Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- Romans - 072 (Do not Enrage your Neighbor for Unimportant Reasons)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek? -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish? -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় পার্ট - খোদার ধার্মিকতা মসিহের সাহাবীদের জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে প্রতিভাত হয়েছে৷ (রোমীয় ১২:১ - ১৫:১৩)

৯. গুরম্নত্বহীন বিষয় নিয়ে তোমার প্রতিবেশিকে রাগান্বিত করো না (রোমীয় ১৪:১৩-২৩)


রোমীয় ১৪:১৩-২৩
১৩. এজন্য আমরা যেন আর একে অন্যের দোষ না ধরি, বরং এমন কোনো কাজ করব না বলে ঠিক করি, যা দেখে কোনো ভাই মনে বাধা পেতে পারে বা গুনাহে পড়তে পারে৷ ১৪. হযরত ঈসা মসিহের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি বলে আমি ভালো করেই জানি যে, আসলে কোনো খাবারই হারাম নয়, কিন্তু কেউ যদি কোনো খাবারকে হারাম মনে করে তবে তা তারই কাছে হারাম৷ ১৫. কোনো খাবারের জন্য যদি তুমি তোমার ভাইয়ের মনে দুঃখ দাও তবে তো তুমি আর মহব্বতের মনোভাব নিয়ে চলছ না৷ যে ভাইয়ের জন্য মসিহ মরেছিলেন, খাবারের জন্য তার সর্বনাশ কোরো না৷ ১৬. তোমাদের কাছে যা ভালো, কেউ যেন তার নিন্দা করতে না পারে৷ ১৭. আলস্নাহর রাজ্যে খাওয়া-দাওয়া বড় কথা নয়; বড় কথা হলো, পাকরূহের মধ্য দিয়ে সত্‍ পথে চলা আর শাসত্মি ও আনন্দ৷ ১৮. যে এভাবে মসিহের সেবা করে আলস্নাহ তার ওপর সন্তুষ্ট হন এবং লোকেও তাকে ভালো মনে করে৷ ১৯. এজন্য যা করলে শানত্মি হয় এবং যার দ্বারা আমরা একে অন্যকে গড়ে তুলতে পারি, এস, আমরা তারই চেষ্টা করি৷ ২০. কোনো খাবারের জন্য আলস্নাহর সকাজ নষ্ট কোরো না৷ সব খাবারই হালাল, কিন্তু কেউ কিছু খেয়ে যদি অন্যের মনে বাধার সৃষ্টি করে তবে তা খাওয়া তার পক্ষে অন্যায়৷ ২১. গোশত খাওয়া, আঙ্গুর-রস খাওয়া বা এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে তোমার কোনো ভাই মনে বাধা পায়৷ ২২. এই বিষয়ে তুমি যা ভালো বলে বিশ্বাস কর তা আলস্নাহ ও তোমার মধ্যেই রাখ৷ ভালো মনে করে কিছু করবার সময় যদি কারও বিবেক তাকে দোষীয় না করে তবে সে মোবারক৷ ২৩. কিন্তু যদি কেউ সন্দেহ করে কোনো কিছু খায় তবে সে দোষী, কারণ সে তার ঈমান মতো কাজ করছে না৷ ঈমানের বিরম্নদ্ধে কোনো কিছু করাই গুনাহ৷

বিভিন্ন জামাতের মধ্যে এ সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে পৌল বুঝতে পেরেছিলেন, আদিষ্ট ও নিষিদ্ধ খাবার সংক্রানত্ম বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই মতভিন্ন সৃষ্টি হয়েছে৷ মসিহের শিক্ষার ওপর দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন (মার্ক ৭:১৫-২৩; লুক ৬:৪), কোনো কিছুই বস্তুগতভাবে অপবিত্র নয়, কিন্তু মানুষের ভিতর থেকে যা কিছু বের হয়ে আসে তাই তাকে নাপাক করে৷ ঈমানদারদের তেমন খাদ্য গ্রহণ করা উচিত যা তার স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর৷ আর যে সকল খাদ্য তার জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে হয় তেমন খাদ্য তার না খাওয়া ভালো৷

অন্যের কাছে মসিহিগণ যেন উত্তম দৃষ্টানত্ম হয়ে দেখা দেয় যা কিছু; অন্যের পাপের কারণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে, মসিহিদের তেমন কাজ অবশ্যই পরিহার করে চলা উচিত্‍৷ যে বিশ্বাসী মাত্রা ছাড়া পানাহার করে, আর নিজের স্বাধীনতার গর্ব করে, তাতে সুবিবেচক ব্যক্তির মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে, আর এমন মনে হতে পারে উক্ত দাম্ভিক ব্যক্তি অন্যকে তুচ্ছজ্ঞান করছে৷ তাই যে ব্যক্তি নাজাতপ্রাপ্ত অথচ অপরাধ করে ফিরচে, সে নতুন বিশ্বাসীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে, ফলে তার বিশ্বাস নড়বড় করে ছাড়ে৷ যিনি বিশ্বাসে পরিপক্ক তাঁর কাছ থেকে প্রেম প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যে বিশ্বাসে দূর্বল তার সম্মুখে গর্ব করা উচিত নয় নতুন বিশ্বাসীর মতামত ও মনোনয়ন নিয়ে বাদানুবাদ না করে চুপ থাকা উচিত, যেন নতুন বিশ্বাসীদের জন্য পুরানো বিশ্বাসী কোনো বিঘ্নের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়৷

ভোজন পানের মাধ্যমে যে খোদার রাজ্য প্রতিষ্ঠা পায় না তা পৌল সাক্ষ্য দিয়েছেন, কিন্তু তা অর্থাত্‍ খোদার রাজ্য প্রতিষ্ঠা পায় পাকরূহের ফল সমূহের দ্বারা৷ উক্ত ফলের মধ্য থেকে কতিপয় ফলের নাম উলেস্নখ করেছেন; ধার্মিকতা, শানত্মি এবং আনন্দ যা জামাতের মধ্যে অভ্যনত্মরিন কোন্দল নিরসনের জন্য উপযুক্ত জবাব৷ পৌল প্রচন্ডভাবে প্রার্থনা করেছেন জামাতের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের জন্য, আর তিনি বিশ্বাসীদের পরিচালনা করেছেন প্রকৃত সত্যের মধ্যে, বুঝাতে চেষ্টা করেছেন, খাবারের কারণে তারা যেন জামাতের ঐক্য ভেঙ্গে না ফেলে৷ গৌণ বিষয় যেমন পানাহার, পোশাক-পরিচ্ছদ, চুলকাটার ধরণ অথবা কিভাবে অর্থ খরচ করতে হবে এসকল বিষয়ের চেয়ে রম্নহানি ঐক্য অনেক অনেকগুন গুরম্নত্বপূর্ণ, কেননা মসিহের রূহ, তার দীর্ঘ সহিষ্ণু প্রেম ও ধৈর্য জৈবিক চাহিদার বিষয়ে চিনত্মা করেন৷ পৌল আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, আমরা পরষ্পরকে যেন মহব্বতের রজ্জু দিয়ে বেধে রাখি, যা হবে মসিহের জ্ঞানের ভিত্তি, গুরম্নত্বহীন বিষয়ের দিকে নজর না দিয়ে মানুষের বিষয়ে চিনত্মা করা আবশ্যক, এ মানুষের জন্যই মসিহ প্রাণ কোরবানি দিয়েছেন৷

শরীয়ত পালন অথবা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগের চাইতে জামাতে খোদার শানত্মি প্রতিষ্ঠা হওয়া অত্যাবশ্যক৷ জামাতে কেউ যদি মাংস না খায় অথবা মদ পান না করে তার নিজের বিবেকের পরিষ্কার ডাকে দিয়ে, অথবা নিজের নীতিবোধের কারণে অথবা নিজেকে প্রতিরোধ করার জন্য, তবে আমাদের আচরণ হতে হবে প্রেম সম্পৃক্ত ও অভিযোগ মুক্ত, অন্যের জন্য আমাদের যে ভালোবাসা আছে তার প্রকাশ ঘটাতে হবে, যাতে আমাদের আচরণে তাদের বিশ্বাসের মূলে আঘাত দেয়া না হয়৷

যাহোক, নতুন বিশ্বাসী যদি বিবেকের দংশন নিয়ে পানাহার করে তবে তা হবে পুরো জামাতের জন্য ভ্রানত্মি, কেননা বাহ্যিক প্রশানত্মির চেয়ে ঈমানের দৃঢ়তা অধিক গুরম্নত্ববহ৷ মহব্বতের দ্বারা উত্‍পন্ন বিশ্বাস জামাতে সহভাগিতা সৃষ্টি; আর যে তার একগুয়েমি ধরে রাখতে চায় সে সহভাগিতার মনোভাব বিনষ্ট করে ছাড়ে৷

প্রার্থনা: প্রভু মসিহ, আমরা তোমার আরাধনা করি, তুমি তোমার সাহাবিদের মধ্যে আমাকে কবুল করেছো, যারা ছিল অশিক্ষিত জেলে, ধূর্ত খাজনা আদায়কারী, আইনজ্ঞ ও হতাশাবাদী৷ তুমি তাদের সংগ্রহ একত্রিত করেছো, আর খাঁটি প্রেম ক্ষমা, ধৈর্য ও শানত্মি ছাড়া আর কোনো হুকুম দাও নি৷ আমাদের সাহায্য করো অন্যকে ক্ষমা করার জন্য, তা কেবল সাত বারই নয় কিন্তু দৈনিক সাতগুন সত্তর বার যেন ক্ষমা করতে পারি, আর শুধু তাদেরকেই ক্ষমা করা নয়, আমাদের অপরাধের জন্য আমরাও যেন তাদের কাছ থেকে ক্ষমা পেতে পারি, একইভাবে নিত্যদিন সাতগুন সত্তর বার৷

প্রশ্ন:

৯০. এ আয়াতের অর্থ কি, খোদার রাজ্য ভোজনপানের বিষয় নয়, কিন্তু পাকরূহের মধ্য দিয়ে ধার্মিকতা, শানত্মি ও আনন্দ৷ (রোমীয় ১৪:১৭)

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 01:56 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)