Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- Romans - 030 (Peace, Hope, and Love Dwell in the Believer)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
সি - ন্যায়বান ঘোষণার অর্থ হলো খোদা ও মানুষের সাথে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করা (রোমীয় ৫:১-২১)

১. শান্তি, প্রত্যাশা এবং প্রেম বিশ্বাসীদে জীবনে থাকে সদা বিরজমান (রোমীয় ৫:১-৫)


রোমীয় ৫:১-২
১. ঈমানের মধ্য দিয়েই আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়েছে আর তার ফলেই হযরত ঈসা মসিহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ ও আমাদের মধ্যে শাস্তি হয়েছে৷ ২. আল্লাহর এই যে রহমতের পথে এখন আমরা চলছি সেখানে আমরা মসিহের মধ্য দিয়ে ঈমানের দ্বারাই পেঁৗছেছি৷ আল্লাহর মহিমা পাবার আশায় আমরা আনন্দ বোধ করছি৷

প্রাণিক মানুষ খোদার সাথে সদা বিরোধ নিয়ে চলে৷ মানবিয় সকল পাপ অপরাধ পূতপবিত্র খোদার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কেননা আমাদের পাপ সকল খোদার নিয়ম নীতির বরখেলাপ বলে বিবেচিত৷ সুতরাং মানুষের সকল প্রকার অধার্মিকতা ও খোদা বিরোধি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে খোদার গজব প্রকাশ পেয়ে থাকে৷

মসিহ সলিবে আত্মকোরবানি দিয়েছেন, মানুষকে খোদার সাথে যুক্ত করেছেন, যার ফলে আমরা শান্তির রাজ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়েছি, কেননা যে পাপ খোদার থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল তা তাঁর পুত্র অর্থাত্‍ খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ নিজের ওপর তুলে নিয়েছেন বিধায় খোদার নাজাতদায়ী আশির্বাদ, সকল মানুষের ওপর হয়েছে বার্শিত৷ কতইনা বিশাল আশির্বাদ, প্রশান্তি, স্বস্তি রয়েছে তাদের অন্তরে যারা নাজাতদাতা মসিহের মাধ্যমে খোদার ওপর বিশ্বাস রাখে৷ যারা খারাপ কাজে ব্যস্থ থাকে তাদের হৃদয়ে কোনো শান্তি থাকতে পারে না, সলিবে হত মসিহের ওপর বিশ্বাস স্থাপন না করে আত্মার কোনো বিশ্রাম আসতে পারে না৷

মসিহ আমাদের স্নাতশুভ্র ও ধার্মিক করে তুলেছেন, সেজন্য নতুন চুক্তি মোতাবেক প্রত্যেক বিশ্বাসী বিশাল অধিকার লাভ করে থাকে, যে মর্যদা নবীদের যুগে কেবলমাত্র মহা ইমাম এ সুযোগ ও অধিকার পেতেন, বছরে মাত্র একবার মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশের অধিকার পেতেন, সেখানে গিয়ে ইস্রায়েল জাতির পাপের প্রাশ্চিত্ত শোধ দিতেন৷ মসিহের মৃতু্যর মুহুর্তে পবিত্র ও মহাপবিত্র স্থানের মধ্যে পার্থক্যকারী যে পর্দাটি ছিল তা আগাগোড়া ছিড়ে দুইভাগ হয়ে যায়, পবিত্র ও মহাপবিত্র স্থানের মধ্যে ব্যবধান হয়ে যায় দূরীভূত৷ তাই আজ আমাদের সে অধিকার দেয়া হয়েছে যেন মহাপবিত্র সত্ত্বার সম্মুখে হাজির হতে পারি৷ তিনি সকলকে আহ্বান করেছেন বিশ্বাস সহকারে তার কাছে উপস্থিত হবার জন্য৷ ফলে আমরা জানতে ও দেখতে পারবো তিনি না ভয়ানক না ধ্বংসকারী না আমাদের থেকে দূরে বহুদূরে তাঁর অবস্থান, পরিবর্তে তিনি হলেন বিশ্বাসীদের পিতা এবং নাজাতদাতা৷ তিনি মহব্বত ও অনুকম্পায় পরিপূর্ণ৷ তিনি আমাদের প্রার্থনা কামনা করেন, আমাদের আকুতি বিনতির জবাব দানে আনন্দ বোধ করেন, আর তাঁর পুত্রের রক্তের মূল্যে অর্জিত নাজাতের সুসমাচার দিকে দিকে প্রচার করার জন্য আর্শিবাদ দান করেন, তিনি চান যারা নাজাত লাভের জন্য ব্যগ্র হয়ে দিকবিদিক খুঁজে ফিরছে তাদের কাছে সলিবের মাধ্যমে অর্জিত নাজাত লাভ করতে পারে৷

মসিহ যখন মৃতু্য থেকে পুনরুত্থিত হলেন, তখন বহুবার তাঁর সাহাবিদের অভিবাদন জ্ঞাপন করেছেন, তিনি তাদের বলেছেন, 'তোমাদের শান্তি হোক' যার অর্থ হলো দুটি

১. খোদা তোমাদের সকলকে সকল পাপ অপরাধ থেকে ক্ষমা করেছেন কেবলমাত্র মসিহের মর্মবীদারক সলিব যতনার জন্য৷
২. উঠ, দাঁড়াও, দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ো আর সুসমাচারের এ বার্তা সর্বজাতির কাছে পৌছে দাও৷ 'পিতা আমাকে যেমন প্রেরণ করেছেন, আমিও তেমনি তোমাদের প্রেরণ করছি৷' যে কেউ মসিহের ওপর বিশ্বাস করে তার মধ্যে শান্তি হলো প্রতিষ্ঠিত, কেবল তার নিজের জন্য নয়, কিন্তু তিনি একজন শান্তি ও মিলন স্থাপনকারী হিসেবে মসিহের কাছে হবে পরিগণিত৷ ওপরন্তু তাকে ডাকা হবে খোদার সন্তান হিসেবে৷

ধার্মিক বলে গণ্য হবার ফলে হৃদয়ে আসে শান্তি, আর আমাদের অধিকার জন্মে পবিত্রজনের সিংহাসনের সম্মুখে হাজির হবার, আর আমাদরে এক বিশেষ অধিকার লাভ হয়, খোদার করুনা দিকে দিকে ছড়িয়ে দেবার, পৌল আমাদের কাছে সুনিশ্চয়তভাবে দিয়ে জ্ঞাত করেছেন যে, সমস্ত চিন্তা চেতনার উর্দ্ধে রয়েছে আমাদের রুহানি প্রত্যাশা৷ খোদা তাঁর নিজের সুরতে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু আমাদের পাপের কারণে আমাদের প্রতি দত্ত সে মহিমা হারিয়ে ফেলেছি৷ পাকরূহের মাধ্যমে সে প্রত্যাশা আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে, খোদা সেই একই গৌরব আমাদের পুনরায় দান করেছেন৷ খোদার সেই গৌরব তাঁর পুত্রের মধ্য দিয়ে রয়েছে প্রজ্জলিত৷ খোদার গৌরব পেয়ে আপনি কি গর্বিত? আপনার জন্য ও আপনার সম্মুখে যে প্রত্যাশা রাখা হয়েছে তা কি আপনি আকড়ে ধরেছেন? আমাদের ভবিষ্যত্‍ কেবল চিন্তাজগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, নেহায়েত যুক্তি জাল নয়, অথবা কেবল ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে নয়, কিন্তু তা আমাদের মধ্যে উপস্থিত পাকরূহের শক্তিতে উত্‍পন্ন যে পাকরূহ নিজেই গৌরবের বিষয়ে নিশ্চয়তা দান করেছেন, আমাদের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশ করবেন৷

রোমীয় ৫:৩-৫
৩. কেবল তা-ই নয়, দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও আমরা আনন্দ বোধ করছি, কারন আমরা জানি দুঃখ-কষ্টের ফল ধৈর্য, ৪. ধৈর্যের ফল খাঁটি স্বভাব এবং খাঁটি স্বভাবের ফল আশা৷ ৫. এই আশা আমাদের লজ্জায় ফেলে না, কারণ আল্লাহ তাঁর দেওয়া পাক-রূহের দ্বারা আমাদের দিল তাঁরই মহব্বত দিয়ে পূর্ণ করেছেন৷

আমরা বেহেশতে বাস করছি না তবে মাটির পৃথিবীতে৷ মসিহ যেমন সর্বপ্রকার জ্বালা যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে গেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, তদ্রুপ আমাদেরও বহন করতে হবে, তবে বিশ্বাস ও পাকরূহের ফলবৃদ্ধির সাথে সাথে, মানুষের দ্বারা আক্রান্ত হতে হবে, রোগশোকে ভুগতে হবে, আর শয়তানের কর্মকান্ডের হাতে কষ্ট পেতে হবে৷ বিলাপ ও শোকাবিভুত হয়ে পৌল এ বর্ণনা দেন নি বরং তিনি বলেছেন তাড়না লাঞ্চনার মধ্যেও খোদার গৌরব করি, কেননা আমাদের ওপর চালানো তাড়না প্রমাণ করে এ মন্দ জগতে আমরা মসিহের অনুসরণ করে চলছি৷ অত্যাচারের মধ্যেও যখন আমরা তাঁকে অনুসরণ করি তখন তাঁর গৌরবের সময়ও আমরা তাঁর সাথে থাকবো৷ তাই, অভিযোগ না করে সবকিছু পালন করে চলো, কেননা আমাদের প্রভু জীবিত এবং কোনো কিছুই তাকে বাদ দিয়ে ঘটতে পারে না৷

পার্থিব বোঝার ভারে অস্বীকার করতে বাধ্য করে আমাদের স্বার্থপরাতা, আবেগ অনুভুতি, চিন্তাচেতনার পবিত্র করণ ও আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে মসিহের হাতে সমর্পণ করতে৷ আমাদের মধ্যে ধৈর্য বৃদ্ধি পায়, আর প্রত্যাশায় মসিহের দিকে এগিয়ে চলতে থাকি, যেন তিনি ওসব সমস্যার যথাযথ সমাধান করে দেন৷ অত্যাচারের প্রশিক্ষণে আমরা শিখতে থাকি কি করে আমাদের অক্ষমতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারি, ইব্রাহীমের মত সুনিশ্চিত হয়ে যে খোদা আমাদের ব্যর্থতার মধ্যেও বিজয় লাভ করে থাকেন৷

রুহানি যুদ্ধে আমাদের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে ইব্রাহীমের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণের, আজকে রহমত ও মহব্বতের যুগে যখন খোদার তাঁর অসীম করুণা আমাদের হৃদয়ে ঢেলে দিয়ে থাকেন পাকরূহের দ্বারা, সাত্যিকারের খোদা যাকে আমাদের জন্য উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে৷ এ অধ্যায়ের ৫ আয়াত অত্যন্ত উন্নত ও সুন্দর যার বর্ণনা দেয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব৷ এ আয়াতটি মুখস্ত করে রাখুন কেননা কিতাবুল মোকাদ্দসের রত্নভান্ডার হলো এ আয়াতটি৷ কোনো মানুষের প্রেম বা করুনা আমাদের হৃদয়ে ঢেলে দেওয়া হয় নি, পরিবর্তে অনন্তকালীন প্রেম ও অনুকল্পা, নির্দোষ, খোদার শক্তিশালী প্রেম যা হলো খোদা নিজেই৷ এ প্রেম আমাদের হৃদয়ে কখনোই ছিল না, কিন্তু ওপর থেকে ঢেলে দেয়া হয়েছে, যা আমাদের ভালো কাজের ফল নয়, বরং মসিহের রক্ত আমাদের স্নাতশুভ্র করেছে বিধায় ঐশি প্রেম আমাদের অন্তরে ঢেলে দেয়া হয়েছে৷ সে কারনেই পাকরূহ আমাদের হৃদয়ের গভীরে বাস করতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন৷ আমাদের মরণশীল দেহ পরিণত করেছে খোদার আবাসগৃহে৷ এ বেহেশতি উপাদানই হলো খোদার পবিত্র ক্ষমতা ও মৌলসত্ত্বা, মসিহ যা প্রত্যেক বিশ্বাসীর মধ্যে ঢেলে দিয়েছেন৷ যারাই খোদার প্রেমের রূহকে গ্রহণ করেছেন তারাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন তাদের জীবনের দ্বিতীয় জন্মের প্রভাব প্রতিক্রিয়া৷ আর প্রত্যয় জেগেছে তাদের হৃদয়ে যে তাদের অনন্ত জীবন ইতোমধ্যে হয়ে গেছে লব্ধ৷ যাহোক, পাকরূহ আমাদের মধ্যে বসবাস করে শুধু আমাদের নিজস্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই নয়, আমাদের ধৈর্য প্রবৃদ্ধিকল্পে, যেন আনন্দের সাথে কঠিন মনের লোকদেরও বহন করতে পারি, পারি সহ্য করতে, আর প্রকৃতার্থে আমাদের শত্রুদেরও যেন মহব্বত করতে পারি৷ আমরা যেন আমাদের জীবনের সমস্যাবলি সমাধান করতে পারি৷ মসিহ অনাথ হিসেবে আমাদের ছেড়ে দেন নি, বরং তিনি তাঁর শক্তি আমাদের দান করেছেন, দিয়েছেন তাঁর মহব্বত, আর তাঁর গৌরবের নিশ্চয়তা দান করেছেন যা অকস্মাত্‍ প্রকাশ পাবে৷

প্রার্থনা: আমরা তোমার আরাধনা করি হে পিতা, পুত্র এবং পাকরূহ, কেননা তুমি আমাদের প্রত্যাখা্যান করোনি৷ মরণশীল, অনাথ কীটমাত্র, বরং তুমি তোমার পবিত্র প্রেম আমাদের মধ্যে ঢেলে দিয়েছো, যেন পাকরূহের প্রেমে আমরা প্রেম করতে পারি, আর যেন বিশ্বাস ও প্রত্যাশা করতে পারি আমাদের জীবন ও তোমার মহান প্রেম করুনার দৃষ্টান্ত হতে পারে৷ আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই, প্রশংসা করি, আর তোমাতে আনন্দ করি, আমাদের হৃদয় তোমার উপস্থিতি রয়েছে বলে তোমার প্রেমের পরিচালনায় চলবার তৌফিক দান করো৷

প্রশ্ন:

৩৪. খোদার শান্তি আপনার জীবনে কী করে পূর্ণতা লাভ করবে?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 01:07 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)