Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- Romans - 080 (A Warning against the Deceivers)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek? -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish? -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় খন্ডের পারশিষ্ট - রোমের জামাতের নেতাদের প্রতি পৌলের বিশেষ ইচ্ছা৷ (রামীয় ১৫:১৪ - ১৬:২৭)

৬. প্রতারকদের বিষয়ে সাবধানবাণী (রোমীয় ১৬:১৭-২০)


রোমীয় ১৬:১৭-২০
১৭. ভাইয়েরা, তোমরা যে শিক্ষা পেয়েছ তার বিরম্নদ্ধে শিক্ষা দিয়ে যারা দলাদলি ও বাধার সৃষ্টি করে, তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে আমি তোমাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি৷ তোমরা তাদের কাছ থেকে দূরে থেকো, ১৮. কারণই এই সব লোকেরা আমাদের হযরত মসিহের সেবা না করে বরং নিজেদের পেটের সেবাই করছে৷ মিষ্টি ও খোশামোদের কথা বলে তারা সরলমনা লোকদের ঠকাচ্ছে৷ ১৯. তোমাদের বাধ্যতার কথা সবাই শুনেছে, আর সেজন্য আমি তোমাদের ওপর খুশী হয়েছি৷ আমি চাই যেন তোমরা ভালোকে চিনে গ্রহণ কর এবং খারাপী থেকে দূরে থাক৷ ২০. শানত্মিদাতা আলস্নাহ শীঘ্রই শয়তানকে তোমাদের পায়ের নীচে ফেলে গুড়িয়ে দেবেন৷

পৌল সম্ভবত: পত্রের শেষপ্রানত্মে এসে লক্ষ্য করেছেন, ধর্মান্ধ শরীয়তপন্থী মসিহিদের পুনরায় শরীয়ত পালন ও ইহুদি মতবাদের ঐতিহ্যবাহী প্রথা পালন করার জন্য উত্‍সাহ দিয়ে চলছিল ও রোমের পারিবারিক জামাতে তা চালু করার পদক্ষেপ নিয়েছিল৷ উক্ত শরীয়তের মধ্যে ছিল কতিপয় খাদ্যের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ, বিশেষ বিশেষ দিন মাসে রোজা পালন ও বিশ্রাবার পালনের নিয়ম, রবিবারের পরিবর্তে ও ইহুদিদের লেখা মসিহের শিক্ষার চেয়ে প্রাধান্য আরোপ৷

পৌল দ্রম্নত বুঝতে পেরেছিলেন প্রলোভনের প্রকৃত চেহারা যা শয়তান পারিবারিক জামাতের মধ্যে অনুপ্রবেশ করানোর জন্য নতুন ফন্দি উদ্ভাবন করেছিল, আর প্রকৃত ধর্মমত থেকে বিচলিত হবার মারাত্মক ভয় দেখার সম্ভাবনা ছিল পারিবারক জামাতগুলোকে যার ফলে খোদার রহমতের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে ব্যক্তিগত কর্মের ওপর নির্ভরতা শিক্ষা দিত৷ উক্ত মতবাদের কাছে মসিহের সলিব যথেষ্ট ছিল না নাজাত পাবার জন্য, আমাদের নিজেদের শক্তি, কর্ম ও ক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হবে, আর শরীয়ত যা মুসা নবীর মাধ্যমে প্রদত্ত হয়েছে তা অবশ্যই পালন করতে হবে আর তা সুশৃঙ্খলা মোতাবেক পুঙ্খনুপুঙ্খভাবে পালন করতে হবে৷

পৌল দেখতে পেলেন মসিহের ধার্মিকতার বিরম্নদ্ধে শয়তানের আক্রমন, মসিহ সকল পাপীর পাপ অপরাধ সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা করে দিয়েছেন যা তাঁর বর্ণনায় রয়েছে, 'যে কেহ বিশ্বাস করে এবং তরিকাবন্দী হয় সে নাজাত পাবে, কিন্তু যে বিশ্বাস করবে না তাকে দোষী বলে শাসত্মি পেতে হবে৷' যারা খোদার রহমতকে জটিল করে তুলতে চেয়েছিল ও বিভেদ ও আপত্তি তুলতে চেয়েছিল, দাউদ নবীর বর্ণনা সত্ত্বেও তাদের বিষয়ে পৌল বিশ্লেষণ করেছেন, দাউদ বলেছেন, 'তারা সকলে বিগড়ে গিয়েছে 'তিনি দেখলেন, সবাই ঠিক পথ থেকে সরে গেছে, সবাই একসঙ্গে খারাপ হয়ে গেছে; ভাল কাজ করে এমন কেউ নেই, একজনও নেই' (আল জবুর ১৪:৩)৷

রোমের পত্রে মানুষের তথা মানবতার নীতিহীনতা পৌল প্রকাশ করেছেন, আর মসিহই যে একমাত্র নাজাতের পথ তা তুলে ধরেছেন (রোমীয় ৩:৯-২৪)৷ এ ব্যাখ্যার পরে ইহুদি প্রতারকদের উপস্থিতি দেখা গেল, তারা সাধ্যমত চেষ্টা চালালো পৌলের বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য, পৌলের পত্র জামাতে পৌছানোর পূর্বেই তারা জামাতের বিষয়ে ভ্রানত্ম কথাবার্তা ছড়াতে লেগে গেল৷ তাই তিনি রোমের জামাতের কাছে উক্ত প্রতারকদের বিষয়ে সাবধানবাণী প্রেরণ করলেন৷

তার পূর্বে সাহাবিদের সাথে জেরম্নজালেমে মিটিং করার সময় এবং মসিহে ঈমানদারদের জন্য শরীয়তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কড়া তর্কবিতর্কের পরে পৌল পরিষ্কারভাবে বললেন, 'তাহলে আমাদের পূর্বপুরম্নষেরা বা আমরা যে বোঝা বইতে পারি নি সেই বোঝা অ-ইহুদি ঈমানদারদের কাঁধে তুলে দিয়ে কেন আপনারা আলস্নাহকে পরীক্ষা করবার চেষ্টা করছেন? আমরা বিশ্বাস করি যে, হযরত ঈসা মসিহের রহমতে অ-ইহুদি ঈমানদারেরা যেমন নাজাত পেয়েছে তেমনি আমরাও নাজাত পেয়েছি' (প্রেরিত ১৫:১০-১১)৷

সাহাবিদের নেতা পিতর যখন অনুরোধ করেছিলেন মসিহকে মর্মবিদারক সলিবে আত্মকোরবানি দেয়া থেকে বিরত করতে, মসিহ তাত্‍ক্ষণিক তাকে শয়তান বলে ধমকের সুরে বললেন, 'দূর হও শয়তান!' তুমি আমার কাছে আপত্তির কারণ, কেননা খোদার বিষয়ে তুমি মনোযোগী নও বরং মানুষের চিনত্মাকে অর্থাত্‍ জাগতিক বিষয়কে প্রাধান্য দিচ্ছ, (মথি ১৬:২৩)৷

মানুষের প্রচেষ্টা হলো মসিহের সলিব অস্বীকার করা, আর নাজাত অর্জন তাদের নিজেদের বিজ্ঞতা ও প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা, অথচা তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ৷ তাদের তেমন প্রচেষ্টা শয়তানের প্রেরণা ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একইভাবে, মানবতার বিকাশ বাহ্যত: খুবই চমত্‍কার প্রচেষ্টা মনে হয়, তবে বাসত্মবে তা খোদার রহমতের বিরম্নদ্ধে পদক্ষেপ মাত্র৷ যে কেউ নিজের প্রচেষ্টা ও কর্মযজ্ঞের দ্বারা বেহেশত অর্জন করতে শরীয়তের অনুগত হয় আর সলিবের ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করে তথা মসিহের দ্বারা অর্জিত অমূল্য নাজাত প্রত্যাখ্যান করে, সে শয়তানের ফাঁদে পড়া ও প্রতারিত ব্যক্তিমাত্র৷

পৌল তাঁর পত্রে রোমের বিভ্রানত্ম বিশ্বাসীদের আহ্বান জানিয়েছেন এ বলে, ঐসকল প্রতারকদের থেকে সাবধান হউন, আর তাদের থেকে দুরে থাকুন, আর তাদের সুযোগ দিবেন না আপনাদের পারিবারিক জামাতে কথা বলতে, আপনারা কি বুঝতে পারেন নাই মসিহের বক্তব্যে কি বুঝাতে চেয়েছেন, পূর্বে বলা হয়েছিলো কিন্তু আমি তোমাদের বলছি...' ঐসকল প্রতারকেরা অতীতের দিনে অর্থাত্‍ অতীত নিয়ে জীবন কাটাতে চায়, তারা নতুন যুগে পদার্পন বা নতুনকে মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে, আর সেই নতুন যুগ হলো খোদার রহমতের যুগ৷ তাই সলিবে হত পুরম্নত্থিত মসিহকে শক্তভাবে ধারণ করম্ন, তিনি মৃতু্য থেকে জীবনে পার হয়ে এসেছেন, আর তাঁর মধ্যে আপনারা অননত্ম জীবন বেঁচে থাকবেন৷

রোমের বিশ্বাসীদের কাছ পৌল সাবধানবাণী, প্রশংসা এবং সম্মান প্রকাশ করেছেন তাঁর পত্রে, তিনি বলেন, আপনাদের প্রকৃত বিশ্বাস দেখে আমি আনন্দিত, আর আপনাদের রম্নহানি মহব্বতের জন্য, কেননা আপনারা বাধ্যতা শিখেছেন পাকরূহের পরিচালনায়, আর আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে তার বাসত্মবায়ন ঘটিয়েছেন, আর উক্ত রম্নহানি সত্য গ্রীসের সকল জামাতের কাছে সুবিদিত হয়ে পড়েছে৷ তাই জীবনত্ম মসিহের কাছ থেকে প্রজ্ঞার অন্বেষণ করম্নন, যেন আপনারা ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেন৷ যা কিছু ভালো তা করতে থাকুন আর মন্দ কাজ পরিহার করে চলুন৷ জীবনত্ম প্রভুর কাছে যাঞ্চা করম্নন, সদা-সর্বদা, মসিহের সুসমাচারে পথ চলার নির্দেশনা রয়েছে প্রতিষ্ঠিত, যেন তিনি আপনাদের সঠিক বিশ্বাসে পরিচালনা করে নিতে পারেন, আর খোদার সাথে শানত্মিতে জীবন-যাপন করতে পারেন৷

এ সকল উত্‍সাহ ব্যঞ্জক বক্তব্যের পরে পৌল তাঁর আবেগ নিয়ে তাঁর বক্তব্যে প্রতিজ্ঞা করেছেন, যা কিতাবুল মোকাদ্দসের কোথাও আমরা খুঁজে পাই না, 'শানত্মিদাতা আলস্নাহ শীঘ্রই শয়তানকে তোমাদের পায়ের নীচে ফেলে গুঁড়িয়ে দেবেন৷ আমাদের হযরত ঈসা মসিহের রহমত তোমাদের ওপরে থাকুক' (রোমীয় ১৬:২০)৷ এ সিদ্ধানত্মকারী বক্তব্যের অর্থ হলো, শানত্মির খোদা, যিনি নিজেই শানত্মিতে পরিপূর্ণ, তিনি তাদের হৃদয়ে তার শানত্মি ঢেলে দিবেন৷ খোদা কখনোই সন্দেহের কথা প্রকাশ করেন না, তিনি মসিহের বেহেশত থেকে আগমনে শয়তানকে সম্পূর্ণ জব্দ করবেন৷ রোমের জামাতকে পৌল নিশ্চয়তা প্রদান করে বলেছেন, মসিহের রম্নহানি দেহ হলো জামাত, আর বাসত্মবে উক্ত দেহ অর্থাত্‍ জামাত মসিহের সাথে যুক্ত থেকে শয়তানকে সম্পূর্ণ খতম করার অভিজ্ঞতা লাভ করবে, বুঝতে পারবে কিভাবে শয়তানকে তাদের পায়ের নীচে পিষ্ট করতে হয়, কেননা তারা মসিহের মধ্যে রয়েছে অবস্থানরত, আর মসিহ রয়েছেন তাদের মধ্যে 'মাবুদ আমার প্রভুকে বললেন, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রম্নদের তোমার পায়ের তলায় রাখি, ততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস' (আল জবুর ১১০:১)৷

পৌল বাসত্মববাদী মানুষ ছিলেন৷ তিনি প্রভু মসিহের কাছে রোমের জামাতের বিশ্বাসীদের জন্য মুনাজাত করেছেন শয়তানের প্রলোভন থেকে রক্ষা করার জন্য, আর তাদের রহমতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, কেননা আশির্বাদ হলো পিতা, পুত্র ও পাকরূহের আনন্দের চাবিকাঠি৷

প্রার্থনা: প্রভু মসিহ, তুমি আমাদের প্রার্থনা করার জন্য শিক্ষা দান করেছো, আমাদের প্রলোভনে পড়তে দিও না, বরং মন্দ শক্তির কবল থেকে রক্ষা করো৷ আমাদের হৃদয় চোখ খুলে দাও, যেন আমরা দেখতে পারি যে তুমি মন্দ শক্তিকে দাবিয়ে রেখেছো, আর আমরা যেন নিজেদের পাপ মুক্ত করার চেষ্টা না করি কেননা তুমি ছাড়া নাজাতদাতা আর কেউ নেই৷

প্রশ্ন:

৯৮. শয়তানের প্রলোভনের লক্ষবিন্দু কি?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 02:06 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)