Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Albanian -- Arabic -- Armenian -- BENGALI -- Burmese -- Cebuano -- Chinese -- Dioula? -- English -- Farsi? -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Kyrgyz -- Malayalam -- Peul -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Thai -- Turkish -- Twi -- Urdu -- Uyghur? -- Uzbek -- Vietnamese -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson যোহন - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে
যোহন বর্ণীত মসিহের নাজাতের বারতার সুসমাচার ওপর অধ্যয়ন
চতুর্থ খন্ড - নূর অন্ধকারকে জয় করে (যোহন ১৮:১ - ২১:২৫)
বি - ঈসা মসিহের পুনরম্নত্থান ও উপস্থিতি (যোহন ২০:১ - ২১:২৫)
৫. টিবেরিয়া সাগরের পারে মসিহ সাহাবিদের সাথে দেখা দেন৷ (যোহন ২১:১-২৫)
খ) বিশ্বাসিদের দেখাশুনা করার বিষয়ে পিতর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন (যোহন ২১:১৫-১৯)যোহন ২১:১৮-১৯ মসিহ তার সাহাবি পিতরের হৃদয়ের পরিপূর্ণ অবস্থানটুকু বুঝতে পেরেছিলেন, যা ছিল আবেগপ্রবণ ও অতিউত্সাহী৷ এমন নিয়ন্ত্রনহীন অবস্থা যুবকদের মধ্যে আমরা দেখতে পাই তাদের বিশ্বাসি জীবনের প্রাথমিক অবস্থায়৷ যখনই তারা পাকরূহের অভিজ্ঞতা লাভ করে, তখন নিজেরাই দ্রম্নত ছুটে যায় অন্যকে রৰা করার জন্য৷ তবে, অনেকেই মানবীয় উত্সাহ নিয়ে সেবাকর্মে যুক্ত হয়, মসিহের পরিচালনায় নয়, মসিহের পরিচলনা হলো প্রশানত্ম, প্রার্থনাশীল ও সহভাগীতামূলক৷ যাহোক, প্রভু পিতরের বিষয়ে বলেছেন, সে আত্মবিশ্বাসে উন্নত হবে আর পরিপক্ক হবে আত্মিকভাবে, প্রভুর কাছে কেবল তাতেই থাকবেন সমর্পিত, হবেন প্রেমের বন্দী, তিনি কেবল তাতেই ব্যসত্ম থাকবেন যাতে প্রভুর রয়েছে সদেচ্ছা৷ পিতর জেরম্নজালেমেই থেকে গেলেন, অইহুদির মধ্যে গেলেন না৷ বহুবার তাকে পেটানো হয়েছে এবং কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে৷ একদা তাকে জেল থেকে মুক্ত করে দিলেন খোদার ফেরেশতা এসে৷ পাকরূহের পরিচালনায় তিনি কর্নেলিয়ের বাড়িতে গেলেন৷ তিনি ছিলেন রোমীয় শতপতি৷ সেখানে গিয়ে বুঝতে পারলেন যাদেরকে অবিশ্বাসি বলে ঘৃণা করতেন পাকরূহের অভিষেক তেমন অবিশ্বাসীগণও লাভ করে থাকে৷ এভাইে প্রচার কাজ বিশ্বজমীন সুযোগ লাভ করলো, বন্ধ দূয়ার খুলে গেল৷ হেরোদের কারাগার থেকে মুক্ত হবার পর পিতর সমসত্ম নতুন প্রতিষ্ঠিত জামাতে সেবাকাজে হলেন নিয়োজিত, বিশেষ করে প্রচারক পৌলের কারাবন্দী হবার পর থেকে৷ এভাবে প্রধান সাহাবি সেবার জন্য ঐসমসত্ম জামাতে গেলেন যারা পূর্বে অবিশ্বাসি অইহুুদি সমাজ থেকে প্রভুকে নাজাতদাতা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন৷ তাদের উত্সাহ যোগালেন, পিতৃসূলভ উপদেশ দিলেন৷ মসিহিদের ওপর চরম অত্যাচার নেমে এসেছিল নীরোর রাজত্বকালে, আর উক্ত সময়ে পিতরের মৃতু্য ঘটে৷ নিজেকে অযোগ্য মনে করে দাবি করেছিলেন, তাকে যাতে উল্টোভাবে সলিবে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়, অর্থাত্ তাঁর মাথাটি নিচু করে টাঙ্গানো হয়৷ কথা প্রসংগে মসিহ এমন উক্তি করেছিলেন, পিতর তার মৃতু্যর মাধ্যমে প্রভুর মহিমা প্রকাশ করবে৷ ইতোপূর্বে পিতর প্রভুর কাছে বলেছিলেন যে তিনি তাঁর জন্য নিজের প্রাণ পর্যনত্ম কোরবানি দিতে প্রস্তুত রয়েছেন৷ জবাবে প্রভু বলেছিলেন, 'তুমি এখন আমাকে অনুসরণ করতে পারো না, কিন্তু শেষে পারবে' (ইউহোন্না ১৩ ঃ ৩৬)৷ মসিহ নিজের ৰমতা ও গৌরব নিয়ে তাঁর সাহাবিদের সাথে সংগ দান করেন, তারাও যেন পিতা ও পাকরূহের সাথে একাত্ম হতে পারেন৷ তিনি তাদের সহভাগী করেছিলেন তাঁর যাতনা নির্যাতনে, কেননা গৌরব মহিমা লাভের প্রারম্ভ হলো তাই৷ সুসমাচারে গৌরবের অর্থ আর জাগতিক গৌরব এক কথা নয়, জাগতিক গৌরব হলো সম্মান ও দিকে দিকে সুনাম ছড়িয়ে পড়া, কিন্তু যিনি আমাদের ভালবাসেন তিনি আমাদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতন ও সলিবিয় মৃতু্যতে গৌরাবান্বিত হোন৷ পিতর নিজের ইচ্ছায় খোদার গৌরব বয়ে আনতে পারেন নি, কিন্তু মসিহের পূতপবিত্র রক্তের দ্বারা তিনি হয়েছেন মহিমান্বিত, এবং ৰমতার রূহ তাকে আলাদা করেছেন, ফলে তিনি নিজেকে পেরেছেন অস্বীকার করতে এবং প্রভুর জন্য প্রাণ দিতে সৰম হয়েছেন, আর তাই ছিল প্রভুর গৌরব বহন৷ তখন প্রভু পিতরকে এক সামরিক আজ্ঞা জ্ঞাপন করেন, 'আমাকে অনুসরণ করো৷' জীবন-মরণ দিয়ে আমরা যতোটা তাকে অনুসরণ করি আমাদের জীবনে ততোটা অীধক ফুটে ওঠে প্রেমের ফল যা করম্ননাময় পিতার মহিমা বহন করে থাকে৷ প্রার্থনা: ধন্যবাদ দেই প্রভু, তুমি পিতরকে প্রত্যাখ্যান করোনি যদিও সে তোমাকে অস্বীকার করেছিলো৷ তুমি তাকে আহ্বান করেছিলে, জীবন-মরণ দিয়ে ত্রিত্তপাকের মহিমা প্রকাশ করতে৷ আমাদের জীবনও গ্রহণ করো, পরিষ্কার করো, তোমার ইচ্ছার অধিনস্থ করো যেন সাগ্রহে তোমার পৰে চলতে পারি, বহন করতে পারি তোমার হুকুম আহকাম, ভালোবাসতে পরি আমাদের শত্রম্নদের এবং আমৃতু্য তোমাকে সম্মান প্রদর্শণ করতে পারি, আর এর ফলেই তোমার করম্ননায় আমাদের জীবন বহন করবে তোমার মহিমা৷ প্রশ্ন: ১৩২. পিতর কী ভাবে খোদার গৌরব বহন করলেন?
|