Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Albanian -- Arabic -- Armenian -- BENGALI -- Burmese -- Cebuano -- Chinese -- Dioula? -- English -- Farsi? -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Kyrgyz -- Malayalam -- Peul -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Thai -- Turkish -- Twi -- Urdu -- Uyghur? -- Uzbek -- Vietnamese -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson যোহন - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে
যোহন বর্ণীত মসিহের নাজাতের বারতার সুসমাচার ওপর অধ্যয়ন
চতুর্থ খন্ড - নূর অন্ধকারকে জয় করে (যোহন ১৮:১ - ২১:২৫)
বি - ঈসা মসিহের পুনরম্নত্থান ও উপস্থিতি (যোহন ২০:১ - ২১:২৫)
১. সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাত্ পুনরম্নত্থানের প্রতু্যশে (যোহন ২০:১-১০)
ক) মগদলীনী মরিয়ম কবরস্থানে হাজির হলেন (যোহন ২০:১-২)যোহন ২০:১-২ শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ঈসা মসিহের সাহাবি ও অনুসরণকারী পর্যনত্ম অবসন্ন হয়ে পড়েছিলেন৷ মসিহের দাফন কার্য দূর থেকে মহিলাগণ অবলোকন করেছিলেন৷ উভয় মহিলা এবং সাহাবিগণ দ্রম্নত বাড়িতে চলে গেলেন, যাতে বিশ্রাম পর্ব ভঙ্গের দায়ে তারা দ-িত না হয়৷ বিশ্রাম বার শুরম্ন হয় শুক্রবার সূর্যাসত্মের সময় থেকে পরবতর্ী ৬ঘটিকা পর্যনত্ম৷ নিসত্মার পর্বের ভোজ এবং বিশেষ বিশ্রামবার যুগপত্ ঘটেছে বিধায় কেউই সাহস করে নি কবরের কাছে যেতে৷ অথচ জনতা আনন্দিত ছিল এ ভেবে, মানব জাতিকে নিজের সাথে পুনর্মিলিত করেছেন, প্রতিকী স্বরম্নপ, ঐশি মেষের কোরবানির মাধ্যমে, সভয়ে এবং সজলনেত্রে মসিহে বিশ্বাসীবর্গ একত্রিত হয়েছিলেন৷ তাদের প্রত্যাশার যেন কবর দেয়া হলো মসিহের কবরের সাথে সাথে৷ বিশ্রামবার বিকেল বেলা শহরের দরজার বাইরে যাওয়া মহিলাদের জন্য ছিল নিষিদ্ধ৷ তাছাড়া মসিহের মরদেহে মসলা ও সুগন্ধি আতর মাখানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিলো৷ রোববার প্রতু্যশ্য পর্যনত্ম তাদের অপেৰা করতে হলো৷ প্রচারক এৰেত্রে উচ্চকিত প্রশংসা করে লিখেছেন, মগদলীনী কবর দেখতে গিয়েছিলেন, অন্যান্য বর্ণনায় দেখা যায়, তারা ছিলেন দুজন, মরিয়ম এবং মগদলীনী একত্রে একযোগে ছিলেন৷ বর্ণনায় দেখা যায়, 'আমরা' শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে৷ ইউহোন্নার মাতা সালোমী এবং আরো ২/৪জন একত্রে ক্লানত্ম অবসন্ন শোকাতুর অবস্থায় যখন কবরের কাছাকাছি পৌছালো তখন তারা ভাবতে লাগলো, কবর তো সিলগালা দিয়ে হেফাজত করে রাখা হয়েছে৷ তাদের প্রত্যাশা শূন্যে বিলীন হয়ে গেল, দুঃখের ওপর দুঃখ বেড়ে গেল৷ পুনরম্নত্থানের নূর তখনও তাদের আলোকদান করেনি, এবং অননত্ম জীবনের প্রভাব তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে নি৷ কবরের কাছে এসে তারা ভয়ে বিহ্বল হয়ে গেল, কে যে কবরের মুখের ভারি পাথরখানা সরিয়ে দেয়, কি করে তারা তা সরিয়ে রাখবে৷ খোলা কবর বা কবরের মুখ থেকে পাথরখানা সরানো হয়েছে, যা ছিল ঐ দিনের প্রথম কুদরতি কাজ৷ এটি একটি প্রমাণ আমাদের ওপর যত কঠিন ভারি বোঝাই চাপানো থান না কেন, মসিহের পৰে তা অপসারণ করা বড়ই সহজ৷ বিশ্বাসী ব্যক্তি খোদার সাহায্য পেয়ে থাকে, বিশ্বাসের চোখ ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখতে পায়৷ ইউহোন্না ফেরেসত্মার আগমনের বিষয়ে কিছুই লেখেন নি৷ সম্ভবতঃ মগদলীনী মরিয়ম আগে আগে কবরের কাছে পৌছে গিয়েছিলেন৷ তথায় তিনি উকি মেরে অবস্থাটা দেখছিলেন৷ তিনি কোনো মৃতদেহ তথায় দেখতে পেলেন না৷ তাতে তিনি ভীষণ ভয় পেলেন এবং ছুটে গেলেন উক্ত সহসাহাবির কাছে৷ তিনি নিশ্চিত ছিলেন এ আশ্চর্য ঘটনাটি সকল সাহাবিদের জানানো আবশ্যক৷ মগদলীনী মরিয়ম যখন পিতর এবং সাহাবিদের কাছে গিয়ে পৌছালেন, তিনি চিত্কার করে ঘোষণা দিয়ে চললেন, 'মসিহের দেহ হারিয়ে গেছে৷' এটা আর একটা অপরাধ৷ এতে প্রমাণ হয় সাহাবিগণ এবং উক্ত মহিলা উভয়ই রম্নহানিভাবে অন্ধই রয়ে গেছে, কেননা তারা ভেবেছিল, কেউ হয়তো মসিহের মরদেহটি কবর থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে৷ তারা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, প্রভু হলেন প্রভু, তিনি মৃতু্যকে জয় করে পুনরম্নত্থিত হয়ে কবর থেকে বেরিয়ে এসেছিল৷
খ) পিতর এবং ইউহোন্না কবরপানে ছুটে গেলেন (যোহন ২০:৩-১০)যোহন ২০:৩-৫ তাদের দৌড় ছিলো মহব্বতের দৌড়৷ প্রত্যেকেই চেয়েছিলেন সর্বপ্রথম মসিহের পাশে এসে দাঁড়াতে৷ যুবক ইউহোন্নার সাথে দৌড়ে বৃদ্ধ পিতর কুলোতে পারছিলেন না, তাই তিনি পিছনে পড়ে গেলেন৷ উভয়ই ভুলে গিয়েছিলেন গুপ্তচর, প্রহরীর কথা, তারা শহরের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন৷ ইউহোন্না কবরের কাছে পৌছে তত্ৰণাত কবরে প্রবেশ করলেন না, সমীহ করে দাড়িয়ে রইলেন৷ পাথরের মধ্যে খননকৃত কবরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন, কাফনের কাপড় গুছিয়ে রাখা হয়েছে যেমন গুটিপোকা প্রজাপতির আকার নিয়ে খোসা থেকে উম্মুক্ত হয়, কাফনের কাপড়টি এলোমেলো পড়ে রয়নি বরং সে অবস্থায় তিনি শায়িত ছিল না সেখানেই পড়ে রয়েছে৷ মসিহের পুনুরম্নত্থানের বিষয়ে ঘটে যাওয়া এটি তৃতীয় কুদরতের চিহ্ন৷ কাফন ছিড়ে মসিহ বের হন নি, বরং এর মধ্য থেকে তিনি উত্থিত হয়েছেন৷ পুনরম্নত্থিত মসিহকে বাহির হবার জন্য পাথর সরিয়ে দেন নি কোনো ফেরেশতা, কিন্তু মহিলা এবং সাহাবিগণ যাতে ভিতরে প্রবেশ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করেছিলেন৷ মসিহ পাথরের মধ্যদিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন৷ প্রর্থনা: প্রভু মসিহ, মৃতদের মধ্য থেকে তোমার পুনরম্নত্থানের জন্য ধন্যবাদ দেই৷ সমসত্ম অশুভ প্রভাবকে পরাসত্ম করেছো, এবং খোদার কাছে ফিরে যাবার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছো৷ মৃতু্যর গুহায় তুমি আমাদের কাছে উপস্থিত রয়েছো এবং আমাদের অস্বীকার করো নি৷ তোমার জীবনই আমাদের জীবন৷ আমাদের দুর্বলতায় তোমার শক্তি আমাদের খাঁটি করে তোলে৷ আমরা তোমার কাছে অবনত এবং তোমাকে মহব্বত করি৷ কেননা সকল ঈমানদার ব্যক্তিকে বিজয়ী জীবন যাপন করার নিশ্চয়তা ও প্রত্যাশা তুমি দান করেছো৷ প্রশ্ন: ১১৯. মসিহের পুনরম্নত্থানের প্রসঙ্গে সাখ্যবহ তিনটি লাইন রয়েছে, তা কি কি?
|