রোহীতার পরেও এক বিবাহ চালু ছিল৷ দুর্ভাগ্যবশত, নবীদের জামানায় লোকজন একাধিক স্ত্রী বিবাহ করতে শুরু করলো, যার ফলে মারাত্মক সমস্যায় তারা পড়লো৷ খোদার নির্দেশনা এক স্ত্রী রাখার ব্যবস্থা থেকে সরে গিয়ে তারা সন্তানদের জীবনে জটিল সমস্যার সৃষ্টি করলো৷ খোদার মনোনীত ব্যক্তি ইব্রাহীম খোদার অবাধ্যতার ফলে তার ঐরষজাত প্রথম পুত্র ইসমাইল, যাকে আরব জাতির এবং মুসলমান জাতির পিতা বলে মান্য করা হয়, তার দুর্দশার অবশেষ ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হিসেবে চলতে দেখি, যার সূত্রপাত হয়েছে খোদার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ফলে৷ এখন আর গোপন সেই যে একই পিতার পুত্রদের মধ্যে চলমান যুদ্ধ অদ্যপর্যন্ত চলছে প্রাশ্চের দেশগুলোতে৷

ইয়াকুবের প্রাণপ্রতীম স্ত্রী রাহেলার গর্ভের সন্তান, প্রথম স্ত্রী লেয়ার গর্ভজাত সন্তান এবং উপপত্নীদের সন্তান মিলে অনেক সন্তান ছিল৷ দাউদ নবী এক বিবাহিত স্ত্রী প্রেমে পড়ে পরিণত হলো নরঘাতক, কিন্তু আন্তরিকভাবে তিনি সেজন্য অনুতপ্ত হয়েছিলেন৷ দাউদের মতো অনেকেই পাপ করে, তবে অল্প লোকই তার মতো অনুতপ্ত হয়৷ আমাদের সকলের মুখস্ত রাখা প্রয়োজন, আল জবুর ৫১ অধ্যায়টি, আর তার মতো আমাদের অনুতপ্ত হওয়া আবশ্যক৷ বিজ্ঞ সোলায়মান জ্ঞানহীন ও অবোধের মতো কাজ করেছে, শত শত অবিশ্বাসীদের বিবাহ করেছে, অধিকন্তু তাদের নিজ নিজ দেবতাদের নিয়ম পরিচিতি নিজ দেশে প্রচলন করার সুযোগ করে দিয়েছে৷ উক্ত দেবতাদের প্রভাবে তার জাতি প্রকৃত খোদার পথ ও সেবা থেকে স্খলিত হয়ে পড়ে ছিল৷

ইস্রায়েল জাতির মধ্য থেকে বহু বিবাহ প্রথা বর্তমানেও চালু আছে৷ আরব মুল্লূক থেকে যে সকল ইহুদি সম্রদায় হয়েছে বিতাড়িত, তারা তাদের সকল স্ত্রীদের রাখার অধিকার আইনানুগভাবে স্বীকৃত৷ প্রথম স্ত্রীর গর্ভে যদি কোনো পুত্র জন্ম না নেয় তবে তারা দ্বিতীয় বিবাহ করার অধিকার রাখে৷

খোদা নবীদের জামানায় বহুবিবাহ কোনোভাবে সহ্য করেছেন তবে পাপের শাস্তি পাপীকে অবশ্যই পোহাতে হয়েছে৷ তিনি হুকুম দিয়েছেন জেনাকারী স্ত্রী পুরুষ উভয়কেই পাথর ছুড়ে হত্যা করতে হবে (লেবিয় ২০:১০-১৬; দ্বিতীয় বিবরণ ২২:২২-২৬)৷ মুসা নবীর কাছে দত্ত শরীয়তের নিয়ম কানুন পাঠ করার সময় আমরা ভয়ে কেবল কম্পমানই হতে পারি, কেননা অদ্যাবধি সকল প্রকার জেনা তা প্রকাশ্যে বা গোপনে সংঘটিত হয়ে চলছে৷ পরিবার ও গোষ্টির মধ্যে যতো প্রকার অনৈতিক যৌনাচার ঘটে চলছে তাতে অপরাধীদের মৃতু্যদন্ডে দণ্ডিত করা প্রয়োজন৷ কিতাবুল মোকাদ্দসে সমকামিতায় কোনো সমর্থন নেই৷ সমকামিতাও মৃতু্যদন্ডে দণ্ডিত হবার পাপ৷ এসকল গোপন পাপের চেয়েও আরও মারাত্মক পাপ হলো পুরুষ ও নারী পশুর সাথে যৌনাচারে লিপ্ত থাকে৷ বিবাহিত স্বামী স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো ধরণের যৌনাচার সম্পূর্ণ খোদা বিরুধি৷ খোদা প্রদত্ত নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে যে কেউ পদক্ষেপ দিবে সেই অভিশপ্ত ও শাস্তি পাবার যোগ্য৷ গোটা বিশ্বের প্রয়োজন আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া, হৃদয় ও মনের সুদ্ধিকরণ আর তা কাজে বাস্তবায়ন করা৷


০৯.৩ - যৌনাচারের ফলে দুর্ভোগ

যেনা কেবল একজন আর একজনের সাথে তাত্‍ক্ষণিকভাবে ঘটে না, বরং খোদার থেকে ক্রমান্বয়ে স্খলনের ফলে তথা বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস ও ভালোবাসার ঘাটতির ফলে সুস্পর্কের অধিকতর অবনতি ঘটে৷ কিন্তু যে কেউ খোদার সাথে যুক্ত থাকে ও জীবন সংগীর সাথে গভীর প্রেম রাখে, তিনি কোনো পরিস্থিতিতেই ব্যভিচার বা যেনা কাজে লিপ্ত হবেন না৷ ব্যভিচার শুরুর পুর্বে রুহানি জীবন ধ্বংস হয়ে যায় এবং স্খলিত হতে শুরু করে, আর মানসিক ও দৈহিক দিক দিয়ে এগোতে থাকে যৌনাচারের দিকে৷ যুগল আর একজন অন্যজনকে বুঝতে চেষ্টা করে না, অধিকন্তু তারা পাপ-পংঙ্কের গভীর থেকে গভীরে ডুবতে থাকে৷

বিবাহিত জীবনে ব্যভিচার প্রায়শই শুরু হয় মনে৷ মনে মনে বড়ই আকর্ষনীয় ছবি আকতে থাকে, যদি মসিহের নামে তা মূলোত্‍পাটিত ও পরিত্যাজ্য না হয়, তবে তা মারাত্মক ঢেউয়ের মতো ব্যক্তিকে দোলাতে থাকে৷ মানুষ এসকল কুকল্পনা, মন্দ চিন্তা ও স্বেচ্ছাকৃত পাপের মধ্যে রূপ দান করার চেষ্টা করে৷ দুজনার অন্যজন হয়তো প্রলুদ্ধ হতে পারে এবং পাপকাজে আগ্রহী ও বিনা বাধায় অথবা মৃদু আপত্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে অঘটন ঘটাতে৷ বিবেক হয়তো সজাগ থাকে প্রথম দিকে, কিন্তু বিদ্রোহ যতোই বৃদ্ধি পায়, হৃদয় ততই কঠিন হতে থাকে, ফলে যৌনাচার ব্যভিচারের অভ্যাস থেকে অসহায় শিকার হয়ে দাঁড়ায়৷ যাহোক, যেনাখোর প্রথম থেকেই জানে যে তার কুকর্ম অপবিত্র ও অন্যায় কাজ৷ যে কেউ পাপ কাজে হাত দেয় তাকে তা করেই যেতে হয়৷ পাপ হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য নিয়ন্ত্রক বা চালিকা শক্তি, যে কেউ পাপের জন্য দরজা খুলে দেয়৷ প্রভুকে ধন্যবাদ দিতে হয়, পাপের কবল থেকে মুক্তির একটি সম্ভাবনা আছে৷ মসিহ বলেছেন, 'ঈসা মসিহ তাদের এই জবাব দিলেন, আমি সত্যিই আপনাদের বলছি, যারা গুনাহে পড়ে থাকে তারা সবাই গুনাহের গোলাম৷ গোলাম চিরদিন বাড়ীতে থাকে না কিন্তু পুত্র চিরকাল থাকে৷ তাই পুত্র যদি আপনাদের মুক্ত করেন তবে সত্যিই আপনারা মুক্ত হবেন' (ইউহোন্না ৮:৩৪-৩৬)৷ মসিহের রূহ এবং রহমত মানুষের বিবেকের গভীরে পৌছে যায় এবং তিনি আমাদের সম্পূর্ণ পূতপবিত্র ও সুস্থ্য করার ক্ষমতা রাখেন৷ ক্ষতস্থানের কিছু কিছু চিহ্ন দীর্ঘকাল দৃশ্যমান হতে পারে, কিন্তু মসিহের পূতপবিত্র রক্ত সর্বপ্রকার পাপ থেকে আমাদের স্নাতশুভ্র করে, আর আমাদের মধ্যে পাপের ওপর প্রাধিকার অর্থাত্‍ প্রলোভন দূর বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সৃষ্টি করে দেন৷ খোদার পুত্র যদি কাওকে মুক্তপাপ করেন তবে অবশ্যই সে হবে অবমুক্ত সকল প্রকার পাপের প্রভাব থেকে৷


০৯.৪ - মসিহের মনোনীত বিবাহ

মসিহ এক বিবাহ সমর্থন করেছেন, তিনি বলেছেন নর নারীর অর্থাত্‍ স্বামী স্ত্রীর মিলন হতে হবে জীবনভর (মথি ১৯:৪-৬)৷ তাঁর বিরোধিদের প্রশ্নে তিনি জবাব দিয়েছেন আপনারা কি শুনেন নাই, যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন, শুরুতেই তিনি নারী পুরুষ করে সৃষ্টি করেছেন৷ এ কারণেই মানুষ পিতা মাতাকে ছেড়ে আপন স্ত্রীতে আসক্ত হয়ে পড়ে, তারা আর দুই থাকে না, এক হয়ে যায়, এক দেহ, এক মন, এক লক্ষ্য৷ তাই খোদা যা যুক্ত করেছেন মানুষ যেন তা বিযুক্ত না করে৷ (দেখুন মার্ক ১০:১-১২)

এ সকল আয়াতের মাধ্যমে এক ধরণের ত্রিত্ত্বের প্রতিষ্ঠা করেছেন, খোদা ও নর ও নারীর মধ্যে যা পাকরূহের দ্বারা চিরস্থায়ী করে দিয়েছেন তার অনুসারীদের মোহরাষ্কিতা করে রেখেছেন৷ তিনি আমাদের আত্মা ও দেহ পবিত্র ও আলাদা করেছেন, আমরা যাতে জীবন্ত খোদার বাসযোগ্য ক্ষেত্রে পরিণত হতে পারি আর আমাদের বৈবাহিক জীবন যেন ক্ষুদে বেহেশত হয়ে ওঠে, যথা প্রভু বসবাস করবেন ও নিয়ন্ত্রণ করবেন৷ মসিহের রক্তের মূল্যে অর্জিত আমাদের পাপের ক্ষমা আমাদের উপহার দেয় একটি আত্মা, পবিত্র দেহ এবং পুরো পরিবারে পুনর্জাত পরিবেশ সৃষ্টি করেন৷ মসিহে অবস্থিত দাম্পত্য জীবনে বয়ে আনে জীবনের নতুন অর্থ, আশির্বাদপুষ্ট গুণাবলি, এবং বিবাহের একটি নব উদ্দেশ্য সৃষ্টি করেন৷ স্বর্ণালী আইন হলো কোনো মসিহি যেন অমসিহি বা অবিশ্বাসী বিবাহ না করে৷ তা যদি মেনে চলি তবে অনেকগুলো সমস্যার হাত থেকে আমরা বেঁচে যেতে পারি৷ মসিহকে মহব্বত করার অর্থ ব্যক্তি নিজেকে নিজের জীবন সঙ্গী ভালোবাসা এবং বিশ্বস্তভাবে আমরণ সেবা দান ও ভালোবেসে যাওয়া৷

মসিহ বা তাঁর সাহাবিগণের কেইউ মহিলাদের প্রতি আকর্ষণ ও সংশ্লেষ অস্বীকার করেন নাই৷ পুরুষের কাছে মহিলার সমর্পণ বাধা দেন নি৷ তথাপি পাকরূহ দম্পতিকে বিনম্রতা ও ভদ্রতা দিয়ে জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিচালনা দান করেন৷ হযরত পৌল প্রত্যেক স্বামীকে আজ্ঞা করেছেন, তারা যেন আপন আপন স্ত্রীকে মহব্বত করে, যেমন মসিহ নিজেকে জামাতের কল্যাণে কোরবানি দিয়েছেন, তদ্রুপ স্বামীদের প্রস্তুত থাকতে হবে স্ত্রীর জন্য ত্যাগ স্বীকার করায়৷ সত্যিকারের প্রেম কেবল অবিরাম চাহিদার পুরণই নয়, বরং জীবন সঙ্গীর সাহায্য ও পারষ্পরিক সেবা করা প্রয়োজন৷ নিজেকে দমন করার শক্তি উত্‍পন্ন হয় পাকরূহের নিয়ন্ত্রণে জীবন যাপন করা হলে, তখন দাম্পত্য জীবন কেবল যৌন অভিষাল পুরণের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং দম্পতি পারষ্পরিক সাহায্যের দ্বারা খোদার গৌরব বহন করেন৷


০৯.৫ - ইঞ্জিল শরীফের আলোকে বিবাহ পদ্ধতি

ঈসা মসিহ আমাদের দেহ-মন-আত্মার পবিত্রতার দিকে বেশি জোর দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, 'কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ কোন স্ত্রীলোকের দিকে কামনার চোখে তাকায় সে তখনই মনে মনে তার সঙ্গে জেনা করল' (মথি ৫:২৮)৷ উক্ত আয়াতের আলোকে সকল মানুষ খোদার সম্মুখে গুনাহগার বলে বিবেচিত৷ আন্তরিকতার সাথে খোদার কাছে আমাদের গুনাহের জন্য তওবা করা অত্যাবশ্যক, কেননা খোদার সম্মুখে কেউই ধার্মিক বলে বিবেচিত নয়৷ যৌনাচারের কারণে যে পাপ করি তা মসিহের কাছে আন্তরিকতার সাথে স্বীকার করতে হবে, কেননা, কেবলমাত্র তিনিই আমাদের সকল পাপের হাত থেকে পবিত্র করার ক্ষমতা রাখেন৷ আমাদের সকলের বিনম্র ও অনুতপ্ত হওয়া প্রয়োজন, অনন্ত বিচারক তার সম্মুখে যিনি নিজেকে বিনম্র ও খোদার মেষ শিশু, বহন করে নিয়েছেন আমাদের, অর্থাত্‍ জগতের পাপের প্রায়শ্চিত্ত নিজ স্কন্ধে৷ যে কেউ তার মুখাপেক্ষী হয় সেই মুক্তপাপ বলে সাব্যস্থ হয়ে পূতপবিত্র ও ধার্মিক হয়ে যায়৷ নাজাতের অপূর্ব সুযোগ থাকাকালীন সময়ে সমর্পিত হতে হবে৷

ব্যভিচারে ধরা পড়া কোনো এক মহিলাকে সমাজপতিগণ বিচারের জন্য মসিহের কাছে যখন নিয়ে আসলেন, মসিহ তখন তার পাপের বিষয়ে তাকে বিব্রত না করে তাদের নিজেদের কথা নিয়ে ভাবনা করার সুযোগ দিলেন, আর ব্যভিচারে ধরা পড়া মহিলাকে শরীয়ত মোতাবেক পাথর ছুড়ে মারার কথাও বললেন৷ কিন্তু তিনি ক্ষুদ্র শর্ত আরোপ করলেন; আর তা হলো, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কখনো পাপ করে নাই অর্থাত্‍ নিষ্পাপ সে গিয়ে প্রথমে পাথর ছুড়ে মারবে৷ তখন সকলেই আপন আপন চিত্তে তীর বিদ্ধের মতো বিবেকে দংশিত হলো৷ তাদের মধ্যে ছিল প্রধান ইমাম, সমাজের প্রবীন নেতাগণ এমন কি মসিরেহ সাহাবিগণ পর্যন্ত৷ এক এক করে সকলেই নিরবে স্থান ত্যাগ করলো৷ শেষ পর্যন্ত মসিহ এবং উক্ত অভিযুক্ত মহিলা উপস্থিত ছিলেন৷ তখন প্রথম পাথরটি মসিহেরই ছুড়ে মারা প্রয়োজন ছিল, কেননা কেবল মসিহই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ছিলেন সম্পূর্ণ বেগুনাহ৷ কিন্তু তিনি তাকে পাথর মারেন নি৷ তিনি তাকে বললেন বাড়ি ফিরে যেতে, পুনরায় যেন আর পাপ না করে৷ পাথর না মেরে মসিহ কি শরীয়ত ভঙ্গ করেছিলেন? না মোটেই না৷ বরং তিনি তার পাপ নিজের স্কন্ধে তুলে নিয়ে শাস্তি ভোগ করেছিলেন৷ তাই, পাপ ক্ষমা করার অধিকার তাঁর রয়েছে৷ মসিহের সলিবে দত্ত মৃতু্যই পারে জেনার মতো অভিযোগে দুষ্ট ব্যক্তিদেরও কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ থেকে ক্ষমা করতে৷ যারা কথায়, কাজে ও চিন্তায় জেনার দোষে দুষ্ট, তারাও কেবল সলিবে হত পুনরুত্থিত মসিহের মধ্য দিয়ে পায় নাজাত৷

তালাক প্রথাকে মসিহ নিষিদ্ধ করেছেন, পরিবর্তে বৈবাহিক জীবন যেন চিরস্থায়ী হয় সে বিষয়ে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছেন৷ বিবাহের বিষয় নিয়ে কেউ যখন চিন্তা করে, তাকে প্রার্থনা করতে হবে যক্তিযুক্তভাবে, উক্ত নীতি মান্য করার বিষয়ে ব্যক্তিকে প্রার্থনা করতে হবে, 'এই মহিলাই কি খোদা দত্ত বা নিয়োজিত সঙ্গী আমার জন্য না আমি স্বীয় স্বামী চরিতার্থ করার জন্য নিজে নিজেই বেছে নিয়েছি? বয়স, মেধা, শিক্ষা ও পারিবারিক মর্যদার দিক দিয়ে আমরা যথাযথ হব কি? আমার জুড়ি কি ত্রিত্তপাকের খোদায় বিশ্বাস করে, না খোদার ওপর ভাসাভাসা জ্ঞান রাখে মাত্র? এ ধরণের বিষয় এবং অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে ধ্যান প্রার্থনা করতে হবে বিবাহের পূর্বে, যখন বিবাহের পূর্বে হাতে যথেষ্ট সময় থাকে৷ বিবাহের কথাবার্তা পর্যন্ত তুলে নেয়া যেতে পারে যদি দেখা যায় মিয়াবিবি কিছুতেই বনিবনা মানবে না৷

যেকোনো মূল্যে প্রাক বৈবাহিক যৌনসম্ভোগ বন্ধ করত হবে৷ আপনি যদি কোনো বিবাহযোগ্যকে ভালোবাসেন তবে তাকে সম্মান দেখান তাঁর বিবেক বা সুনাম ক্ষুন্ন করা ঠিক হবে না৷ কেউই নিশ্চয়তা দিতে পারে না বিবাহের দিন পর্যন্ত সে বেঁচে থাকতে পারবে৷ তাই যুবক হিসেবে শিখতে হবে বৈবাহিক জীবন যাপন করার জন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল৷ আপনার স্ত্রী যদি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে আর তার কাছে আপনি গমণ করতে ব্যর্থ হন তখন কী হবে? প্রেম কেবল সম্ভোগ নয়, বরং নিজেকে বিসর্জন দেয়া শিখায়৷ যদি কেউ বলে বিবাহের ধার্য করা দিন পর্যন্ত তার সহ্য হয় না, তবে বিবাহ করা তার উচিত্‍ হবে না, কেননা পরবতর্ী সময় সে বিশ্বস্ত থাকতে পারবে না৷ মসিহ আমাদের ডেকেছেন আত্মদমনের জন্য, যৌন পাগল নিয়ন্ত্রণ হারা হবার জন্য নয়৷ টেলিভিশণ ও কতিপয় ধর্মিয় মতবাদে যৌনাচার প্রশয় দেয়৷

যৌনসম্ভোগ বিষয়টি অপবিত্র নয়, এটা একটি স্বগর্ীয় দান যার জন্য খোদার শুকরিয়া জানাতে পারি৷ যাহোক, মানুসের আকাঙ্খা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন এবং কাউকে প্রলুদ্ধ করা ঠিক হবে না৷ একজন যুবক, যে কিনা শিশুদের সাথে যৌনাসম্ভোগ করে, তার বিষয়ে মসিহ বলেছেন, 'আমার ওপর ঈমানদার ইে ছোটদের মধ্যে কাউকে যদি কেউ গুনাহের পথে নিয়ে যায় তবে তার গলায় একটা বড় পাথর বেঁধে তাকে সাগরের গভীর পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভালো' (মথি ১৮:৬)৷ কঠোর বিচার তার জন্য অপেক্ষা করছে৷ যে কেউ শিশুদের সাথে যৌনসম্ভোগে লিপ্ত থাকে সে স্বর্গের রাজ্যের অধিকার পাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত ও উক্ত পাপ কর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন না হয়, (১করিন্থীয় ৬:৯-১১)৷ সত্যিকারের প্রেম কারো ক্ষতি করতে দেয় না৷

মসিহি মহিলা বা মেয়েদের প্রস্তুত থাকতে হবে তাদের জীবন সঙ্গী লাভের জন্য৷ বর্তমানকার নির্লজ্জ্য সিনেমা, কুরুচিপূর্ণ ম্যাগাজিন এবং পাশবিক চরিত্রে টেলিভিশনের যুগে সহজ নয় সঠিক পথে জীবন যাপন করা, এ সকল দোযখের সামগ্রী, যার মধ্য দিয়ে বেহেশতের কোনো সুবাতাস বয় না৷ একটি আত্মিক মসিহি যুব সমপ্রদায় অথবা আত্মিক পরিবার ধীরে ধীরে দেহ, মন ও আত্মার উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে পারে৷ একটি যুবতি যতটা দ্রুত মসিহের হাতে হতে পারে সমর্পিত তা হবে তার জন্য ততই উত্তম৷ সে মসিহের সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা ও পথে সুরক্ষিত থাকবে৷ কোনো ধনি বা উচ্চ শিক্ষিত পাত্র খোঁজার প্রয়োজন নেই বিবাহযোগ্য কনের জন্য, কিন্তু তার রুহানি ক্ষমতা থাকতে হবে নতুন আত্মা কোনো যুবকের হৃদয়ে বাস করে, আর ভদ্র ও মার্জিতভাবে তার পেশাগত কর্মে বিশ্বস্তভাবে নিয়োজিত রয়েছে কিনা৷ পাকরূহের ফল ব্যহ্যিক আকর্ষণীয় বস্তুর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রভু বলছেন, 'দুষ্টদের চিত্তে শান্তি নেই', বৈবাহিক জীবনটাকে কি দিয়ে ভরাট করা যাবে?

নিজেদের নিজেরা প্রতারণা করা উচিত নয়৷ সাপকে বেহেশতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে৷ মসিহের মধ্যে জীবন যাপন ব্যতিরেকে এবং মসিহিয়াত চর্চা ছাড়া কোথাও শান্তি ও নিরাপত্তা বলতে নেই৷ কেবলমাত্র তিনিই পারেন আমাদের সাহায্য করতে এবং প্রলোভন পরাভূত করতে৷ যেহেতু আমরা কেউই পাপমুক্ত জীবন যাপন করতে পারছি না, তাই আমাদের পাপ ও অপরাধ মসিহের কাছে স্বীকার করা দরকার৷ পাপ স্বীকারে বিলম্ব করলে উল্টো পাপ আপনার উপর কর্তৃত্ত্ব করবে৷ প্রভুর দিকে ফিরুন, তিনি তাত্‍ক্ষণিক পাপের কবল থেকে আপনাকে মুক্ত করবেন৷ যখনই মনে হবে আপনি পাপের কবলে কবলিত তখনই তাঁর কাছে ছুটে পালান৷

সম্ভব হলে বিবাহ বন্ধন ঈসা মসিহের নামে হওয়া উচিত্‍ এবং সুযোগ থাকলে তা জামাতে ইমাম এবং অন্যান্য সদস্যদের সম্মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে করা প্রয়োজন, যাতে মসিহের অফুরান আশির্বাদ নেমে আসে উক্ত দম্পতির জীবনে৷ বিবাহের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ অর্থ, কাপড় চোপড়, ভালোস্বাস্থ্য ও পার্থিব সম্পদ হতে পারে না, বরং মসিহ এবং তার কালাম ও রহমত হতে হবে বৈবাহিক জীবনের মূল ভিত্তি৷ মসিহ তাই আজ্ঞা দিয়েছেন, 'প্রথমে খোদার রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার অন্বেষন করো, তবে সবকিছুই যোগান দেয়া হবে' (মথি ৬:৩৩)৷ অক্ষমতা ও বন্ধত্ব থাকা সত্ত্বেও বিবাহ সফলকাম হতে পারে৷ দম্পতি বিশেষ আশির্বাদ লাভ করতে পারে এবং প্রজ্ঞা নিয়ে প্রভুর নানাবিধ সেবা চালিয়ে যেতে পারে৷ গৃহহীন এতিম শিশুদের তারা দত্তক গ্রহণ করতে পারে অথবা প্রভুর নামে যদি পিতা, পুত্র ও পাকরূহের নামে বৈবাহিক জীবন শুরু না করে, তবে উক্ত যুগলের মধ্যে অবিশ্বাস দানা বাধবে, আর তালাক দেবার প্রবণতা থেকে যাবে, কেননা অবিশ্বাসী ব্যক্তিরা জানেই না নিঃস্বার্থ জীবনের মাহাত্ম, পারে না তারা স্বার্থপরতা ও একগুয়েমি জীবন থেকে বাহির হতে৷ যারা অল্পদিনের জন্য বিবাহ করে অর্থাত্‍ (মুতা) অথবা কোনো নির্দিষ্ট শর্ত ছাড়া একসঙ্গে জীবন যাপন করে অথবা পরীক্ষা মূলক দাম্পত্য জীবন পরিচালনা করে তারা পারষ্পরিক মনস্তাত্তি্ব অথবা জৈবিক মাধুর্য উপলব্ধি করতে পারে না, আর তাতে খোদার ভয়ও থাকে না৷ বিশ্বাসে বাধ্যতা ছাড়া স্বাধীনতা কেবর নৈরাজ্য প্রবেশের খোলা দরজা মাত্র৷ চারিত্রিক সরলতা হলো প্রত্যেক সভ্যতার একমাত্র ভিত্তি, তাই প্রভু খোদাকে প্রলুদ্ধ করবেন না, তিনি আপনার নির্মাতা৷ পাকরূহ অপবিত্রতাকে সমর্থন যোগায় না, যৌন ব্যবসা, অশালীন পোশাক, নোংড়া রং তামাশা, অতিভোজন, মদ্যপ হওয়া অথবা নেশা করাকেও পছন্দ করে না৷ এ স্বভাব-আচরণগুলো অবক্ষয়ের চিহ্ন বহন করে যা হৃদয়-মনের অবস্থা এমনকি শরীর ধ্বংশ করে৷ হয় আমরা অভিশপ্ত শয়তানের অধীনে চলবো যে শয়তান এ যুগের অধিকর্তা, নতুবা মসিহের অধিনে জীবন যাপন করবো যিনি একমাত্র নাজাতদাতা এবং আমাদের দুর্বলতার সময় আমাদের শক্তি যোগান৷ আমাদের বিশ্বটি বড়ই বস্তুতান্ত্রিক হয়ে পড়েছে, তারা কোনোমতেই মসিহে বিশ্বাসীদের মতাদর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে আদৌ আগ্রহী নয়, মসিহ তাদের পবিত্রতা ও শুব্দতা উত্তরাধিকার সত্ত্ব হিসেবে আমাদের দান করেন৷


০৯.৬ - মুসলমানদে দৃষ্টিকোন অনুযায়ী বিবাহ

ইসলাম শরীয়তে একটা বিশেষ আইন প্রনয়ণ করেছে বিবাহ পদ্ধতির উপর, তাদের দাবি হলো, নৈতিক অধঃপতন থেকে ইউরোপ ও আমেরিকার লোক জন শরীয়ত মোতাবেক বেরিয়ে আসতে পারে৷

মুহাম্মদ তার অনুসারীদের ৪জন স্ত্রী রাখার অধিকার প্রদান করেছেন৷ তিনি খন্ডকালীন সময়ের জন্য মুতা বিবাহ প্রথা চালু করেছেন নির্দিষ্ট দিনের জন্য চুক্তি মোতাবেক কিছু টাকার বিনিময়ে (সুরাহ আন নিসা ৪:৪, ২৫)৷ তার অনুসারীরা বিজয়ী যোদ্ধা ও দক্ষবণিক ছিলেন৷ কখনো কখনো বাড়ি ছেড়ে তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য দূরে যেতে হতো, তখন তাদের যৌন ক্ষুধা নিবারণের প্রয়োজন হতো, তাই তারা যৌন সঙ্গী খুঁজে ফিরতো৷ ধৈর্য্য ধরা এবং আত্ম অস্বীকৃতি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে না ইসলামে, তবে তা মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷ ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ নিজেই ১৩জন স্ত্রী গ্রহণ করেছেন তার ইহুদি, মসিহি ও অবিশ্বাসী উপপত্নী ছিল যা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় নাই৷

অধিকাংশ ইসলামিক দেশে কারণ না দেখিয়ে পুরুষ তাদের স্ত্রীদের তালাক দেবার ক্ষমতা রাখে৷ আবার তালাকের দুই মাস পরে মোহরানা না দিয়ে উক্ত স্ত্রীকে সে বিবাহ করতে পারে যদি তালাকের বিষয়ে সে অনুতপ্ত হয়ে থাকে৷ এমনকি দ্বিতীয় বার বিবাহ আবার দ্বিতীয় বার তালাক দেয়ারও প্রথা চালু আছে ঐ সকল দেশে৷ কিন্তু তিন বারের মতো যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয় তবে উক্ত স্ত্রীকে সে আর বিবাহ করতে পারে না অন্য পুরুষের সাথে হিল্লা বিয়ে না দিয়ে৷ যদি শেষের স্বামী যদি তাকে তালাক দিয়ে দেয় তবে সে তার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে৷ এমন ক্ষেত্রে মহিলাদের মনে কী ধরণের অবস্থা চলতে পারে, ভেবে দেখুন৷ তাকে একখন্ড আসবাবপত্রের মতো মনে করা হয়, সে জীবন সঙ্গী বলে বিবেচ্য নয়, নয় সে এক আত্মা স্বামীর আত্মার সাথে, সম্মান, অধিকার ও কর্তব্যে সমান নয়, তাই দাম্পত্য জীবন রুহানি ঐক্যে বাস করে না এবং জীবনের সমস্যাবলিও সমপ্রচেষ্টায় সমাধানেরও চেষ্টা করে না৷

একজন মুসলমান হলো পিতৃতান্ত্রিক কর্তা, পরিবারে ৪জন স্ত্রী রাখার আইনানুগ অধিকার রাখে৷ তবে একটা শর্ত হলো, তাকে সকল স্ত্রীদের সমভাবে প্রেম করতে হবে৷ কোনো স্ত্রীকে যদি সে কোনো উপহার দেয় তবে তাকে একই মাপের উপহার বাকী ৩ স্ত্রীদের দিতে সে বাধ্য৷ কোনো এক স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান যদি নতুন পোশাক পিতার কাছ থেকে উপহার পায় তবে অন্যান্য স্ত্রীদের গর্ভজাত সন্তানেরাও একই মর্যাদার কাপড় পাবে বা তাকে দিতে হবে৷ অর্থনৈতিক কারণে অধিকাংশ মুসলমান একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করে না৷ তথাপি বহু বিবাহ প্রথা অধিকাংশ ইসলামিক দেশে অদ্যাবধি চালু আছে৷ কেবলমাত্র তুরস্ক ও তিউনেশিয়ায় এ নিয়ম বন্ধ হয়েছে৷ সচরাচর স্ত্রী বৃদ্ধ হয়ে গেলে পরিবার থেকে বের করে দেয়া হয়, সুন্দরি যুবতী স্ত্রী দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করার জন্য৷ যাহোক, কোনো পরিবারে স্বামী যদি একাধিক স্ত্রী অর্থাত্‍ দুই তিন বা চার জন স্ত্রী নিয়ে ঘর করে তবে উক্ত পরিবারে হিংসা বিদ্বেষের ঝড় বইতে থাকে৷ মুহাম্মদ তার অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানে তাই বলেছেন, মহিলারা হলো গৃহের মধ্যে পলিত দুষ্টতা, যারা ভালো কোনো বুদ্ধি রাখে না এবং ধমর্ীয় বিষয়ে খুব অল্পই জ্ঞান রাখে (মাসুদ ইবনে হানবাল ২য় ৩৭৩)৷ তিনি কখনো তাকে এমন গর্দভের সাথে তুলনা করেছেন, যে তার ভার বহনে অসমর্থ৷ তিনি বলেছেন নারীদের হাতে শাসিত দেশ উত্তোরক্ত ধ্বংস হতে বাধ্য৷

কোরান হাদিসের শিক্ষা হলো পুরুষ তার স্ত্রীকে শাস্তি দিতে পারে৷ প্রথমে স্ত্রীকে সাবধান করবে (যদি স্ত্রীর দ্বারা বিদ্রোহে আশঙ্কা বোধ করে), তারপর তার সাথে সহবাস অস্বীকার এবং পরিশেষে প্রহার করবে যতক্ষণ না তার বাধ্যগত হয় (সুরাহ আল নিসা ৪:৩৪)৷

আদালতে স্ত্রীর সাক্ষ্য স্বামীর সাক্ষ্যের মর্যাদার অর্ধেক মর্যাদা পাবে৷ সে কারণে একজন পুরুষের সাক্ষ্য সমান হবে দুই জন মহিলার সাক্ষ্য৷ কোনো স্বামীর যদি পুত্র থাকে তবে স্বামীর সম্পদের অংশ হিসেবে স্ত্রী পাবে আট ভাগের এক ভাগ৷ পুত্র, যদি সে শিশুও হয়, তবে সম্পদের এক চতুর্থাংশ লাভ করবে৷ মায়ের মুল্যের চেয়ে পুত্রের মুল্য দ্বিগুন৷ উত্তরাধীকার বিভাগের সময় স্ত্রীর পূর্বে স্বামীর আত্মীয় স্বজনের প্রশ্ন প্রথমে হবে বিবেচ্য (সুরাহ আন নিসা ৪:৭-১১)৷

সন্তান বাবার একক সম্পদ৷ তালাকাপ্রাপ্ত স্ত্রী সন্তানকে লালন পালন করে পরিপক্ক করে তোলা পর্যন্ত নিজের কাছে রাখার অধিকার পায়৷ স্ত্রী তার স্বামীর সাথে একক ভাবে বাস করে না, স্বামীর আত্মিয় স্বজনসহ একত্রে বাস করে, যেখানে শাশুড়ীর কথাই হলো প্রথম ও শেষ৷ ইসলামিক বিবাহের প্রধান নীতি হলো কেবল স্বামী-স্ত্রীর ঐক্য নয়, অথবা নিজেদের সমস্যা সমাধানের নিশ্চয়তা দেয় না, বরং পুরো গোষ্টির সকল চলমান সমস্যার সমাধানকল্পে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে৷ স্ত্রীর কোনো মূল্যই নেই, সে কেবল উচ্চ মাপের একজন ভৃত্য৷ তার দায়িত্ব হলো গোষ্টির জন্য কতকগুলো পুত্র সন্তানের জন্মদান করা৷ তবে কন্যা সন্তান জন্ম দিলে তা তাদের কাছে লজ্জ্যাকর বিষয় বলে ধরা হয়৷

যদি কোনো বিবাহিতা মহিলা বা অবিবাহিতা মেয়ে ব্যভিচারে ধরা পড়ে, মুহাম্মদের হুকুম হলো তাকে ১০০ বেত্রাঘাত করা (সুরাহ আন নূর ২৪:৩) অথবা পাথর মেরে হত্যা করা৷ মুহম্মদের কাছে এক গর্ভবতী মহিলাকে আনা হলো যে কিনা অজানা লোকের দ্বারা গর্ভবতী হয়েছিল৷ মুহাম্মদ মহিলাকে তখন বিদায় দিল এ বলে, শিশুটি ভূমিষ্ট হলে মহিলাকে তার কাছে আনা হলো৷ সন্তানটি ভূমিষ্ঠ হবার পর সন্তানটিকে আলাদা করে মহিলাকে তাত্‍ক্ষণিক পাথর ছুড়ে হত্যা করা হোক৷ মুহাম্মদ এবং মসিহের মধ্যে কতোটা দূরত্ব৷ মসিহ নিজের মহব্বতে আত্ম কোরবানির মাধ্যমে ব্যভিচারিদের পাপের কাফফারা নিজের কাধে তুলে নিলেন এবং তাদের মুক্তির জন্য নিজ প্রাণ দিলেন কোরবানি৷ খোদার বিচারের ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতার অস্তিত্ব ইসলাম স্বীকার করে না৷ সে কারণে কোনো মুসলমান অপরাধিদের ক্ষমা করতে পারে না বরং নির্দয়ভাবে প্রতিশোধ নিয়ে থাকে৷

যেহেতু প্রকাশ্যে ব্যভিচার ইসলামে ভয়াবহ রূপ নেয়, তাই প্রায়শই তা ঘটতে দেখা যায় না প্রকাশ্যে৷ তবুও পুরুষদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে ব্যভিচারের প্রচলন দেখা যায়৷ একজন মুসলমান সবসময় স্ত্রী তালাক দিয়ে যুবতী দেখে স্ত্রী গ্রহণ করার অধিকার রাখে৷ যদিও অনেক ইসলামিক দেশে বহু বিবাহ আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ইসলামেরর প্রবণতা নর নারীর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়ে আসছে৷

মহিলাদের প্রতি নিম্মমানের সম্মান প্রদর্শণ শুধু পৃথিবীতে নয় বরং তা বেহেশতেও প্রদর্শিত হয়েছে৷ মুহাম্মদ বলেছেন, 'বেহেশতে সবচেয়ে নিম্মমানের বাসিন্দা হলো মহিলারা' তবুও পুরুষেরা ওঁত্‍ পেতে আছে নানা প্রকার আরামের জন্য, ডজন ডজন কুমারীর সাথে বেহেশতে সম্ভোগের প্রত্যাশায়, যে কুমারীরা গোটা জীবন কুমারী থাকবে সম্ভোগের পরেও৷ তাছাড়া সুশ্রী যুবকও প্রস্তুত থাকবে তাদের প্রয়োজন মিটাবার জন্য বেহেশতের কাননে৷ মহিলাদের ভবিষ্যতের প্রশ্নে মুহাম্মদ বলেছেন, 'দোযখের দৃশ্য দেখানোর সময় আমি দেখেছি প্রজ্জলিত ব্যক্তিদের মধ্যে নব্বই শতাংশ হলো মহিলা৷

মসিহের বর্ণীত বেহেশত সম্পূর্ণ বিপরীত৷ বেহেশতে তাঁর অনুসারীগণ হলেন গৌরবান্বিত, যেমন খোদার ফেরেশতাকুল, যাদের বিবাহ দেয়া হবে না বা তারা বিবাহ করবেন না৷ খোদার রাজ ভোজন পানের ক্ষেত্র নয়, নয় তা বিবাহের জন্য, সেখানে রুহানি মহব্বত, আনন্দ এবং শান্তি আর পাকরূহের শক্তিতে থাকবে বিরাজমান৷ সত্যিকারের বেহেশত এ জগত থেকে অর্জিত হবার নয়৷ মসিহের আবির্ভাবের সাথে তুলনা করা হলে কেউ কি মনে করতে পারে, কোনো ঐশি উত্‍স থেকে কোরান হয়েছে প্রকাশিত? পুরুষদের ক্ষমতা, গর্ব ও উন্মাসিকতায় পূর্ণ যা হলো নবীদের যুগ তথা ইঞ্চিল শরীফের যুগে যে মর্যাদা ছিল তার চেয়েও নীচে নামিয়ে দেয়া হয়েছে৷


০৯.৭ - অনুশোচনার আহবান

মসিহিদের উচিত হবে না মুসলমানদের ছোট নজরে দেখা৷ কিতাবুল মোকাদ্দসে যে নিয়ম নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা নিয়ে তারা মত্ত হয়ে পড়েছে এবং তুলনা মূলকভাবে ইউরোপ আমেরিকায় বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলছে৷ ফলে সন্তানদের ওপর এর বিরুপ প্রভাব গিয়ে পড়ছে আর ভেঙ্গে যাওয়া পরিবার থেকে তারা বেরিয়ে পড়ছে৷ আমরা হতবাক স্কুলে যৌনশিক্ষার বিস্তার লাভ দেখে৷ কতই না কদাকার কুত্‍সিত্‍ ছবি ছাপানো হয় সাপ্তাহিক পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে, ভিডিও ও টেলিভিশনে৷ এতদসত্ত্বেও মাত্র গুটি কয়েক পরিবার এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে৷

খোদাভিতির অভাবের ফলে সংকীর্ণ চিন্তা মাথায় জাগে৷ আলোকচিত্র শিল্পীরা ইউরোপে অশালীন দুয়ার খুলে দিয়েছে৷ খোদার থেকে বিচ্ছিন্নতা যৌনাচারের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে৷ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি যৌন লিপ্সা বাড়িয়ে ছেড়েছে৷ যাহোক, কনডমের ব্যবহার এইডস রোগের সংক্রমন বন্ধ করতে পারেনি আজ পর্যন্ত৷ যারা স্ত্রীর কাছে অবিশ্বাস্য তাদের ওপর কঠোর শাস্তি নেমে আসে এইডস সমকামিতা, নর-নারীর সাতে যৌনচার, বেস্যাগমন এবং যারা ড্রাগ সেবন করে তাদের ওপরও খোদার গজব নেমে আসে৷ (রোমীয় ১:২৪ হযরত পৌল লিখেছেন, 'এজন্য আল্লাহ মানুষকে তার দিলের কামনা-বাসনা অনুসারে জঘন্য কাজ করতে ছেড়ে দিয়েছেন৷ ফলে তারা একে অন্যের সঙ্গে জঘন্য কাজ করে নিজেদের শরীরের অসম্মান করেছে৷' নামধানি মুসলিম, ইহুদি, মসিহি যে কেউ এমন কাজে থাকে লিপ্ত শাস্তির ব্যপারে খোদা কোনো পক্ষপাতিত্ত্ব করেন না৷ খোদার আজ্ঞা যারা এড়িয়ে চলে, 'তোমরা জেনা করবে না' এর অর্থ হলো লক্ষ কোটি জনগণ অবৈধ যৌনাচারে নিজেদের বিপন্ন করে তোলে৷ এ আয়াতের অর্থ হলো, 'পাপের বেতন হলো মৃতু্য' যা অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে দেখা দিয়েছে বর্তমানে৷

রক্তগ্রহনের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তিরা এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ সে কারণে উচিত হবে না এ রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীকে দোষারোপ বা দোষী বলে সাব্যস্থ করা৷ কেবলমাত্র খোদা নিজেই জানেন আমাদের অতীত কাহিনী৷ যারা ব্যাভিচারে ধরা খেয়েছে তাদের থেকে আমরা উত্তম নই৷ কেবল মসিহ জানেন আমরা আমাদের হৃদয়ে কী পুষে রাখছি৷ তিনি বলেছেন, 'অন্তর থেকেই খারাপ চিন্তা, খুন, সব রকম জেনা, চুরি, মিথ্যা সাক্ষ্য ও নিন্দা বের হয়ে আসে' (মথি ১৫:১৯)৷ এইডস থেকে রক্ষা পাবার উত্তম ব্যবস্থা যে কি তা আমাদের জানার প্রয়োজন নেই, তবে আমাদে প্রত্যেকের প্রয়োজন পূতপবিত্র হৃদয়ের অধিকারি হওয়া, পরিষ্কার রূহ এবং নতুন চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা৷ দাউদ নবী যখন যেনা করে ও মানুষ হত্যা করে তখন সে লালসার শিকারে পরিণত হয়ে পড়েছিল, তার মতো করে আমাদের প্রার্থনা করতে শিক্ষা দেয়, 'হে আল্লাহ, তুমি আমার মধ্যে খাঁটি অন্তর সৃষ্টি কর; আমার মন আবার স্থির কর৷ তোমার সামনে থেকে আমাকে দূর করে দিয়ো না' (আল জবুর ৫১:১০, ১১)৷

আন্তরিকভাবে এ কালামের আলোকে মসিহের কাছে প্রার্থনা এবং পাপ স্বীকার করলে আমরা ঐশি জবাব লাভ করে থাকি, 'লোকেরা তখন বিছানায় পড়ে থাকা একজন অবশ রোগীকে তাঁর কাছে আনল৷ সেই লোকদের বিশ্বাস দেখে ঈসা মসিহ সেই রোগীকে বললেন, সাহস কর৷ তোমার গুনাহ মাফ করা হল৷' 'পরে ঈসা মসিহ স্ত্রীলোকটিকে বললেন, তোমার গুনাহ মাফ করা হয়েছে (মথি ৯:২ এবং লুক ৭:৪৮)৷ পূতপবিত্র খোদা পাকরূহের শক্তি আমাদের দান করে থাকেন, যাতে আমরা পূতপবিত্র জীবন যাপন করতে সক্ষম হই, পেয়ে যাই আমাদের পাপের স্খলন৷ আমাদের প্রলোভনের মধ্যে মসিহ ভুলে থাকতে পারেন না, তিনি সর্বদা প্রস্তুত আমাদের শক্তিদান করার জন্য ফলে আমরা প্রলোভন সমূহ পরাভূত করে থাকি৷

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on September 25, 2013, at 08:18 AM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)