Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek? -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish? -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
তৃতীয় পার্ট - খোদার ধার্মিকতা মসিহের সাহাবীদের জীবনাচরণের মধ্য দিয়ে প্রতিভাত হয়েছে৷ (রোমীয় ১২:১ - ১৫:১৩)
২. অহংকারী হয়ো না, যে দান খোদা তোমাদের দিয়েছেন বিশ্বাসীদের নিয়ে প্রভুর সেবাকর্মে লেগে থাকো (রোমীয় ১২:৩-৮)রোমীয় ১২:৩-৮ পৌল একজন মেষপালক হিসেবে কতকগুলো সাধারণ উপদেশাবলি উচ্চারণ করেন নাই, কিন্তু তিনি চূড়ানত্ম ও পরিষ্কার হুকুম দিয়েছেন জামাতের বিশ্বজনীন শত্রম্নদের প্রতি৷ তুমি আসলে যে অবস্থানে আছো তার চেয়ে নিজেকে উঁচু ভাববে না, কিন্তু হুশিয়ার থাকবে বুঝতে চেষ্টা করবে তুমি নিজে নিজে সম্পূর্ণ মূল্যহীন, আর অন্যের কাছে তুমি কেবল ক্ষতিকারক৷ তোমার রম্নহানি দান যে কি রয়েছে তা জানতে চেষ্টা করো, আর মসিহের আহ্বান শোনো তিনি কোন কাজে তোমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন৷ নিজের সনত্মোসের জন্য কাজ করো না, কিন্তু মসিহের নির্দেশনায় বাধ্য থাকো৷ আবেগের বসে নয় কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভেবে নিও, তিনি আত্মিকভাবে পরিপক্ক বিশ্বাসীদের পরিচালনা দিয়ে থাকেন৷ আপনার সেবার দৌড় বা মাপ আপনার জন্য তালনত্ম নয়, কিন্তু বাসত্মবে মসিহের ওপর কতোটা বিশ্বাস রয়েছে তাই হলো তালনত্ম, কেননা আপনার সেবার মধ্য দিয়ে তিনি সক্ষম তাঁর চাহিদার পরিপূর্ণতা অর্জন করতে৷ আপনার কাজের মধ্যে শুপ্ত থাকে তাঁর পরাক্রম৷ সুতরাং চিনত্মা করম্নন, কথা বলুন এবং মসিহকে নিয়ে সবকিছু চালিয়ে যান, আপনি দেখতে পাবেন মহব্বতের ফসল প্রস্ফুটিত হচ্ছে আপনার জীবন দিয়ে৷ সফলকাম মসিহিদের সাফল্যের রহস্য হলো তাদের রম্নহানি ঐক্য৷ এ ঐক্য পার্থিব কোনো ঐক্য নয়, এটা মসিহের সাথে রম্নহানি ঐক্য৷ নাজাতদাতার সাথে তারা গেছে পরিণত হয়ে যায় এক দেহে অর্থ মসিহই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্য দিয়ে৷ কোনো কাজ তারা আর একা একা করেন না, সমসত্ম ধার্মিকগণ মিলেমিশে করে থাকেন৷ মসিহ হলেন আপনার পরাক্রম, আর আপনি তার মধ্যে হতে পেরেছেন খাঁটি৷ কারোরই সবকটা তালনত্ম থাকে না৷ মসিহের দেহে, পায়ের সাথে হৃদয়ের সংযোগ থাকার প্রয়োজন রয়েছে, হাতের প্রয়োজন রয়েছে মসত্মকের, চোখের প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তির, আঙ্গুলের অপেক্ষা করতে হয় মাথার কাছ থেকে হুকুম জারীর জন্য৷ তাই, জামাত তখনই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে যখন এর প্রত্যেক সদস্য পরষ্পরের প্রতি মনোযোগ দেয় এবং তারা যখন একত্রে প্রভুর সেবা কাজ চালাতে থাকে৷ এটা কি পরিষ্কার বোকামি হবে না যে আপনার মনের ইচ্ছার বিরম্নদ্ধে আপনার হাত কাজ করে বসবে, অথবা পা হেঁটেই চলবে চোখ দিয়ে গর্ত দেখার পরেও? যে কেউ তার গোটা শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সাথে সমন্বয় করতে ব্যর্থ সে তো স্বার্থপর, অসহায়, সামান্য ও নিরেট মূর্খ মাত্র৷ পৌল বিশেষ কোনো এক জামাতে রম্নহানি ফলের কথা উলেস্নখ করেছেন৷ যিনি ঘুমনত্ম লোকদের জাগ্রত করে থাকেন তার কেবল মানবীয় সমবেদনায় কথা না বলে পাক-কালামের আলোকে কিতাবী শিক্ষা প্রদান করা প্রয়োজন, আর ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে জয় করতে হবে মসিহের জন্য৷ যদি কারো কোনো যোগ্যতা, অর্থ ও সময় থাকে তবে জামাতের অভাবী লোকদের সাহায্য করা তার প্রয়োজন৷ অধিক বলার কোনো প্রয়োজন নেই, কিন্তু অন্যের কাছ থেকে সেবা বা প্রশংসা পাবার প্রত্যাশা না করে নীরবে সেবামূলক কাজ চালিয়ে যেতে হবে পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে, কিন্তু মসিহের প্রজ্ঞায় অন্যের সেবা দান করে যেতে হবে৷ একজন রম্নহানি শিক্ষকের উচিত, পাকরূহ থেকে প্রাপ্ত চিনত্মাধারা ও সুসমাচার তার শ্রোতৃমন্ডলীকে ধাপে ধাপে শিক্ষা দেয়া, তাদেরকে সাহায্য করা প্রয়োজন যাতে তারা বুঝতে পারে ও খোদার কালাম বাসত্মব জীবনে পালন করতে পারে৷ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর শিক্ষা দেয়া বড় কথা নয়, কিন্তু পর্যায়ক্রমে শিখতে হবে, ঝর্ণাধারার মতো কথা বলা নয়, আর তার শ্রোতৃমন্ডলীকে শূন্য হাতে অর্থাত্ বক্তব্যের কিছুই বুঝতে পারলো না এমন অবস্থায় পরিত্যাগ করা নয় বরং পরিশেষে প্রত্যেকটি বিষয়বস্তুর সারমর্ম সহজ সরল ভাষায় তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে৷ কেউ যদি রম্নহানি পরিচর্যা ও পরিচালনার দান পেয়ে থাকে, তবে তাকে বিনম্র ও নিরবতার শিক্ষা জানতে হবে, আর অন্যের সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে যেন তাদের রম্নহানি অবস্থান বুঝতে পারে৷ তেমন ক্ষেত্রে নিজের চিনত্মাচেতনার উলেস্নখ করে প্রথমে তাদের শিক্ষা দেয়া ঠিক হবে না, তাকে প্রার্থনা করতে হবে, যেন প্রভু শ্রোতৃমন্ডলীর জন্য তাকে উপযুক্ত বাক্যটি উপযুক্ত স্থানে যোগান দেয়৷ যারা মসিহের দ্বারা নাজাত পেতে চায় এবং রয় অপেক্ষায় তাদের পরিদর্শন করা আবশ্যক, তাদের জন্য প্রার্থনা, বিশ্বাস ও প্রভুর হাতে রাখতে হবে মসিহের বন্ধু হওয়া পর্যনত্ম৷ পৌল বলেছেন, যে দান করে, তাকে নীরবে ও বিচক্ষণতার সাথে দান করতে হবে, অভাবী লোকদের কাছে নিজের পরিচয় অথবা তার সাহায্যের কথা প্রকাশের প্রয়োজন নেই৷ মসিহ বলেছেন, 'তোমার বাম হাতকে জানতে দিওনা ডান হাত কি করছে'৷ তাই নিজের সম্মানের প্রচার না করে মসিহের সম্মান প্রতিষ্ঠা করো৷ জামাতে যদি কেউ নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়ে থাকে অথবা এর কোনো একটি সমিতির দায়িত্ব পেয়ে যায়, তবে আপত্তি, সমালোচনা অথবা অন্যের মন্থর গতি দেখে আহত না হয়ে তাদের দেখানো প্রয়োজন যে মসিহের সেবাকর্ম সম্পাদন করা প্রয়োজন, পরাক্রম, শক্তি ও ধৈর্যসহকারে৷ প্রেমের সাথে যদি কিছু করা না হয় তবে তা অনার্থক বা পন্ডশ্রম মাত্র৷ এ সকল সেবা ও রম্নহানি দানের সারমর্ম যা মসিহ বলেছেন: 'দয়ালু হও, যেমন তোমার বেহেশতি পিতা দয়ালু' (লুক ৬:৩৬) পৌল এ সকল ঐশি চিনত্মাধারার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, তুমি যা কিছু করো না কেন, আনত্মরিকতার সাথে করো, প্রভুর জন্য ও মানুষের জন্য৷ মসিহিয়াতের চিহ্ন ও উদ্দেশ্য হলো প্রেম৷ প্রার্থনা: হে প্রিয়তম প্রভু মসিহ, প্রেমের ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষানবীস মাত্র, আমরা অন্যের কাছ থেকে দয়া কামনা করি৷ আমাদের মনের পরিবর্তন আনয়ন করো, যেন আমাদের ওপর বর্ষিত দান অনুযায়ী অন্যের সেবার কাজ চালাতে পারি: প্রেম, ধৈর্য, প্রজ্ঞা, বিশ্বাস, উত্সাহ ও সুনিশ্চয়তা নিয়ে তোমার ইচ্ছার বাসত্মবায়নকল্পে আমাদের নিজস্ব চিনত্মাধারা অনুযায়ী নয়, কিন্তু অহমিকা থেকে আমাদের রক্ষা করো৷ যেন শয়তানের প্রলোভনে আমরা না পড়ি৷ প্রশ্ন: ৮৩. উপরোলিস্নখিত কোন সেবাকর্মটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যাবশ্যক মনে করো?
|