Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- The Ten Commandments -- 10 Eighth Commandment: Do Not Steal
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian -- Azeri -- Baoule? -- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- Farsi? -- Finnish? -- French -- German -- Gujarati -- Hebrew -- Hindi -- Hungarian? -- Indonesian -- Kiswahili -- Malayalam? -- Norwegian -- Polish -- Russian -- Serbian -- Spanish -- Tamil -- Turkish -- Twi -- Ukrainian? -- Urdu? -- Uzbek -- Yiddish -- Yoruba?
ব্যাখ্যা ৬: দশ আজ্ঞা - মানুষকে অপরাধের কবল থেকে রক্ষা করার প্রতিরক্ষা কবজ সম দেয়াল৷ প্রথম খন্ড
সুসমাচারের আলোকে হিজরত পুস্তকের ২০ অধ্যায়ে বর্ণীত দশ শরীয়তের ব্যাখ্যা

১০ - ৮ম আজ্ঞা: চুরি করো না



হিজরত ২০:১৫
তোমরা চুরি করবেনা


১০.১ - কার নিয়ন্ত্রণে সম্পদগুলো রয়েছে?

শুরুতেই আল্লাহ আসমান, জমীন এবং এর মধ্যে যা কিছু রয়েছে তার সবকিছু সৃষ্টি করেছেন৷ তিনি একক মালিক সবকিছুর, যেমন বৃক্ষলতা, জীব-জানোয়ার এমনকি আমাদেরও একক মালিক তিনি৷ আমরা খোদার নিজস্ব অধিকার৷ পরিকল্পনাহীনভাবে তিনি আমাদের সৃষ্টি করেন নাই৷ খোদার রহমত, ক্ষমতা ও কুদরত তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তিনি প্রকাশ করে থাকেন৷ গোটা বিশ্বের মালিন হলেন কেবলমাত্র খোদা৷ সবকিছুর মালিক কেবল তিনিই, এমনকি স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি৷ বিশ্বস্তভাবে যা কিছু তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব৷ আমাদের সময়, স্বাস্থ্য, শক্তি, অর্থ ও সম্পদের কিছুই আমাদের নয় বা আমরা কোনো কিছুর মালিক নই, সবই তার সম্পদ৷ আপনি কি এ বিষয়ে একমত?

শতঃবত্‍সর পূর্বে নাস্তিক্যবাদ পাকরূহের অস্তিত্ব অস্বীকার করতো, বর্তমানে তা সম্মুখে এসে হাজির হয়েছে৷ তারা বস্তুর অস্তিত্ব স্বীকার করতো এ ভেবে, ওগুলো নিজে নিজে উত্‍পন্ন হয়েছে৷ খোদার অস্তিত্ব তাদের কাছে ছিল কল্পনা জগতেরও বাইরে৷ সে কারণে সমাজতন্ত্র মনে করে, বিশ্বটি রয়েছে মানুষের অধিকারে, খোদার নয়৷ শাসক গোষ্টি জনগণের সকল সম্পদের অধিকার নিজের হাতে কেড়ে নিয়েছে, সরকারের বা দলের প্রতি আনুগত্য হল উক্ত সম্পদের অধিকার বজায় রাখা৷ কিন্তু এই মতবাদে ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ তৃপ্ত হতে পারে নি, তাই তারা আর সাধ্যমত শ্রম দিত না, অপরন্তু সরকারি কোষাগার থেকে যতোটা সম্ভব অর্থ কড়ি লুটপাট করতো৷ এ কারণে চীন এবং অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশে ক্রমান্বয়ে ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ব্যাক্তিগত কাজের দিকে এগিয়ে চলছে৷ অপ্রতুল অর্থনৈতিক উত্‍পাদন প্রমাণ করেছে যে মানুষ দলগত কোনো ব্যবস্থার বা পদ্ধতির জন্য সৃষ্ট হয় নি৷ প্রথম থেকেই আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে সম্পূর্ণ দায়িত্ববোধসম্পন্ন সৃষ্টি হিসেবে৷ মানুষের নিজস্ব অভিপ্রায় থাকা প্রয়োজন, তা তার ওপর চাপিয়ে দিলে চলবে না৷ কমিউনিষ্ট পাটির সংস্কার ও উন্নয়নের সাথে সাথে সমাজতন্ত্র ধ্বংসের দিকে চলতে থাকলো৷

পশ্চিমা দেশে ধনতন্ত্রের অর্থ হলো প্রত্যেকে তার অর্থ ও সময়ের খোদ মালিক৷ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গরীব ও সাধারণ জনগণের জন্য চিন্তা করে তবে তেমন চিন্তাটা হলো ধনীদের বিশালাকার কেক কাটার অর্থাত্‍ নিজেদের মধ্যে বিতরণের সময় দু'চার টুকরো, যা খসে পড়ে, তা তাদের জন্য বরাদ্দ করে তাদের প্রতি বদান্যতা প্রকাশ করা মাত্র৷ উক্ত ধনী ব্যক্তিরা অবশ্যই প্রভুর কাছে তাদের দায়িত্বের অবহেলার জন্য জবাবদিহি হবে ও অনুতপ্ত হতে বাধ্য হবে৷ তখন তারা গরীবদের বিসয়ে চিন্তা করতে থাকবে এবং তাদের চাহিদা পুরণের দিকে নজর দিবে৷

আসলে, সমাজতন্ত্র ও ধনতন্ত্রের লক্ষবিন্দু একই৷ উভয় ব্যবস্থাই সম্পদ ও ক্ষমতা চায় কুক্ষিগত করতে৷ তাদের মধ্যে পার্থক্য হলো, ব্যবস্থা বা পদ্ধতি যা দিয়ে সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব৷ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ ডাকাতি ছাড়া আর কিছুই নয়ং৷ আর ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গরীবদের শোষণ করা প্রতারণার কৌশলগত নব ব্যবস্থা বর্তমানকার গণমাধ্যমের বদৌলতে হচ্ছে সম্ভব৷

একজন মসিহির অবশ্য স্বীকার করতে হবে, সকল সম্পদের একমাত্র মালিক হলেন স্বয়ং খোদা৷ আমরা কেউই না মালিক না স্বাধীন অধিকর্তা, কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত বিনম্র পরিচালক মাত্র৷ কিছুই আমাদের নয়৷ যা কিছু আছে তা খোদার আশির্বাদ ছাড়া আর কিছুই নয়, আর এর জন্য আমাদের হিসেব দিতে হবে, কী করে যে ব্যবহার করেছি প্রদত্ত অর্থ, সময় এবং প্রচেষ্টা৷ তাই যা কিছু করেন না কেন বা য কিছু ব্যয় করেন সে বিষয়ে সচেতন থাকুন৷


১০.২ - খোদাকে মহব্বত করা আর একই সাথে টাকার প্রতি লোলুপ থাকার বিষয়ে জ্ঞান

মসিহ আমাদের সাবধান করে দিয়েছেন, 'কেউই দুই কর্তার সেব করতে পারে না, কারণ সে একজনকে ঘৃণা করবে ও অন্যজনকে ভালোবাসবে৷ সে একজনের ওপরে মনোযোগ দেবে ও অন্যজনকে তুচ্ছ করবে৷ আল্লাহ এবং ধন-সম্পত্তি এই দু\'য়ের সেবা তোমরা একসঙ্গে করতে পার না' (মথি ৬:২৪)৷ খোদার ইচ্ছাধীন না রেখে, কোনো মসিহির পক্ষে সম্ভব নয় নিজের উপার্জিত টাকা পয়সার ওপর তার কর্তৃত্ব রাখা, যদি তেমনটা ভাবে তবে মালিকের অর্থ সে চুরি করছে বলে সাব্যস্থ হবে৷ পূর্বে আমরা যেভাবে টাকা পয়সা নিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো ব্যয় করতাম মসিহি হবার সম্পূর্ণ বদলে যায়৷ ধনী মসিহিগণ তাদের ইচ্ছে মতো জীবন যাপন না করুক, তারা যেন খোদার পরিকল্পনা জেনে নিয়ে তারপর তারা তা ব্যবহার করেন, কেননা খোদাই তাদের বিশ্বস্ত ভেবে সম্পদ দান করেছেন৷

উন্নয়নশীল দেশে, যাদের ২/৪টি কলকারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে তাদের প্রথম প্রয়োজন রুহানি উত্‍কর্ষের আর্থিক উন্নতি অর্জনের পূর্বে৷ ত্রিত্বপাকের আল্লাহর ওপরে বিশ্বাস দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে৷ জাগ্রত করে প্রজ্ঞা ও ত্যাগি মনোভাব৷ মসিহের সাথে স্থাপিত সম্পর্কই তাদের দুনর্ীতি থেকে দূরে রাখতে পারে, আর তারা তখন কেবল নিজেদের পরিবার নিয়েও ভাবতে শেখে৷ আর যদি তাদের স্বভাব আচরণে কোনো পরিবর্তন সৃষ্টি না হয় তবে অলসতা, চৈর্য্যবৃত্তি, সন্ত্রাসী মনোভাব হৃদয় মনে বাসা বাধবে৷ এ বিশ্বের একমাত্র ভরসা হলেন ঈসা মসিহ৷

কিতাবুল মোকাদ্দাস পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে 'চুরি করো না', তিনি ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার লাভ করা নিশ্চিত করেছেন৷ তাই কারো সম্পদ দেখে আমরা ঈর্ষা কাতর হবো না, কেননা সম্পদ বৃদ্ধির সাথে সাথে তার ঐশি দায়িত্বও বেড়ে যায়৷ মসিহ এ আজ্ঞার ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, 'সুঁচের ছিদ্র দিয়ে একটি উঠের প্রবেশ করা যতটা কঠিন, একজন ধনীর পক্ষে বেহেশতে প্রবেশ করা তার চেয়ে আরও বেশি কঠিন' (মথি ১৯:২৪)ঃ৷ ধনীদের সম্পদ যে চুরি হবে না তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না, যাকগে, যে কেউ চুরি করে সেই খোদার ন্যায় বিচারের দায়ে পড়িবে৷

আমাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে বিবেকের বাধা জাগে, যা আমাদের নিজস্ব অধিকারের নয় তা গ্রহণ না করার জন্য৷ আমাদের বিবেক বড়ই সংবেদনশীল, ছোট বা বড় কোনো কিছুই চুরি করার প্রশ্নে যত্নসহ আমাদের নিজেদের বিষয়ে হুশিয়ার থাকতে হবে যাতে অন্যদের কোনো সম্পদ আমাদের অধিকারে না থাকে৷ প্রভু আপনাকে সাহায্য করবেন, কোনটি আপনার নিজের এবং কোনটি নিজের নয় তা জেনে নিতে৷ প্রভুর কাছে শক্তি সাহায্য কামনা করতে হবে যাতে সত্‍সাহসে অন্যের সম্পদ যা আমাদের কাছে আছে তা সাথে সাথে যেন ফিরিয়ে দিতে পারি৷ খোদা এবং মানুষের কাছে আমাদের ক্ষমা চেয়ে নেয়া দরকার৷ চুরি করায় আমাদের বিবেকের উপর দংশন চলতে থাকে আর উক্ত দ্রব্য আমাদের ব্যথাতুর করে তোলে, উপরন্তু মসিহের সাথে আমাদের সম্পর্ক বিঘ্নদায়ক হয়৷ আফ্রিকার কোনো এক ইভানজেলিক্যাল সমাবেশে, জনগণ অনুপ্রাণীত হয়েছিল চুরি করা সকল দ্রব্য ফেরত দেয়ার বিষয়ে৷ সেখানে কয়েকজন পুলিশের লোক ছিলেন, তারা আশ্চর্য হয়ে হাসাহাসি করতে লাগলেন, কেননা তাদের সকলেই চুরি করেছে৷ এমন ঘটনা সর্বত্র ঘটে চলছে, খোদার রহমত মানুষকে পাপ স্বীকার করা ও চুরি করা মালামাল ফেরত দেবার জন্য প্রস্তুত করে৷ মসিহের দিকে ফিরুন, তিনি আপনার দ্বারা ক্রীত ক্ষতি পুষিয়ে দিবেন৷ দ্রুত পরিশোধ বা ফিরিয়ে দিন যা কিছু অন্যের কাছে থেকে চুরি করে এনেছেন৷


১০.৩ - অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় চুরি

আমরা নিজের কাছে প্রশ্ন রাখি, 'বর্তমানের চুরি করার কৌশলটা তাহলে কি? এ কৌশলটি কেবল অন্যের জিনিষ অপহরণই নয়, বরং অর্থ আত্মসাত্‍, বিলম্বকরণ এবং কাজের সময় নষ্ট করা৷ প্রতারণার প্রত্যেকটি কৌশল চুরির পর্যায়ে পড়ে৷ নষ্ট জিনিষ সস্তা দরে অথবা চড়া মূল্যে বিক্রি করাও ক্রেতাকে ঠকানোর পর্যায়ে পড়ে৷ কখনো কখনো বিক্রয় মূল্যের অনুপাতে দ্রব্যের মান ঠিক থাকে না৷ ট্যাক্স প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করাও চুরির পর্যায়ে পড়ে৷ অর্থনৈতিক লেনদেন অথবা কর্মক্ষেত্রে অনেক উপায়ে প্রতারণার সুযোগ থাকে৷ আপনি যদি খোদার সাথে যুক্ত না থাকেন তবে অর্থ আত্মসাতের পাপ এবং খোদা ও মানুষের বিরুদ্ধে পাপের মধ্যে ডুবে যাবার সমূহ সম্ভাবনা বিপদ রয়েছে৷

বিবেকের এ পরীক্ষা জমির মালিকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়ে থাকে, ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রধান কর্তার জন্য এবং অন্যান্য উচ্চ পদমর্যাদার লোকদের জন্যও প্রযোজ্য৷ কেননা সাধারণ কর্মচারীদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করিয়ে নেয়, ক্ষেত্রবিশেষে তাদের অতিরিক্ত কাজের মজুরী থেকে বঞ্চিত করা হয়৷ ব্যাংক ও লগ্নীকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও অতিরিক্ত সুদ আদায় করে থাকে যা চুরির পর্যায়ে গণ্য হতে বাধ্য৷ আবার দেখা যায়, কেউ ঋণ গ্রহণ করে অথচ উক্ত ঋণের টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা তার নেই, তেমন ক্ষেত্রটিও চুরি বলে ধরা হবে৷ চুরি করার অগণিত পথ খোলা আছে৷ উভয়ই ব্যক্তিগত ও সরকারী পর্যায়ে পড়ে, আমরা যদি আমাদের বিবেক পাক রূহের নিয়ন্ত্রণে শাসন না করি, তবে আমাদরে ধার্মিকতা কলুশিত করার অবশ্যই ভয় থাকে, তখন অর্থের লোভ ও সম্পত্তির গর্বের কারণে আমরা আমাদের নাজাত ও ধার্মিকতা হারাবো৷ হযরত পৌল পরিষ্কার বর্ণনা দিয়েছেন 'যারা চোর, লোভী, মাতাল, যারা পরের নিন্দা করে এবং যারা জোচ্চোর তারা আল্লাহর রাজ্যের অধিকরী হবে না' (১করি ৬:১০)৷

বর্তমানকার সমাজে নানা উপায়ে চুরি বিদ্যা হচ্ছে কার্যকর৷ অফিসের টেলিফোন ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে আসছে কতিপয় ব্যক্তি৷ অনেকে বাজারে বা দোকানো যা কিছু ভালো পছন্দনীয় দেখতে পায়, মূল্য না দিয়েই হাত করে ফেলে৷ অন্য কেউ গাড়ি নিয়ে ভেগে যায়৷ আর একটি দুষ্ট চক্র আছে যারা প্রথমে বিনামূল্যে মাদক দ্রব্য সেবন করায়৷ ধীরে ধীরে আসক্ত করে তোলে এবং এক সময় পুরোপুরি আসক্ত হলে তাদের কাছ থেকে জোর করে, টাকা আদায় করে আর তারাও বাধ্য হয়, তাদের নেশার দ্রব্য ক্রয়ের জন্য৷ আসক্তরা কেউবা চুরি করে অথবা অপরাধজনক ভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের নেশার দ্রব্য সংগ্রহ করার জন্য৷ বিদেশি কম্পিউটারের সফটওয়ার পেমেন্ট না করে চুরি করা হলো আর একটা অভিনভ কৌশল এবং এর দ্বারা বিবেক হয় কলুশিত৷

মসিহের কাছ থেকে নতুন আত্মা যদি আমরা গ্রহণ না করি তবে হাজার প্রকার প্রলোভনে আমরা পতিত হতে থাকি৷ আমাদের নিশ্চিত হতে হবে, জীবনের লক্ষ্য অর্থ উপার্জন নয়, অথবা বস্তুবাদি হওয়া নয় পাছে আমরা প্রভুর আনন্দ খুইয়ে না বসি৷ মনে রাখতে হবে, লোভ ও হিংসা সর্বপ্রকার মন্দ কাজের কারণ৷ যে কেউ টাকা খুঁজে ফিরে সে তার জীবনের ভঙ্গিই পাল্টে ফেলে৷ তার হৃদয় কঠিন হয়ে পড়ে, প্রেম শীতল হতে থাকে তার, আর যা কিছু সে করে কেবল অর্থের টানে এগোতে থাকে৷ তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হলো অর্থ সম্পদ, কেন্দ্রে আর মাবুদ থাকেন না৷

মসিহ গরিবের মতো জীবন যাপন করাটা উত্তম ভেবেছেন, কেননা প্রচুর অর্থের মালিক অনর্থে হয় পতিত৷ মসিহের মাথা গুজিবার স্থান ছিল না৷ যিহুদা, যে কিনা বেইমানি করে প্রভুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল সে ছিল চোর ক্যাশিয়ার, পরিশেষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল, (ইউহোন্না ১২:৬)

হযরত পৌল আত্মসম্মানের সাথে নিজ হাতে পরিশ্রম করতেন৷ তিনি নিজের বোঝা অন্যের উপর কখনো চাপান নি৷ তিনি কেবল নিজের প্রয়োজনটুকুই উপার্জন করেন নি বরং সুসমাচার প্রচার কাজকে বেগবান করার জন্য অন্যকে দেবার মতো অতিরিক্ত উপার্জন করতেন৷


১০.৪ - কাজ এবং কোরবানি

নতুন বিশ্বাসীদের অর্থ ও কর্মের প্রতি আন্তরিক মনোভাবের পরিবর্তন আবশ্যক, কারণ ভিক্ষাবৃত্তি বা কারো সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা সম্মানের কোনো বিষয় হতে পারে না, পারে না প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থের যোগান দিতে৷ প্রভুর প্রার্থনার চতুর্থ আবেদন হলো 'অদ্যকার খাবার আমাদের দান করো'৷ এর অর্থ হলো, বিশ্বাসের সাথে আমরা আমাদের বেহেশতি পিতার কাছে প্রার্থনা করি যেন যথাযোগ্য কাজ, সুসাস্থ্য ও সহনশীলতা যুগিয়ে দেন যাতে আমরা সকল বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে অভিষ্ট কর্মে নিবেদিত থাকতে পারি৷

সত্যিকারার্থে যদি আমার খোদার নির্দেশনায় পরিশ্রমের সাথে জীবন যাপন করি, তবে আমাদের চুরি করার প্রয়োজন পড়ে না, অথবা অন্যের উপার্জনের ওপর নির্ভর করতে হয় না, কেননা আমরা আশির্বাদপুষ্ট হয়েছি, কেবল নিজেদের পারিবারিক প্রয়োজন মিটাবার জন্যই নয়, তথা অন্যান্য পরিবার এবং দান দশমাংস ও প্রভুর পক্ষে কাজে পরিচালনার জন্যও যথেষ্ট থাকবে৷ কিতাবে তাই রয়েছে পাওয়ার চেয়ে দেওয়ায় আশির্বাদ অনেক বেশি৷ (প্রেরিত ২০:৩৫, ইফিষীয় ৪:২৮, ১থিষলনীয় ৪:১১)৷

মসিহ একদা একজন খোদাভক্ত ধনী যুবকের দেখা পেলেন যিনি বিশ্বস্তভাবে দশ আজ্ঞা পালন করতেন৷ প্রভু তাকে মহব্বত করলেন এবং যদি তুমি ... চাইলেন অদৃশ্য বাধন থেকে তাকে মুক্ত করতে৷ তাই তিনি তাকে বললেন, 'এই কথা শুনে যুবকটি খুব দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার অনেক ধন-সম্পত্তি ছিল' (মথি ১৯:২১)৷ এ কথা শুনে ধনী যুবকটি মনে দুঃখ পেলেন, কেননা তিনি ধনী ছিলেন৷ তিনি মসিহকে ছেড়ে চলে গেলেন৷ মসিহের চেয়ে অর্থ তার কাছে অধিক আকর্ষণের বিষয় ছিল৷ মাঝে মধ্যে আমাদের নিজেদের পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন, মসিহকে অনুসরণ করা কি আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয় না ধন-ঐশ্বর্য ব্যাংক ব্যালেন্স অগ্রাধিকারের বিষয়? (মার্ক ১০:১৯, লুক ১৮:১০)৷ অর্থের ওপর নির্ভরতা থেকে তিনি আমাদের মুক্ত করতে চাচ্ছেন৷ তাঁর ওপর সম্পূর্ণ সমর্পিত হতে হবে এবং আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য তাঁর ওপর নির্ভর করতে হবে৷ যেমন প্রভু নিজের জীবন অনেকের মুক্তির জন্য মুক্তিপণ হিসেবে দান করলেন, তেমনিভাবে আনন্দের সাথে আমাদের জীবনকে তাঁর উদ্দেশ্যে বাস্তবে কোরবানি করা প্রয়োজন৷ খোদা চাচ্ছেন আমাদের নির্ভরতা, অর্থের ওপর না দিয়ে, প্রভুর ওপর রাখতে হবে৷

প্রথমদিকের জামাতের সদস্যগণ রুহানি সহভাগিতায় পরষ্পরকে মহব্বত করতেন এবং প্রভুর দ্বিতীয় আগমণের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতেন৷ তারা নিজেদের বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে সকলে মিলে একত্রে বসবাস করতেন৷ স্বপ্রনোদতি হয়ে তারা একে অন্যকে সাহায্য ও সেবা দান করতেন৷ কমুনিষ্টদের মতো নয়, ভালোবাসার জন্য তাদের কেউ জোর জবরদস্তি করতো না৷ কিন্তু এ সুন্দর ব্যবস্থা তারা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে নি৷ মসিহের দ্বিতীয় আগমনের অপেক্ষা করে অনেক ইমানদার গরীব হয়ে পরলেন৷ তাদের দেশে আগত দুর্ভিক্ষের সময় তারা চরমভাবে দুর্ভোগ পোহালো এবং অনেকই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল৷ তখন হযরত পৌল গ্রীস ও তুরষ্কের জামাতের লোকদের কাছ থেকে দান-দশমাংশ সংগ্রহ করে উক্ত গরীব জামাতে বিতরণ করেছেন আর প্রধান জামাত জেরুজালেমে তাদের নিয়ে আসেন৷

পৌল কাজের অর্থ ও লক্ষ্য নিম্মোক্ত আয়াতের দ্বারা পরিবর্তন করেছিলেন, 'তোমরা যা-ই কর না কেন, তা মানুষের জন্য নয় বরং প্রভুর জন্য করছ বলে মন-প্রাণ দিয়ে করো' (কলসীয় ৩:২৩)৷ প্রত্যেকটি কাজই সম্মানের এবং আরাধনা সম৷ তাই মা যখন সন্তানের প্রতি সঠিক যত্ন নেন, শ্রমিক যখন আন্তরিকতার সাথে রাস্তা ঝাড়ু দেয়, অথবা একজন ইমাম যখন রোববার জামাতের মজলিসখানায় প্রচার করে, বক্তব্য রাখে, তখন প্রত্যেকটি ভালো কাজই মর্যাদার সাথে গণ্য হবে খোদার সেবা বলে৷ আমাদের উচিত্‍ হবে নিজেদের পরীক্ষা করে দেখা, কাকে আমরা সেবা দিচ্ছি? আমরা কি নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত, নিজের পরিবার, নিজের কর্মচারী, নিজের দেশ অথবা আমরা খোদার জন্য শ্রম দিচ্ছি? মসিহি জীবন হলো প্রার্থনা ও বাস্তব কাজের সংমিশ্রণ৷


১০.৫ - ইসলাম ও সম্পদ

ইসলাম সুনিশ্চিতভাবে মনে করে খোদার সৃষ্টি সকলের জন্য সৃষ্ট৷ খোদা যা কিছু আমাদের হাতে বিশ্বস্তভাবে ন্যাস্ত করেছেন তা আমাদের নিজেদের অধিকারের বিষয়৷ ইসলামের আইন মোতাবেক যারা চলে, নামাজ কালাম আদায় করে, খোদা তাদের উপহার হিসেবে সম্পদ দান করে থাকেন৷ প্রাশ্চের লোকজন একাকি বাস করে না, স্বাধীনভাবেও বাস করে না, তবে তারা গোষ্টিবদ্ধ জীবন যাপন করে৷ সম্পদ, তেলের কুপ এবং ঝর্ণাধারা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত হয় যুগ যুগ ধরে গোষ্টিগত সম্পদ হিসেবে৷ পরিবারই হলো একমাত্র আশ্রয়স্থল সকলের জন্য যেমন, বৃদ্ধ, রুগ্ন, খঞ্জ, এমন কি সন্ত্রাসীদের যদি তারা পরিবারে ফিরে আসে৷ অদ্যপর্যন্ত মধ্যপ্রাশ্চের লোকদের সোশাল সিকিউরিটির অতোটা প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই জীবন বীমার, তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রচলনের ফলে শহরের কর্মচারীরা অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছে৷ তাই তাদের জন্য কিছুটা সামাজিক সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে৷

মসজিদ ও ধমর্ীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় ট্যাক্স বা যাকাতের টাকায় এবং সদকার টাকায় আর্থ সম্পদ সরকারিভাবে কোনো নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শণ ছাড়াই ব্যয় করা হয়, কারণ ধমর্ীয় ক্ষেত্রে বেহেশতের পথ প্রস্তুত ও মসৃণ করার জন্য ব্যয় করা হয় বলে৷ কেউ যদি এ পৃথিবীতে একটি মসজিদ নির্মান করে তবে তার ধারণা, বেহেশতে সে একটা প্রাসাদ বরাদ্দ পাবে৷

যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদের বিতরণ যখন শুরু হলো তখন তাদের ধারণা ছিল এর ফলে অমুসলিমদের জয় করতে পারবে এবং যারা তখনও মনস্থীর করে নি তারাও তেমন উপঢৌকন পেয়ে তারাও চিন্তা করতে উত্‍সাহ লাভ করবে৷ উদ্দেশ্যপূর্নভাবে মুহাম্মদ এ পদ্ধতি অনুসরণ করে বললেন, এমনকি শত্রুদের সাথে একই ব্যবস্থা প্রয়োগ করতেন৷ যাতে তাদের হৃদয় ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে৷ কোনো অবিশ্বাসী যদি ইসলাম গ্রহণ না করতো তবে তাকে হত্যা করা হতো অথবা দাস হিসেবে গণ্য করা হতো৷ কোরান ও ইসলামিক আইন কানুন মোতাবেক ক্রীতদাস হলো মুসলমানদের সম্পদ, বিবাহযোগ্য মেয়েরা হলো তার মালিকের ইচ্ছাধীন থাকবে আর তাদের পিতা মাতার কোনো আপত্তি চলবে না ঐ বিষয়ে, রাজী হতে হবে তাদের মেয়েদের সাথে মালিক যেমন খুশি ব্যবহার করবে তাতে৷ দাস ব্যবসা দীর্ঘ জীবন পেয়েছিল ইসলামিক দেশ সমূহে৷ গৃহযুদ্ধের ফলে আমেরিকার ভূমি থেকে দাস ব্যবসার অবসান ঘটে৷


১০.৬ - চোরের জন্য প্রদত্ত সবচেয়ে কঠিন শাস্তি

ইসলাম বাধ্য হয়ে চৌর্যকর্মের জন্য কঠোরতম শাস্তি ধার্য করেছে৷ প্রথম বারের মতো চুরির কাজে যদি নির্দিষ্ট পরিমানের বেশি অর্থ চুরি করে তবে ডান হাত কর্তন করতে হবে৷ আর দ্বিতীয় বারের মতো একই অপরাধে ধরা পড়লে তার বাম পা কেটে ফেলা হবে৷ এ ব্যবস্থা প্রচলনের ফলে ইসলামিক দেশে চৌর্যকর্ম অনেকটা কমাতে পেরেছে৷ তবুও আইন পালনের পিছনে ভয়টাই বেশি কাজ করে৷ ইরানে অদ্যাবধি অনেক চুরি চামারি ঘটে চলছে৷ সুদানের তথা অন্যান্য ইসলামিক দেশে একই প্রবণতা কাজ করছে৷ খোমেনি হুকুম দিল চোরের হাত কাটতে হবে ব্যাথা নিবারণ ব্যবস্থা (অ্যানেস্থেসিয়া) প্রয়োগ না করেই৷ বিগত ৪ বত্‍সর ধরে সুদানে ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে৷ আইনের দ্বারা যাদের হাত কেটে দেয়া হয়েছিল তারা তাদের জন্য কাজ করছে৷ তারা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং পেনশনের জন্য দাবি করেছে৷ যে আইনের বলে তাদের হাত কাটা হয়েছিল সে আইন আর কার্যকর নেই বলে তাদের পক্ষে দাবি তোলা সম্ভব হয়েছে৷ এ দলের মধ্যে রয়েছে তেমন অপরাধী যারা দ্বিতীয় বারের মোতা চুরির কাজে ধরা পড়ছিল বিধায় যাদের পা কেটে ফেলা হয়েছিল৷ 'বর্তমানে সুদান' নামক ম্যাগাজিতে তাদের ছবি ছাপা হয়েছে, মুড়া পা ও হাত নিয়ে কতই না কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে৷

শরিয়তের কঠোরতম শাস্তি ও আইনের দ্বারা চোরদের মনের অবস্থা অর্থাত্‍ চৌর্য প্রবৃত্তির কোনো পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না৷ উপরন্তু উক্ত আইন প্রয়োগের ফলে তার কর্মক্ষমতা চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং গোটা জীবন মানুষের কাছে লজ্জার পাত্রে পরিণত করা হয়েছে৷ ভেবে দেখুন, বিশ্বের তাবত্‍ দেশে, যারাই চুরি করে, তাদের ডান হাত যদি কেটে ফেলা হয় তবে অবস্থাটা কেমন হবে? কতজন অবশিষ্ট থাকবে দুটি ভালো অক্ষত হাত নিয়ে? বর্তমানে শরীয়তের আইন আদৌ প্রযোজ্য নয়৷


১০.৭ - মসিহ এবং তাঁর সাহাবীগণ কীভাবে চৌর্য প্রবৃত্তিকে নিরুত্‍সাহ করেছেন?

চুরি বন্ধ করার জন্য মসিহ এক অভিনব পন্থা প্রয়োগ করেছেন৷ চুরির প্রাপ্য শাস্তি প্রদানের জাতীয় নিয়মকে তিনি বাতিল না করে, পরিবর্তে তিনি নিজেই চোরের প্রাপ্য শাস্তি নিজের স্কন্ধে তুলে নিয়ে শাস্তি ভোগ করলেন যার ফলে তিনি চোরদের মুক্ত করতে পারেন৷ আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার মর্মবীদারি যাতনার জন্য আমরা অন্যের কোনো কিছুই আর স্পর্শ করবো না৷

সত্যের রূহ আমাদের চৌর্যবৃত্তি ও মনোভাব থেকে আমাদের নবায়নকৃত হৃদয়কে শক্তিদান করেন খোদার উপর আস্থা রাখতে৷ তিনি আমাদের পিতা, তাই তার কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারি একটি উত্তম কাজ পাবার জন্য যাতে আমরা নিত্যদিনকার আহার্য সঠিকভাবে পেতে পারি; যেমন প্রভুর প্রার্থনায় আমরা বলে থাকি৷ উদ্বেগের মধ্যে আমাদের ডুবিয়ে দেবার কোনো কারণ নেই, কেননা নিশ্চিতভাবে আমরা জেনে নিয়েছি আমাদরে বেহেশতি পিতা ব্যক্তিগতভাবে খবর রাখেন, যত্ন করেন এবং হারিয়ে যেতে বা কষ্ট পেতে দিবেন না৷ নিম্ন বর্ণিত আয়াত আমাদের জন্য প্রয়োজ্য, 'যে চুরি করে সে আর চুরি না করুক, বরং নিজের হাতে সত্‍ভাবে পরিশ্রম করুক যেন অভাবী লোকদের দেবার জন্য তার কিছু থাকে' (ইফষীয় ৪:২৮)৷

মসিহ তাঁর সাহাবীদের একটি নতুন হৃদয় দান করেছেন যার মধ্যে সত্যিকারের তাত্‍পর্যপূর্ণ জীবন, অর্থের বিনিময়ে বা ভূসম্পত্তির মধ্যদিয়ে তা ফুটে ওঠে না বরং সে জীবন রুহানি জীবন যা প্রেম ও কৃতজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়৷ আমাদের প্রভু আমাদের মুক্ত করেছেন হিংসা ও বিষাক্ত মনোভাব থেকে৷ তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, প্রত্যেক ধনী ব্যক্তি মারাত্মক প্রলোভনে হয় পতিত আর ঐ সকল প্রলোভন তাকে বন্দি করে রাখতে চায়৷ তাই তিনি চান আমরা যেন প্রত্যেকটি টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করি এবং তাঁর কাছে হিসাব দেই এবং তিনি আমাদের দিয়েছেন আমরা সে সকলের রক্ষণাবেক্ষণকারি মাত্র৷

মসিহে বিশ্বাসি ব্যক্তি প্রেম ও অনুকম্পার সাথে দুখি দরিদ্রদের প্রতি নজর রাখে৷ তাদের সাহায্য করে যার ফলে তারাও বৃদ্ধি লাভ করতে পারে এবং ন্যায়সংগত ও পরিশ্রমের সাথে কাজ করতে পারে৷ জ্ঞানপূর্ণ পন্থায় অভাবি ও গরীব লোকদের সাহায্য করার উপর আমাদের বের করতে হবে নতুবা অসহায় হয়ে পড়বে কাজের ক্ষেত্রে৷ জামাতের প্রত্যেক ভ্রাতাভগি্ন প্রত্যেক সদস্যবৃন্দ কাজের জন্য আহুত, কেননা লেখা আছে, 'ভালো কাজ করতে জেনেও যে না করে সে পাপ করে'৷

প্রত্যেক মসিহির জন্য প্রধান বিষয় হলো প্রেম, আর এই প্রেম তাকে করে বিজয়ী, শাস্তির ভয় তাকে কাবু করে না৷ সর্বোচ্চ কোরবানি হলো আত্মকোরবানি যা মসিহ আমাদের হয়ে সলিবে দান করেছেন নিজের প্রাণের মূল্যে,. কালভেরিতে, আমাদের এমন কোনো পূন্যের জাক নেই যা দিয়ে আমাদের ক্রীত পাপ মুছে ফেলা যায়৷ মসিহকে ধন্যবাদ দেই তিনি আমাদের মনোভাব তৈরি করে দিয়েছেন, যাতে আমরা সত্যে জীবন যাপন করি, সন্তোষ ও শ্রমের সাথে কালাতিপাত করি৷ সম্পদের ওপর করারোপ না করে মসিহ তাদের হৃদয় মন পরিবর্তন করে দিয়েছেন যাদের তিনি বেছে নিয়েছেন৷ তাদের মনের পরিবর্তনের ফলে মসিহের রীতি নীতি অনুসারে তারাই সমাজ সংস্কৃতির পরিবর্তন সাধন করতে পেরেছেন সর্বযুগে 'মনে রেখো, ইবনে-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসেবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন' মথি ২০:২৮)৷

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on September 25, 2013, at 08:25 AM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)