Previous Lesson -- Next Lesson
রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় পার্ট - খোদার ধার্মিকতা মসিহের সাহাবীদের জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে প্রতিভাত হয়েছে৷ (রোমীয় ১২:১ - ১৫:১৩)
১. জীবনের মুক্তপাপ অবস্থা প্রতিষ্ঠা পায় খোদার ওপর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে (রোমীয় ১২:১)
রোমীয় ১২:২
২. এখানকার খারাপ দুনিয়ার চালচলনের মধ্যে তোমরা নিজেদের ডুবিয়ে দিয়ো না, বরং আলস্নাহকে তোমাদের মনকে নতুন করে গড়ে তুলতে দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন হয়ে ওঠো, যেন তোমরা আলস্নাহর ইচ্ছা জানতে পার৷ আলস্নাহর ইচ্ছা ভাল, সম্পূর্ণ নিভর্ুল এবং তাতে আলস্নাহ সন্তুষ্ট হন৷
পৌলের প্রত্যাশা ছিল না যে রোমের জামাতের সদস্যগণ ত্রিত্ত্বপাকের ঐক্যের সত্য ও চেতনা ত্যাগ করবেন৷ সুতরাং তিনি তাদের উত্সাহিত করেছেন পাপের বিরম্নদ্ধে সর্বপ্রকার আত্মিক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার জন্য৷
এ রম্নহানি সংগ্রাম নাজাত লাভের পথে পরিচালনা করে না, কারণ মসিহ ইতোপূর্বে আমাদের মুক্ত করেছেন অর্থাত্ নাজাত দিয়েছেন, কিন্তু প্রভু চাচ্ছেন আমাদের জীবনটাকে রম্নহানি উত্কর্ষতা ও তার ধার্মিকতা প্রকাশের উত্তম মাধ্যম হয়ে ওঠে৷
গঠনমূলক পথের সন্ধান দিয়েছেন আমাদের জীবনের জন্য:
ক) তাই এখন থেকে তোমরা তাদের মতো যারা মসিহের থেকে রয়েছে বহুদূরে আর উদাসিনভাবে চলো না৷ সম্মানের খোঁজ করো না, অর্থের পিছু দৌড়াইয়োনা, মাংসিক কামনা-বাসনা অর্থাত্ যৌনাচার, আমোদ-প্রমোদ এদের পিছনে না ছুটে বরং মসিহের পবিত্র আচরণ, তাঁর জীবনপ্রণালী ও তাঁর সাহাবিদের কর্মকান্ড ইত্যাদিতে অভ্যস্থ হতে সচেষ্ট হও৷
খ) এ নীতিগুলো বাসত্মবায়নের জন্য প্রভু আপনাকে নতুন শক্তি যোগাচ্ছেন৷ বিলাসিতায় জীবন-যাপন করা আপনার উদ্দেশ্য হতে পারে না, খোদাকেন্দ্রীক চিনত্মা-ভাবনায় আপনাকে ব্যসত্ম থাকতে হবে, তবেই রহমতের আত্মা ও চেতনা আপনার হৃদয় ও ইচ্ছাশক্তি পূতপবিত্র করে তুলবে৷
গ) খোদার ইচ্ছা আপনাকে জেনে নিতে হবে, বুঝতে হবে আপনাকে দিয়ে খোদা কি চাচ্ছেন, যেন তাঁর ইচ্ছা মোতাবেক আপনি বাসত্মব পদক্ষেপ নিতে পারেন, আর যা কিছু তাঁর কাছে কিছু ঘৃণিত আপনার কাছেও তা হতে হবে ঘৃণিত৷ রম্নহানি পরিপক্কতার জন্য আপনাকে পাক-কালাম পুণঃপুণঃ অধ্যয়ন করতে হবে, আর তাঁর পরিচালনা, নির্দেশনা ও মাবুদের শিক্ষায় পরিপূর্ণতা লাভ করে তাকে পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট করতে পারেন৷
ঘ) পৌল হালকাভাবে বলেছেন, ভালো কাজ করো৷ কথায় ভালো বিষয়ের উলেস্নখ না করে কাজে ভালো কিছু করো, তোমার টাকা ও সময় ব্যয় করে ভালো কিছু করো৷ খোদার কাছ থেকে শিখে নাও কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ, আর তোমার জীবন দিয়ে ভালো মন্দের মধ্যে যেন পার্থক্য ধরা পড়ে৷ কিতাবুল মোকাদ্দস থেকে প্রজ্ঞা শিখে নাও, পাকরূহ তোমাকে শিক্ষা দিবেন যা কিছু খোদাকে প্রীত করে তা তোমার জীবনে প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্তে৷
ঙ) তোমার জীবনে রম্নহানি উত্কর্ষতা খুঁজে নাও৷ এ নীতির অর্থ এ নয় যে তুমি নিজেকে উত্কৃষ্ট করার ক্ষমতা রাখো৷ মসিহের কাছে চাও, তিনি তোমার ঘাটতি পূরণ করে দিবেন, তাই তুমি যা কিছুই তাঁর জন্য করো না কেন তা যেন সঠিকভাবে করা হয়, হয়ে ওঠে প্রকৃত ও তাত্ৰণিক প্রয়োজন মোতাবেক৷ আপনার মধ্যে এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হবে পবিত্র ত্রিত্ত্বের উপহার হিসেবে যদি আপনি তেমন প্রার্থনা করেন৷
চ) আপনার জীবনাচরণ যদি এ ধরণের হয়ে থাকে তার অর্থ হলো, আপনি খোদার সাথে জীবন-যাপন করছেন, তখন পাকরূহ আপনার দুর্বলতায় আপনার পক্ষে কাজ করবেন, আর আপনি হয়ে ওঠবেন এক সুখী মানুষ; আর তাকে ধন্যবাদ দিতে থাকবেন যিনি আপনার জন্য গলগথায় হয়েছেন কোরবানি৷
প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমাদের ক্ষমা করো যদি আমরা স্বার্থপরের মতো কাজ করে থাকি, খোদাকে ছাড়া নিজেদের যদি অধিক ভালোবেসে থাকি৷ আমাদের উদ্দেশ্য বদল করে দাও, যেন আমরা রম্নহানি সেবার জন্য বেঁচে থাকতে পারি, সুনিশ্চিত হতে পারি যে, মসিহ আমাদের মুক্তপাপ করেছেন, আমাদের সকল পাপের প্রাশ্চিত্ত মর্মবীদারক সলিবে নিজের জানের কোরবানির মধ্য দিয়ে করছেন পরিশোধ, ফলে পাকরূহ হয়েছেন আমাদের জীবনের শক্তি৷ প্রভু আমাদের সাহায্য করো আমরা যেন আমাদের জীবন তোমার সেবার জন্য সমর্পণ করতে পারি৷
প্রশ্ন:
৮২. মসিহের অনুসারিদের জন্য পবিত্র জীবন-যাপনের পদক্ষেপগুলো কি কি?