Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
দ্বিতীয় খণ্ড - খোদার বাছাই করা বংশ হযরত ইয়াকুবের সন্তানদের মন কঠিন করা সত্ত্বেও তাঁর ধার্মিকতা সম্পূর্ণ অনড়৷ (রোমীয় ৯:১ - ১১:৩৬)
৫. ইয়াকুবের বংশের লোকদের প্রত্যাশা (রোমীয় ১১:১-৩৬)
ক) পবিত্র বংশের শেষাংশ অবিশষ্ট থাকবে৷ (রোমীয় ১১:১-১০)রোমীয় ১১:১-১০ পৌল ইব্রাহীমের সন্তানদের ওপর নাজাত ও ধ্বংস নিয়ে বিতর্কের ব্যবস্থা করেছেন৷ তিনি ভিতিজনক প্রশ্ন করেছেন, 'মাবুদ কখনও তাঁর বান্দাদের ত্যাগ করবেন না, যারা তাঁর নিজের সম্পত্তি তাদের তিনি ফেলে দেবেন না' (আল জবুর ৯৪:১৪) পৌল প্রশ্নের উত্তর দিলেন, 'না' তেমন বিষয় অসম্ভব, কেননা খোদার নাজাতকারী রহমতের আমিই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত৷ তিনি আমাকে মুক্ত করেছেন, আমি ছিলাম দুষ্ট পাপী৷ মাংসিক দিক দিয়ে আমি বিনয়ামিনের বংশের ছেলে, অর্থাত্ ইব্রাহীমের বংশধর৷ প্রভু আমাকে ডেকেছেন, আমাকে ক্ষমা করেছেন, আর আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ খোদার মুক্তিদায়ী রহমতের আমি হলাম এক দৃষ্টান্ত যা হলো ইয়াকুবের বংশের জন্য প্রযোজ্য৷ আমি প্রভু মসিহের মধ্যে যেমন জীবন যাপন করছি ঠিক একইভাবে ইয়াকুবের সকল বংশের সন্তানদের সময় সময় তিনি ডাক দিয়ে ফিরছেন৷ তিনি তাদের নাজাত প্রদান করেন, আশির্বাদ দান করেন এবং দিকে দিকে প্রেরণ করেন৷ প্রভু তাদের মধ্য দিয়ে প্রকৃত নিবেদিত মসিহিদের গড়ে তুলছেন৷ ইহুদিদের মধ্য থেকে আগত মসিহিদের, যাদের তিনি পুনর্জন্মের অভিজ্ঞতা দান করেছেন, তাদের ব্যতিরেকে মসিহের রচিত সুসমাচার আমরা পেতে পারতাম না৷ খোদার রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে রয়েছেন৷ আর তারাই জাতিসমূহের মধ্যে খোদার কলামের বীজ বপন করেছেন৷ ফসল নিজেই অগণিত আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে, আর গোলমাল ব্যতিরেকে ক্রমান্বয়ে গোটা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়েছে৷ খোদা লোকজন বাছাই করে থাকেন, আর তাঁর রুহানি সাম্রাজ্যের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে৷ তিনি তাঁর প্রিয়জনদের পরিত্যাগ করেন নি, অদ্যাবধি যদি ইয়াকুবের বংশের অধিকাংশ লোক তাঁকে প্রত্যাখ্যান ও ঘৃণা করেছে, নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে, কেননা ভিন্ন প্রভুদের কাছে নিজেদের সঁপে দিয়েছে বলে৷ কিন্তু ইলিয়াস নবীর সময়ের অবস্থাটা কি ধরণের ছিল? এ সাহসি নবী দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্বাসীদের ওপর ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী নির্যাতনের কারণে, যে তাড়নাটি শুরু হয়েছিল উত্তরদিকস্থ সাম্রাজ্য থেকে, আর রাণীর হুকুম ছিল তাকে বধ করার (১ বাদশাহ ১৯:১০-১৪) খোদা তাকে সান্ত্বনার সাথে জবাব দিলেন, যতই সোচনীয় অবস্থা হোক না কেন আমি আমার সাক্ষ্যের জন্য রক্ষা করেছি যার কখনোই বাল দেবতার কাছে প্রানিপাত করেনি এবং তাকে চুম্বনও করে নি (১বাদশাহ ১৯:১৮)৷ কেউ জানতো না উক্ত পরিপক্ক ইমানদার ব্যক্তিবর্গ কোথায় ছিলেন? পবিত্র লোকদের অবশিষ্ট অংশ ছিলেন তারা, সম্ভবত তারা তাড়িত হয়ে দাস্য কর্মে বাধ্য হয়েছিলেন শমরিয় নগর ধ্বংস করার সময়ে আর এ শমরিয় দিয়েই তাদের বিশ্বাস বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছিল৷ খোদা তাঁর বিশ্বাসীদের সুরক্ষা করে থাকেন, কেউই তাঁর হাত থেকে তাদের ছিনিয়ে নেবার ক্ষমতা রাখে না৷ তিনি এমন প্রতিজ্ঞা করেন নি যে বিশ্বাসীদের জীবন প্রাচুর্যময় হবে, কিন্তু অনন্তকালীন রুহানি জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন (ইউহোন্না ১০:২৯-৩০) এ আলোচনার মাধ্যমে পৌল তার প্রশ্ন রেখেছেন, আল্লাহ সেই একইভাবে এখনও রহমত করে বনি-ইসরাইলদের বিশেষ একটা অংশকে বেছে রেখেছেন (রোমীয় ১১:৫) আল্লাহ সেই একইভাবে এখনও রহমত করে বনি-ইসরাইলদের বিশেষ একটা অংশকে বেঁচে রেখেছেন৷ এ সাক্ষ্য সত্য হলো মসিহের জন্মের মাধ্যমে৷ বিশ্বস্ত মসিহিদের বাহ্যিক প্রতীক না পরাক্রম না ধন-ঐশ্বর্য, না সম্মান, কিন্তু মসিহকে অনুসরণের মাধ্যমে এমন কি তাঁর জন্য নির্যাতন ভোগের ফলেই তারা হয় স্বার্থক৷ এ পদ্ধতিতে মসিহ তার অনুসারি ক্ষুদ্র দলকে বলেছেন, 'হে আমার ভেড়ার ছোট দল, ভয় করো না, কারণ তোমাদের পিতার ইচ্ছা এই যে, তাঁর রাজ্য তিনি তোমাদের দেবেন (লুক ১২:৩২, ২২:২৮-২৯) পিতা পুত্র ও পাকরূহের প্রাধিকারের ফলে সব সময় মনোনীত ও আশির্বাদ প্রাপ্ত ধার্মিক ব্যক্তি সৃষ্টি করেন৷ যারা জনগণের মধ্য থেকে মনোনীত তাদেরকে পৌল ও বার্ণবা তাদের প্রথম প্রচার যাত্রার সময় বলেছেন, 'আল্লাহর রাজ্যে ঢুকবার আগে আমাদের অনেক জুলুম সহ্য করা দরকার' (প্রেরিত ১৪:২২) পৌল এ জ্ঞান আরো গভীরে নিয়ে গেছেন, আর সাক্ষ্য দিয়েছেন, ইয়াকুবের বংশের অবশিষ্টাংশ অব্যাহত গতিতে চলতে থাকবে, কখনোই শেষ হবে না৷ কেবলমাত্র রহমতের কারণে (রোমীয় ১১:৬) যুগের শেষ পর্যন্ত প্রভু শয়তানের চাতুর্য থেকে তাদের রক্ষা করে চলবেন, আর ভালো রাখালের মতো করবেন তাদের পরিচালনা৷ এ অবশিষ্টাংশ যে ধার্মিক, দয়ালু মনোনীত তাদের নিজেদের ধর্মযজ্ঞের ফলে তা নয় বরং খোদার রহমতে হয়েছে লব্ধ৷ সুতরাং মসিহের বিশ্বজনীন অনুপম অসাধারণ রহমতের ক্ষমতায় বিশ্বাস করতে হবে যে রহমত ইস্রায়েলের অবশিষ্ট পবিত্র লোকদের ধরে রাখেন৷ প্রভুকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া আমাদের কর্তব্য, কেননা মসিহিদের অস্তিত্ব টিকে আছে কেবল খোদার অশেষ রহমতে৷ রোমীয় ১১:৭ পদে পৌল প্রশ্ন করেছেন, ইয়াকুবের সন্তানদের আমলে আত্মিক অবস্থা কী ছিল আর বর্তমানে তা কেমন অবস্থায় রয়েছে? শরীয়ত পালন করা বুঝাতে জানা দরকার আসলে তারা কি বুঝতো আর তাদের ধার্মিকতার লক্ষ্যবিদ্ধুই বা কি ছিল যা তারা অর্জন করতে হয়েছে ব্যর্থ? তারা তাদের লক্ষ্যবিন্দু থেকে পিছলে পড়েছিল, তাদের রাজাকে তারা সলিবে হত্যা করেছিল, পাকরূহ যে তাদের হৃদয়ে বসবাস করবে সে বিষয়ে তাদের মন কঠিন করে বসেছিল, ত্রিত্ত্বপাক থেকে তারা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল ইচ্ছাপূর্বক, অন্যজাতির রাজা ও নেতাদের সেবা করতে শুরু করেছিল, আর উক্ত রাজ-রাজারাই তাদের ওপর শোষণ নির্যাতন চালাতো আর অপেক্ষায় থাকতো মসিহের শত্রুদের আগমনের জন্য যারা অন্যান্য জাতির ওপর শোষণ নির্যাতন চালাতে পারে৷ এ যাতনাকর সত্য ইয়াকুবের সকল সন্তানদের ওপর বর্তায় নি৷ ইব্রাহিমের বংশের কেবলমাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ নাজাত প্রাপ্ত ও পাকরূহের দ্বারা নুতন জন্মের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল৷ তারা তাদের কৃত পাপের খবর রাখতো, আর তা তারা জনসমক্ষে স্বীকারও করতো, বিশ্বাস করতো বিনম্র ঐশি মেষ শিশুর বিষয়ে, আর তার কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমা পেত আর প্রতিজ্ঞাত পাকরূহের দ্বারা ছিলেন অভিষিক্ত৷ মসিহ যেভাবে জীবন যাপন করতেন তারা তেমন তার রুহানি দেহে সক্রিয় সদস্য হিসেবে চলতো৷ যাহোক, জাতিগণের অধিকাংশ ছিল হৃদয় কঠিন করা দল (দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:৪, ইশাইয়া ২৯:১০)৷ তারা এমন একটা চেতনা লাভ করেছিল যার ফলে ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য করা জানতো না৷ তাই তাদের কোনো জ্ঞান ছিল না ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য করবে, তবে যাতে আরাম পাওয়া যেতো তাই তারা করে বসতো, খোদার বিষয়ে ছিল অজ্ঞ, অজ্ঞ ছিল শেষ বিচারের বিষয়ে, কেননা তারা যখন দেখতো আসলে তারা দেখতে পেতো না, আর যখন শুনতো বটে আসলে কিছু শুনতো না, যদিও রাজা দাউদ অধিকাংশ লোকদের শাস্তির জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছেন আর তাদের পরিকল্পনা তাদের জন্য ফাঁদে পরিণত হবার জন্য (জবুর ৬৯:২৩-৪)৷ তথাপি, মসিহ দাউদের কঠোর উক্তি বদলে দিয়েছেন, আর তাঁর অনুসারীদের আজ্ঞা দিয়েছেন, 'তোমাদের শত্রুদের প্রেম করো, যারা তোমাদের জুলুম করে তাদের জন্য মুনাজাত করো, যেন লোকে দেখতে পায় তোমরা সত্যিই তোমাদের বেহেশতি পিতার সন্তান (মথি ৫:৪৪-৪৫)৷ মনোনীতদের অবশিষ্টাংশ আর বিশ্বব্যাপী মসিহিগণ প্রমাণ করেছেন, তাড়না, নির্যাতন সামাজিক চাপ প্রয়োগ ও মিথ্যা অভিযোগের মধ্যেও মসিহের আজ্ঞা পালন করার জন্য তাদের উপস্থিতি অত্যাবশ্যক৷ প্রার্থনা: হে বেহেশতি পিতা, আমরা তোমার আরাধনা করি, ইব্রাহীমের বংশজাত অধিকাংশ লোক নিজেদের হৃদয় পাকরূহের কাছে খুলে দিয়েছে, মসিহের রক্তে নিজেদের স্নাত করে নিয়েছে, আর লাভ করেছে অনন্ত জীবন৷ নতুন বিশ্বাসীদের শক্তিশালী করো, আর তাদের প্রতি যত্ন করো, ফলে তারা উপলব্ধি করতে পারবে তোমার উপস্থিতি তা যতই মারাত্মক অত্যাচার তাদের ওপর পতিত হোক না কেন, আর বিশ্বাসীদের কাছ থেকে যেন তারা সাহায্য লাভ করতে পারে, আর তারা যেন বিভক্ত হয়ে না পড়ে৷ প্রশ্ন:
|