Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
বি - ইমানের দ্বারা নতুন ধার্মিকতা লাভের সুযোগ রয়েছে সবার জন্য খোলা (রোমীয় ৩:২১ - ৪:২২)
৩. ইমানে নির্দোষ বলে গৃহিত হবার উত্তম দৃষ্টান্ত হলো হযরত ইব্রাহীম ও দায়ুদ নবী (রোমীয় ৪:১-২৪)
ক) কেবলমাত্র বিশ্বাসের কারণেই হযরত ইব্রাহীমকে ধার্মিক বলে গ্রহন করা হয় (রোমীয় ৪:১-৮)রোমীয় ৪:১-৮ পৌল রোমে অবস্থিত ইহুদি বংশোদ্ভুত মসিহিদের ইঞ্জিল শরীফের আলোকে প্রকৃত সত্যে পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন৷ দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি ইব্রাহীম নবীকে দাড় করালেন, যিনি ছিলেন তাদের ঈমানি পিতা এবং হযরত দায়ুদ নবী৷ তাদের দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে তিনি শিক্ষা দিলেন যে মাগফেরাত ও ধার্মিকতা কেবল বিশ্বাসের ফলেই পাওয়া যায়, যা কখনোই কাজের ফল নয়৷ আর দশ জনের মতোই ইব্রাহীম জীবন যাপন করতেন৷ অন্যের চেয়ে তিনি না ছিলেন উত্তম না ছিলেন অধম৷ খোদা তার কলুষিত হৃদয়ের খবর রাখতেন, যা ছিল অগণিত পাপে পূর্ণ; কিন্তু তিনি ইব্রাহীমের মধ্যে তাঁর (খোদার) প্রতি একটি আগ্রহ দেখতে পেয়েছিলেন যা ছিল রুহানিভাবে বাধ্যতায় গড়ে তোলার পূর্বশর্ত৷ খোদা ইব্রাহীমের সাথে প্রত্যক্ষভাবে কথা বলেন, তাকে আহ্বান জানান, আর উক্ত আহ্বান বৃদ্ধ যাযাবর ব্যক্তি বিশ্বাস করলেন তাঁর আহ্বান৷ খোদার আহ্বানের অর্থ ও গভীরতার তাত্পর্যের বিষয়ে কিছুই জানতেন না ইব্রাহীম নবী, কিন্তু তিনি খোদাকে বিশ্বাস করেছিলেন, তাঁর বাক্য সত্য, এবং তাঁর প্রতিজ্ঞা পুরণে থাকেন তিনি বিশ্বস্ত৷ এ বিশ্বাস নিয়ে ইব্রাহীম খোদাকে সম্মান করলেন, আর তাঁর নামের মহিমা প্রকাশ করলেন৷ ইব্রাহীম নিজের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করেন নি অথবা তাঁর দুর্বলতার ভয়ও করেন নি, খোদার সীমাহীন ক্ষমতার ওপর তাঁর ছিল দৃঢ় বিশ্বাস ও নির্ভরতা ৷ তাঁর বিশ্বাস নির্ভরতা এবং বিশ্বস্ত অঙ্গিকার তাঁর হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবৃত করে দিয়েছিল৷ দৃঢ় প্রত্যয়ি, আন্তরিক সুনিশ্চিত বিশ্বাস যা মতবাদগত বোধের আওতার মধ্যে থাকে না সীমাবদ্ধ, তেমন বিশ্বাস ছিল তার ধার্মিকতার একমাত্র উত্স৷ ইব্রাহীম নিজে নিজে ধার্মিক ছিলেন না, কিন্তু তাঁর বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই তাকে ধার্মিক বলে গণ্য করা হয়েছে৷ আমাদের মতোই তিনিও গুনাহগার ছিলেন, কিন্তু খোদার মনোনয়নে তিনি রাজি ছিলেন, তাঁর কালাম মনোযোগসহ শ্রবণ করেছিলেন, খোদার প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস করে গ্রহণ করেছিলেন, এবং প্রতিজ্ঞা সমূহ হৃদয়ে গেথে রেখেছিলেন৷ চতুর্থ অধ্যায়ে আমরা দেখতে পাই বহুবার একটি শব্দগুচ্ছের প্রয়োগ 'ধার্মিকতা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে৷' সংস্কার সাধনকল্পে এ বাক্যগুচ্ছ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যে নিজের বিশ্বাস দিয়ে খোদাকে সম্মান দেখায়, সুসমাচার কবুল করে, সমস্ত মন-প্রান দিয়ে সলিবে বিশ্বাস করে, নিজের জীবন মসিহের ওপর নির্ভর করে, কেবলমাত্র তিনিই ন্যায়বান বলে খোদার কাছে গ্রাহ্য হন তেমন ক্ষেত্রে কর্মের বা শরীয়তের বা ব্যক্তিগত কৃচ্ছ্রতার কোনো বালাই থাকতে পারে না৷ আপনার মিথ্যাচার, নাপাকি আচরণ এবং মৌখিক প্রেমের ক্ষেত্রে খোদার প্রতিক্রিয়া কি শুনতে পাচ্ছেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন, বিচার দন্ড আপনার ওপর পতিত হবে? আপনি কি দুঃখিত এবং অনুতপ্ত, আর খোদার কাছে মাগফেরাত কামনা করছেন? আপনার একগুয়েমির জন্য আপনি যদি শোকার্ত ভগ্নচূর্ণ হয়ে থাকেন, তবে পাকরূহ, সলিবে হত খোদার পুত্রকে আপনার চোখের সামনে এনে দেখাবেন, তাঁর হাত দুটো প্রসারিত করে আপনাকে বলবেন; 'আমি তোমার পাপ ক্ষমা করেছি৷ তুমি নিজে ধার্মিক নও, কিন্তু আমি তোমাকে ধার্মিক করেছি৷ তুমি পবিত্র নও, কিন্তু আমি সম্পূর্ণভাবে তোমাকে স্নাতশুভ্র করেছি৷' আপনি কি খোদার কালাম শুনতে পেয়েছেন? তা কি আপনার পাথুরে কঠিন হৃদয়-মনে তথা বাহ্যিক রূহের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে? আপনার প্রভুর বাক্য নিয়ে আরাধনা করুন; নাজাতের সুসমাচারে বিশ্বাস করুন, শক্তভাবে বিশ্বাসে সলিব ধরে রাখুন যেন খোদা আপনাকে সত্যিকারের ধার্মিক বলে বিবেচনা করেন৷ আপনার বিশ্বাসের মাধ্যমে সলিবে হত মসিহকে সম্মান দেখান, তবে তাঁর সাথে সহভাগিতায় আপনি পূতপবিত্র থাকবেন৷ অনুপ্রাণীত গীতিকার রাজা দাউদ নিজেও একজন গুনাহগার ছিলেন, তিনি ঐশি কুদরতের হাতে ন্যায়বান হবার অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন৷ তিনি যে সকল রুহানি গীত রচনা করেছেন ওগুলো নিয়ে গর্ববোধ করেন নি, তিনি তার বিজয়ের কারণেও নিজেকে ন্যায়বান বলে বিবেচনা করেন নি, না ছিলেন গর্বিত হৃদয় সঞ্চালনকারি প্রার্থনার কারণে অথবা উদার হস্তে দান করার জন্যও তিনি অহমিকায় ফেটে পড়েন নি৷ পরিবর্তে, খোদার রহমতে তার পাপের ক্ষমা লাভের জন্য নিজেকে স্বর্গসুখে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন৷ মসিহের মাধ্যমে আপনাকে যে ধার্মিকতা দান করা হয়েছে তা আপনার জন্য খোদার সর্বোত্তম উপহার৷ প্রার্থনা: হে পবিত্র খোদা, আমরা তোমার ধন্যবাদ দেই কেননা তুমি তোমার পুত্র মসিহের মধ্য দিয়ে তোমার কালাম আমাদের কাছে প্রেরণ করেছো বলে, আর তুমি ঘোষণা দিয়েছে, আমাদের ন্যায়বান করার বিশেষ অনুগ্রহ রয়েছে সলিবে৷ আমাদের কান খুলে দাও যেন তোমার প্রতিজ্ঞার কথা শুনতে পাই, ওগুলো বুঝতে পারি এবং তোমাকে বিশ্বাস করি৷ তোমাকে ধন্যবাদ, কেননা নিঃশর্তভাবে আমাদের মুক্ত করেছো বলে, আর যেখানে যে কেউ তোমাকে বিশ্বাস করে এবং হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করে তাদের সাথে আমাদের যুক্ত করেছো বলে৷ আমাদের বন্ধু বান্ধব স্বজন-প্রিয়জন সকলকে সাহায্য করো, যেন তারাও তোমার পুত্রের সলিবের মধ্য দিয়ে অর্জিত নাজাতের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে৷ প্রশ্ন: ৩০. কিভাবে ইব্রাহীম ও দাউদ ধার্মিক বলে গণ্য হলেন?
|