Home
Links
Bible Versions
Contact
About us
Impressum
Site Map


WoL AUDIO
WoL CHILDREN


Bible Treasures
Doctrines of Bible
Key Bible Verses


Afrikaans
አማርኛ
عربي
Azərbaycanca
Bahasa Indones.
Basa Jawa
Basa Sunda
Baoulé
বাংলা
Български
Cebuano
Dagbani
Dan
Dioula
Deutsch
Ελληνικά
English
Ewe
Español
فارسی
Français
Gjuha shqipe
հայերեն
한국어
Hausa/هَوُسَا
עברית
हिन्दी
Igbo
ქართული
Kirundi
Kiswahili
Кыргызча
Lingála
മലയാളം
Mëranaw
မြန်မာဘာသာ
नेपाली
日本語
O‘zbek
Peul
Polski
Português
Русский
Srpski/Српски
Soomaaliga
தமிழ்
తెలుగు
ไทย
Tiếng Việt
Türkçe
Twi
Українська
اردو
Uyghur/ئۇيغۇرچه
Wolof
ייִדיש
Yorùbá
中文


ગુજરાતી
Latina
Magyar
Norsk

Home -- Bengali -- Romans - 010 (The Righteousness of God)
This page in: -- Afrikaans -- Arabic -- Armenian-- Azeri-- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hebrew -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Malayalam -- Polish -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Turkish -- Urdu? -- Yiddish -- Yoruba

Previous Lesson -- Next Lesson

রোমীয়দের - প্রভুই আমাদের ধার্মিকতা
রোমীয়দের কাছে হযরত পৌলের লেখা পত্রের ওপর পর্যালোচনা
প্রথম খন্ড - খোদার ধার্মিকতা সকল পাপীকে দোষী সাব্যস্থ করে, আর মসিহের ওপর বিশ্বাসিদের ন্যায়বান ও আলাদা করে (রোমীয় ১:১৮ - ৮:৩৯)
ক - গোটা বিশ্ব দুষ্টচক্রের প্রভাবে পড়ে আছে, হচ্ছে পরিচালিত, খোদা তাঁর ধার্মিকতার আলোকে তাদের বিচার করবেন (রোমীয় ১:১৮ - ৩:২০)

১. জাতির বিরুদ্ধে খোদার গজব প্রকাশিত হয়েছে (রোমীয় ১:১৮-২১)


রোমীয় ১:১৮-২১
১৮ মানুষ আল্লাহর সত্যকে অন্যায় দিয়ে চেপে রাখে, আর তাই তাঁর প্রতি ভয়ের অভাব ও সমস্ত অন্যায় কাজের জন্য বেহেশত থেকে মানুষের ওপর আল্লাহর গজব প্রকাশ পেয়ে থাকে৷ ১৯ আল্লাহ সম্বন্ধে যা জানা যেতে পারে তা মানুষের কাছে স্পষ্ট, কারণ আল্লাহ নিজেই তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছেন৷ ২০ আল্লাহর যে সব গুণ চোখে দেখতে পাওয়া যায় না, অর্থাত্‍ তাঁর চিরস্থায়ী ক্ষমতা ও তাঁর খোদায়ী স্বভাব সৃষ্টির শুরু থেকেই পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে৷ তার সৃষ্টি থেকেই মানুষ তা খুব বুঝতে পারে৷ এর পরে মানুষের আর কোনো অজুহাত নেই৷ ২১ মানুষ তাঁর সম্বন্ধে জানবার পরেও আল্লাহ হিসাবে তাঁর প্রশংসাও করে নি, তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানায় নি৷ তাদের চিন্তাশক্তি অসার হয়ে গেছে এবং তাদের বুদ্ধিহীন দিল অন্ধকারে পূর্ণ হয়েছে৷

বিনম্রতা, প্রেম, ও প্রত্যাশা নিয়ে রোমের জামাতের প্রতি অভিবাদন জানানোর পরে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন সুসমাচারের ওপর, মসিহের মধ্য দিয়ে খোদার ধার্মিকতার প্রকাশ ঘটেছে, যা তিনি তার পত্রের প্রথম অংশে গভীর গবেষণার ফল প্রকাশ করেছেন৷ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে খোদার ন্যাজ্য ক্রোধ আমাদের ওপর নেমে আসছে খোদার প্রতি ও মানুষের প্রতি সকল অধার্মিকতার কারণে৷ বর্তমানে আমরা কেবল খোদার রহমতের যুগেই বাস করছি না, খোদার গজবের মধ্যেও বাস করছি, যা হলো বর্তমান যুগের রহস্য ও অভিপ্রায়৷ মানুষের ঘৃণার কাজের প্রতি খোদার তাচ্ছিল্য আর তাঁর ন্যাজ্য প্রতিশোধ তাদের পাপের কারণে, বর্তমান যুগের প্রতীক৷ মহান পবিত্র জনকে যে কেউ জানে সেই তাকে ভয় করবে, আর তার রাগের ভয়ে প্রকম্পিত থাকবে৷ পাক পারোয়ার দেগারের এক ঝলক নূরের রশ্মি কারো ওপর না পড়া পর্যন্ত কেউ তাকে এবং তার পবিত্রতাকে বুঝতে পারে না৷ মানুষের পাপ অপরাধ খোদার মহিমার কাছে সহজেই প্রতিভাত৷

খোদা নিজের সুরতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তারা নিজেদের ঘৃণ্য হটকারিতা নিবর্ুদ্ধিতার কারণে স্বেচ্ছাচারিতা বাছাই করে বিচ্ছিন্ন হয়েছে৷ যাহোক, খোদা তাঁর ধৈর্যের দরুন অসহায় অবাধ্য লোকদের ধ্বংস করেন নাই, বরং অপেক্ষা করে আছেন, ধন্যবাদের সাথে তারা তাঁর দিকে ফিরে আসবে এবং সাথে সাথে সমর্পিত হবে৷ আসলে খোদাকে যতোটা ভালোবাসা উচিত তার চেয়ে তারা নিজেদের অধিক ভালোবাসে৷ আর আত্ম প্রেমের জন্যই নিজেদের খোদা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে৷ আসলে তারা রুহানিভাবে অন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ মহান প্রভুর গৌরব তাদের কাছে আর অনুভূত হয় না, তাই মন্দ কাজে ক্রমাগত ধেয়ে চলে বল্গাহীন ভাবে, নিজেদের নিজেরা চলে মষিলিপ্ত করে, অন্যকে বাধা দেয় নাজাতের পথে চলতে, নিজেরদ মিথ্যাচারের ওপর জোর দিয়ে দেখাতে চায় তাদের ভ্রান্ত পথই হলো সঠিক পথ৷

মানুষ নিজেদের পাপের অতলে পতিত হওয়া সত্ত্বেও সে প্রকৃতির মধ্যে ঘটে চলা আশ্চর্য কাজের মাধ্যমে খোদার উপস্থিতি বুঝতে পারে৷ গাছপালার গঠন প্রণালী পরীক্ষ করা হলে, অনুপরমানুর ক্ষমতা, সংখ্যায় অগণিত ও বিশালাকার তারকরাজি, শ্রস্টার আরাধনা না করে পারেন না, কেননা তিনি জ্ঞানি, সর্বশক্তিমান, আর অনন্তজীবি৷ আপনি কি আপনার আত্মার সৈন্দর্য অনুভব করেন, বিবেকের সংবেদ, আর মনের কার্যকারীতা দেখতে পান? আপনার হৃদয়ের ধুকধুকানি কি আপনি শুনতে পান, যা নিত্যদিন এক লক্ষ বার বাজতে থাকে শরীরের সর্বত্র রক্ত সঞ্চাললেন জন্য আঘাত করতে থাকে? এসকল আশ্চর্য কাজ নিজে নিজে হয় নি, মহান সৃষ্টিকর্তার হাত রয়েছে এর পিছনে৷

প্রকৃতির মধ্যে ঘটে যাওয়া খোদার আশ্চর্য ঐশিকুদরত প্রত্যক্ষ করার পর কে না ভয়ে প্রকম্পিত হয় আর কেই বা না মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়? তাঁর গৌরবের সাখ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘোষিত হয়ে চললে৷ বর্তমানকার যুগের সুসভ্য জনগণের সময় নেই ঐ সকল প্রকৃতির খোলা পুস্তক থেকে পাঠোদ্বারের, আসলে ঐসকল লিপি পরিষ্কারভাবে খোদা নিজের হাতে লিখে চলছেন৷

যে কেউ খোদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হচ্ছে, তিনি যা কিছু করে চলছেন, তার জন্য ধন্যবাদ দিতে অনিহা প্রকাশ করছে, তথা খোদার গৌরবের প্রতি সমর্পিত হতে নারাজ, তারা আসলে অবোধই রয়ে গেছে৷ পাকরূহের প্রজ্ঞা থেকো সে দূরে আছে, মনের দিক থেকে সে অন্ধ, যেন সে একটা জ্যান্ত পশু৷ প্রিয় ভ্রাতা, তাই ভক্তি ও ভয়ে তাকে ভালোবাসুন, কেননা তিনি তাঁর নিজের সুরতে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, আপনার মধ্যে ফুকে দিয়েছেন জীবন বায়ু৷ আপনি তো তাঁর নিজের অধিকারের বিষয়, তাকে বাদ দিয়ে আপনার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়৷

যারা খোদার আরাধনা করছে না, আসলে তারা অন্ধকারে ডুবন্ত প্রাণী মাত্র, পরিষ্কার গুনাহগার আর সম্পূর্ণ অবিশ্বাসী৷ তারা তাদের শক্তির উত্‍স ও কেন্দ্র থেকে পিছলে পড়েছে, বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে চলছে এবং মনকে অন্ধ করে রেখেছে৷ মিথ্যাকে সত্য বলে তারা বিবেচনা করে, খোদার জ্ঞানকে বিকারগ্রস্থ করে চলে, আর গায়ের জোরে তা দমিয়ে রাখে৷ সুতরাং, প্রভুর কাছে কার্যকর বিশ্বাসের দাবি করুন, আর অন্যকে খোদার অস্তিত্বে আস্থাবান হতে অনুপ্রানীত করুন, কেননা তাঁর গৌরবে আস্থা ছাড়া ও তার করুনার প্রসংশা ব্যতিত মানবজাতি খোদার গজবে ধ্বংস হতে বাধ্য, যা আমরা যুগ যুগ ধরে প্রত্যক্ষ্য করে আসছি৷

প্রার্থনা: হে পবিত্র খোদা, সর্বশক্তিমান প্রভু, আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই, কারণ তুমিই আমাদের অস্তিত্বমান করেছো এবং সৃষ্টির স্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের গঠন ও মর্যাদা দিয়েছো৷ আমাদের ক্ষমা করো৷ আমরা তোমার বিষয়ে ভাসা ভাসা জ্ঞানের কারণে সে সকল অপরাধ করেছি আর প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছি তার জন্য ক্ষমাপ্রাপ্তি৷ তোমার দিকে যেন আমরা ফিরতে পারি, আমাদের সাহায্য করো, মানুষের কাছে যেন তোমার বিষয়ে বলতে পারি, আর নিত্যদিন তোমার প্রেমে যেন জীবন-যাপন করে চলি৷ তোমার গৌরব যেন থাকে আমাদের মুখে অন্তরে সদা-সর্বদা, সকল পাপ অপরাধের বিরুদ্ধে তোমার যে ক্রোধ তা ন্যায্য, সে বিষয়ে যেন মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারি, তাদের অনুশোচনা ও অনুতাপের মনোভাব সৃষ্টিতে সাহায্য করতে শক্তি দাও যেন তারা তোমার কাছে ফিরে আসে৷

প্রশ্ন:

১৪. খোদার ক্রোধ কেন প্রকাশিত হয়েছে?

www.Waters-of-Life.net

Page last modified on February 25, 2014, at 12:27 PM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)