Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek? -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish? -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় খন্ডের পারশিষ্ট - রোমের জামাতের নেতাদের প্রতি পৌলের বিশেষ ইচ্ছা৷ (রামীয় ১৫:১৪ - ১৬:২৭)
৫. পৌলের জানা মতো রোমের জামাতের সাধুদের নামের তালিকার বিসত্মৃত বিবরণ (রোমীয় ১৬:১০-১৬)রোমীয় ১৬:১০-১৬ পৌলের পরিচিত রোমের জামাতের সদস্যদের বিষয় তিনি জানান দিলেন, যারা তার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতেন৷ এ তালিকার মাধ্যমে তিনি জামাত নেতাদের নিশ্চয়তা দিলেন যে, তিনি রোম শহরে কোনো অপরিচিত ব্যক্তি নন, কিন্তু তার কাজের দূত যেমন ছিল পরিচিত তেমন ছিল বরেণ্য৷ আপেলেস্না প্রসিদ্ধ গ্রীক চিত্রকরের নাম বহন করে৷ তিনি রোমের জামাতের একজন প্রধান সদস্য ছিলেন৷ তিনি নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও বিশ্বসত্মভাবে মসিহের অনুসরণ করে চলতেন৷ এরিষ্টবুলাস ও তার পরিবার সম্ভবত ক্রীতদাস ছিলেন যাদের মুক্ত করা হয়েছিল, যদিও তাদের তেমন পরিচিতি ছিল না, তবুও পৌল তাদের ভ্রাতা হিসেবে সম্ভোধন করেন, কেননা সর্বশক্তিমান খোদার পুত্র মসিহের ওপর তাদের বিশ্বাস তাদের সনত্মান হিসেবে গ্রহণ করেন৷ হেরোদিয়ান ইহুদি বংশদ্ভূত মসিহি ছিলেন, মুসার শরীয়ত পালনেও গুরম্নত্বারোপ করতেন আর মসিহকেও অনুসরণ করতেন৷ বংশগত সূত্রে তিনি পৌলের আত্মিয় ছিলেন৷ নার্সিকাসের পরিবারের লোকদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পৌল পরিচিত ছিলেন না, কিন্তু তারা বিশ্বসত্ম মসিহি ছিলেন, মসিহের নিজস্ব সম্পদ, আর তারা তাদের রম্নহানি অভিজ্ঞতা সকলকে জ্ঞাত করেছিলেন৷ ট্রাইফেনা ও ট্রাইফেসা দুই বোন প্রভুতে নিবেদিত বিশ্বাসী সেবিকা ছিলেন৷ পার্সিস ছিলেন প্রভুতে তৃতীয় সেবিকা রম্নহানি প্রথা অনুযায়ী তাকে পৌল 'প্রিয়' বলে সম্ভোধন করেছেন৷ তিনি কেবল বিশ্বাসই করেন নি সেই বিশ্বাস অনুযায়ী জীবন-যাপনও করেছেন আর প্রভুর জন্য শ্রম দিতেন৷ পৌল রূফুকে 'প্রভুতে মনোনীত' এ উপাধি দিয়ে ভূষিত করেছেন যার অর্থ হলো, তিনি সিবেনের সাইমনের পুত্র এই সিরিন প্রভুর সলিব বহন করেছেন (মার্ক ১৫:২২)৷ তিনি সাইমনে স্ত্রী ছিলেন, রূফুর মাতা, তিনি মধ্যপ্রাশ্চ্যে পৌলের সাথে সেবা কাজে যুক্ত ছিলেন, কেননা পৌল বর্ণনা দিয়েছেন, এ মহিলা মায়ের মতো তার যত্ন করতেন, সেবা করতেন৷ বিশ্বাসীদের দুইটি দলকে পৌল অভিবাদন জ্ঞাপন করেছেন, এবং নাম ধরে প্রত্যেকটি দলের কথা উলেস্নখ করেছেন৷ উদ্দেশ্য হলো তাদের পরিচিতি যেন জামাতের কাছে সুপরিজ্ঞাত থাকে৷ আসিঙ্ক্রিটাস, ফ্লেগন, হারমাস, পেট্রোবাস, হারমেস এবং তাদের ভাইয়েরা তাদের সাথে ছিলেন, এরা হলেন প্রথম দল, যাদের ঈসা মসিহের ভ্রাতা বলে ডাকা হয়েছে৷ আর দ্বিতীয় দলটি হলো; ফিলোলোগাস, জুলিয়া, নেবাস ও তাঁর বোন ও ওলিম্পাস আর সকল সাধুগণ, যারা তার সাথে ছিলেন কর্মরত: তারা সকলে গৃহ-জামাতের সদস্য ছিলেন৷ উপরোলিস্নখিত সকলে পাকরূহের পরিচালনায় চালিত হতেন, আর পাকরূহের ফল তাদের মধ্য থেকে প্রকাশ পেত, তাই তিনি তাদের সাধু বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ পুনরম্নত্থিত মসিহের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা জন্মে ছিল, তিনি তাদের প্রভু ও নাজাতদাতা, তার কাছ থেকে পাকরূহের আশির্বাদ ও ক্ষমতা লাভ করেছেন৷ রোমের সাধুদের তালিকা পৌল সমাপ্ত করলেন তাদের অনুরোধ জানিয়ে, তারা যেন পরষ্পরকে পবিত্র চুমু দিয়ে অভিবাদন জ্ঞাপন করেন, যা হবে তাদের পবিত্র, রম্নহানি, ভ্রাতৃসুলভ মসিহিয়াতের সম্পর্ক, অধিকন্তু পৌল রোমের ও মধ্যপ্রাশ্চ্যের সকল জামাতের প্রতি, সকল জামাতের পক্ষ থেকে, তাদের যোগ্যতার জন্য অভিবাদন জ্ঞাপন করেন৷ যে কেউ মনোযোগসহ এ ২৫ জনের নাম দেখতে পান, তিনি উপলব্ধি করবেন, তদানীনত্মন জামাত পাথরে পূর্ণ ছিল না বরং জীবনত্ম বিশ্বাসীতে ছিল প্রাণবনত্ম যারা আপন আপন গৃহে সহভাগিতায় হতো মিলিত৷ পৌল এদের রোমে অবস্থিত জীবনত্ম পাকরূহের গৃহ বলে সম্বোধন করতেন৷ শহরের রাজধানির বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা একত্রিত হতেন, আর বিভিন্ন ভাষাভাসি ও সংস্কৃতির লোকজন মিলে আনত্মর্জাতিক মানের জামাত গড়ে তুলেছিলেন৷ কিন্তু নানা ভাষাভাসি ও সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা একই মসিহের গুণগাথা ও মসিহের রক্তের বিষয়ে ও তাদের তিনি যে ধার্মিকতায় ধার্মিক করেছেন সমস্বরে তার সাক্ষ্য দিতেন৷ এ নামের তালিকায় সম্ভবত: কতিপয় শহিদদের নামও পাওয়া যাবে, যারা রাজা নিরোর সময়কার যে ছিল নিষ্ঠুর অত্যাচারকারী মসিহিদের ওপর পরিচালিত অত্যাচার তাড়না ও হত্যাযজ্ঞের সময় প্রাণ দিয়েছেন৷ সে মসিহিদের বন্দী করতো এবং তাদের ফাঁসির রজ্জতে ঝুলিয়ে হত্যা করতো, তাদের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢুকিয়ে দিত তাদের জ্বালিয়ে দেবার জন্য, কখনো কখনো জ্বলনত্ম লৌহ দন্ড দিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করতো৷ প্রার্থনা: হে আমাদের বেহেশতি পিতা, তোমাকে ধন্যবাদ দেই, কেননা তুমি রোমের জামাত সংগ্রহ করেছো পাকরূহের পরিচালনায়, যারা ছিলেন বিভিন্ন ভাষাভাসির আর উক্ত জামাতই ছিল নতুন সৃষ্টির প্রতীক, কেননা তাদের মধ্যে অননত্ম জীবন ছিল পরিপূর্ণ৷ আমাদের মধ্যেও শক্তি দান করো, আমরা যেন অলস হয়ে না পড়ি৷ বরং যারা একই খোদার পিতা, পুত্র ও পাকরূহের প্রেমে পুষ্ট তাদের খুঁজে ফিরি৷ প্রশ্ন: ৯৭. তালিকায় সাধুদের নাম দেখে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারি?
|