Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
সি - ন্যায়বান ঘোষণার অর্থ হলো খোদা ও মানুষের সাথে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করা (রোমীয় ৫:১-২১)
৩. মসিহের রহমত মৃতু্য, পাপ ও শরীয়তের উপর বিজয় লাভ করে (রোমীয় ৫:১২-২১)রোমীয় ৫:১২-১৪ পৌল মৃতু্য রহস্য প্রকাশ করেছেন যা হলো আমাদের পাপ হলো আমাদের ধ্বংসের কারণ৷ আমাদের প্রথম পিতামাতা খোদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, তারাই মৃতু্য পরোয়ানা ফলপ্রসু করে তোলে, সকল সৃষ্টি কলুষিত হয়ে পড়ে তাদের দোষের কারণে, আমরা তাদের বংশধর৷ তখন থেকে মৃতু্য সকল প্রাণীর ওপর রাজত্ব করে আসছে, এমনকি শরীয়তপন্থী ও আল্লাহভক্ত সর্বযুগে সকলের ওপর মৃতু্যর প্রভাব রয়েছে অপরিহার্যভাবে৷ মৃতু্যর আগমন ঘটে সর্বজনের দৃষ্টি গোচরে আর মৃতু্যর দন্ডাজ্ঞা আইনানুগ বলে গণ্য হয়ে চলছে শরীয়ত নাজিল হবার পরও৷ আমরা সকলে মারা যাব, কারণ আমরা সকলে পাপী৷ পার্থীব জগতের কোনো অনন্ত জীবন নেই৷ ক্রমে ক্রমে আমরা সকলে মৃতু্যর পথে এগিয়ে চলছি, কেননা আমরা মৃতু্যর বীজ আমাদের হৃদয়ে বহন করে চলছি৷ যাহোক, খোদা আমাদের সময় সুযোগ দিয়েছেন অনুতাপ করার জন্য, নাজাতদাতাকে বিশ্বাস পূর্বক গ্রহণ করার জন্য ও মসিহি বিশ্বাসের মাধ্যমে নতুন জীবনে চলার জন্য৷ রোমীয় ৫:১৫-১৭ পাপ ও মৃতু্যর রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন পৌল প্রথম আদম (আ.) এর জীবন দিয়ে, আর ধার্মিকতা ও জীবনের শুরু হয় দ্বিতীয় আদমের মধ্য দিয়ে৷ প্রথম আদমকে বলা হয় আমাদের প্রথম পিতা 'যাকে মসিহের দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরা হয় যিনি সময়ের পূর্ণতায় আর্বিভূত হবেন৷' পৌল এ কথা বলে নি, যেভাবে পাপ ও মৃতু্য প্রথম আদমের মধ্য দিয়ে সকল মানুষের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে তদ্রুপ খোদার রহমত এবং খোদার অনন্তকালের জন্য জীবনের উপহার অনেকের মধ্যে প্রবাহিত হবে মসিহের মধ্য দিয়ে; মসিহ আদমের চেয়ে অনেক মহান, তাঁর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ আমাদের প্রভু ক্ষণকালের ক্ষুদে জীবন দান করেন না, বরং উপচে পড়া অনন্তকালের জীবন, রহমত এবং উপঢৌকন দিয়ে থাকেন৷ সার্বিক দিক দিয়ে তাঁর রহমত উপচে পড়া, পর্যাপ্ত৷ তা মৃতু্যর অধীন নয়, নয় পক্ষাঘাতগ্রস্থ, কিন্তু সে জীবন পুনর্জাগ্রত করে, উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধিদান করে, ফলপ্রসু, বিকশিত হয় ও তা যোগ্য জীবন৷ পাপের বিষয়ে খোদার ভাষ্য শুরু হয়েছে প্রথম আদম থেকে যা স্বাভাবিক কারণে আর সকলে পাপের কালিমায় সকলে মসিলিপ্ত হয়ে আসছে৷ এ নিয়মটি ধার্মিক হিসেবে মনোনিত করার মতো নয়, যা একজন পাপীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে, কিন্তু সকল পাপীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে, কেননা মসিহ সকলকে একত্রে নাজাত দান করেছেন৷ যে কেউ তার উপর বিশ্বাস করে সেই পেয়ে যায় অনন্ত ধার্মিকতা৷ আমাদের প্রথম পিতা মাতার মধ্য দিয়ে মৃতু্য যখন মারাত্মক রাজা হিসেবে সমস্ত মানবজাতির ওপর রাজত্ব শুরু করলো, মসিহ তাঁর অভাবিত রহমতে মুক্তি ও কল্যাণের এক ঝরণা খুলে দিলেন সকল বিশ্বাসীর হৃদয়ে, যেখান থেকে অনন্ত জীবন বইতে শুরু করলো৷ তবে খোদার জীবন অনিচ্ছায় বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ইমনদারদের হৃদয়ে চাপিয়ে দেয়া হয় না, যেমন মৃতু্য অবধারিত সকলের জন্য, কিন্তু যারা পবিত্র হয়েছেন তারা মসিহের সাথে রাজত্ব করবেন, আর মসিহই হলেন তাদের নাজাতদাতা ও প্রভু৷ বাস্তবক্ষেত্রে মসিহের মহত্ব আদমের সাথে তুলনা করা সার্বিক দিক দিয়ে হবে অযৌক্তিক, কেননা খোদার অনুকম্পা ও অনন্ত জীবন আকাশ পাতাল সম পার্থক্য মৃতু্য ও অভিশাপ থেকে৷ রোমীয় ৫:১৮-২১ পৌল আইনানুগভাবে আদম এবং মসিহের মধ্যে তুলনা করলেন৷ যাহোক, তার মন্তব্যে প্রথমে ব্যক্তি নিয়ে তুলনা করেন নি, কিন্তু তাদের কাজ আর উক্ত কাজের প্রভাব নিয়ে তুলনা করলেন৷ একটি অপরাধের জন্য সমগ্র বিশ্বের ওপর অভিশাপে পতিত হলো, আর একটি সত্য ও ধার্মিকতার কাজের প্রভাবে সকল মানুষের ওপর সত্য ও অনন্ত জীবন ধার্য করা হলো৷ বেহেশতি উপহার কতইনা মহত্! অবশ্যই প্রথম ব্যক্তির অবাধতার কুপ্রভাবে আমরা সকলে পাপের গোলামে হয়েছি পরিণত; আর বাধ্যতার ফলে আমরা ধার্মিক মুক্ত হয়েছি৷ পরিশেষে, আদমের গুনাহের সাথে মসিহের ধার্মিকতা তুলনা করে পৌল শরীয়তের সমস্যা তুলে ধরলেন৷ শরীয়ত জগতের নাজাতের সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব নয়, কারণ শরীয়ত এসেছে নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পদস্খলন প্রমাণ করার জন্য, আর তাকে উত্সাহিত করার জন্য যেন সে পুর্ণাঙ্গ বাধ্যতার মধ্যে জীবন যাপন করে৷ মানুষের কঠিন হৃদয়ের অবস্থা শরীয়ত প্রকাশ আর তার পাপের অগণিত সংখ্যা দেখিয়ে দেয়৷ যাহোক, মসিহ রহমতের কাছে আমাদের এনে দিয়েছে, আর তিনি আমাদের দিয়েছেন পরিপূর্ণ শক্তি ও অনন্ত ধার্মিকতা, যেন আমাদের মধ্য দিয়ে খোদার রহমতের ফল্গুধারা প্রবাহিত হতে পারে, বিশ্বের তাবত্ মরুভূমির মধ্যে৷ পৌল আনন্দে চিত্কার করে উঠেছেন, যদি পাপ মৃতু্যর মধ্য দিয়ে অতীতে সকল মানুষের ওপর রাজত্ব করে থাকে, মন্দ আত্মার সাম্রাজ্য এখন খতম হয়ে গেছে, তবে বর্তমান যুগে রহমত মুকুট হয়ে থাকবে, খোদার ধার্মিকতার ওপর ভিত্তি করে যা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মসিহের কোরবানির মধ্য দিয়ে৷ প্রত্যেক মানুষের যথার্থ কারণ থাকে ধন্যবাদের, মুক্তির ও প্রশংসার, কেননা মসিহের সলিবে মৃতু্য ও পুনরুত্থানের মাধ্যমে আমাদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে এক ঐতিহাসিক যুগ, যে সময়ে পাপের ও মৃতু্যর ক্ষমতা সম্পূর্ণ পরাভূত করা হয়েছে৷ আমরা প্রত্যক্ষ করি রহমতের বিকাশ ও তার সুফল অনন্ত জীবন নিয়ে আমাদের কাছে ধরা দিয়েছে আর কর যারা মসিহে স্থাপন করেছে বিশ্বাস খোদার পরিপূর্ণ ক্ষমতা সুসমাচারের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনে কার্য৷ প্রার্থনা: প্রভু মসিহ, আমরা আপনার আরাধনা করি, আপনি পাপ, মৃতু্য ও শয়তানে ওপর বিজয়ী৷ আপনি আমাদের রহমতের যুগে টেনে তুলেছেন, আর আমাদের অংশিদার করেছেন আপনার জীবনের সুখকর সবদিকগুলোর৷ আমাদের বিশ্বাস শক্তিধর করুন, আর আমাদর বোধশক্তি আরো উজ্জ্বল করুন যেন আমরা পিছনে পরাজিত শক্তির মধ্যে ফিরে না যাই৷ আপনার অনুগ্রহে আমাদের প্রতিষ্ঠা কর আর আমাদের মধ্যে আপনার রূহের ফল উত্পন্ন করো, প্রমাণ যেন হয় তোমার রহমত অবশ্যই রাজত্ব করে আর তা মৃতু্যর চেয়ে অধিক শক্তিধর৷ তোমাকে ধন্যবাদ, তুমি আমাদের আশির্বাদ করেছো পরিপূর্ণভাবে, তোমার পরাক্রমি বিশ্বস্ততায় আমাদের ধরে রাখো৷ প্রশ্ন: ৩৬. আদম ও মসিহের মধ্যে তুলনা করে পৌল আমাদের কাছে কি প্রমাণ করতে চেয়েছেন?
|