Waters of LifeBiblical Studies in Multiple Languages |
|
Home Bible Treasures Afrikaans |
This page in: -- Albanian -- Arabic -- Armenian -- BENGALI -- Burmese -- Cebuano -- Chinese -- Dioula -- English -- Farsi? -- French -- Georgian -- Greek -- Hausa -- Hindi -- Igbo -- Indonesian -- Javanese -- Kiswahili -- Kyrgyz -- Malayalam -- Peul -- Portuguese -- Russian -- Serbian -- Somali -- Spanish -- Tamil -- Telugu -- Thai -- Turkish -- Twi -- Urdu -- Uyghur? -- Uzbek -- Vietnamese -- Yiddish -- Yoruba
Previous Lesson -- Next Lesson যোহন - নূর অন্ধকারের মধ্যে জ্বলছে
যোহন বর্ণীত মসিহের নাজাতের বারতার সুসমাচার ওপর অধ্যয়ন
প্রথম অংশ - বেহেশতি নূর ঝলমল করছে (যোহন ১:১ - ৪:৫৪)
সি - জেরুজালেমে মসিহের প্রথম আগমন (যোহন ২:১৩ - ৪:৪৫) -- খাঁটি এবাদত বলতে কী বুঝায়?7
৫. রাজকর্মচারীর ছেলেকে সুস্থ করা৷ (যোহন ৪:৪৩-৫৪)যোহন ৪:৪৩-৪৬ এখানেই তিনি পানিকে আংগুর রস করিয়াছিলেন৷ ঈসা মসিহ তার সাহাবিরা শমরীয়াতে সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন৷ অনন্ত জীবনের শক্তি ও আনন্দের মধ্য দিয়ে তারা প্রচার কাজ চালাচ্ছিলেন৷ অন্য কোন জাতির মধ্যে কাজ শুরু করবার সময় তখনো আসেনি; তাকে প্রথমে তার নিজের দেশের ভিতর মন্দ আত্মাদের পরাভূত করতে হয়েছিল৷ নাসরতীয়দের উপহাস এবং আক্রমণের ঝুকি থাকা সত্বেও তিনি সরাসরি গালিলে গেলেন৷ যেহেতু তিনি নিচু পরিবার থেকে এসেছিলেন তার বন্ধু এবং আত্মীয়রা তখনো তার বেহেশতি বিষয়াদির ওপর বিশ্বাস আনেনি৷ তাদের নজর ছিল খ্যাতি এবং সম্পদের দিকে এবং তারা ঈসা মসিহের দারিদ্র্যকে নিদারুন অবজ্ঞা করেছিল৷ এই অবিশ্বাসের কারণে তিনি তাদের ভিতর কোনো নিদর্শন দেখাতে অপারগ ছিলেন৷ আরোগ্যকারী হিসেবে ঈসা মসিহের খ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ তাঁর মোজেজার খবর তাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল যা তিনি জেরুজালেম এবং গালিলে সম্পাদন করেছিলেন৷ ঈদুল ফেসাখের সময় অনেক গালিলীয়বাসী জেরুজালেমে আগমন করেছিল৷ তারা ঈসা মসিহের সবকিছু শুনলো এবং দেখলো যা তিনি করেছিলেন এবং বললো, তিনি সমস্ত কর্তৃত্বকে অতিক্রম করে উপদেশ দিচ্ছিলেন৷ তারা তাকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়েছিল যখন তিনি গালিলের গ্রামগুলোতে পৌছিলেন এবং আশা করেছিল যে তিনি তাদের কাছে কিছু মোজেজা দেখাবেন এবং তার কাছ থেকে কিছু উপকার গ্রহণ করবেন৷ ঈসা মসিহ কান্নাতে বিবাহের বরের বাড়িতে ফিরে গেলেন, সেখানে বিবাহ ভোজের আনন্দ হয়েছিল তার আদর্শবাণী যা আগে ও ছিল৷ তিনি চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে তার কাজ সমাপ্ত করতে, যারা তার দিকে তাকিয়েছিল, কারণ তার প্রথম মোজজো, কান্নাতেই সম্পাদিত হয়েছিল৷ যোহন ৪:৪৬-৫৪ ঈসা মসিহের কথা ও তার কর্তৃত্বের কথা শুনে একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজ-কর্মচারী তার কাছে আসলেন৷ গ্রামের লোকজন তাঁর আগমনের কথা শুনলো এবং তারা বলাবলি করতে লাগলো, 'সে আরোগকারীর কাছে যাচ্ছে রাজার সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য৷' হ্রদরে উপকুলে কফরনাহুমে রাজ-কর্মচারীর একটি ছেলে অসুস্থ ছিল৷ ছেলের পিতা অনেক চিকিত্সক দেখিয়েছিলেন, অনেক অর্থ ব্যয় করেছিলেন, কিন্তু ছেলেটি আরোগ্য লাভ করেনি৷ শেষ অবলম্বন হিসেবে সে ঈসা মসিহকে বললো; তিনি কি তাকে উপকার করতে পারেন কিনা? পিতা চেয়েছিল ঈসা মসিহ কান্না গ্রাম ত্যাগ করেন এবং কফরনাহুমে তাকে সঙ্গ দেন, এই আশায় যে তার উপস্থিতি ছেলেটিকে সুস্থ করবে৷ এই রাজ কর্মচারীকে সম্ভাষণ দিতে ঈসা কোন তাড়াহুড়ো করেনি৷ তিনি কর্মচারীর বিশ্বাসের অভাব দেখে দুঃখ পেয়েছিলেন৷ ঈসা মসিহ সাহায্য করতে পারেন না যদি না একজন ব্যক্তি সত্য সত্যই তার তুলনাহীন ব্যক্তিত্বের ওপর বিশ্বাস রাখে৷ সন্দেহের মধ্যে থেকে অনেক প্রার্থনা এবং বিশ্বাস বাস্তবিক কোন ফলাফল আনে না৷ প্রভুতে একজন খাঁটি বিশ্বাসী বিনা শর্তেই তার বাক্যের ওপর নির্ভর করে, কোন সাহায্য লাভের আগেই তার ওপর বিশ্বাস রাখে৷ রাজ-কর্মচারী ঈসা মসিহের মৃদু ভর্ত্সনায় বিরক্ত হয়নি, কিন্তু নিজেকে নত করেছিল তাকে 'হুজুর,' বা 'প্রভু' সম্বোধন করে, গ্রিক ভাষা অনুসারে নিজেকে ঈসা মসিহের দাস হিসেবে চিহ্নিত করলো৷ তার ছেলের জন্য ভালোবাসা ও ঈসা মসিহের ওপর তার শ্রদ্ধা তাকে আরও একবার কফরনাহুমে আসতে আহ্বান করেছিল, ছেলেটির জীবন বাঁচানোর জন্য৷ এ কারণে, ঈসা মসিহ তার প্রভুত্বের ওপর রাজ-কর্মচারীর বিশ্বাসের ব্যাপারটি উপলব্ধি করলো এবং বললেন, 'যাও তোমার ছেলেটি বাঁচবে'৷ ঈসা মসিহ রাজ-কর্মচারীর সাথে কফরনাহুমে যেতে অস্বীকার করলেন, কিন্তু পিতার ভালোবাসায় এবং তার বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তাকে পরীক্ষা করেছিলেন৷ তার কি ঈসা মসিহের যোগ্যতার ওপর আস্থা ছিল ছেলেটিকে সারিয়ে তোলবার? আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজ-কর্মচারী ঈসা মসিহের চরিত্র এবং তার ভালোবাসার বিষয়টি আবিষ্কার করেছিল৷ সে নিশ্চিত ছিল যে ঈসা মসিহ মিথ্যা বলবেন না এবং তাকে উপহাস করবেন না৷ এমনকি যদিও সে দৃশ্যত তার ছেলের আরোগ্য দেখেনি তবুও তখন সে বিশ্বাস করেছিল৷ ঈসা মসিহের কথামতো সে কফরনাহুমে ফিরে যেতে লাগলো৷ তার আজ্ঞা পালন করে চলে যাওয়া ঈসা মসিহকে সম্মানিত করলো এবং তার ছেলের আরোগ্যকে নিশ্চিত করলো৷ যদি এইভাবে ঈসা মসিহ মৃতু্যমুখে পতিত ছেলেকে আরোগ্য করতে পারেন, তিনি সবার থেকে শ্রেষ্ঠ৷ আরোগ্য দান তার কর্তৃত্বকে এবং বেহেশতি উত্সকে প্রমাণ করে, তার ফিরে যাওয়ার মধ্যে বিশ্বাসের বৃদ্ধি ঘটেছিল৷ ঈসা মসিহ রাজ-কর্মচারীর চাকরদের তার কাছে তাড়াতাড়ি যেতে হুকুম করেছিলেন এবং তারা তার সন্তানের সম্পূর্ণ সুস্থতার কথা জানিয়েছিল৷ তার দুশ্চিন্তা চলে গেল এবং সে প্রভুর প্রসংশা করলো৷ কখন তার সন্তানের জ্বর ছেড়েছিল সে বিষয় নিশ্চিত হবার জন্য সে জানতে চাইল, তাকে জানানো হলো বিকাল বেলায়, ঠিক সেই মুহূর্তেই তার সুস্থতার কথা উচ্চারণ করেছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ রাজ-কর্মচারী কৃতজ্ঞচিত্তে ঈসা মসিহের ভালোবাসার শক্তির সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তার পরিবারের লোকজনদের কাছে৷ এই মোজেজার ঘটনাটি দ্বিতীয় নিদর্শন যা যোহন লিপিবদ্ধ করেছিল৷ রাজ সভায় ঈসা মসিহের প্রভাব বা আধিপত্য ঢুকে পড়েছিল৷ লোকজন আগ্রহের সাথে ভবিষ্যত্ ঘটনার সমুহের দিকে সম্মুখপানে তাকিয়েছিল৷ ঈসা মসিহের পরে বিশ্বাস আনা হলো এবাদত যা খোদর কাছে গ্রহণযোগ্য, যিনি এইসব নির্দশন এবং প্রকান্ড কার্যবলীর মধ্যে এটাকে নিশ্চিত করেন৷ প্রার্থনা: প্রভু ঈসা মসিহ, তোমার আগমনের জন্য আমরা তোমাকে ধন্যবাদ দেই৷ তুমি কফরনাহুমে ছেলেটিকে সুস্থ করেছিলে তোমার অনুপস্থিতিতেই৷ তুমি সেই পিতাকে তোমার ওপর গভীর বিশ্বাস আনতে চালনা করেছিলে৷ তোমার ভালোবাসা এবং ক্ষমতোার ওপর বিশ্বাস আনতে আমাদেরকে শিক্ষা দাও৷ আমরা অনেকের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করি যারা পাপ ও অন্যায়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং বিশ্বাস করি তুমি আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেবে৷ প্রশ্ন: ৩৬. বিশ্বাস বৃদ্ধির স্তরগুলি কী যা রাজ কর্মচারিটি পেরিয়েছিল?
|