Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- Romans - 001 (Introduction)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা

উপস্থাপনা


রোমীয়দের কাছে লেখা পত্রের পরিচিতি

যিনি মৃতু্য থেকে জীবিত হয়ে ওঠেছেন, সাহাবিদের জন্য প্রদত্ত তাঁর প্রভু সবচেয়ে বড় দান যা সর্বযুগে সমস্ত জামাতের প্রতি প্রদত্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দানের বিষয়ে লেখার জন্য হযরত পৌলকে অনুপ্রাণীত করেছেন৷ পৌল হলেন তাঁর বিশেষ প্রতিনিধি, তিনি রোমের রাজধানিতে বসবাসকারী রোমান সমপ্রদায়দের কাছে লিখেছেন৷

এ পত্রের কারণ ও উদ্দেশ্য

অইহুদিদের কাছে প্রচারকারী সাহাবি এশিয়া মাইনর ও গ্রীসের এলাকা সমুহে প্রচার করলেন হযরত পৌল তাঁর তিনটি প্রচার যাত্রায়৷ তার প্রচার কালে তিনি প্রধান প্রধান শহরে জীবন্ত জামাত প্রতিষ্ঠা করলেন, ইমানদার ভাই-বোনদের শিক্ষা দিলেন মহব্বতের সেবা প্রদানের নিয়ম ও গুরুত্ব আর নিয়োগ দিলেন ইমাম, প্রচারক এবং বিশপ পদে যাতে তারা সাংগঠনিক ভাবে প্রচারকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন৷ তিনি দেখলেন ভূমধ্য সাগরের পূর্বাঞ্চলে প্রচার কাজ সমাপ্ত করলেন তাই তিনি পশ্চিমের দেশগুলোতে ফ্রান্স ও স্পেনে মসিহের রাজ্যের বিষয়ে প্রচার করার জন্য পদক্ষেপ দিলেন (রোমীয় ১৫:২২-২৪)৷

এ পরিকল্পনার সাথে সংগতি রেখে তার বিখ্যাত পত্র রোমে অবস্থিত জামাতের সদস্যদের কাছে লিখলেন৷ উদ্দেশ্য হলো মসিহের ওপর তাদের বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধি করা, তিনি যে একজন মনোনীত সাহাবি ও সুসমাচারের প্রচারক সে বিষয়ে তাদের প্রত্যয় দৃপ্ত করা৷ এবং অইহুদিদের কাছে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে খোদা মসিহের তরফ থেকে, সে বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা প্রদান, এবং তিনি সুসমাচারের প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং তা প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন৷ তিনি তাদের হৃদয় স্পর্শ করতে চেয়েছেন, যেন তারাও আগ্রহী হয় এবং তার পশ্চিমীয় দেশে প্রচার কাজে সহযোগীতা করেন৷ শিরিয়ায় অবস্থিত অন্তিখিয়ীয় জামাত যেমন তাকে সমর্থন করেছে, বিশ্বস্তভাবে প্রার্থনা করেছে এবং প্রচারযাত্রা অনুমোদন করেছে, সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তার প্রচারের কাজে ত্যাগ স্বীকার করণে৷ এ পত্রটি প্রাথমিক পাঠের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ফলে জামাত যেন কেবল বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করতে শেখে, এবং ঐক্যে মিলেমিশে গোটা বিশ্বের কাছে সুসমাচারের কাজ চালিয়ে যেতে পারে৷

রোম শহরে জামাত কে প্রতিষ্ঠা করেছে?

পৌল, পিতর, সাহাবিদের কেউ অথবা সুপরিচিত প্রবীনদের কেউই রোম শহরে জামাত প্রতিষ্ঠা করে নি৷ পঞ্চ সত্তমির সময়ে রোমীয় হজ্জযাত্রীদের দ্বারা তা প্রতিষ্ঠিত হয়; উক্ত হজ্জযাত্রীগণের ওপরে মসিহ পাকরূহের অভিষেক দান করেন যখন তারা স্ব-স্ব পাপের জন্য অনুতাপ করেছিলেন এবং করেছিলেন প্রার্থনা৷ সর্বশক্তিমানের বিষয়ে বক্তব্য রাখার জন্য পাকরূহ তাদের জিহ্বাকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন, অভিষেক পাওয়ার পরে তারা শহরে গিয়ে সর্বশক্তিমানের বিষয়ে প্রচার করেছিলেন, যাকে সলিবে হত্যা করা হয়েছিল তিনিই পুনরুত্থিত হয়ে তাদের সাথে দেখা দিয়েছেন৷ তারা তাদের ইহুদি ও অইহুদি বন্ধুদের সাথে এ বিষয়ে প্রচার করেছিলেন, তখন তারা পাঠ্যচক্র আকারে নবীদের কাছে মসিহের বিষয়ে যে ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল সে বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেছিলেন৷

এশিয়া এবং গ্রীস দেশে প্রচার যাত্রার সময় হযরত পৌল পুনঃপুনঃ রোমে অবস্থিত ইমানদারদের সাথে দেখা করতেন, বিশেষ করে ক্লাদিয়াস সিজারের আমলে ইহুদিদের বিনষ্ট করার সময় অর্থাত্‍ ৫৪ খৃষ্টাব্দে (প্রেরিত ১৮:২)৷ হযরত পৌল ব্যক্তিগতভাবে রোমে অবস্থিত জামাতের সাথে পরিচিত হতে সচেষ্ঠ ছিলেন৷ আর যারা তার সাথে প্রচার কাজে যুক্ত ছিলেন তাদেরকেও পাকরূহের দান দিতেন৷ রাজধানিতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকার প্রয়োজন তিনি বোধ করেন নি, কেননা জীবন্ত ও স্বাধীন জামাত তিনি তথায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ তিনি নিকটতম এলাকাসমূহে সুসমাচার প্রচারের জন্য ইমানদার ভাইদের কাছে চলে যেতেন, উত্‍সাহ যুগিয়েছেন সুসমাচার ব্যাপকভাবে দিকে দিকে ছাড়িয়ে দেবার জন্য৷

কে কখন কোথায় বসে অত্র পত্রটি লিখেছেন?

হযরত পৌল ৫৮ খৃষ্টাব্দে এ পত্রটি লেখেন, তখন তিনি করিন্থ শহরে অবস্থিত গাইউস নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন৷ এ পত্রে তিনি নিজের রুহানি অভিজ্ঞতার ও শিক্ষার বিষয়ে লিখেছেন৷ পৌল যেভাবে এ পত্রে লিখেছেন, তেমনভাবে কোনো লেখক লিখতে পারে নি৷ কেননা জীবন্ত গৌরবান্বিত মসিহ পথিমধ্যে তার সম্মুখে দাড়িয়েছিলেন, তখন শরীয়তের দাবি পূরণের তথা শরীয়তের আইন প্রতিষ্ঠার জন্য আবেগতাড়িত হয়ে তিনি দামেস্কে মসিহিদের ওপর কঠোর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ যখন ঐশি চোখ-ধাঁধাঁনো প্রখর আলো তাঁর সামনে জ্বলে উঠলো তখন তিনি মহান সত্যের অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারলেন, নাসরতের মসিহ জীবিত আছেন এবং তিনিই গৌরবের প্রভু, তিনি সলিববিদ্ধ ও কবরে দাফন করার পরেও অব্যয় অক্ষয় অবস্থায় পুনরুত্থিত হয়ে উঠেছেন৷ মসিহ মৃতু্যকে জয় করেছেন, সত্যিকারার্থে পুনরুত্থিত হয়েছেন, প্রমান করেছেন, তিনিই সর্বশক্তিমান, সবকিছুর ওপর রয়েছে যার ক্ষমতা৷ পৌল আরও বুঝতে পেরেছেন, খোদার পুত্র, তাঁর ওপর যারা অত্যাচার করেছে, তাদের ঘৃণা বা ধ্বংস করেন না, উপরন্তু তাদের প্রতি করুণা প্রকাশ করেন এবং তাদের আহ্বান করেন তার সাথে প্রচার কাজে অংশ গ্রহণ করার জন্য৷ তার অর্থ এ নয় যে তাদের যোগ্যতা আছে বলে ডাকা হয়েছে, বরং মসিহের রহমতে তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্যই তা করে থাকেন৷ তাই, এমন কুদরতি ঘটনার দ্বারা আবেগাপ্লুত ধর্মপাগল পৌলের সকল গর্বটুকু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল৷ তিনি খোদার রহমতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলেন এবং ধার্মিকতার মৌল বিষয় বুঝতে পারলেন৷ তিনি আর কোনো নির্ভরতা রাখতে পারলেন না মানুষের কর্মের ওপর ধার্মিকতা অর্জনের বিষয়ে, যেখানে দেখানো হয়েছে শরীয়তের পাবন্ধি হয়ে ধার্মিক সাজা যায় যা সম্পূর্ণ ভুল চিন্তা৷ তিনি মসিহের প্রেমে তাঁর সেবক হিসেবে গোটা বিশ্বে প্রচারের জন্য যাত্রা শুরু করলেন, সকলকে আহ্বান জানাতেন খোদার সাতে পুনর্মিলনের জন্য৷

এ পত্র লিখার বিশেষ বৈশিষ্ট কী?

রোমে অবস্থিত জামাতের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ধমর্ীয় ধ্যান-ধারণার পরিবর্তনের বিশ্লেষনধর্মী ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন এ পত্রের মাধ্যমে৷ তথাপি, তিনি সুন্দর পরিভাষায় কোনো বই-পুস্তক করতে আগ্রহি ছিলেন না, অথবা তুলনামূলক আলোচনা সাপেক্ষে নতিদীর্ঘ কোনো রচনা লিখতে চান নি৷ বরং তিনি পত্রাকারে পরিষ্কার ও সহজবোধ্য করে লিখেছেন, যেসকল সাম্ভাব্য প্রশ্নাবলি ইহুদি ও রোমীয়দের কাছ থেকে আসবে ওগুলোর জবাব তিনি এ পত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন৷ পৌল তারতিয়াসকে উদ্দেশ্য করে এ পত্র লিখেছেন৷ তারতিয়াস ছিলেন প্রভুতে ভাই, যাদের কাছে পত্র লেখা হয়েছে তাদের মনোভাব তিনি আত্মাতে বুঝতে পেরে লিখেছেন৷ অবশ্য নতুন বিশ্বাসীদের কাছেও এ পত্র প্রযোজ্য হবে, তাদের ভাষাভাসা ধমর্ীয় জ্ঞানের অপসারণ খোদার সত্যের আলোকে সম্পন্ন হবে৷ দ্বিতীয়ত যাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে তাদের তিনি আহ্বান জানিয়েছেন এ পত্রের মাধ্যমে, মসিহের মধ্যে পরিপূর্ণ ধার্মিক ও ন্যায়বান হবার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, কেননা মানুষের অর্থাত্‍ গুনাহগারদের জন্য কেবলমাত্র মসিহ হলেন একমাত্র সুনিশ্চিত ভরসা৷ আর এক দিক দিয়ে তিনি ধূর্ত শরীয়তবাদীদের মধ্যে আলোড়ন ছুড়ে মেরেছেন, তাদের কর্মকাণ্ডের বাতুলতা প্রকাশ করেছেন, তাদের স্বধার্মিকতার অহংকার চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুনর্ীতি ও দুষ্টতা প্রকাশ করে দিয়েছেন, আর তাদের কাছে বিনম্র বিশ্বাসের প্রকাশ করেছেন, যেন কেবল খোদার মহব্বতে ন্যায়বান বলে ঘোষিত হওয়া সম্ভব, যা পাকরূহের পরিচালনা ইমানের দ্বারা ঘটে থাকে৷ তার পত্রে সাধারণ লোকদের কাজে সহজবোধ্য ও অর্থবহ আকারে ফলপ্রসু প্রচার রয়েছে৷ বিশেষ কোনো সমপ্রদায়ের কাছে তিনি এ পত্র লিখেন নাই, বরং সর্বপ্রকার শিক্ষিত অশিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছে লিখেছেন, স্বাধীন ও বন্দী, নারী ও পুরুষ উভয়ের কাছেই তিনি লিখেছেন৷ অদ্যপর্যন্ত রোমীয়দের কাছে লেখা পৌলের পত্র মসিহিদের প্রশিক্ষণের জন্য অন্যতম উপযুক্ত পত্র, যেমন মার্টিন লুথার সাক্ষ্য দিয়েছেন 'এ বইটি ইঞ্জিল শরীফের মধ্যে প্রধান অংশ এবং খাঁটি সুসমারের প্রত্যেক মসিহি যেন তা মুখস্ত করে রাখে, ঐশিধন হিসেবে নিত্যদিন জীবনে তা প্রয়োগ করে, কেননা একজন বিশ্বাসীর যা যা কিছু প্রয়োজন তার সবটাই এ পুস্তকে রয়েছে লিপিবদ্ধ৷ শরীয়ত বনাম সুসমাচার (ঐশি প্রেম), পাপ এবং হবার উপায়, রহমত ও ইমান, ধার্মিকতা ও সত্য, মসিহ এবং খোদা, ভালো কাজ এবং মহব্বত, প্রত্যাশা এবং সলিব৷ আমরা জানি, প্রত্যেকের সাথে কী ধরণের আচরণ করতে হবে, তা যতোই ধার্মিক ও পাপী হোক না কেন, শক্তিধর অথবা দুর্বল, বন্ধু ভাবাপন্ন অথবা শত্রুভাবাপন্ন সে যাই হোক না কেন, এবং নিজেদের প্রতি কী আচরণ করতে হবে৷ তাই সকল বিশ্বাসীদের অনুরোধ জানাই এ পুস্তকের আলোকে তারা যেন নিজেদের সংশোধন করে নেয়৷

প্রিয় ভ্রাত: আপনি যদি নিজের বিশ্বাস পরিপক্ক করতে চান এবং এ পত্রের গুঢ় অর্থ বুঝতে চান তবে এ পত্রটির দিকে আগ্রহ সহকারে মনোনিবেশ করুন, এবং এ পত্রটি যত্নসহকারে অধ্যয়ন করুন৷ এটিকে খোদার বিশ্ববিদ্যালয় বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে, যা প্রজ্ঞা, ক্ষমতা এবং রূহের আবেশে পরিপূর্ণ৷ মসিহ আপনাকে মুক্ত করবেন ভণ্ডামিপূর্ণ স্বভাব আচরণ থেকে, স্ব-ধার্মিকতা থেকে আর করবেন আপনাকে একজন বলিষ্ট সেবক ঐশি প্রেম ও পবিত্রতার প্রয়োগ কল্পে ও দিনে দিনে মহিমা থেকে মহিমায় উত্তীর্ণ হতে৷

রোমীয়দের প্রতি পত্রের বিশ্লেষণ

রোমীয় ১:১-১৭ -- রোমীয় জামাতের কাছে লেখকের পরিচিতি প্রকাশ৷ সাহাবিদের আশির্বচন৷ খোদার ধার্মিকতার প্রকার যা ছিলো তাঁর সাহাবি হবার পরিচয়৷

পার্ট ১৷ খোদার ধার্মিকতা আমাদের ন্যায়বান করে৷

রোমীয় ১:১৮ - ৩:২৩ -- আমরা সকলে পাপী, আর শরীয়তের দৃষ্টিতে আমরা ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যাত, আর তা জানতে পেরে আমাদরে অহমিকা চূর্ণবিচূর্ণ হতে বাধ্য৷
রোমীয় ৩:২৪ - ৪:২৫ -- মসিহের কাফফারা সাধনকারী কাজের মাধ্যমে খোদা আমাদের সকল মানুষকে ধার্মিক বলে বিবেচনা করেন; যদি তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে৷
রোমীয় ৫:১ - ৮:৩৯ -- পাকরূহ অর্থাত্‍ প্রভুর রূহ প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তির হৃদয়ে বাস করেন, প্রদান করেন সাহস শক্তি পাপের উপর বিজয় লাভ করার জন্য, যেন রূহের শক্তিতে শরীয়তের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত স্বাধীন জীবন-যাপন করতে পারে৷

পার্ট-২৷ খোদার ধার্মিকতা ঐতিহাসিক সত্য

রোমীয় ৯:১ - ১১:৩৬ -- নবীদের আমলে মানুষ খোদার রহমত অগ্রাহ্য করেছে, তা সত্যেও তিনি সর্বদা ধার্মিকতার পরিচয় বহন করে এসেছেন৷

পার্ট-৩৷ খোদার ধার্মিকতার বাস্তবায়ন

রোমীয় ১২:১ - ১৬:২৭ -- প্রকৃত বিশ্বাস আমাদের জীবনাচরণ বদলে দেয় এবং উদ্দীপিত করে প্রেমের বসে কল্যাণ কল্পে এগিয়ে আসতে আর পারষ্পরিক বস্যতা স্বীকার করতে৷

এ পত্রটি সহজ পাঠ্য নয়৷ এটি পাঠে চাই বিশেষ মনোযোগ, প্রার্থনা, সুচিন্তিত বিশ্লেষণ, যেন পাঠক এর মাধ্যমে হতে পারে আশির্বাদপুষ্ট, আন্তরিক হতে প্রেরণা পায় অনুতাপ করতে হতে, হয়ে ওঠে মনের দিক দিয়ে নবীন, এবং মসিহের মাধ্যমে জীবনের নতুন দিগন্ত প্রত্যক্ষ করতে পারে৷ এ পত্রটি পাঠককে বিশেষ করে রোমীয় বিশ্বাসিদের রুহানিকুড়ে হিসেবে গড়ে তোলে নি, বরং তাদের প্রচার কাজের জন্য প্রস্তুত করে তোলে, যাতে তারা তাদের চারপাশের লোকদের কাছে প্রচারের মাধ্যমে তাদের মধ্যেও চেতনা সৃষ্টি করতে পারে, একইভাবে মসিহ আপনাকেও আহ্বান জানাচ্ছেন, তার রহমতে আপনিও পূর্ণ হয়ে ওঠতে পারেন, যেন ধার্মিক লোকদের কাছে প্রেম, ধার্মিকতা ও প্রত্যাশার কথা ঘোষণা করতে পারেন, কেননা তারা মহব্বত থেকে রয়েছে বঞ্চিত৷ মসিহের কথা শুনুন, প্রার্থনা করুন এবং নাজাতের বারতা নিয়ে দিকে দিকে বেরিয়ে পড়ুন৷

প্রশ্নঃ

১. রোমীয়দের কাছে পত্রটি লেখার উদ্দেশ্য কি এবং পরিসমাপ্তিতে কী রয়েছে?
২. রোমীয় জামাত কে প্রতিষ্ঠা করেছেন?
৩. কে এ পত্রটি লিখেছেন? কোথায় এবং কখন?
৪. এ পত্র লিখতে গিয়ে পৌল কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন?
৫. এ পত্রের পরিলেখ বা আউট লাইন কী?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 12:05 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)