Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Albanian -- Arabic -- Armenian -- BENGALI -- Burmese -- Cebuano -- Chinese -- Dioula? -- English -- Farsi? -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Kyrgyz -- Malayalam -- Peul -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Thai -- Turkish -- Twi -- Urdu -- Uyghur? -- Uzbek -- Vietnamese -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson যোহন - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে
যোহন বর্ণীত মসিহের নাজাতের বারতার সুসমাচার ওপর অধ্যয়ন
দ্বিতীয় খণ্ড - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলিতেছে (যোহন ৫:১ - ১১:৫৪)
বি - ঈসা মসিহ হলেন জীবনের রুটি (যোহন ৬:১-৭১)
১. পাঁচ হাজার লোককে খাওয়ান (যোহন ৬:১-১৩)ঈসা মসিহ জেরুজালেমে বিশ্রামবারে সুস্থতাদানের মধ্য দিয়ে তার ঐশিসত্ত্বা প্রকাশ করলেন, এবং খোদার ভালোবাসা ও আইনজ্ঞদের চিন্তার ভিতর যে পাপ ছিল তা দেখালেন৷ তারা ঘৃণায় তার কাছ থেকে দূরে থাকতে সিদ্ধান্ত নিল৷ ঈসা মসিহকে পাক-রুহ উত্তর দিকে গালিলে চালিত করেছিলেন, যেখানে তিনি ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে চূড়ান্ত বিভেদ শেষ পর্যায়ে পৌছাল৷ যেখানেই তিনি গিয়েছিলেন উত্তর দিকের জনতা তাকে অনুসরণ করেছিল৷ যোহন ৬:১-৪ জেজরুজালেমে আইনজ্ঞদের প্রতি ঈসা মসিহের তীব্র তিরস্কারের কারনে তারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও গোয়েন্দাগিরি শুরু করলো৷ কিন্তু তখনো তার সময় আসেনি৷ তাই তিনি স্যানহেড্রিনের এক্তিয়ার ভূক্ত এলাকা ছেড়ে গালিলে আসলেন৷ আগেকার তিনিটি সুসমাচারে আমরা দেখেছি তিনি সেখানে অনেক নিদর্শন সম্পাদন করেছেন৷ সেখানে তার আগমনের সংবাদে অনেক হৈচৈ হয়েছিল কিন্তু ঈসা মসিহ তাতে উত্তেজিত হননি অথবা কোনো আমল দেননি৷ তিনি জানতেন যে গোপন মানসিকতার সাথে তিনি রাজধানীতে অপ্রত্যাশিতভাবে সম্মুখীন হয়েছিলেন তা গ্রামেও ছড়িয়ে পড়বে এবং সেখানেও তিনি নাকাল হবেন৷ তাই তিনি তার সাহাবিদের সাথে একা জর্দানের পূর্বে গোলানে এসেছিলেন৷ যাইহোক, লোকেরা যারা তার কথা কোনোার জন্য প্রবলভাবে আকুল ছিল তারা তাকে অনুসরণ করলো বিস্ময়কর কিছু অভিজ্ঞতা পাবার জন্য৷ ওই বছর ঈসা মসিহের ঈদুল ফেসাখের সময় জেরুজালেমে ফেরেননি, কারণ তার মৃতু্যর সময় তখনও আসেনি৷ তিনি তার চারপাশে জনতার সাথে ভোজ উত্যাপন করেছিলেন যেটা ঈদুল ফেসাখের বিকল্প ছিল এবং এইভাবে তিনি বেহেশতি ভোজ উত্সবের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যেখানে ত্রাণকর্তা তার পবিত্র ব্যক্তিদের সাথে অতি আনন্দে যোগ দেবেন৷ যোহন ৬:৫-১৩ যখন ঈসা মসিহ দেখলেন লোকজন তার দিকে এগোচ্ছে তিনি তার চোখ দুটিকে বেহেশতি পিতার দিকে তুলে ধরলেন এবং তাকে সম্মানিত এবং গৌরবান্বিত করে ক্ষুধার্তদের যত্ন নিতে খোদার কাছে ভার অর্পণ করলেন৷ এর সাথেই মোজেজা শুরু হলো৷ পুত্রকে পিতা যে দিয়েছেন তা হৃদয়কে উম্মোচন করে৷ প্রথমে ঈসা মসিহ সাহাবিদেরকে পরীক্ষা করলেন এটা দেখার জন্য যে তাদের বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা অথবা তারা এখনো বস্তুবাদের মধ্যে পড়ে আছে কিনা এবং পার্থিব চিন্তার মধ্যে রয়েছে কিনা, যখন তিনি ফিলিপকে জিজ্ঞাসা কররেন রুটি সরবরাহের উত্সের বিষয়ে৷ আমরা রুটি তৈরির কারখানার কথা চিন্তা করতাম৷ ঈসা মসিহ তার পিতার কথা চিন্তা করলেন৷ আমরা অর্থের এবং ব্যয়বহুল জীবন যাপনের কথা চিন্তা করি৷ ঈসা মসিহ বেহেশতি সাহায্যদাতার কথা চিন্তা করলেন৷ বিশ্বাসের কথা না ভেবেই ফিলিপ তাত্ক্ষনিকভাবে খরচের কথা চিন্তা করলেন৷ যে কেউ অর্থের দিকে তাকায় সে বেহেশতি সম্ভাবনাগুলোকে দেখতে ব্যর্থ হয়৷ সাহাবিদের হিসাব-নিকাশ যুক্তিপূর্ণ ছিল : সেখানে কাছাকাছি কোনো রুটি বা ময়দার কারখানা ছিল না, রুটি তৈরি করার সময়ও ছিল না৷ কিন্তুু ধার্ত মানুষেরা অনেক দীর্ঘ আলোচনার পরও সেখানে ছিল৷৷ হঠাত্ করেই রুহ আন্দ্রিয়কে চালিত করলো যে, একটি ছোট ছেলের কাছে পাঁচটি যবের রুটি ও দুইটি মাছ আছে৷ যে রুটি ও মাছ আছে তা আমাদেরকে দাও'৷ আন্দ্রিয় একটু অস্বস্থি বোধ করলো এই ভেবে, যে পরিমাণ খাবার আছে তা সম্পূর্ণ অপ্রতুল৷ সুতরাং ঈসা মসিহ তার সাহাবিদেরকে তার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে বললো৷ তারা জানতো না কি করবার আছে অথবা খোদার ইচ্ছা কি এবং ঈসা মসিহ কি করতে যাচ্ছে৷ ঈসা মসিহ তার সাহাবিদেরকে, যারা উপস্থিত ছিল তাদেরকে বসাবার জন্য আদেশ করলেন এবং তারা জনতাকে ভোজোত্সবের মতো বসালো৷ জায়গাটি সবুজ ঘাসে আবৃত ছিল, যা ছিল মানুষদের মধ্যে বিশ্বাস জাগিয়ে তোলার প্রতীক৷ স্ত্রীলোক এবং শিশুসহ পাঁচ হাজার মানুষের এই সংখ্যা অনেক বিশাল ছিল৷ তাদের বেশির ভাগ ঈসা মসিহকে আগে থেকেই চিনতো না অথবা তার সম্পর্কেও জানতো না৷ কিন্তু তার কথায় তারা বসে পড়লো৷ শান্তভাবে ঈসা মসিহ রুটিগুলো তুলে নিলেন এবং এই উপলক্ষে সৃষ্টিশীল ক্ষমতাকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিলেন৷ তিনি তাঁর পিতার সামনে পাঁচটি রুটি তুলে ধরলেন এবং তাকে এই নগন্য সংখ্যা রুটির জন্য ধন্যবাদ দিলেন৷ তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, খোদা এই নগন্য সংখ্যা রুটিগুলোকে আশীর্বাদ করবেন এবং এগুলোকে বহু সংখ্যায় বৃদ্ধি করবেন যা উপচাইয়া পড়বে৷ এই নগন্য সংখ্যার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া এবং তার পিতাকে সম্মানিত করা ছিল এই মোজেজার রহস্য৷ খোদা অল্পসংখ্যায় আপনাকে যা দেন তা কি আপনি কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করেন অথবা তার জন্য অভিযোগ করণে? আপনি কি নগণ্য জিনিসও বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করনে? ঈসা মসিহ ছিলেন স্বার্থপরহীন; খোদার ভালোবাসা তার মধ্যে ছিল৷ তিনি পিতাকে সম্মান করেছিলেন এবং খোদার আশীর্বাদকে সবার কাছে বন্টন করেছিলেন৷ চারটি সুসমাচারেই এই মোজেজার কথাই লিপিবদ্ধ হয়েছে কোনো রকম আড়ম্বরতা ছাড়াই৷ সম্ভবত যারা ঈসা মসিহের কাছে বসেছিল তারা ছাড়া অন্য কেউ এটা প্রত্যক্ষ করেনি: এবং লক্ষ্য করেছিল ভাঙা রুটিগুলোকে যার সরবরাহ অফুরন্ত বলে মনে হচ্ছিল৷ তারা ফিরে গেল এবং বাইরে এসে সবাইকে ভাগাভাগি করে দিলো৷ প্রত্যেকেই যার যতটুকু প্রয়োজন তা নিয়েছিল৷ এটা রহমতের নিদর্শন৷ খোদা ক্ষমা এবং রুহকে সীমাহীনভাবে প্রদান করেন৷ তোমার ইচ্ছামতো তুমি নাও; যতটা মাত্রায় পার বিশ্বাস করো৷ অন্যদেরকেও আশীর্বাদ দাও৷ তাদেরকও আশীর্বাদ কর যেমন তুমিও আশীর্বাদ পুষ্ট হয়েছ৷ এইভাবে তুমি অন্যদের কাছে আশীর্বাদের উত্স হবে৷ কান্নাতে ঈসা মসিহ পানিকে দ্রাক্ষারসে পরিণত করেছিলেন এবং গোলানে তিনি পাঁচটি রুটিকে পাঁচ হাজার লোকের জন্য সরবরাহ করেছিলেন৷ আশ্চর্যজনকভাবে খাবার শেষে অনেক রুটি পড়ে ছিল খাবার আগে ছিল না৷ অবশিষ্ট রুটিগুলি বারটি ঝুড়িতে পূর্ণ ছিল৷ ঈসা মসিহ কোনো কিছুই অপচয় না করতে নির্দেশ দিলেন৷ এটা একটি লজ্জার জিনিস যে আজকাল লোকেরা তাদের অবশিষ্ট খাবার জঞ্জাল ফেলার পাত্রে ছুড়ে ফেলে, এটা জানা সত্ত্বেও যে হাজারও মানুষ প্রতি ঘন্টায় অনশনে মারা যাচ্ছে৷ যে আশীর্বাদ আপনার অজান্তে দেওয়া হয়েছে তার অপচয় করবেন না৷ কিন্তু রহমতের টুকরা অংশগুলিকেও সংগ্রহ করুন৷ খোদার দান যার ধারণ ক্ষমতোা আপনার নেই তার থেকে বেশি আপনি লাভ করবেন৷ ছোট ছেলেটির আচরণকে দৃষ্টিগোচর করুন, যখন ঈসা মসিহ তার হাত থেকে রুটিগুলো নিয়েছিলেন এবং সে রুটিগুলোকে বৃহত্ সংখ্যায় দেখতে পেয়েছিল৷ তার চোখ দুটি বিস্ময়ে উম্মোচিত হয়েছিল৷ সে কখনোই এই মোজেজাকে ভূলবে না৷ প্রর্থনা: প্রভু ঈসা মসিহ, তোমার ধৈর্ষ্য ও ভালোবাসার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ দেই৷ আমাদের বিশ্বাসের অভাবকে ক্ষমা কর৷ চরম দুর্দশায় তোমার দিকে ফিরতে আমাদেরকে শিক্ষা দাও, আমাদের সামর্থের ওপর যেন নির্ভর না করি বরং তোমার সাহায্যের ওপর নির্ভর করি৷ যে আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি আমাদের প্রদান করেছ তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ দেই, এমন কি যে সামান্য বস্তুগত জিনিস আমাদের আছে তার জন্যও ধন্যবাদ দেই৷ দুর্দিনে আমাদেরকে আশীর্বাদ করো এবং কোনো কিছু অপচয় না করতে অথবা কোনো দানকে উপেক্ষা না করতে আমাদের সাহায্য করো৷ প্রশ্ন: ৪৪. পাঁচ হাজার মানুষকে খাওয়ানোর রহস্য কী?
|